স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কঠোরতা আনছে যুক্তরাজ্য, থাকতে হবে কঠোর শর্ত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৪:৩৭:৩০
স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কঠোরতা আনছে যুক্তরাজ্য, থাকতে হবে কঠোর শর্ত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাস বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির নিয়মে কঠোরতা আনার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এখন থেকে আবেদনকারীদের অবশ্যই সমাজ ও অর্থনীতিতে তাদের অবদান প্রমাণ করতে হবে। সোমবার লেবার পার্টির সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ এই প্রস্তাব তুলে ধরবেন।

নতুন নিয়মে কী কী থাকছে?

বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী পাঁচ বছর ব্রিটেনে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বা ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর)-এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নতুন নিয়মে নিম্নলিখিত শর্তগুলো যুক্ত হতে পারে:

অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবদান: আবেদনকারীকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখার প্রমাণ দিতে হবে।

সততা ও স্বচ্ছতা: কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত না থাকা এবং সরকারি সুবিধা দাবি না করার শর্ত যুক্ত হবে।

ভাষা ও দক্ষতা: আবেদনকারীদের উচ্চমানের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ: স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের রেকর্ড দেখাতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

রাজনৈতিক চাপ

বিশ্লেষকরা বলছেন, কট্টর অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের জনপ্রিয়তা মোকাবিলায় লেবার পার্টি এই উদ্যোগ নিয়েছে। রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজ সম্প্রতি প্রস্তাব করেছিলেন, স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাতিল করে পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য কাজের ভিসা চালু করা উচিত।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার রিফর্ম ইউকের গণ-নির্বাসন নীতিকে ‘বর্ণবাদী’ এবং দেশকে বিভক্তকারী বলে মন্তব্য করেছেন।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স


বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো ছেড়ে দিয়েছি: গাজাবাসীি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৪:৩০:১৫
বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো ছেড়ে দিয়েছি: গাজাবাসীি
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের দুর্ভোগ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় গাজাবাসী আবু মোহাম্মদ সামুর প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কে অনুমতি দিল? কেমন মৃত্যু, কেমন অন্যায্য এই দুনিয়া? আমরা আর বিশ্বের কাছে আবেদন করি না। আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি।”

আবু আম্মার খুদিয়ার নামে আরেক ব্যক্তি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় শিশু, বৃদ্ধ ও নারী—সবাই লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।

নিরাপদ এলাকাতেও হামলা

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে, তার অর্ধেকই হয়েছে ইসরায়েল ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল বা ‘বাফার জোনে’। গত শনিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েল গাজা সিটি থেকে মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে এসব জায়গাগুলোকে ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তবে সেই এলাকাগুলোকেই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।

ইসরায়েলি হামলা তীব্র হওয়ার কারণে গাজা সিটির অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত হামলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের দুর্ভোগ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় গাজাবাসী আবু মোহাম্মদ সামুর প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কে অনুমতি দিল? কেমন মৃত্যু, কেমন অন্যায্য এই দুনিয়া? আমরা আর বিশ্বের কাছে আবেদন করি না। আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি।”

আবু আম্মার খুদিয়ার নামে আরেক ব্যক্তি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় শিশু, বৃদ্ধ ও নারী—সবাই লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।

নিরাপদ এলাকাতেও হামলা

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে, তার অর্ধেকই হয়েছে ইসরায়েল ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল বা ‘বাফার জোনে’। গত শনিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েল গাজা সিটি থেকে মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে এসব জায়গাগুলোকে ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তবে সেই এলাকাগুলোকেই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।

ইসরায়েলি হামলা তীব্র হওয়ার কারণে গাজা সিটির অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত হামলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সূত্র : আলজাজিরা


নেতানিয়াহুর টার্গেট এবার ইরাক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৪:১০:৩২
নেতানিয়াহুর টার্গেট এবার ইরাক
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ভাষণের শুরুতেই ইরান ও আঞ্চলিক প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে তিনি ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি হামলার হুমকি দেন এবং প্রকাশ্যে তাদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘোষণা করেন।

এই হুমকিকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বাগদাদ। ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন সতর্ক করে বলেছেন, “ইরাকের যে কোনো নাগরিকের ওপর হামলা গোটা জাতির ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।”

ইসরায়েলের সুদূরপ্রসারী ও ‘ডেভিড করিডোর’ পরিকল্পনা

বিশ্লেষক মোহাম্মদ বাঘের হেইদারি জানান, নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য নতুন নয়। ইসরায়েলের ইরাক সংক্রান্ত নীতির দুটি দিক রয়েছে—আঞ্চলিক এবং অভ্যন্তরীণ।

আঞ্চলিক লক্ষ্য: ইসরায়েল গোটা অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তার করতে ‘গ্রেটার মিডল ইস্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কথিত ‘ডেভিড করিডোর’ গঠনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই করিডোর সিরিয়ার একটি বড় অংশ থেকে শুরু করে ইরাকের এরবিল ও সুলাইমানিয়া হয়ে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।

সামরিক ফ্রন্ট: হেইদারি ব্যাখ্যা করেন, ইসরায়েল আগেই ঘোষণা করেছিল যে তারা সাতটি ফ্রন্টে সামরিকভাবে সক্রিয় হবে। এর মধ্যে গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানসহ ছয়টিতে ইতোমধ্যেই অভিযান চালিয়েছে। একমাত্র বাকি ছিল ইরাক, যেটিতে ঢোকার ঘোষণা তারা আগেই দিয়েছিল।

ইরাকের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা

বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এই হুমকি ইরাকের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার কৌশল হিসেবেও আসতে পারে। কারণ, সমন্বয় ফ্রেমওয়ার্ক জোট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা ইসরায়েলের জন্য অস্বস্তিকর। যদি নির্বাচন ব্যাহত হয়, বর্তমান সরকার সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তী সরকারে পরিণত হবে, যা দেশে নতুন অস্থিতিশীলতার জন্ম দেবে।

এক বছর আগে ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির একটি সমঝোতা হয়েছিল। গাজায় ইসরায়েলি হামলার সময় এই গোষ্ঠীগুলো ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স অব ইরাক’ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। বিশ্লেষকদের মতে, এই হুমকিতে ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, এমন সম্ভাবনা কম।


মার্কিন মাটিতে সহিংসতার মহামারী: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১০:৫৩:৪০
মার্কিন মাটিতে সহিংসতার মহামারী: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ভয়াবহতা আবারও নতুন করে শোকস্তব্ধ করে দিল দেশটিকে। রবিবার মিশিগানের গ্র্যান্ড ব্লাঙ্কে মরমনদের একটি গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্র্যান্ড ব্লাঙ্ক পুলিশের প্রধান উইলিয়াম রেনিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হামলাকারী প্রথমে নিজের ট্রাক দিয়ে গির্জার দেয়ালে ধাক্কা মারে, এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালায় এবং পরে ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার মাত্র আট মিনিটের মধ্যে গির্জার পার্কিং লটে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়।

এ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন রেনিয়ে। হামলার সময় শত শত মানুষ গির্জায় উপস্থিত ছিলেন, ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে—তার নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০)। তিনি স্থানীয়ভাবে বড় হয়েছেন এবং সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। হামলার পরপরই এফবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেয় এবং এটিকে “পরিকল্পিত টার্গেটেড সহিংসতা” হিসেবে বর্ণনা করে।

হামলার পর তোলা ছবিতে দেখা গেছে, যীশুখ্রিষ্টের পরবর্তী যুগের সাধুগণদের গির্জাটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ট্রাকটির পেছনে দুইটি মার্কিন পতাকা লাগানো ছিল, যা দিয়ে গির্জায় আঘাত করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে তদন্তকারীরা।

এই গির্জার নেতা আগের রাতেই ১০১ বছর বয়সে মারা যান। গির্জা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে “দুর্ভাগ্যজনক সহিংসতা” বলে উল্লেখ করে লিখেছে, “উপাসনালয় শান্তি, প্রার্থনা ও সংযোগের স্থান। আমরা শান্তি ও আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছি।”

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে “ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর আরেকটি টার্গেটেড হামলা।” তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “আমাদের দেশে এই সহিংসতার মহামারী এখনই বন্ধ করতে হবে!”

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ধারাবাহিক বন্দুক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে উটাহতে ডানপন্থী কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যার পাশাপাশি টেক্সাসে অভিবাসন দপ্তরে ভয়াবহ গুলি চালানো হয়। গত মাসে মিনেসোটা রাজ্যে একটি ক্যাথলিক গির্জা ও স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত হয়। এই ধারাবাহিক সহিংসতা মার্কিন সমাজে বিভাজন আরও ঘনীভূত করছে এবং রাজনৈতিক বিতর্ককে তীব্র করছে।

-আলমগীর হোসেন


চীন-উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলগত চিন্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১০:২৪:৩৮
চীন-উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলগত চিন্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রবিবার বেইজিংয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন-হুইয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই বার্তা দেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাম্প্রতিক বেইজিং সফরের কয়েক সপ্তাহ পর। ওই সফরে কিম দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নয়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, “চীন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক বজায় রাখা, সুসংহত করা ও উন্নয়ন করা চীনা সরকারের এক অটল কৌশলগত নীতি।” তিনি আরও যোগ করেন, “চীন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। আমরা সব ধরনের আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করব এবং দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার রক্ষা করব।”

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন এবং পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, বৈঠকে দুই দেশ যৌথ সহযোগিতা, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

যদিও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অতীতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, বেইজিং ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে কূটনৈতিক ঐক্য প্রদর্শন করেন।

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন পিয়ংইয়ংয়ের জন্য চীন কেবল কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থনেরও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে। কিম জং উন সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি পিয়ংইয়ংকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগের চাপ দেওয়া বন্ধ করে, তবে তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে পুনরায় সংলাপে ফিরতে প্রস্তুত।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুমকি মোকাবিলার জন্যই প্রয়োজনীয়। এই প্রেক্ষাপটে চীন-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

-আলমগীর হোসেন


আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:৪৩:৪৯
আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইসরায়েলি কনস্যুলেটে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে ঘিরে সমালোচনার জবাবে কটাক্ষ করেন এবং আরবদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন।

স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা ও যুদ্ধের ঘোষণা

নেতানিয়াহু হালকা রসিকতার সুরে বলেন, “আমার স্ত্রীই আসলে বক্তৃতা লেখেন এবং ঠিক করেন কখন হামলা চালানো হবে।” তিনি দাবি করেন, সারা নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ‘পুনর্জাগরণে’ তার একজন অংশীদার।

তিনি অভিযোগ করেন, ইহুদিরা ইতিহাসজুড়ে অপবাদ ও নির্যাতনের শিকার হলেও আজ তারা অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। নেতানিয়াহু বলেন, “আজ পার্থক্য হলো—আমাদের হাতে তরবারি আছে।” একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ ‘শেষের পথে’।

আরবদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অভিযোগ

আরবদের উদ্দেশে তার অভিযোগ আরও তীব্র ছিল। নেতানিয়াহু দাবি করেন, আরবরাই নাকি ইসরায়েলের ভূমি আক্রমণ করে ইহুদিদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছিল। তিনি বলেন, “প্রথম মিথ্যা হলো—ইহুদিরা আরবদের নিজস্ব ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। সত্য হলো, আরবরাই ইহুদিদের তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।”

সূত্র : ইয়াফা নিউজ নেটওয়ার্ক


থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:৩৫:৩৫
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
ছবি: সংগৃহীত

তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে ভারতীয় পুলিশ। বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে বিপুল লোকসমাগম হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত গরম ও হুড়োহুড়িতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় পদদলিত হয়ে ১৬ নারী ও ৬ শিশুসহ ৩৯ জন মারা যান এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। এই ঘটনায় টিভিকের সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি টি নির্মল কুমারসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে মানুষের জীবনঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে—এমন উদাসীন কাজ ও সরকারি কর্মকর্তাদের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু পাবলিক প্রপার্টি (ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ) আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

টিভিকের একজন আইনজীবী জোর দিয়ে বলেছেন, সমাবেশে দলটি পুলিশের সব নির্দেশনা মেনে চলেছে। তিনি বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনা বিজয়কে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।

ক্ষতিপূরণ ও তদন্ত

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের দেওয়া হবে ১ লাখ রুপি করে। এ ছাড়া, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদেশনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

থালাপতি বিজয়ও মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে ২০ লাখ রুপি এবং আহত প্রায় ১০০ জনের প্রত্যেককে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয়ে যে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকেও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।


ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:০৮:৫৯
ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রাক্তন কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী তাং রেনজিয়ানকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জিলিন প্রদেশের চাংচুনের একটি আদালত এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে সাজা কার্যকরের আগে তাকে দুই বছর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের আইন অনুসারে দুই বছরের প্রবেশন সময়ের মধ্যে যদি কোনো অপরাধী নতুন কোনো অপরাধ না করে, তাহলে সাধারণত স্থগিত মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। ভালো আচরণের ভিত্তিতে সাজা আরও কমানো যেতে পারে।

ঘুষ গ্রহণ ও শাস্তির বিবরণ

চায়না ডেইলি জানিয়েছে, তাংকে আজীবনের জন্য রাজনৈতিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তার সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাংচুন ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টের রায় অনুসারে, তার সমস্ত অবৈধ লাভ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।

আদালত বলেছে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাং গানসু প্রদেশের গভর্নর এবং কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রীর পদ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, প্রকল্পের চুক্তি এবং চাকরির সমন্বয়ের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধা আদায় করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ২৬৮ মিলিয়ন ইউয়ান (৩৭.৫৭ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের ঘুষ গ্রহণ করেছেন।

রায়ের সময় আদালত উল্লেখ করেন, তাংকে ঘুষের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। কারণ তার ঘুষের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, যা দেশ ও জনগণের জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ। তবে যেহেতু তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন, সে কারণে সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে।

তাং রেনজিয়ানের পরিচিতি

৬৩ বছর বয়সী তাং রেনজিয়ান তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৩ সালে এবং ১৯৯১ সালে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি কয়েক দশক ধরে দেশটির কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। গত বছরের মে মাসে দলীয় শৃঙ্খলা এবং জাতীয় আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের সন্দেহে তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।


আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৭:৪৮:৪৪
আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ
ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিরোধী চার দেশ—রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যৌথ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান সরকার। দেশগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে বা তার আশপাশে কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত নয়। খবর ডন-এর।

তালেবান সরকারের উপপ্রচারক হামদুল্লাহ ফিত্রাত জানিয়েছেন, আফগানিস্তান কখনোই অন্য দেশের বিরুদ্ধে তার মাটির ব্যবহার অনুমোদন করবে না এবং কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে তাদের দেশে চলার অনুমতি দেবে না। তিনি বলেন, তালেবান সরকার দুর্নীতি, নেশা ও অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সকল দেশের সঙ্গে সম্মান ও পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইছে।

সন্ত্রাস দমনে চার দেশের আহ্বান

চার দেশের যৌথ বিবৃতিতে আফগান কর্তৃপক্ষকে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসী শিবির বন্ধ করা এবং বিদেশি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সহযোগিতা রোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে ইসিল, আল-কায়দা, টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) এবং বিএলএ-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তালেবান সরকার তার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামী প্রতিনিধিদল আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের সম্পর্ক ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছে।


যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৬:২৯:০৮
যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের আগে তেল আবিবে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাদের মূল দাবি হলো—গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তি করা। এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হোস্টেজ স্কয়ারে জমায়েত হয়ে বড় ব্যানার প্রদর্শন করেন, যেখানে লেখা ছিল—‘সব জিম্মিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনো।’ অনেকেই বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং দ্রুত চুক্তির মাধ্যমে বন্দিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান।

চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অভিযানে কমপক্ষে ৯২ জন নিহত হয়েছেন, যা বিক্ষোভকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিনি নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন এবং বৈঠকে দ্রুত চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের মতে, দ্রুত চুক্তি ছাড়া বন্দিদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

তবে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভি ও তার কট্টরপন্থি জোট মিত্ররা চুক্তির বিরোধিতা করছেন। বেন-গভি সতর্ক করে বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার অধিকার নেই। নেতানিয়াহুর সরকার এই কট্টরপন্থি দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল, যা চুক্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করেছে।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক হোয়াইট হাউসে সোমবার হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প এই সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদী হলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

পাঠকের মতামত: