Banner

জাতি আজ মায়ের ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:৫০:৪৩
জাতি আজ মায়ের ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো: রিজভী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও হাহাকার প্রকাশ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “যেকোনো সংকট বা শোকে মানুষের মাথার ওপর যেমন মায়ের একটা ছায়া থাকে, জাতি আজ সেই ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো। আমরা আমাদের সেই পরম আশ্রয় ও অভিভাবককে হারালাম।”

রিজভী তাঁর বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ও সংগ্রামী জীবনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “দেশনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু যখন আমরা বাইরে রাজপথে কাজ করতাম, আমাদের মনে হতো মা তো আছেন। তিনি আমাদের সব সংকট দেখছেন। সেই প্রেরণা থেকেই আমরা লড়াই করার শক্তি পেতাম। যার নেতৃত্বের ছায়ায় আমাদের রাজনৈতিক জীবন গড়ে উঠেছে, তাঁর এভাবে চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। এই শোক ও সংকট কাটিয়ে ওঠা আমাদের এবং জাতির জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অসীম ধৈর্য ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে পদে চরম নিপীড়ন সহ্য করেছেন। চোখের সামনে সন্তানের লাশ দেখার মতো কঠিন শোকও তিনি সয়েছেন শুধুমাত্র দেশ, মানুষ ও গণতন্ত্রের কথা ভেবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জনগণের অধিকারের পক্ষে অটল ছিলেন। তাঁর এই অকুতোভয় ও আপোষহীন মানসিকতা বিশ্ববাসীর কাছে তাঁকে এক ‘মজলুম নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

রুহুল কবির রিজভী সারা বিশ্বের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আজ কেবল বিএনপি নয়, বরং সারা বিশ্ব এই মহীয়সী নেত্রীর জন্য শোক পালন করছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর এই আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১২:৫৭:১২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপসহীন নেতৃত্ব ও দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই নেত্রী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৬টায় ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেত্রীর প্রস্থানকে একটি যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজধানীর জিয়া উদ্যানে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুসরণ করেই সম্পন্ন করা হবে।

বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি ছিলেন দেশের রাজনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তার মৃত্যুতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

-রাফসান


গণতন্ত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম: খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শেখ হাসিনার বিশেষ বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:৫৯:১৫
গণতন্ত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম: খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শেখ হাসিনার বিশেষ বার্তা
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অপরিসীম। রাজনৈতিক বৈরিতা থাকলেও দেশের ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে শেখ হাসিনার এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঢাকা ও ভারতের কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এটিই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসা প্রথম কোনো বড় ধরণের আনুষ্ঠানিক শোক বার্তা। তিনি তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে এবং বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শেখ হাসিনা মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “আমি তাঁর ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আশা করছি মহান আল্লাহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং বিএনপির সবাইকে এই শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবেন।” ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগসহ নানাবিধ জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এই ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার এই শোক বার্তাটি একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক শিষ্টাচারের উদাহরণ হয়ে থাকবে। ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৪১ বছর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজপথের লড়াইয়ে কখনো হার মানেননি। তাঁর এই মহাপ্রয়াণে কেবল একটি দল নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর এক শক্তিশালী স্তম্ভের পতন ঘটল বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করছেন।


জাতি এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ০৯:৪৪:৪৫
জাতি এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কোনোদিন পূরণ হবার নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ব্রিফিং রুমে শোকাতুর কণ্ঠে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “এই দুঃসংবাদ নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, তা আমরা কখনও ভাবিনি। আমরা বার বার আশা করছিলাম যে, দেশনেত্রী আবারও আগের মতো সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। কিন্তু আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা আমাদের চিরতরে ছেড়ে চলে গেছেন।”

মহাসচিব আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গোটা জীবন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কেবল একটি দল নয়, বরং গোটা জাতি এক অভিভাবককে হারিয়েছে। এ সময় মির্জা ফখরুল জানান যে, দেশনেত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে তাৎক্ষণিক ফোন করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা সমবেদনা জানিয়ে জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি জরুরি ক্যাবিনেট মিটিং বা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

ব্রিফিংয়ের সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত এবং দলের পক্ষ থেকে গৃহীত জানাজা ও দাফন সম্পর্কিত বিস্তারিত কর্মসূচি পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশবাসীকে জানানো হবে। এ সময় হাসপাতালের চারদিকের পরিবেশ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে এবং শত শত নেতাকর্মীর আহাজারিতে এক শোকাতুর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।


লাজুক গৃহবধূ থেকে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মহাকাব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ০৯:১২:১৭
লাজুক গৃহবধূ থেকে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মহাকাব্য
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ ছিল এক আকস্মিক ও অভাবনীয় ঘটনা। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ছিলেন পুরোপুরি একজন গৃহবধূ। দুই সন্তান তারেক ও কোকোকে নিয়ে সেনানিবাসে নিভৃত জীবন কাটানো এই নেত্রীর রাজনীতি নিয়ে কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। তবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি যখন ভয়াবহ নেতৃত্বহীনতা ও বিভক্তির সংকটে পড়ে, তখন দলের অস্তিত্ব রক্ষায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাজপথে নামতে হয় তাঁকে।

১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা জিয়া। তৎকালীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের মতে, তিনি ছিলেন অত্যন্ত লাজুক ও সংসারমুখী। স্বামীর হত্যাকাণ্ডের পর তিনি রাজনীতিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলেও নেতাকর্মীদের ক্রমাগত অনুরোধ এবং দলের ঐক্য ধরে রাখতে ১৯৮৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। সেই থেকে টানা ৪১ বছর তিনি দলটির শীর্ষ পদে আসীন ছিলেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের অসুস্থতা ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনিই হয়ে ওঠেন বিএনপির প্রধান চালিকাশক্তি।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় ছিল নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এরশাদ শাসনের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আপস না করে ৯ বছরের নিরলস সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে 'আপসহীন নেত্রী' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নির্বাচনের ইতিহাসে তাঁর রয়েছে এক বিরল রেকর্ড—পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটিতেও হারেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মহাপ্রয়াণে সমাপ্তি ঘটল বাংলাদেশের রাজনীতির এক সুবিশাল ও বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের।


খালেদা জিয়াকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন: জামায়াত আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ০৮:৫৭:২১
খালেদা জিয়াকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন: জামায়াত আমির
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁকে ‘জান্নাতের মেহমান’ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানান।

বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই জামায়াত আমির তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে রহম করুন, ক্ষমা করুন এবং তাঁর প্রিয় জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।”

ডা. শফিকুর রহমান তাঁর পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “তাঁর আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদেরকে মহান আল্লাহ সবরে জামিল দান করুন। আমিন।” উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নেত্রীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় ছিল। অবশেষে সকল চেষ্টার অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন এই মহীয়সী নেত্রী।


চিরবিদায় নিলেন ‘আপসহীন নেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ০৮:৪৭:৪১
চিরবিদায় নিলেন ‘আপসহীন নেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়া

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ সকালে সাংবাদিকদের জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে ফোন করে জানিয়েছেন, ‘আম্মা আর নেই।’

দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান নেত্রী। গত ২৩ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে এবং তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ১৯৮১ সালে স্বামী জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর ‘আপসহীন’ ভূমিকা তাঁকে গণমানুষের নেত্রীতে পরিণত করে। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রিয় নেত্রীর প্রয়াণে রাজধানীর রাজপথ থেকে শুরু করে সুদূর গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের আবহ বিরাজ করছে।


মাহফুজ-আসিফ কেন ভোটের বাইরে: জামায়াতের আপত্তির আসল কারণ ফাঁস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:৩৪:৩৪
মাহফুজ-আসিফ কেন ভোটের বাইরে: জামায়াতের আপত্তির আসল কারণ ফাঁস
মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সমীকরণে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে হাজির হলো সাবেক দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়া। গত ১০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল তারা স্বতন্ত্র বা বিএনপির সমর্থন নিয়ে লড়বেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে জামায়াত-এনসিপি জোটের আপত্তিতে তাদের নির্বাচনী স্বপ্ন থমকে গেল।

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, আসিফ মাহমুদের জন্য ঢাকা-১০ আসন ছেড়ে দিতে রোববার রাত পর্যন্ত এনসিপি চেষ্টা চালালেও জামায়াত সাফ জানিয়ে দেয় তারা এই আলোচনায় অংশ নেবে না। জামায়াত নেতাদের মতে, উপদেষ্টা থাকাকালে আসিফ মাহমুদের কিছু ‘বিতর্কিত’ কাজ এবং জামায়াত নিয়ে করা নেতিবাচক মন্তব্যের দায় তারা নিতে রাজি নয়। অন্যদিকে মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে লড়তে চাইলেও জামায়াত তাঁকে সরকারের ‘মদদপুষ্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি। ফলে মাহফুজের পরিবর্তে তাঁর ভাই মাহবুব আলমকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে জোটের প্রার্থী করা হয়েছে।

নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর আসিফ মাহমুদ সোমবার সন্ধ্যায় এনসিপিতে যোগ দিয়ে দলটির নতুন ‘মুখপাত্র’ এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। মাহফুজ আলমও ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছেন তিনি নির্বাচন করছেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত ও বিএনপি উভয়েই এই দুই ছাত্র নেতাকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার আশঙ্কা এবং তাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পিছিয়ে গেছে। এর ফলে এনসিপি ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও অভ্যুত্থানের দুই প্রধান মুখ এখন মাঠের বাইরে থেকে জোটের হাল সামলাবেন।


কত টাকার মালিক ডা. শফিকুর রহমান: হলফনামায় মিলল বড় তথ্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:২৫:৫৭
কত টাকার মালিক ডা. শফিকুর রহমান: হলফনামায় মিলল বড় তথ্য
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র ও হলফনামা দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে দলের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জমা দেওয়া হয়। হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জামায়াতের শীর্ষ এই নেতা পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪০ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ডা. শফিকুর রহমানের হাতে বর্তমানে নগদ ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা রয়েছে। এছাড়া ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা জমা রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমির ওপর তাঁর নিজের নামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যার বর্তমান মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি তাঁর নামে ২ একর ১৭ শতক কৃষিজমি রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা এবং আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তাঁর কাছে ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যার মূল্য ১ লাখ টাকা এবং ২ লাখ টাকার ইলেকট্রিক পণ্য ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। বন্ড ও শেয়ারবাজারে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকা। বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডা. শফিকুর রহমান কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একক বা যৌথভাবে কোনো ঋণ গ্রহণ করেননি। অর্থাৎ তিনি একজন সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত প্রার্থী।

আইনি জটিলতা নিয়ে হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর নামে একসময় মোট ৩৪টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩২টি মামলা থেকেই তিনি ইতোমধ্যে খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বাকি ২টি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত রয়েছে। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী এই চিকিৎসক হলফনামায় অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি কখনো কোনো ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হননি। ঢাকা-১৫ আসনে তাঁর এই অংশগ্রহণ নির্বাচনী সমীকরণকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।


ঢাকা-৮ এর প্রার্থিতা নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের বড় ঘোষণা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ২১:০৯:৪৮
ঢাকা-৮ এর প্রার্থিতা নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের বড় ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগের হিমশীতল রাজপথে দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ঘোষণা দিয়েছেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মতো যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের কেউ প্রার্থী হবেন না। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, হাদি হত্যার ‘সিমপ্যাথি’ বা সহানুভূতি ব্যবহার করে কোনো ভোটের রাজনীতি করবে না মঞ্চ। জাবের বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিকারী সংগঠন। হাদি ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, আমরা তাঁর পক্ষে ছিলাম মাত্র।”

সরকারের উপদেষ্টাদের তীব্র সমালোচনা করে জাবের বলেন, “ঢাকা শহরে হাড়কাঁপানো শীত চলছে। বর্তমানে কোনো উপদেষ্টা কম্বলের নিচ থেকে বেরিয়ে আমাদের সাথে দাঁড়ানোর সাহস পাবেন না। মনে হচ্ছে রাষ্ট্র কম্বলের নিচে ঘুমাচ্ছে, আর জনগণ পাহারাদার হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হাদি খুনের সাথে জড়িত রাঘববোয়ালদের নাম প্রকাশ করতে হবে। যদি খুনিদের সাথে কোনো সমঝোতা করা হয়, তবে এই সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আইন উপদেষ্টার কড়া সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে জুলাইয়ের খুনিরা জামিন পায়? এর দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, হাদি হত্যার বিচারের জন্য আপনাদের পাশে চায় জনগণ। যারা খুনিদের জামিন করিয়েছে কিংবা টকশোতে হাদিকে ‘গিনিপিগ’ বলে অপমান করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কবর জিয়ারত করতে আসা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। শাহবাগ অবরোধ নিয়ে জনভোগান্তির অপপ্রচারের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, খুনিদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এক চুলও নড়বে না ইনকিলাব মঞ্চ। এই লড়াই ক্ষমতা পাওয়ার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ঠিক করার লড়াই।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত