করোনাভাইরাস

খুলনায় ফের করোনা শনাক্ত, খুমেকে ভর্তি বৃদ্ধা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৭:৫০:৫৩
খুলনায় ফের করোনা শনাক্ত, খুমেকে ভর্তি বৃদ্ধা

খুলনায় ফের করোনা শনাক্ত, খুমেকে ভর্তি বৃদ্ধাখুলনায় আবারও নতুন করে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের র‍্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ওই রোগীর দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

চিহ্নিত রোগী করুণা (৬০), যিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অন্তর্গত বয়রা এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ও ডেঙ্গুবিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক।

তিনি জানান,

“আজ দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ১৮টি র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে একজনের ফল পজিটিভ এসেছে। বাকি ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ।”

এর আগের দিন, মঙ্গলবার (১৭ জুন) খুলনায় আরও দুজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের একজন খুমেক হাসপাতালে এবং অপরজন খুলনা জেনারেল হাসপাতালে শনাক্ত হন। interestingly, খুমেকে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি এবং আজ শনাক্ত হওয়া করুণা, দুজনই বয়রা এলাকার বাসিন্দা। জেনারেল হাসপাতালে শনাক্ত রোগীকে চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন,

“গত ২৪ ঘণ্টায় (১৮ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) খুলনা, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলায় র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা ও মেহেরপুরে একজন করে মোট দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এ সময়ে বিভাগজুড়ে করোনা শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৭ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হার কিছুটা উদ্বেগজনক এবং এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে জনসচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

—আশিক নিউজ ডেস্ক


খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:২২:০৩
খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো
ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা এক আসামি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় প্রিজন সেল থেকে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ইউসুফ (২৩)। তিনি নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং মাদক মামলার আসামি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে আলমনগর মোড় এলাকা থেকে ইউসুফকে ২০টি ইয়াবাসহ আটক করে খালিশপুর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ইউসুফ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে কোনো গুরুতর সমস্যা শনাক্ত করতে না পারলেও, বারবার ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গের কথা বলায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক জানান, প্রিজন সেলের বাইরে কারারক্ষীরা দায়িত্বে থাকেন এবং ভেতরের নিরাপত্তা দেখভাল করে পুলিশ। সেলটিতে ইউসুফ ছাড়াও এক বয়স্ক আসামি ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই বয়স্ক ব্যক্তি বাথরুমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে দায়িত্বরত কনস্টেবল দরজার তালা খুলে তাঁকে বাইরে নিয়ে যান। তবে ফিরে এসে তালা বন্ধ করতে ভুলে যান। এ সুযোগে ইউসুফ পালিয়ে যান। পরবর্তীতে দেখা যায়, প্রিজন সেলের বাইরের মূল ফটকের তালাও খোলা ছিল। এই গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, 'পলাতক ব্যক্তি আমাদের হেফাজতে ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, সেটিও আমরা জানতাম না। যদি আমাদের হেফাজতে থাকতেন, তবে তাঁকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হতো। তবে প্রিজন সেলে পুলিশ ছাড়াও আমাদের লোকজনও থাকেন। যদি আমাদের কেউ গাফিলতি করে থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

/আশিক


খুলনায় এসওএস হোমে নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১৯:৫৯:৫৮
খুলনায় এসওএস হোমে নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য
স্কুলছাত্রী ইসরাত জাহান ইশা। ছবি : কালবেলা

শিশু পল্লীতে ১৪ বছর থাকার পর এসওএস শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা

খুলনার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইশা (১৬) রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে হোমের ভেতরেই সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইশা খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল-আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেক শেখের মেয়ে। শিশুকালেই মা হারানো ইশা গত ১৪ বছর ধরে এসওএস শিশু পল্লীতে বসবাস করছিল।

ওই ছাত্রীর নানা জুয়েল শেখ জানান, "ইশার বয়স যখন মাত্র ১৬ মাস, তখন তার মা মারা যায়। এরপর থেকেই তাকে এসওএস হোমে রেখে পড়াশোনা করানো হচ্ছিল। সে অনেকদিন ধরেই সেখানে ছিল এবং কেউ তার নামে কোনো অভিযোগ কখনও করেনি।"

তিনি বলেন, "মঙ্গলবার রাতে ইশা গলায় ফাঁস দিলে হোমের কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিষয়টি বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জানাজানি হয়।"

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "হোম কর্তৃপক্ষ পুলিশকে না জানিয়ে নিজেরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং আমাদেরও পরে খবর দেন। সাংবাদিকরা হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও তারা কিছু বলতে রাজি হননি। এমনকি, ইশা যে রশি বা ওড়নায় ফাঁস দিয়েছিল সেটিও দেখাতে পারেননি। এই মৃত্যু সন্দেহজনক বলে আমি মনে করি।"

খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, "ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতে সেখানে যায়। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি অন্য কিছু।"

পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে ইশার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


খুলনার আন্দোলন গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে: জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৫ ২১:২৭:০২
খুলনার আন্দোলন গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে: জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম
খুলনার আন্দোলন সারা দেশে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে : ডিসি সাইফুল

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় খুলনার আন্দোলন ছিল অনন্য। এটি শুধু খুলনাই নয়, সারা দেশের মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে।”

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) খুলনায় আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও উন্মুক্ত আলোচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবার, আহত শিক্ষার্থী, আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, “গত বছরের এই দিনে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আশা-ভরসা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, রক্ত দিয়েছিল। আজ সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। আমরা চাই জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা ও সংহতি নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালিত হোক।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শহীদ জুলাই যোদ্ধা সাকিব রায়হানের বাবা। তিনি বলেন, “সাকিবের এক বন্ধু তাকে বলেছিল, তুই যদি কিছু হয়ে যাস? সাকিব জবাবে বলেছিল, আমার কিছু হলে মা-বাবার দেখার মতো আরও একটা ছেলে আছে। কিন্তু আমরা না গেলে দেশ কখনোই ফ্যাসিবাদমুক্ত হবে না।”

জুলাই যোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধু একটা তারিখ নয়, এটি এক গণজাগরণ। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান—জুলাইয়ের চেতনা অনুসরণ করে রাষ্ট্র চালান। নইলে সেই চেয়ারের দায়িত্ব ছেড়ে দিন। যারা গণহত্যার পক্ষে ছিল, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়।"

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন এবং আন্দোলনে নিহত পাঁচ শহীদের পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা।

/আশিক


ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতার গোডাউনে মজুত ৮৩১ বস্তা সার জব্দ

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ২০:১৮:৫৭
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতার গোডাউনে মজুত ৮৩১ বস্তা সার জব্দ
ছবি: সংগৃহীত

শৈলকূপায় ৮৩১ বস্তা সার মজুদের অভিযোগে জরিমানা, জড়িত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ভাই

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ৮৩১ বস্তা অবৈধভাবে মজুতকৃত সার উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ওই ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ভাটই বাজারে ‘শুভ এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করেন শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সিরাজুস সালেহীন। অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে সার মজুত করা হয়েছিল—এমন অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সারের মজুত নেই বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গুদাম তল্লাশি করে ৮৩১ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত সারগুলোর মধ্যে ৫৪১ বস্তা ডিএপি ও ২৯০ বস্তা এমওপি ছিল। এর বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে ৮ লাখ টাকারও বেশি। গুদামের মালিক আইয়ুব আলী জোয়ার্দ্দার উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের একজন সার ডিলার এবং স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই হিসেবে পরিচিত। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের ভাই। জানা গেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার নিজের বিএডিসি ডিলারশিপ আইয়ুব আলীর নামে হস্তান্তর করেন। যদিও স্থানীয় কৃষকদের দাবি, ‘শুভ এন্টারপ্রাইজ’ মূলত নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারই নিয়ন্ত্রণ করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, কৃত্রিম সংকট তৈরির যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

/আশিক


খুলনায় কপোতাক্ষে ভেসে এলো এক বৃদ্ধের লাশ

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৩ ২১:১৫:০৯
খুলনায় কপোতাক্ষে ভেসে এলো এক বৃদ্ধের লাশ
ছবি: খুলনা গেজেট

খুলনার কপোতাক্ষ নদ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেবদুয়ার এলাকায় ধর্মপীরের দরগার কাছে নদীতে লাশটি ভাসতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা কপোতাক্ষ নদে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সবুর জানান, বেলা সোয়া ২টার দিকে মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৬৫ থেকে ৭০ বছর।

মরদেহটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নদীর স্রোতে ভেসে এসে লাশটি দেবদুয়ার এলাকায় এসে পৌঁছেছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

/আশিক


খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ১২:৩০:৫৬
খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ এলাকায় বাড়িতে ঢুকে মনোয়ার হোসেন ওরফে টগর (৩২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মনোয়ার টগর ওই এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে এবং রং এর ঠিকাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, হত্যাকারীরা রাতে টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বুকের ডান পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নিহতের বাবা জামাল হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার সময় টগর তাকে জানিয়েছিলেন গেটের সামনে কয়েকজন যুবক আছেন। দরজা খুলে তিনি তিন যুবককে দেখেন যারা টগরের পরিচিত বলে দাবি করেন। এর মধ্যে একজন টগরের পাশেই বসে ছিল। হঠাৎ টগরের চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে তারা তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত ও আটক করার জন্য পুলিশের চেষ্টা চলছে।

/আশিক


খুলনায় করোনা ইউনিটে একদিনে আরও দুজনের মৃত্যু

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ২১:২৪:১৩
খুলনায় করোনা ইউনিটে একদিনে আরও দুজনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) করোনা ইউনিটে একদিনের ব্যবধানে আরও দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি বছরে হাসপাতালটিতে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যান মো. রকমান (২৫) নামে এক যুবক। তিনি বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রকমান খুলনা মহানগরীর হরিণটানার রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ারের ছেলে।

এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতিকান্ত ডাকুয়া (৮৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা যান।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, মৃতরা দুজনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের উপসর্গ এবং পরীক্ষার ফলাফলে করোনা শনাক্ত হয়।

/আশিক


খুলনায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ২২:০৩:৩৪
খুলনায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খুলনায় মাসব্যাপী জুলাই পুনর্জাগরণ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালার ধারাবাহিকতায় বুধবার নগরীতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: কালের কণ্ঠ

খুলনায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস স্মরণে আয়োজিত হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) উদ্যোগে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার। তিনি বলেন, "জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছে। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।"

তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে এবং ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার হবে।"

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক এবং জুলাই আন্দোলনে শহীদ শাকিব রায়হানের পিতা শেখ মো. আজিজুর রহমান।

শোভাযাত্রা শেষে সবাই শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করেন এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আয়োজকরা জানান, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আরও নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

/আশিক


 খুলনায়,পরিচয়হীন পাগলী সড়কের পাশে মা হলেন পাশে দাঁড়ালেন মানবিক চিকিৎসক

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৯ ২১:৩৯:১৯
 খুলনায়,পরিচয়হীন পাগলী সড়কের পাশে মা হলেন পাশে দাঁড়ালেন মানবিক চিকিৎসক
ছবি: খুলনা গেজেট

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার পৌর সদরের এক দোকানের সিঁড়ির পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসএম সাউন্ড নামের দোকানের সিঁড়ির উপর ওই নারী একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। জন্মের সময় নবজাতকের ওজন ছিল ২ কেজি ৬ গ্রাম। আশেপাশে কোনো ধাত্রী বা চিকিৎসক না থাকলেও প্রসবের সময় নারীটির চিৎকার ও কষ্ট দেখে দোকান মালিক লাবু এগিয়ে আসেন।

পথচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মানবিক পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হালিম সানা। তিনি নবজাতক ও প্রসূতি মাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক শাকিলা আফরোজ।

তবে মায়ের মানসিক অবস্থার কারণে নবজাতকের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা ও শিশুকে আলাদা কক্ষে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, হাসপাতালে একসাথে রাখার সময় মা শিশুটিকে চেপে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।

এদিকে, কোনো পরিচয় বা ঠিকানা জানা না থাকায় মায়ের পরিচয় এখনও অজানা রয়ে গেছে। তবে মানবিক এই ঘটনায় আব্দুল হালিম সানার ভূয়সী প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাটি জানার পর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস হাসপাতাল পরিদর্শনের কথা জানিয়েছেন এবং বলেন, ইউএনও’র সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, মা ও শিশুর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পরিচয় নিশ্চিত করা না গেলে সরকারি ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: