আওয়ামী লীগ-সমর্থকের বাড়িতে আগুন: রফিকুলসহ দুই বিএনপি নেতা বহিষ্কৃত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ২০:৩৭:৪১
আওয়ামী লীগ-সমর্থকের বাড়িতে আগুন: রফিকুলসহ দুই বিএনপি নেতা বহিষ্কৃত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির দুই স্থানীয় নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী জেলা বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম (জুম্মা) এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের নীতিমালা এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (মার্শাল)।

ঘটনার পেছনের বিবরণ

জানা যায়, গত সোমবার পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামে আওয়ামী লীগ-সমর্থক ব্যবসায়ী আবদুল হান্নানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলার সময় আবদুল হান্নান ও তার বড় ছেলে একজন সেনা সদস্য নিজ বাড়ি থেকে নিরাপত্তার কারণে পাশের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যান। হামলাকারীরা বাড়ির রান্নাঘর, লাকড়িঘর এবং একটি ঘর পুড়িয়ে দেয়। আগুনে দুটি ছাগল ও একটি গরুও পুড়ে যায়। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবদুল হান্নান পুঠিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বানেশ্বর বাজারে এক চা দোকানে। সেখানে হান্নানের ছোট ছেলে তুষার আহমেদের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরেই রফিকুল ও তার অনুসারীরা হামলা চালান হান্নানের বাড়িতে।

চাঁদাবাজির অভিযোগ

আবদুল হান্নানের দাবি, ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ এবং চাঁদাবাজি অন্যতম কারণ। তিনি জানান, গত আগস্ট মাসের পর থেকে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে তাকে হুমকি দিয়ে বাড়িতে আগুন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। হান্নানের ভাষ্য, “তিনি (রফিকুল) বিএনপির রাজনীতি করেন, আর আমি একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক এটাই চাঁদা দাবির মূল কারণ।”

বহিষ্কৃত অপর নেতা আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, “আমি বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি জেনেছি। রফিক মেম্বারের কাজটা ঠিক হয়নি, তবে আমি নিজে কোনোভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। অন্যায়ভাবে আমাকে দলের সব পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”

রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত