মাহফুজ-আসিফ কেন ভোটের বাইরে: জামায়াতের আপত্তির আসল কারণ ফাঁস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:৩৪:৩৪
মাহফুজ-আসিফ কেন ভোটের বাইরে: জামায়াতের আপত্তির আসল কারণ ফাঁস
মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সমীকরণে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে হাজির হলো সাবেক দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়া। গত ১০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল তারা স্বতন্ত্র বা বিএনপির সমর্থন নিয়ে লড়বেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে জামায়াত-এনসিপি জোটের আপত্তিতে তাদের নির্বাচনী স্বপ্ন থমকে গেল।

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, আসিফ মাহমুদের জন্য ঢাকা-১০ আসন ছেড়ে দিতে রোববার রাত পর্যন্ত এনসিপি চেষ্টা চালালেও জামায়াত সাফ জানিয়ে দেয় তারা এই আলোচনায় অংশ নেবে না। জামায়াত নেতাদের মতে, উপদেষ্টা থাকাকালে আসিফ মাহমুদের কিছু ‘বিতর্কিত’ কাজ এবং জামায়াত নিয়ে করা নেতিবাচক মন্তব্যের দায় তারা নিতে রাজি নয়। অন্যদিকে মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে লড়তে চাইলেও জামায়াত তাঁকে সরকারের ‘মদদপুষ্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি। ফলে মাহফুজের পরিবর্তে তাঁর ভাই মাহবুব আলমকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে জোটের প্রার্থী করা হয়েছে।

নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর আসিফ মাহমুদ সোমবার সন্ধ্যায় এনসিপিতে যোগ দিয়ে দলটির নতুন ‘মুখপাত্র’ এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। মাহফুজ আলমও ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছেন তিনি নির্বাচন করছেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত ও বিএনপি উভয়েই এই দুই ছাত্র নেতাকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার আশঙ্কা এবং তাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পিছিয়ে গেছে। এর ফলে এনসিপি ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও অভ্যুত্থানের দুই প্রধান মুখ এখন মাঠের বাইরে থেকে জোটের হাল সামলাবেন।


কত টাকার মালিক ডা. শফিকুর রহমান: হলফনামায় মিলল বড় তথ্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:২৫:৫৭
কত টাকার মালিক ডা. শফিকুর রহমান: হলফনামায় মিলল বড় তথ্য
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র ও হলফনামা দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে দলের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জমা দেওয়া হয়। হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জামায়াতের শীর্ষ এই নেতা পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪০ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ডা. শফিকুর রহমানের হাতে বর্তমানে নগদ ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা রয়েছে। এছাড়া ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা জমা রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমির ওপর তাঁর নিজের নামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যার বর্তমান মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি তাঁর নামে ২ একর ১৭ শতক কৃষিজমি রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা এবং আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তাঁর কাছে ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যার মূল্য ১ লাখ টাকা এবং ২ লাখ টাকার ইলেকট্রিক পণ্য ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। বন্ড ও শেয়ারবাজারে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকা। বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডা. শফিকুর রহমান কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একক বা যৌথভাবে কোনো ঋণ গ্রহণ করেননি। অর্থাৎ তিনি একজন সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত প্রার্থী।

আইনি জটিলতা নিয়ে হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর নামে একসময় মোট ৩৪টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩২টি মামলা থেকেই তিনি ইতোমধ্যে খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বাকি ২টি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত রয়েছে। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী এই চিকিৎসক হলফনামায় অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি কখনো কোনো ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হননি। ঢাকা-১৫ আসনে তাঁর এই অংশগ্রহণ নির্বাচনী সমীকরণকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।


ঢাকা-৮ এর প্রার্থিতা নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের বড় ঘোষণা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:০৯:৪৮
ঢাকা-৮ এর প্রার্থিতা নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের বড় ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগের হিমশীতল রাজপথে দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ঘোষণা দিয়েছেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মতো যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের কেউ প্রার্থী হবেন না। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, হাদি হত্যার ‘সিমপ্যাথি’ বা সহানুভূতি ব্যবহার করে কোনো ভোটের রাজনীতি করবে না মঞ্চ। জাবের বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিকারী সংগঠন। হাদি ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, আমরা তাঁর পক্ষে ছিলাম মাত্র।”

সরকারের উপদেষ্টাদের তীব্র সমালোচনা করে জাবের বলেন, “ঢাকা শহরে হাড়কাঁপানো শীত চলছে। বর্তমানে কোনো উপদেষ্টা কম্বলের নিচ থেকে বেরিয়ে আমাদের সাথে দাঁড়ানোর সাহস পাবেন না। মনে হচ্ছে রাষ্ট্র কম্বলের নিচে ঘুমাচ্ছে, আর জনগণ পাহারাদার হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হাদি খুনের সাথে জড়িত রাঘববোয়ালদের নাম প্রকাশ করতে হবে। যদি খুনিদের সাথে কোনো সমঝোতা করা হয়, তবে এই সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আইন উপদেষ্টার কড়া সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে জুলাইয়ের খুনিরা জামিন পায়? এর দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, হাদি হত্যার বিচারের জন্য আপনাদের পাশে চায় জনগণ। যারা খুনিদের জামিন করিয়েছে কিংবা টকশোতে হাদিকে ‘গিনিপিগ’ বলে অপমান করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কবর জিয়ারত করতে আসা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। শাহবাগ অবরোধ নিয়ে জনভোগান্তির অপপ্রচারের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, খুনিদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এক চুলও নড়বে না ইনকিলাব মঞ্চ। এই লড়াই ক্ষমতা পাওয়ার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ঠিক করার লড়াই।


পদত্যাগীরা কি ফিরছেন: আখতার হোসেনের বক্তব্যে নতুন রহস্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২০:৪৭:৪৬
পদত্যাগীরা কি ফিরছেন: আখতার হোসেনের বক্তব্যে নতুন রহস্য
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি : কালবেলা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদত্যাগী নেতাদের ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার জেরে যারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, সেগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। আখতার হোসেন বলেন, “দুয়েকজন নেতার পদত্যাগের ঘটনায় আমরা ব্যথিত। তবে দলীয় ফোরামে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতেই এই জোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আখতার হোসেন আরও জানান, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। সমঝোতা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীরা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে একক প্রার্থী নিশ্চিত করবেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০০ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে এনসিপির এই নেতাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন মহানগর জামায়াতের আমির এ টি এম আজম খান। এই আসনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আধিপত্য থাকলেও এবার নতুন সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে আখতার হোসেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “হাদি ভাইয়ের খুনিরা এখনো বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বা লুকিয়ে আছে, যা জনগণের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে।” এবারের নির্বাচনকে স্রেফ সরকার পরিবর্তনের লড়াই নয়, বরং গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানান এনসিপির এই সদস্য সচিব।


সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৯:২৮:৩১
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ–আশাশুনি) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন। মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় কাজী আলাউদ্দিন বলেন, দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে কালিগঞ্জ ও আশাশুনির সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে সংগঠিতভাবে কাজ করতে চান তিনি। জনগণের দোয়া, ভালোবাসা ও সক্রিয় সমর্থনই তাঁর রাজনৈতিক পথচলার সবচেয়ে বড় শক্তি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও জানান, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মানুষের সেবা, এলাকার সার্বিক উন্নয়ন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থাকতে চান। স্থানীয় জনগণ যদি আবারও তাঁকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেন, তবে কালিগঞ্জ ও আশাশুনির উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার জন্য তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে সাতক্ষীরা-৩ আসনের এই বিএনপি প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তাঁর নির্বাচনী যাত্রা ও এলাকার শান্তি, অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

-রফিক


নির্বাচন নয় বরং এনসিপির কান্ডারি হলেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:৫২:৩৬
নির্বাচন নয় বরং এনসিপির কান্ডারি হলেন আসিফ মাহমুদ
ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতিতে দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসিফ মাহমুদ এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। পরিবর্তে তিনি এনসিপির নতুন ‘মুখপাত্র’ এবং ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান’ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তাঁর সমর্থকরা কুমিল্লা-৩ আসন থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত তিনি কোনো আসনেই আবেদনপত্র জমা দেননি। সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং নির্বাচনী কৌশল সাজাতে আসিফ মাহমুদের মতো দক্ষ নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রয়োজন।

জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করেন যে, এটি কোনো আদর্শিক ঐক্য নয়, বরং স্রেফ একটি ‘নির্বাচনী সমঝোতা’। তিনি বলেন, “আমাদের ন্যূনতম কিছু বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে, যা মূলত সংস্কার, বিচার এবং আধিপত্যবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যেই আমরা একত্রে কাজ করছি।” এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে এবং ‘জুলাই সনদ’-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এনসিপি রাজপথে সক্রিয় থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আসিফ মাহমুদের এই যোগদানের মাধ্যমে এনসিপি নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


জামায়াতের সাথে জোট কেন ও পদত্যাগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:৪৫:৩০
জামায়াতের সাথে জোট কেন ও পদত্যাগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ (মতিঝিল-রমনা) আসনে রাজনৈতিক লড়াইয়ের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১১-দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেন। এই আসনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “আমাদের এই ১১-দলীয় জোটের সরকার গঠনের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর বক্তব্যে ঢাকা-৮ আসনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই আসনটি বর্তমানে মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। আমরা এখানে আর কোনো রক্তপাত বা মৃত্যু চাই না।” তিনি নির্বাচিত হলে হাদি ও সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং ঢাকা-৮ আসনকে নগরের সবচেয়ে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

এনসিপি থেকে কিছু নেতার পদত্যাগ এবং জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, এটি কোনো অন্ধ আদর্শিক জোট নয়, বরং সংস্কার, বিচার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি কৌশলগত নির্বাচনী সমঝোতা। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অভিন্ন লক্ষ্যে তাঁরা একমত হয়েছেন। মূলত ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রচারণায় নামলেও শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক সমীকরণে ঢাকা-৮ আসন থেকেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তরুণ নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই অংশগ্রহণ ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী লড়াইকে দ্বিমুখী থেকে ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দিল।


শুধু এতটুকু বলব আসুন দেশটাকে গড়ে তুলি: তারেক রহমান 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:২৯:২৮
শুধু এতটুকু বলব আসুন দেশটাকে গড়ে তুলি: তারেক রহমান 
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন ও প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই আগমনকে ঘিরে দুপুর থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় সাজসাজ রব ও নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিনি যখন কার্যালয়ে পৌঁছান, তখন স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ফুল দিয়ে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

কার্যালয়ে প্রবেশের পর তারেক রহমান সরাসরি দোতলার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ান এবং সেখানে সমবেত হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক ভাষণ না দিলেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেশ গড়ার এক অভিনব ও সৃজনশীল বার্তা দেন। তারেক রহমান বলেন, “আজ কোনো দলীয় কর্মসূচি নেই, তবুও আপনাদের উদ্দেশে শুধু এতটুকুই বলব—আসুন দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলি। যার যতটুকু অবস্থান আছে, সেখান থেকেই সচেষ্ট হই। রাস্তায় যদি এক টুকরো ময়লা বা কাগজ পড়ে থাকে, আমরা যেন তা সরিয়ে দিই। এভাবে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই আমাদের দেশটাকে গড়তে হবে।”

এর আগে বিকেল ৩টায় তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওনা হন, তবে জনস্রোতের কারণে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে তাঁর কিছুটা সময় বেশি লাগে। নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্যের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। তারেক রহমানের এই সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি এবং পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ার বার্তাটি উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় আন্দোলনের প্রস্তুতির আগে নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল ও নাগরিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার এটি একটি বড় কৌশল।


সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:৪৮:০০
সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তাঁদের পরিবারের পোষা সাইবেরিয়ান বিড়াল ‘জেবু’র বেড়ে ওঠার এক আবেগঘন ও মানবিক গল্প। ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এই লেখায় জেবুর শৈশব, দৈনন্দিন অভ্যাস, স্বভাব-প্রকৃতি এবং পরিবারের সঙ্গে তার গভীর আবেগী সম্পর্ক অত্যন্ত জীবন্তভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর গত ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে দেশে ফেরেন। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইটে তাঁদের সঙ্গেই আসে পরিবারের বিশেষ সদস্য, লোমশ সাইবেরিয়ান বিড়াল ‘জেবু’। দেশে ফেরার পরপরই জেবুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা নেটদুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

জাইমা রহমানের বর্ণনায় উঠে আসে, জেবু রাশিয়ায় উৎপত্তি হওয়া সাইবেরিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল, যার বয়স প্রায় সাত বছর। এই জাতের বিড়াল সাধারণত আকারে বড়, শরীরজুড়ে ঘন ও নরম তিন স্তরের লোমে ঢাকা থাকে। স্বভাবগতভাবে শান্ত হলেও এরা আত্মবিশ্বাসী এবং মানুষের আবেগ বুঝতে বিশেষভাবে পারদর্শী। সে কারণেই অনেক প্রাণীপ্রেমী সাইবেরিয়ান বিড়ালকে ‘ইমোশনাল কম্প্যানিয়ন’ হিসেবে বিবেচনা করেন।

নিজের লেখায় জাইমা উল্লেখ করেন, জেবুকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ দেখে তিনি যেমন বিস্মিত, তেমনি আনন্দিতও। ছোট্ট বিড়ালছানা হিসেবে জেবুকে বাড়িতে আনার সময় তিনি ভাবেননি, এই প্রাণীটি একদিন তাঁদের পরিবারের এতটা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবে। এমনকি অনেক সময় তাঁর বাবা-মা বাসায় ফিরে প্রথমেই জেবুর খোঁজ নিতেন, পরে তাঁর।

পরিবারের সঙ্গে জেবুর সম্পর্কের নানা দৃশ্যও তুলে ধরেছেন জাইমা। তিনি লিখেছেন, তারেক রহমানের অনলাইন মিটিং চলাকালে জেবু প্রায়ই তাঁর কোলে গুটিসুটি মেরে বসে থাকত এবং আদর উপভোগ করত। অন্যদিকে, জাইমার সঙ্গে জেবুর সম্পর্ক ছিল আরও নিবিড়। তাঁর মন খারাপ থাকলে বা ক্লান্তির সময় জেবু যেন তা বুঝে নিত এবং নীরবে সঙ্গ দিত তার কোমল স্পর্শে।

জাইমা রহমান লেখেন, পোষা প্রাণী নিয়ে বাসা বদলানো যে কতটা কঠিন, তা প্রাণীপ্রেমীরাই ভালো বোঝেন। জেবু এখন মহাদেশ পেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক পরিবেশে এসেছে। এই পরিবর্তন তার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মানিয়ে নিতে সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।

জেবুর মাধ্যমে পরিবার যে শিক্ষা পেয়েছে, সেটিও তুলে ধরেছেন জাইমা। তাঁর ভাষায়, জেবু তাঁদের ধৈর্য, মমতা এবং ভাষা ও প্রজাতির সীমা ছাড়িয়ে ভালোবাসার অর্থ শিখিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যে মানুষ অন্য কোনো জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পায়, সে নিজের সম্পর্কেও অনেক অজানা দিক আবিষ্কার করে।

লেখার শেষাংশে জাইমা শেয়ার করেন জেবুকে নিয়ে একটি মজার তথ্য। জেবু কখনোই সাধারণ বিড়ালের মতো ‘মিউ মিউ’ শব্দ করে না। বরং খুশি বা বিস্মিত হলে সে পাখির মতো নরম আওয়াজ করে। অনুমতি ছাড়া কোলে নিলে হালকা গোঁ গোঁ করে বিরক্তি প্রকাশ করে, আর যেসব বিড়ালকে তার পছন্দ নয়, তাদের দিকে সে বেশ জোরেই চিৎকার করে ওঠে।

-রাফসান


ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:২৫:১৭
ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৫ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা দ্রুত বাড়ছে। এই আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। একই সঙ্গে একই আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফলে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণে নির্বাচনী লড়াই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। মো. ইউনুচ আলী একই সঙ্গে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মনোনয়ন দাখিলের সময় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জামায়াতের আমিরের মতো প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করতে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন বলেন, তিনি বিএনপির পক্ষ থেকেই নির্বাচন করছেন এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো ধরনের চাপ বোধ করছেন না। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেই তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন এবং ভোটারদের সমর্থনের ওপরই তিনি আস্থা রাখছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শুধু বিএনপি ও জামায়াত নয়, আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা বা সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আলমগীর ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এস এম ফজলুল হক, গণফোরামের একেএম শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তানজিল ইসলাম এবং খান শোয়েব আমান উল্লাহ।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত