করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ানক?

করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপধরন হলো এক্সবিবি, যা মূলত BA.2.10.1 এবং BA.2.75—এই দুটি অমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে গঠিত। এক্সবিবি প্রথম শনাক্ত হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এবং পরে এটি ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
এই উপধরনটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং এতে রয়েছে ইমিউন এস্কেপ ক্ষমতা—অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিংবা টিকা নেওয়া ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও আংশিকভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এক্সবিবি উপধরনের কারণে মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যুহার বাড়ার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হালনাগাদ বুস্টার ডোজ—বিশেষ করে এক্সবিবি-ভিত্তিক ভ্যাকসিন—এই উপধরন থেকে সৃষ্ট গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যদিও এই ভ্যাকসিন সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে সক্ষম নয়, তবে তা জটিলতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এক্সবিবি থেকে ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি উপধরনের সৃষ্টি হয়েছে, যেমন: এক্সবিবি.১, এক্সবিবি.১.৫ এবং সাম্প্রতিক আলোচিত এনবি.১.৮.১। এসবের মধ্যে কিছু কিছু ধরন আরও বেশি সংক্রামক হলেও, টিকা এখনো এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরক্ষা দিয়ে চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক্সবিবি এবং এর উপধরনগুলোকে Variant of Interest বা Variant Under Monitoring হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর অর্থ হলো, এই ধরনগুলোর ওপর বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চলছে, কারণ এগুলো ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্ক (GVN) জানিয়েছে, যদিও এক্সবিবি উপধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি, তবে এখন পর্যন্ত এটি গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সংস্থাটি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে এবং টিকা গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সাধারণ মানুষের করণীয় হিসেবে বিশেষজ্ঞরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন:
১. টিকার সর্বশেষ ডোজ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন।২. জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।৩. উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে আইসোলেশনে থাকুন।৪. স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সবিবি ও এর উপধরনগুলো অমিক্রনের নতুন রূপ হলেও এখন পর্যন্ত তা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, টিকা গ্রহণ এবং সচেতন থাকাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টিকা সংক্রান্ত পরামর্শ হিসেবে গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্ক বলছে: যেহেতু কোভিড-১৯-এর এখনো সম্পূর্ণ প্রতিকার নেই, তাই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ লক্ষ্যে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
১. ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য হালনাগাদ বুস্টার ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।২. ৬ মাস বয়স থেকে সব বয়সীদের টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া উচিত।৩. শিশু ও কিশোরদের বছরে অন্তত একবার আপডেটেড টিকা দেওয়া প্রয়োজন, কারণ আগের টিকার সুরক্ষা সময়ের সঙ্গে কমে যেতে পারে।৪. গর্ভবতী নারীদের টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শুধু মায়ের নয়, নবজাতকেরও প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ফলে শিশুর জন্মের আগেই মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। ফ্লু এবং কোভিড টিকা একসঙ্গে নেওয়া যেতে পারে এবং এতে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এদিকে দেশে করোনায় আক্রান্তের হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। রোববার (৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন চারজনের করোনা পরীক্ষা করে তিনজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এমন স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬-তে। চলতি মাসে (জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে একজন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের।
অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই রোগের শুরুতে শরীরের ছোটখাটো পরিবর্তনকে অবহেলা করেন, যার কারণে রোগটি জটিল আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের মতে, কিছু সাধারণ উপসর্গকে গুরুত্ব দিলে ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ:
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
অল্প সময়ের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না এনেও যদি ওজন কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. অস্বাভাবিক রক্তপাত
প্রস্রাব, পায়খানা কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত আসা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরের ভেতরে কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে, যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।
৩. দীর্ঘদিনের কাশি বা গলা বসে যাওয়া
সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে অনেকেই এটি এড়িয়ে যান। কিন্তু যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি থাকে অথবা গলা বসে যায়, তাহলে তা ফুসফুস বা খাদ্যনালির ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. ত্বকে অস্বাভাবিক দাগ বা ক্ষত
ত্বকে নতুন কোনো দাগ, তিলের রঙ বা আকারের পরিবর্তন কিংবা কোনো ক্ষত যদি দীর্ঘ সময় ধরে না শুকায়, তাহলে তা স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
৫. হজমের সমস্যা বা খাবারে অরুচি
খাবার গিলতে সমস্যা, পেটে অস্বস্তি বা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধামন্দা থাকা হজমতন্ত্রের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয় এবং রোগী সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।
আজ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগের (রাজধানী বাদে) ১১৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৩০ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৮৭ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯ জনে।
তুলনামূলকভাবে, গত বছর ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে, বাসা-বাড়ি ও আশপাশের জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে এবং ডেঙ্গুর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আফরোজা আক্তার হঠাৎ পেটব্যথা ও রক্তক্ষরণে ভুগতে শুরু করেন। শুরুতে তিনি গুরুত্ব না দিলেও পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে আলট্রাসাউন্ডে জানা যায়, তার জরায়ুতে ছোট একটি ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আলট্রাসাউন্ড করানো জরুরি। এতে ভ্রূণের অবস্থান বোঝা যায় এবং সম্ভাব্য জটিলতা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আফরোজার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সচেতনতার অভাবে কীভাবে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, “অনেকে মনে করেন, জরায়ু কেবল সন্তান জন্মদানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসলে জীবনের প্রতিটি ধাপে—মাসিক, যৌনসম্পর্ক, গর্ভাবস্থা, এমনকি মেনোপজের আগে-পরে—জরায়ুর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।”
তিনি জানান, মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে, ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার বিপজ্জনক। এ সময়ে গরম পানির ব্যবহার সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে। কারণ মাসিক চলাকালে জরায়ুর মুখ খোলা থাকে, ফলে সামান্য অসাবধানতাও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, অতিরিক্ত জোরে যৌনসম্পর্ক জরায়ুতে আঘাত বা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই যৌনমিলনের আগে ও পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত এবং মাসিক চলাকালে যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ভালো।
ডা. দেওয়ান আরও বলেন, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর প্রতি বিশেষ যত্ন জরুরি। ভ্রূণ জরায়ুতেই থাকে ও বেড়ে ওঠে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ভ্রূণ সঠিক স্থানে রয়েছে কি না। কারণ কখনো কখনো ভ্রূণ ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠে, যা মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ যৌন আচরণ জরায়ু ও শিশুর সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেনোপজের আগে-পরে জরায়ুতে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কেউ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন, কেউ আবার যোনিশুষ্কতা নিয়ে বিভ্রান্ত হন। মেনোপজের পর অনেক নারীর জরায়ু বড় হয়ে নিচের দিকে নেমে আসে, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা রশিদ বলেন, “অতিরিক্ত মাসিক, তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত বা দুই মাসিকের মধ্যে রক্তপাত—সবই জরায়ুর সমস্যার লক্ষণ। এর সঙ্গে যদি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রমাগত পেটব্যথা বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।”
তিনি আরও পরামর্শ দেন—নিচের পেটে চাপ অনুভব, ঘন ঘন প্রস্রাব, বদহজম, খাবারে অনীহা, ওজনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, যৌনমিলনে ব্যথা, অবসাদ বা মেনোপজ-পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিয়ে, অল্প বয়সে সন্তান জন্ম, ঘন ঘন গর্ভধারণ, একাধিক যৌনসঙ্গী, অপরিচ্ছন্নতা, সংক্রমণ, ধূমপান এবং বংশগত কারণ জরায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গাইনোকলজিস্ট ডা. আশরাফুন নেছা বলেন, “সরকার জরায়ু ও স্তন ক্যানসার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জেলা ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প খরচে চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের সর্বশেষ পরামর্শ হলো, নারীরা যদি জরায়ু-সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। দেরি করলে জটিলতা বেড়ে জীবনঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
-রাজীব আহামেদ
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখন শঙ্কামুক্ত এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান এই তথ্য দেন।
ঢামেক পরিচালক জানান, নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে, যে কারণে মাঝে মাঝে সামান্য রক্ত বের হচ্ছে। এই সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের যে আশঙ্কা ছিল, তা কেটে গেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে তার কিছুটা জ্বর আছে, তবে শর্ট টাইম মেমোরি লস নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়। এই ধরনের আঘাতে এমন জটিলতার আশঙ্কা নেই।”
আসাদুজ্জামান আরও জানান, নুরকে এখনই বাসায় নেওয়া সম্ভব নয়, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে পরিবার চাইলে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে।
তদন্ত কমিশন গঠন
এদিকে, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজাকে এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
আমরা সাধারণত মনে করি শুধু ধূমপানই ফুসফুসের ক্ষতি করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার আছে যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ ফুসফুসের জন্য এই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস
হটডগ, সসেজ, বেকন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকা নাইট্রেট ফুসফুসের টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খান, তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অন্যদের তুলনায় কম থাকে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়
সোডা, জুস এবং এনার্জি ড্রিংকসের মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যা সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
৩. ভাজা-পোড়া খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস এবং অন্যান্য ভাজা-পোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের ফ্যাট শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, তাদের জন্য এই খাবারগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪. অতিরিক্ত লবণ
বেশি লবণ গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হয়। এটি ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণ হতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। যারা ফুসফুসের রোগে ভুগছেন, যেমন—ফুসফুসীয় শোথ (Pulmonary Edema), তাদের জন্য অতিরিক্ত লবণ খুবই বিপজ্জনক।
৫. দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য যেমন—চিজ ও মাখন, ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমা হওয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত কফ শ্বাস-প্রশ্বাসের পথকে সংকুচিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।
তোমার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া বা বাদ দেওয়া জরুরি। এর পরিবর্তে তাজা ফল, শাক-সবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করা উচিত।
তেজপাতার জলে জাদু! নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, কমবে ওজন
আজকাল অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন। কারণ অতিরিক্ত ওজন নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ওজন কমাতে যেমন খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তেমনি ঘরোয়া কিছু ডিটক্স পানীয়ও সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শুধু হজমশক্তিই নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তেজপাতার জলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেজপাতা ভিটামিন সি, এ ও খনিজে ভরপুর। প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তেজপাতার জল শরীরকে ডিটক্স করতে বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও কমে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি: তেজপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন। শুধু ভারতেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী ২২ কোটির বেশি। তাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে দিনের শুরুতে খালি পেটে কিছু প্রাকৃতিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর হতে পারে।
খালি পেটে যে ছয়টি খাবার উপকারী
১. আমলকি (আমলা): ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমানো এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।
২. দারুচিনি পানি ও গোলমরিচ গুঁড়া: দারুচিনি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করা কমায়। গোলমরিচের ‘পাইপেরিন’ উপাদান দারুচিনির কার্যকারিতা আরও বাড়াতে সহায়ক। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মেথি ভেজানো পানি: মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন ঘরোয়া উপায়। এতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে। এক টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং রক্তচাপও কমতে পারে।
৪. হলুদ পানি ও লেবুর রস: হলুদের ‘কারকিউমিন’ উপাদান রক্তে শর্করা কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। লেবুর রস এর কার্যকারিতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিড রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। সকালে গুঁড়ো ফ্ল্যাক্সসিড পানি বা স্মুদির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
৬. টমেটো ও ডালিমের রস: টমেটোর ‘লাইকোপেন’ ও ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুটির রস একসঙ্গে খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আঁশ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্যদিকে, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিয়মিত পানি পান, ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।
ডায়াবেটিস কেন বিপজ্জনক?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এর ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব এবং এমনকি হাত-পা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকিও তৈরি হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং অনিয়মিত মলত্যাগের কারণ হয়। এটি সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন কারণে দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ফল খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। চলুন জেনে নিই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ফলগুলো উপকারী।
১. কলা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘকাল ধরে একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোভিলাইকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর জন্য পুরোপুরি পাকা কলা খাওয়া জরুরি। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপরীত প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
২. কমলা
কমলা হলো ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস। এই সাইট্রাস ফলে কিছুটা রেচক প্রভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলায় থাকা ‘ন্যারিংজেনিন’ নামক একটি যৌগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ফাইবার পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন।
৩. নাশপাতি
নাশপাতি শুধু ফাইবারেই সমৃদ্ধ নয়, এতে ফ্রুকটোজ এবং সরবিটলও রয়েছে। এই দুটি উপাদান মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই নিয়মিত নাশপাতি খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।
৪. আপেল
আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া উভয়ই উপশম করতে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার মলত্যাগ বৃদ্ধি করে। আপেলের ভেতরের অংশে ‘পেকটিন’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে পাতলা পায়খানা হলে খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ভালো।
৫. পেঁপে
পেঁপে একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল, যা পানি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে ‘পেপেইন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর। পেঁপে অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খেয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো। নিয়মিত এই সুস্বাদু ফল খেলে পেটের সুস্থতা নিশ্চিত থাকে।
আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে
রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হয়েছে।
নুরের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে নুরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘নুর ভাইকে আবারও সিটি স্ক্যান করার জন্য নেওয়া হচ্ছে!’ এটি নুরের ফেসবুক আইডির অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নুরের এই পোস্টে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন অনুসারীরা। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহ ভাইকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুক, আমিন।’ কেউ কেউ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ