ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ

"ইরানের আকাশ এখন ট্রাম্পের দখলে? চাঞ্চল্যকর দাবি মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্টের"

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ২২:৫৪:৩১
"ইরানের আকাশ এখন ট্রাম্পের দখলে? চাঞ্চল্যকর দাবি মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্টের"

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের আকাশসীমা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ স্যোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আমরা এখন ইরানের আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।” তবে 'আমরা' বলতে তিনি ঠিক কাদের বোঝাচ্ছেন—তা পরিষ্কার করেননি।

ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “ইরানের ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল এবং তা ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সেগুলো আমেরিকায় তৈরি, পরিকল্পিত ও প্রস্তুতকৃত সরঞ্জামের সঙ্গে তুলনাই চলে না। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এটা কেউই ভালোভাবে করতে পারে না।”

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরেই ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের উপর চালানো একাধিক বিমান হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত নয় বলে দাবি করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প-গ্যাবার্ড বিরোধ: পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে দ্বিমতইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য একেবারেই বিপরীত।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (গ্যাবার্ড) কী বলেছেন আমি তার ধার ধারি না। আমার মনে হয় তারা (ইরান) একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে।”

অন্যদিকে, গত ২৫ মার্চ সিনেটের গোয়েন্দা কমিটিতে দেওয়া বিবৃতিতে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এখনো বিশ্বাস করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে এই কর্মসূচি স্থগিত করেন এবং এখনো সেটি চালুর অনুমোদন দেননি।”

তবে গ্যাবার্ড সতর্ক করেন, “ইরান বর্তমানে অস্ত্র-উপযোগী ইউরেনিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদধারী অ-পারমাণবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যা উদ্বেগজনক। যদিও এখনো সরাসরি কোনো অস্ত্রায়নের আলামত মেলেনি।”

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় প্রশ্নট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলছে তারা এ সংঘাতে জড়িত নয়, কিন্তু ইরান ও চীন উভয়েই দাবি করছে, ওয়াশিংটন পরোক্ষভাবে সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে।

এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলা দেখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আগুনে ঘি ঢালার’ জন্য দায়ী করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য কেবল আঞ্চলিক উত্তেজনাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতিক সম্পর্কেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত