লেনদেন ৯৫০ কোটির বেশি, সূচক বাড়ল ডিএসইতে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:৩৯:১৫
লেনদেন ৯৫০ কোটির বেশি, সূচক বাড়ল ডিএসইতে
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের লেনদেনে দেশের শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতার মধ্যেও সূচকে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ইতিবাচক ধারায় রয়েছে, তবে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ সামান্য নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।

এই সময়ে ডিএসইএক্স সূচক ১৩ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৭৪ দশমিক ৭১ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ০ দশমিক ২৭ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি নির্দেশ করে। একই সঙ্গে ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১,০০৩ দশমিক ০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে, শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ০ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। অপরদিকে, শীর্ষ ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ সামান্য ০ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ১,৮৫৭ দশমিক ০৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৭৩টি। এ সময় মোট লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৬১ লাখে, আর লেনদেনের আর্থিক মূল্য ছাড়িয়েছে ৯৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে সক্রিয় থাকলেও লেনদেনের গতি এখনো সতর্ক পর্যায়ে রয়েছে।

বাজারের সার্বিক চিত্রে অগ্রসর ও দরপতনের সংখ্যায় স্পষ্ট বৈষম্য দেখা গেছে। সর্বশেষ তথ্যে অনুযায়ী, দর বেড়েছে ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের, দর কমেছে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। এতে বোঝা যায়, বাজারে ইতিবাচক শেয়ারের আধিক্য থাকলেও কিছু নির্দিষ্ট খাতে মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে।

-রাফসান


২৯ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৫:০৪:৩২
২৯ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে মিশ্র প্রবণতায়। দিনভর কেনাবেচায় অংশ নেওয়া শেয়ার ও ইউনিটগুলোর মধ্যে দরপতনের সংখ্যা অগ্রগতির তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও সামগ্রিক বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়নি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা ও নির্বাচনী সময়ের অনিশ্চয়তা লেনদেনের গতিপ্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

দিনের লেনদেনে সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট ৩৯০টি ইস্যুতে কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, দর কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯৩টি শেয়ার ও ইউনিটের। এ চিত্র স্পষ্ট করে যে বাজারে বিক্রির চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতিও একেবারে কম ছিল না।

এ ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোর মধ্যে ২১২টি ইস্যুতে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮১টির দর বেড়েছে, ৯১টির দর কমেছে এবং ৪০টি অপরিবর্তিত রয়েছে। বেসিক ভালো হলেও স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে এ ক্যাটাগরিতে দরপতনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

বি ক্যাটাগরিতে তুলনামূলক ইতিবাচক চিত্র দেখা যায়। মোট ৮২টি ইস্যুর মধ্যে ৩৫টির দর বেড়েছে, ২৭টির কমেছে এবং ২০টি অপরিবর্তিত ছিল। জেড ক্যাটাগরিতে ৯৬টি ইস্যু লেনদেন হয়েছে, যেখানে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৩৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টি শেয়ার। এন ক্যাটাগরিতে এদিন কোনো লেনদেন হয়নি।

মিউচুয়াল ফান্ড খাতে মোট ৩৪টি ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০টির দর বেড়েছে, ১০টির কমেছে এবং ১৪টি অপরিবর্তিত ছিল। করপোরেট বন্ড বাজারে চারটি ইস্যুতে লেনদেন হয়, যেখানে একটি বেড়েছে, একটি কমেছে এবং দুটি অপরিবর্তিত ছিল। সরকারি সিকিউরিটিজ খাতে মাত্র একটি ইস্যুতে লেনদেন হয়, যা দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

দিন শেষে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯৮ বার। মোট শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে প্রায় ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার এবং লেনদেনের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও বাজার পুরোপুরি স্থবির হয়নি।

বাজার মূলধনের দিক থেকে ইক্যুইটি খাতে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ লাখ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডে বাজার মূলধন ছিল প্রায় ২ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা এবং ঋণ সিকিউরিটিজে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ ৩৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন প্রায় ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

এদিন ব্লক মার্কেটেও উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। মোট ২৫টি স্ক্রিপে ৫৯টি ব্লক ট্রানজাকশনের মাধ্যমে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। ব্লক লেনদেনে ব্যাংক, ওষুধ, টেক্সটাইল ও ভোক্তা পণ্য খাতের শেয়ারগুলোর আধিপত্য ছিল, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষ প্রান্তে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি কমাতে চাচ্ছেন। ফলে একদিকে বিক্রির চাপ, অন্যদিকে নির্বাচিত কিছু শেয়ারে কৌশলী বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে বাজারে ওঠানামা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

-রাফসান


২৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ১০ দরহারানো শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৫:০০:৫০
২৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ১০ দরহারানো শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশ কয়েকটি শেয়ারে উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে ক্লোজিং প্রাইস ও আগের দিনের সমাপনী দরের (YCP) তুলনায় শীর্ষ ১০ দরপতনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় মূলত ক্ষুদ্র মূলধনী শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তুলে নেওয়া, আস্থাহীনতা এবং নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির মৌলভিত্তিক দুর্বলতা এই দরপতনের অন্যতম কারণ।

দিনের সর্বোচ্চ দরপতনকারী শেয়ার ছিল ILFSL, যার দর কমেছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আগের কার্যদিবসে যেখানে শেয়ারটির দাম ছিল ৬৩ পয়সা, সেখানে লেনদেন শেষে তা নেমে আসে ৫৯ পয়সায়। দিনভর শেয়ারটি ৫৭ পয়সা থেকে ৬০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ স্পষ্ট করে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে NCCBLMF1 এবং ZAHEENSPIN। উভয় শেয়ারই প্রায় ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর হারিয়েছে। এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম ৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে নেমে আসে ৩ টাকা ৯০ পয়সায়। একইভাবে জাহিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দরও একই হারে কমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতার বার্তা দিয়েছে।

চতুর্থ স্থানে থাকা NURANI শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিনের ২ টাকা ১০ পয়সা থেকে দর নেমে দাঁড়িয়েছে ২ টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এরপর রয়েছে EBLNRBMF, যার দর কমেছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। ইউনিটপ্রতি দাম ২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে নেমে আসে ২ টাকা ৩০ পয়সায়। একই দিনে MAKSONSPIN এবং TRUSTB1MF উভয় শেয়ারই ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে, যা বাজারে দুর্বল মোমেন্টামের ইঙ্গিত দেয়।

তালিকার শেষ দিকে থাকা PHOENIXFIN, FIRSTFIN এবং UNIONCAP শেয়ারগুলোর দর কমেছে প্রায় ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে। ফিন্যান্স খাতের এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিক্রির চাপ বাড়ায় দিন শেষে দরপতন স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষ দিকে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা, কিছু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের দুর্বলতা এবং সামগ্রিক বাজারে আস্থার ঘাটতি এই দরপতনের পেছনে কাজ করেছে। তারা বিনিয়োগকারীদের স্বল্পমেয়াদি গুজব বা আবেগের পরিবর্তে মৌলভিত্তি ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

-রাফসান


বাজারে উত্থান: সেরা ১০ শেয়ারের তালিকা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:৫৮:২৭
বাজারে উত্থান: সেরা ১০ শেয়ারের তালিকা
ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে একাধিক শেয়ার। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ২টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত সমাপনী মূল্য ও আগের দিনের সমাপনী দরের (YCP) তুলনায় টপ টেন গেইনার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বীমা, খাদ্য, কাগজ, টেক্সটাইল ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বিভিন্ন কোম্পানি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের নির্বাচিত শেয়ারে ক্রয়চাপ এবং স্বল্পমেয়াদি মুনাফা প্রত্যাশাই এই উত্থানের মূল চালিকাশক্তি।

সমাপনী দরের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে Sonargaon Textiles। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার ৩০ দশমিক ৯০ টাকায় বন্ধ হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। লেনদেনের সময় শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৩১ দশমিক ৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৭০ টাকা, যা দিনের মধ্যে সক্রিয় বিনিয়োগ আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।

দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে Takaful Islami Insurance। শেয়ারটি ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে ৩৪ টাকায় বন্ধ হয়। বীমা খাতে সাম্প্রতিক ইতিবাচক প্রত্যাশা এবং স্থিতিশীল চাহিদা এই উত্থানে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে Sonar Bangla Insurance। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১০ টাকায়। দিনের লেনদেনে শেয়ারটির দামে উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে।

চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে Sonali Paper & Board Mills। শেয়ারটি ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ২৩১ দশমিক ৭০ টাকায় সমাপনী হয়। কাগজ খাতের এই শেয়ারে দিনভর শক্তিশালী ক্রয়চাপ দেখা গেছে।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে Bangladesh Thai Food। শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ টাকায় পৌঁছেছে। খাদ্য খাতে প্রতিরক্ষামূলক বিনিয়োগ প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবেই এই উত্থানকে দেখছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

মিউচুয়াল ফান্ড খাত থেকেও দুটি শেয়ার টপ টেনে জায়গা করে নিয়েছে। 1 Janata Mutual Fund এবং FBFIF উভয় শেয়ারই ৪ শতাংশ হারে বেড়ে ২ দশমিক ৬০ টাকায় বন্ধ হয়েছে, যা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

এছাড়া তালিকায় রয়েছে EXIM 1st Mutual Fund, Reliance One Mutual Fund এবং City General Insurance। এসব শেয়ারের দর যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষ প্রান্তিকে এসে নির্বাচিত শেয়ারে স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং কিছু খাতে মৌলভিত্তি শক্ত থাকার প্রত্যাশা মিলিয়ে এই টপ গেইনার তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, বিনিয়োগের আগে কোম্পানির মৌলিক অবস্থা ও বাজার ঝুঁকি বিবেচনা করা জরুরি।

-শরিফুল


শেয়ারবাজারে মার্জিন সুবিধা পাচ্ছে কোন কোম্পানিগুলো

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:৪৩:০৮
শেয়ারবাজারে মার্জিন সুবিধা পাচ্ছে কোন কোম্পানিগুলো
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হালনাগাদ করা মার্জিন ফাইন্যান্সযোগ্য সিকিউরিটিজের একটি বিস্তৃত প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় মোট ১২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর বিপরীতে অনুমোদিত ট্রেক হোল্ডার ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ সুবিধা দিতে পারবে।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকির মাধ্যমে লেনদেন সচল রাখা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্জিন ফাইন্যান্স ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক করার ক্ষেত্রে এ তালিকাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রকাশিত তালিকায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, ওষুধ, টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সিমেন্ট, ভোগ্যপণ্য, বস্ত্র ও শিল্পখাতের শীর্ষস্থানীয় বহু কোম্পানি স্থান পেয়েছে। এতে বাজারের প্রধান সূচকে প্রভাব বিস্তারকারী কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মাঝারি মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ডিএসই জানায়, তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, অর্থাৎ যেসব কোম্পানি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে। এসব কোম্পানিকে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে মার্জিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

একই সঙ্গে সীমিতসংখ্যক ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে সর্বশেষ অর্থবছরে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নগদ বা স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত দুর্বল কোম্পানিতে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ মার্জিন বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

মার্জিন ফাইন্যান্সযোগ্য শেয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে একাধিক আর্থিক ও বাজারভিত্তিক সূচক বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসই। এর মধ্যে কোম্পানির ট্রেইলিং প্রাইস টু আর্নিং (পি/ই) রেশিও, ফ্রি ফ্লোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন, শেয়ারের বাজারমূল্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ডিএসই আরও জানায়, যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে টানা চার প্রান্তিকের আয়ের ঘোষণা পাওয়া গেছে, সেসব তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেইলিং পি/ই রেশিও নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যেসব কোম্পানির চার প্রান্তিকের তথ্য পাওয়া যায়নি, সেসব ক্ষেত্রে সর্বশেষ ঘোষিত ইপিএসকে বার্ষিকীকরণ করে পি/ই রেশিও হিসাব করা হয়েছে।

শেয়ারদরের ক্ষেত্রে ক্লোজিং প্রাইস অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাডজাস্টেড ওপেনিং প্রাইস ব্যবহার করে হিসাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বাজারদরের বাস্তব প্রতিফলন নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ডিএসই স্পষ্ট করে জানায়, এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্জিন রুলস ২০২৫ অনুসরণ করে। বিশেষভাবে রুল ৭, রুল ১০ এবং রুল ১১-এর একাধিক উপধারা অনুসারে মার্জিন ঋণ প্রদানের কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসই ট্রেক হোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, মার্জিন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা ও ঝুঁকিগ্রহণ ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে ঋণ প্রদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই তালিকা মার্জিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্পষ্ট নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। কোন শেয়ারে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে মার্জিন সুবিধা নেওয়া সম্ভব, সে বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

ডিএসই আরও জানিয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক তালিকা এবং বাজার পরিস্থিতি, কোম্পানির আর্থিক অবস্থা কিংবা নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তালিকাটি সংশোধন বা হালনাগাদ করা হতে পারে। তালিকায় কোনো তথ্যগত অসংগতি বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্টদের ডিএসই কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

-রাফসান


ডিএসই মধ্যাহ্ন বাজারে শীর্ষ ২০ শেয়ারের চিত্র

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:৩১:৫২
ডিএসই মধ্যাহ্ন বাজারে শীর্ষ ২০ শেয়ারের চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বাভাবিক বাজারে লেনদেনের চিত্রে স্পষ্টভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (AL-HAJTEX)। কর্পোরেট ঘোষণার পর মূল্যসীমা শিথিল থাকায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে লেনদেনের পরিমাণ, ট্রেডসংখ্যা এবং মূল্যমানের শীর্ষ অবস্থানে।

লেনদেনের মূল্য: টেক্সটাইল ও খাদ্য খাতের দাপট

মূল্যমানের হিসাবে শীর্ষ ২০ শেয়ারের তালিকায় আল-হাজ টেক্সটাইল এককভাবে প্রায় ৭৯.১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে বাজারে নেতৃত্ব দেয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাহিমা ফুড করপোরেশন লেনদেন করেছে প্রায় ৬৮.২৩ কোটি টাকা, যা খাদ্য খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তালিকার পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে সোনালী পেপার, সিটি ব্যাংক, সাইহাম কটন, উত্তরা ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (BSC) এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এসব শেয়ারে সম্মিলিতভাবে শত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাজারের সামগ্রিক তারল্য বজায় রাখছে।

ভলিউমে এগিয়ে ব্যাংক ও টেক্সটাইল

লেনদেনের পরিমাণ বা ভলিউমের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে সাইহাম কটন মিলস-এ, যেখানে ২১ লাখেরও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়। খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড, ইউসিবি ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।

এছাড়া সাইহাম টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, মনো ফেব্রিক্স, সিমটেক্স, বাংলাদেশ থাই ফুডস এবং কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডে উল্লেখযোগ্য ভলিউম দেখা গেছে। এতে বোঝা যায়, স্বল্পমূল্যের শেয়ারে খুচরা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

ট্রেডসংখ্যায় শীর্ষে আল-হাজ টেক্সটাইল

ট্রেডসংখ্যার বিচারে আল-হাজ টেক্সটাইল স্পষ্ট ব্যবধানে শীর্ষে রয়েছে। শেয়ারটিতে ২ হাজার ৩১৮টি ট্রেড সম্পন্ন হয়েছে, যা দিনের মোট ট্রেডের বড় অংশ। এর পরেই রয়েছে রাহিমা ফুড (২ হাজার ২১৬ ট্রেড) ও সোনালী পেপার (১ হাজার ৭৬৪ ট্রেড)।

এছাড়া স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, লাভেলো, রাহিম টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, কে অ্যান্ড কিউ, এবং জেনেক্স ইনফোসিস-এও ট্রেডিং কার্যক্রম ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি।

খাতভিত্তিক প্রবণতা কী বলছে

আজকের মধ্যাহ্ন বাজারচিত্রে তিনটি খাত সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে-

টেক্সটাইল খাত: কর্পোরেট ঘোষণা, জল্পনা ও স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিংয়ের কারণে তীব্র গতি।

খাদ্য খাত: রাহিমা ফুডসহ কয়েকটি শেয়ারে ধারাবাহিক লেনদেন, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ইঙ্গিত।

ব্যাংক খাত: সিটি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও ইউসিবি ব্যাংকের মতো শেয়ারে উচ্চ ভলিউম, যা প্রাতিষ্ঠানিক ও খুচরা বিনিয়োগ উভয়ের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষ প্রান্তিকে এসে বিনিয়োগকারীরা একদিকে স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তুলতে আগ্রহী, অন্যদিকে কিছু নির্বাচিত শেয়ারে অবস্থান গড়ে তুলছেন। ফলে বাজারে উচ্চ ট্রেডসংখ্যা কিন্তু মিশ্র দামের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

-রাফসান


ডিএসই পরিদর্শন যে পাঁচ কোম্পানির কারখানা বন্ধ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:২৪:২৪
ডিএসই পরিদর্শন যে পাঁচ কোম্পানির কারখানা বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির বাস্তব কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত কারখানা পরিদর্শনে দেখা গেছে, একাধিক কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এসব পরিদর্শনের তথ্য ২৯ ডিসেম্বর ডিএসই কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।

ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড

ডিএসইর একটি পরিদর্শক দল ৩ ও ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের আশুলিয়া, সাভার এবং পলাশ, নরসিংদী অবস্থিত কারখানাগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, আশুলিয়া (সাভার) ইউনিটে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রয়েছে, তবে পলাশ, নরসিংদীর ইউনিটটি সম্পূর্ণ বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির কার্যক্রম বর্তমানে আংশিকভাবে সচল।

প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড

ডিএসইর দল ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে কোম্পানিটির কারখানায় কোনো ধরনের উৎপাদন বা অপারেশন চালু পাওয়া যায়নি, অর্থাৎ কারখানাটি বন্ধ ছিল।

আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড

আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের কারখানা ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে ডিএসই কর্তৃক পরিদর্শিত হয়। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও অপারেশন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছে।

নুরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড

ডিএসইর পরিদর্শক দল ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে নুরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড

এছাড়া ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে ডিএসইর দল উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ অবস্থায় পায়।

ডিএসইর এসব পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ বা সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা, ঋণ দায় এবং ভবিষ্যৎ টিকে থাকা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে এসব তথ্য বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

-রফিক


আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:১৯:১০
আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (AL-HAJTEX) চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ধারাবাহিক লোকসানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। কোম্পানিটির প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়, নগদ প্রবাহ এবং সম্পদের মূল্যে উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা গেছে।

প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৩)

অর্থবছরের শুরুতেই কোম্পানিটির আর্থিক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে EPS ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ১৬ পয়সা মুনাফা হয়েছিল।

এ সময় NOCFPS দাঁড়ায় মাইনাস ১ টাকা ৫৭ পয়সা, যা আগের বছরের ইতিবাচক নগদ প্রবাহ থেকে বড় ধরনের অবনতি নির্দেশ করে। একই প্রান্তিকে NAV কমে দাঁড়ায় ৭ টাকা ২ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৩)

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির EPS দাঁড়ায় ১ টাকা ৫৬ পয়সা লোকসানে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা লোকসান। ছয় মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর ২০২৩) সম্মিলিত লোকসান বেড়ে ২ টাকা ৯৯ পয়সা হয়েছে।

এই প্রান্তিকে NOCFPS দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১ টাকা ৯৯ পয়সা, যেখানে আগের বছর এটি ছিল ৫৩ পয়সা লোকসান। একই সময়ে NAV নেমে আসে ৫ টাকা ৪৬ পয়সায়, যা সম্পদের ওপর চাপের ইঙ্গিত দেয়।

তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি–মার্চ ২০২৪)

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (EPS) দাঁড়িয়েছে ৪১ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ পয়সা। নয় মাসে (জুলাই ২০২৩–মার্চ ২০২৪) সম্মিলিতভাবে EPS নেমে এসেছে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা লোকসানে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১৫ পয়সা লোকসান।

এই সময়কালে শেয়ারপ্রতি কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ (NOCFPS) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য উন্নত হলেও এখনো ঋণাত্মক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, নেট সম্পদ মূল্য (NAV) কমে ৫ টাকা ৫ পয়সায় নেমে এসেছে, যেখানে ২০২৩ সালের জুন শেষে তা ছিল ৮ টাকা ৪৫ পয়সা।

তিন প্রান্তিকের হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, লোকসান ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে, নগদ প্রবাহ দুর্বল এবং সম্পদের মূল্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, উৎপাদন ব্যয়, আর্থিক দায় এবং ব্যবস্থাপনাগত চাপে কোম্পানির পারফরম্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত উচ্চ হারে স্টক লভ্যাংশ ভবিষ্যৎ কৌশলগত পুনর্গঠনের ইঙ্গিতও দিতে পারে।

-রফিক


আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:১০:১৬
আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (AL-HAJTEX) বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় অঙ্কের লভ্যাংশ ঘোষণার পর আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৫) শেয়ারের দামে কোনো মূল্যসীমা (প্রাইস লিমিট) ছাড়া লেনদেন হচ্ছে। করপোরেট ঘোষণার কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৩৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ (বোনাস শেয়ার) প্রদানের সুপারিশ করেছে। স্টক লভ্যাংশটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণায় জানানো হয়, কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজন করা হবে, যেখানে শারীরিক ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জ। এ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৬।

আর্থিক সূচকের দিক থেকে কোম্পানিটির পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। ২০২৪ অর্থবছরে ইপিএস (EPS) দাঁড়িয়েছে ১০.০৭ টাকা, যেখানে আগের বছর ইপিএস ছিল ০.৭৮ টাকা লোকসান। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (NAV) বেড়ে হয়েছে ১৮.৫২ টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮.৪৫ টাকা। তবে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) এখনো ঋণাত্মক অবস্থানে রয়েছে, যা দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২.৫৮ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টক লভ্যাংশ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি এবং মূলধন কাঠামো শক্তিশালী করা। এই বোনাস শেয়ার সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত মুনাফা বা রিটেইন্ড আর্নিংস থেকে দেওয়া হবে। কোনোভাবেই এটি ক্যাপিটাল রিজার্ভ, পুনর্মূল্যায়ন তহবিল, অবাস্তবায়িত মুনাফা বা পরিশোধিত মূলধন হ্রাসের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়নি বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

-রফিক


মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:০৭:২৪
মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড তাদের দৈনিক নিট সম্পদ মূল্য (NAV) প্রকাশ করেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, অধিকাংশ ফান্ডের বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে অবস্থান করছে, যদিও ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড (RELIANCE1)–এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি দাঁড়িয়েছে ১০.৪০ টাকা, যা অভিহিত মূল্যের সামান্য ওপরে রয়েছে। ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ছিল ১১.১৭ টাকা। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদের পরিমাণ বাজারমূল্যে প্রায় ৬২.৯ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গ্রামীণস টু মিউচুয়াল ফান্ড (GRAMEENS2) বাজারে অন্যতম শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ১৫.৩৫ টাকা, যা অভিহিত মূল্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ বাজারমূল্যে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

তবে বেশিরভাগ ওপেন ও ক্লোজড-এন্ড ফান্ডে বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনও উল্লেখযোগ্য ছাড়ে লেনদেন হচ্ছে। ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (TRUSTB1MF), পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড (POPULAR1MF) এবং পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (PHPMF1)–এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৬ থেকে ৭ টাকার মধ্যে অবস্থান করছে, যদিও ব্যয়মূল্যে এসব ফান্ডের এনএভি ১১ টাকার ওপরে রয়েছে।

ব্যাংকভিত্তিক ফান্ডগুলোর মধ্যে আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (IFIC1STMF), ইবিএল ফার্স্ট ও এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, জানাতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (1JANATAMF)–এর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারমূল্যে এসব ফান্ডের এনএভি ৬ থেকে ৭.৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, অথচ ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ১১ থেকে ১২ টাকার বেশি।

আইসিবি ও সেমল–পরিচালিত ফান্ডগুলো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। ICBAGRANI1, ICBSONALI1, ICB3RDNRB, PRIME1ICBA, ICBAMCL2ND এবং 1STPRIMFMF–এর বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৭ থেকে ৯ টাকার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে 1STPRIMFMF–এর ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি সর্বোচ্চ ১৬.৭৭ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারবাজারে সামগ্রিক অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবের কারণে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোতে এখনো ডিসকাউন্ট বিদ্যমান। তবে শক্তিশালী সম্পদভিত্তি ও স্থিতিশীল ক্যাশ ফ্লো বিবেচনায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ফান্ডেই ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত