রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে ধরার অভিযানের ছদ্মবেশে শ্বশুরবাড়ি লুটপাটের মামলা

রাজশাহীতে এক যুবলীগ নেতাকে ধরার নাম করে বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে ‘মব তৈরি করে’ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী বড় ভাইয়ের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার রাজশাহীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি আটতলা ভবনে স্থানীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ঘেরাও অভিযান চালায়। পরে সেখানে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় তারা। অভিযানে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির উপস্থিতির সন্ধান দেয়া হয়, যদিও তিনি দীর্ঘদিন আগে দেশ ত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তৌরিদ আল মাসুদ জেলা যুবদলের এক নেতাকে ফোন দিয়ে জানায়, “এত কষ্ট করার দরকার নেই, তিনি অন্যত্র আছেন।”
ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী হাবিবা আক্তার অভিযোগ করেন, ‘মব তৈরি করে’ তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করা হয় এবং নগদ ২ লাখ টাকা ও ১২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। তিনি মামলার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন করারও কথা জানিয়েছেন।
হাবিবা আক্তার জানান, তাঁর জামাতা মেহেদী হাসানের ছোট ভাই ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হাসান তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর আগেও মেহেদীকে মারধরের জন্য শালবাগানের একটি ভবন ঘেরাও করেছিলেন মাহমুদ। মেহেদী নিজেও বলেন, ‘মোব তৈরি করে ভয় দেখানো হয়েছে, যুবলীগের বিষয় নয়।’
অপর পক্ষ মাহমুদ হাসান দাবি করেন, যুবলীগ নেতাকে ধরতে অভিযানে তিনি ছিলেন এবং ওই সময় শাশুড়ি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, “বাড়ি ঘেরাও এবং লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সত্য প্রতিবেদন/আশিক
রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমান। শিক্ষার্থীরা শুনেছেন—তাদের বিভাগে একজন প্রভাষক আছেন। কিন্তু সেই শিক্ষককে কেউ কখনো ক্লাসরুমে দেখেননি, লেকচারও শোনেননি। অথচ সরকারি রেকর্ডে তিনি নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন, আর প্রতি মাসেই তুলছেন বেতন-ভাতা।
জানা গেছে, পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট বিভাগের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলেজে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারে আঙুল রাখেন। এরপর তিনি আর ক্লাসে না গিয়ে সরাসরি চলে যান রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ের পাশে তার ব্যক্তিগত চেম্বার ‘ডেন্টাল এইড’-এ। সন্ধ্যা নামার আগে আবার কলেজে ফিরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ‘অফিস ত্যাগ’ দেখান। ফলে সরকারি উপস্থিতি খাতায় প্রতিদিনই তার নাম পাওয়া গেলেও বাস্তবে ক্লাসরুমে তার উপস্থিতি নেই।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ডা. মাহফুজুর রহমান নামে একজন স্যার আমাদের এখানে আছেন শুনেছি। কিন্তু কোনোদিন চোখে দেখিনি। তিনি আমাদের একটিও ক্লাস নেননি, পরীক্ষা নেননি। আমরা তাকে চিনিই না।’
রামেক ডেন্টাল ইউনিট প্রধান ডা. আবুল হোসেন জানান, ‘তিনি অসুস্থ মানুষ। লিভারে সিরোসিস, হার্টে বাইপাস হয়েছে। তিনি নিয়মিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন। তবে পরে কোথায় যান, সেটা বিভাগ বলতে পারবে।’
অধ্যক্ষ ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘তিনি এভাবে ক্লাস না নিয়ে বেতন নিচ্ছেন—এটা আমি আপনার কাছ থেকেই জানলাম! যদি আগে জানতাম, মেডিকেল বোর্ড করে তাকে অবসরে পাঠাতাম। তবে তার চাকরির বয়স এখন শেষ হয়ে এসেছে, তাই আমরা আর বিষয়টি টেনে নিতে চাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দশ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন না—এটা তো অজানা ছিল। ডেন্টাল ইউনিট থেকেও আমাদের জানানো হয়নি। অকাজের লোক রেখে তো আমাদের কোনো লাভ নেই।’
ডা. মাহফুজুর রহমান নিজে দাবি করেন—তিনি অসুস্থ। তাই প্রতিদিন হাজিরা দিয়ে তিনি বাড়ি যান। তবে তিনি চেম্বারে রোগী দেখেন না বলেও দাবি করেন। এমন ছুটি নেওয়া যায় কিনা, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে নিয়মে তো যায় না। তবে অসুস্থ বলে চলে যাই।’
/আশিক
রাজশাহীর কোচিং সেন্টার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার,ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের পর বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশি এয়ার গান, একটি রিভলবার, একটি কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরও বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেননি। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।
তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।স্বৈরাচার হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলেছিল, যাতে দেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এর সুযোগে দেশের অর্থ বিদেশে চলে গেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের হাসপাতালগুলো এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা সংস্কার কমিটিও গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে এবং মানুষ আরও কষ্ট পাবে।
বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে চায় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে এবং সেখান থেকে দেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে, যেগুলো মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।
তারেক রহমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে সাজাতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ।
ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘেও যেতে হবে। পাশাপাশি দেশের খালগুলোকে পানিতে ভরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পানির সংকট এলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই দেশের পুনর্গঠনের যোগ্য দল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে শহীদ জিয়ার আমলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশ খাদ্য রপ্তানিতে সফল হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন এবং দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
/আশিক
এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
রাজশাহীর মোহনপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খালিদ হাসান মিলুকে কাপড় ও চিরকুট পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই রাতে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ধুরইল গ্রামে। রোববার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ হাসান মিলু জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে একজন অপরিচিত কণ্ঠে ডাকে। বারান্দায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাড়ির টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রোলের গন্ধ। তিনি প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকেন, পরে ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরী ঘটনাস্থলে আসেন।
পরে বাড়ির সামনে একটি পলিথিনে মোড়ানো সাদা কাপড় (কাফনের কাপড়) ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল— “প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।” বৃষ্টির কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি এবং দ্রুত নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এনসিপি রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এমন সাহস তারা দেখাতে পারত না। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করব।”
ওসি আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/আশিক
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে গান গেয়ে বিতর্কে জড়ালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফুফাতো ভাই, কণ্ঠশিল্পী গৌরব হোসেন তুষার। বিএনপির অনুষ্ঠানগুলিতে প্রায়শই তাকে গান গাইতে দেখা যায়, কিন্তু বিষয়টি দলের তৃণমূল থেকে কঠোর প্রতিবাদের মুখে পড়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে গৌরব গান পরিবেশন করেন। সর্বশেষ রোববার (১০ আগস্ট) মহানগর বিএনপির সম্মেলনে তাকে আবারও মঞ্চে দেখা গেছে। রাজশাহী শহরের বাসিন্দা গৌরবের শ্বশুরবাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরবের স্ত্রী সেতু সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের ফুফাতো বোন। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে গৌরবকে ‘নগদ’ সংস্থায় চাকরি দিয়েছিলেন।
গৌরবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার অসংখ্য ছবি রয়েছে পলকের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তিনি ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ লেখা সহ একটি ছবিও পোস্ট করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রতীক ছিল। ২০১৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলকের একটি ছবি পোস্ট করে গৌরব কবিতাও লিখেছেন পলককে নিয়ে। এছাড়া পলক তার বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও শেয়ার করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকেও ‘প্রগতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা’ হিসেবে গৌরব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোববার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন বিএনপির সম্মেলনে গৌরবের উপস্থিতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এক নেতা জানান, গৌরবের পুরো পরিবারই আওয়ামীপন্থী এবং তার স্ত্রী সেতু রাজশাহী আর্ট কলেজের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন পলকের মাধ্যমে। গৌরব বিএনপির মঞ্চে গান গাইবেন তা কেউ ভাবেননি।
বিএনপির নেতাকর্মী জসিম উদ্দিন ফেসবুকে লিখেছেন, গৌরব একজন কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং পলকের অর্থায়নে অনেক মিউজিক ভিডিও করেছেন। তার স্ত্রীও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাজে লাগিয়ে চাকরি নিয়েছেন। এমন একজন কণ্ঠশিল্পীকে বিএনপির মঞ্চে দেখে অনেকেই বিস্মিত।
গৌরব ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ফোনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
/আশিক
রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
রাজশাহী জেলায় ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী জেলা সার্কিট হাউজে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে ৯টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পবা উপজেলার হরিপুর হাটের নতুন মার্কেটের দ্বিতীয় তলা, বাঘা উপজেলার চক ছাতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়), রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন, মোহনপুর উপজেলার ধোরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন (চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প-পর্যায়-১), গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা, রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, গোদাগাড়ী উপজেলার পান্তাপাড়া-ভাগাইল ৭২ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, এবং চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া-হাবিবপুর খালের পলি অপসারণ কাজ।
এছাড়া তানোর উপজেলার কাশিম বাজার থেকে বায়া রাস্তার প্রশস্তকরণ ও শক্তিকরণ, বাগমারা উপজেলার একতলা ভূমি অফিস এবং বাগমারা উপজেলার বীরকৎসা হাটের দুইতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সকাল ৮টার দিকে বিমানযোগে রাজশাহীতে পৌঁছান। সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশগ্রহণের পর তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন, যেখানে নাটোর সদরের মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন ও জেলা পরিষদে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। পাশাপাশি তিনি নাটোর সার্কিট হাউজে এলজিইডির কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে রাজশাহী ফিরে ঢাকায় যান।
উপদেষ্টা জানান, বিকেলে রাজশাহীতে ফিরে বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন এবং সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
/আশিক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজয় ফিস্ট’-এর খাবারে অসুস্থ ৮৩ শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজয় ফিস্ট’-এর খাবার খাওয়ার পর বিজয়-২৪ হলের ৮৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হল প্রশাসন। ঘটনার পর দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-২৪ হলের আয়োজন করা খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পেট ব্যথা, বমি ও গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অসুস্থদের সবাই আশঙ্কামুক্ত এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, “বিজয় ফিস্টের খাবার খাওয়ার পর ৮৩ জন শিক্ষার্থী শারীরিক সমস্যায় পড়েছেন। বেশিরভাগেরই হালকা গ্যাস্ট্রিক ও ফুড পয়জনিংয়ের উপসর্গ দেখা গেছে। তাদের খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার পরপরই হল প্রশাসন দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে বিজয় ফিস্টের আয়োজন করা হয়। ৫০ টাকা দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। তবে খাবারের মান নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।
বিজয়-২৪ হলের ১৩২ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী সাগর আহসান বলেন, “খাবার খাওয়ার পর থেকেই পেটে ব্যথা অনুভব করছি। রাতে খেতেও পারিনি। সকালে মেডিক্যালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।”
আরেক শিক্ষার্থী, ৪২১ নম্বর কক্ষের অর্পণ ধর বলেন, “আমাদের রুমের তিনজনই বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন পর্যন্ত ৫-৬ বার টয়লেটে যেতে হয়েছে। মেডিক্যাল থেকে ওষুধ এনেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি জানান, “আমি আজ ডিউটিতে ছিলাম না, তবে দায়িত্বে থাকা তিনজন চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী পেটের সমস্যাজনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন।”
ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এখন সকলের নজর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের দিকে।
/আশিক
রাজশাহীতে ছয় মাস ধরে অন্ধকারে পাড়া-মহল্লা, নাগরিকরা চরম ভোগান্তিতে
রাজশাহীতে নাগরিক সেবা ভেঙে পড়ায় বাড়ছে জনভোগান্তি, বাড়ছে ডেঙ্গু ও অপরাধ
রাজশাহীতে গত বছরের (২০২৪) আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়। রাস্তাঘাটে জমে থাকা আবর্জনা, অচল ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং লাইটহীন বৈদ্যুতিক পোল—সব মিলিয়ে শহরের অব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ড্রেনে পচা ময়লার কারণে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, তৈরি হয়েছে জঙ্গল ও ঝোপঝাড়, যার ফলে মশার উপদ্রব আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ‘আলোর শহর’ খ্যাত রাজশাহী মহানগরীর পাড়া-মহল্লাগুলো এখন অন্ধকারে ডুবে আছে। অধিকাংশ বৈদ্যুতিক পোলের বাল্ব নষ্ট । দীর্ঘ ছয়-সাত মাস ধরে এসব বাল্ব জ্বলছে না, ফলে সন্ধ্যার পর অন্ধকার নেমে আসে রাস্তায়। এতে করে চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা আনসার আলী বলেন, এলাকাবাসী এখন একপ্রকার অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাসিকের পরিচ্ছন্নতাও এখন কার্যত বন্ধ।
রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মো. আশরাফুল হাসান বাচ্চু জানান, বর্তমানে নগরীর কোনো ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর নেই। সব ওয়ার্ড পরিচালিত হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে, যা নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছে।
তিনি জানান, ছোটখাটো সমস্যার সমাধানে আগে জনগণ সরাসরি কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। এখন সেই ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যাগুলোর সমাধান বিলম্বিত হচ্ছে।
চাকরির আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বড়-বনগ্রামের বাসিন্দা মো. আবির শেখ। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সনদ নিতে গিয়ে তিনি দশ দিন ধরে ঘুরেও সনদ পাননি। ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সচিব জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঢাকায় থাকায় সনদ ইস্যু সম্ভব হয়নি।
কাজলা এলাকার বাসিন্দা অতিকুর রহমান মন্টু বলেন, বৈদ্যুতিক পোলের আলো না থাকায় চুরি, ছিনতাই এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে গেছে। এছাড়াও পুলিশের টহল কার্যত অনুপস্থিত, ফলে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আরিফুজ্জামান নামে এক বাসিন্দা জানান, তার এলাকায় এসির যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। আর রুবেল নামে আরেকজন জানান, বৈদ্যুতিক তার চুরি হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ শাখার প্রধান কর্মকর্তা এবিএম আসাদুজ্জামান সুইট জানান, বর্তমানে তাদের কাছে বৈদ্যুতিক লাইটের পর্যাপ্ত মজুদ নেই। জানুয়ারিতে টেন্ডার করে ৭,৫০০ লাইট সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, আগামী ৪ আগস্ট নতুন টেন্ডার উন্মুক্ত হবে এবং ১০ আগস্টের মধ্যে নতুন লাইট সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাগুলো সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
/আশিক
রাজশাহীতে ৯৯% দোকানে বিক্রি হচ্ছে সরকার নিষিদ্ধ কীটনাশক
রাজশাহীর অধিকাংশ কীটনাশকের দোকানে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাজশাহীর ৯৯ শতাংশ কীটনাশকের দোকানেই নিষিদ্ধ কীটনাশক মিলছে। এসব পণ্যের লেবেলে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারেন না যে এগুলো নিষিদ্ধ, কারণ গায়ে লেখা জেনেরিক নাম খুব ছোট আকারে দেওয়া থাকে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বারসিক-এর পরিচালিত এক অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বুধবার (৩০ জুলাই) রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
সমীক্ষায় রাজশাহীর ৮টি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামের কৃষক, কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়। গবেষণায় জানা যায়, শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনই না যে তারা যে কীটনাশক ব্যবহার করছেন তা নিষিদ্ধ ও বিপজ্জনক। শতকরা ৬৮ শতাংশ ব্যবহারকারী এই নিষিদ্ধ কীটনাশকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নিষিদ্ধ এসব কীটনাশকের মধ্যে রয়েছে—প্যারাকোয়াট (জিরো হার্ব ২০ এসএল, এরোক্সান ২০ এসএল, তালাফ ২০ এসএল), কার্বোরাইল (ফুরাডান ৫জি), অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড (গ্যাস ট্যাবলেট), কার্বোফোরান (কার্বোফোরান ৩ জিএসআই) এবং ইঁদুর মারার বিষ বডিফ্যাকোয়াম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্যারাকোয়াট জাতীয় ঘাস মারা বিষ আত্মহত্যার জন্যও ব্যবহার হয়। অনেকে বুঝে বা না বুঝে পান করে ফেলেন, যার ফলে দ্রুত কিডনি নষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিষিদ্ধ এসব পণ্য বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নজরদারি নেই। এ অবস্থায় কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বারসিক-এর নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “আমরা নিষিদ্ধ কীটনাশক বাজার থেকেই কিনেছি, রশিদসহ উপস্থাপন করেছি। কিন্তু এসব নিষিদ্ধ পণ্য কীভাবে বাজারে সহজলভ্য হয়, সেটি ভাবার বিষয়।”
বারসিক তাদের প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে—নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, বিদ্যমান কীটনাশক আইন ও বিধির যথাযথ প্রয়োগ, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি তথ্যের নিবন্ধন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ
- মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষকরা চিরস্মরণীয়: প্রধান উপদেষ্টা
- ওরা আমাদের সন্তানের বয়সী,বড় হলে লজ্জিত হবে: কটূক্তির জবাবে সেনাপ্রধান
- বিসিবির দুর্নীতি দমনে নতুন পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল, দায়িত্ব নিয়েই হুঙ্কার
- পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া, হুমকি কিমের
- পিআর পদ্ধতি নয়, চাই দ্রুত নির্বাচন’: মির্জা ফখরুল
- জাল টাকার শিকার রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাসের ভালোবাসার পরশ
- জুলাইয়ের হত্যা মামলায় আসামির জামিন,আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নেই: আসিফ নজরুল
- গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা: সাভারের সাবেক ইউএনও এখন রাজাপুরের ইউএনও
- কানাডার মন্ট্রিয়েলে ফোবানা সম্মেলনে মঞ্চ মাতাবেন জায়েদ খান
- ড. ইউনূসের সরকারের কাছে এটা আশা করি না: মব জাস্টিস নিয়ে রিজভীর ক্ষোভ
- ট্রাম্পের কারণে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন জেলেনস্কি, সামরিক পোশাক ছেড়ে পরলেন স্যুট
- দুদকের জালে এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তা: চাওয়া হলো সম্পদ বিবরণী
- প্রশাসন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট: শিবিরের প্যানেলের ক্ষোভ
- এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ১৯ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৯ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: আসিফ নজরুল
- পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন প্রদানের রেকর্ড ডেট ঘোষণা
- ডিএসই ঘোষণা: ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে লেনদেন বিরতি
- স্বামী-স্ত্রীর প্রকাশ্য মারামারির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা
- লিভার ডিটক্স পণ্য আসলেই কতটা কার্যকর? চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
- এক ফ্যান-দুটি বাতির ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!
- স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিল স্বামী
- শূন্যপদ আর অনিয়মে জর্জরিত শিক্ষা খাত, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী
- এনা পরিবহন কেলেঙ্কারি ও ভিডিও কাণ্ডে বিতর্কে বিএফআইইউ প্রধান
- শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
- দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
- মুরাদনগরের ট্রিপল মার্ডারে নতুন মোড়: কাঠগড়ায় আসিফ মাহমুদের বাবা
- ‘ধর্ম নয়, যোগ্যতায় মানুষ মূল্যায়িত হবে’: জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা
- ১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস
- পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ
- মব উসকে দিয়ে অধিকার হরণের চেষ্টা: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের অভিযোগ
- ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও জর্জিনার বিয়ে হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল!
- ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে
- বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন
- নির্বাচনী রোডম্যাপ চূড়ান্ত: শীঘ্রই আসছে ইসির পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা
- মোদি ও পুতিনের ফোনালাপ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ যা যা আলোচনা হলো
- জাতির পিতা’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কৃত
- সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে নিজেকে মাপেননি: দুরেফিশান সেলিমের সাহসী মন্তব্য
- ‘জাতীয় পার্টি জিন্দা লাশ’: ফোনালাপে শেখ হাসিনার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ফাঁস
- চুনোপুঁটি নয়, এবার ‘বড় রুই মাছ’ ধরা পড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গাজাবাসীর নতুন ঠিকানা আফ্রিকা? ইসরায়েলের বিতর্কিত পরিকল্পনা ফাঁস
- পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে: ৭ মাসে ৩৬৩ ঘটনা, স্বামীর হাতেই ১৩৩ নারী খুন!
- রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন
- মারধরের শিকার ইতালিপ্রবাসী: নেপথ্যে বিএনপি নেতার ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি
- উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে নতুন স্বতন্ত্র প্যানেল
- ৬ বছর ধরে চুল খেয়ে পাকস্থলীতে ২ কেজির চুলের গোলা
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- ১৪ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- জানে আলম অপুর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রহস্য, কেন ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
- শিক্ষকদের আলটিমেটাম: জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নতুন মোড়
- আজানের পর দরুদ ও বিশেষ দোয়া: হাদিসে ক্ষমা ও সুপারিশের সুসংবাদ