হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম

অমাবস্যা তিথির দ্বিতীয় জোড়ের শেষ দিন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রচণ্ড বজ্রপাত, মেঘের গর্জন ও অতি ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মিঠাপানির মাছের প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে রুই জাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার নদীতে প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। এ সময় নদীতে অবস্থানরত ডিম সংগ্রহকারীরা হাঁকডাক শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৫০০-৬০০ ডিম সংগ্রহকারী ৩৫০-৪০০ নৌকা, জাল ও পাতিলসহ সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামেন। যদিও ভোর রাতের দিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে, তবুও প্রচুর পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করতে পেরে ডিম সংগ্রহকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ডিম সংগ্রহের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায় হালদা নদীর মদুনাঘাট ছায়ারচর থেকে রামদাস মুন্সিরহাট, আমতুয়া, নাপিতার ঘোনা, আজিমের ঘাট, মাছুয়াঘোনা, কাগতিয়া, সিপাহী ঘাট, নয়াহাট, পুরালিয়া স্লুইসগেট, কেরামতালির বাক এবং অঙ্কুরীঘোনা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রতি নৌকায় ৩-১২ বালতি (৮-১০ লিটার) নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ হয়েছে। গড়ে ৭-৮ বালতি ডিম পাওয়া গেছে, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে হালদায় মা মাছ ডিম দেয়নি। ২০২৩ সালে সংগ্রহ হয়েছিল ১৪,৬৬৪ কেজি, ২০২২ সালে সাড়ে ৬ হাজার, ২০২১ সালে সাড়ে ৮ হাজার, আর ২০২০ সালে রেকর্ড ২৫,৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছিল। এবার প্রায় ১৪ হাজার কেজি ডিম সংগৃহীত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহল আশাবাদী।
প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর জানান, এবার কাগতিয়া, সিপাহী ঘাট, নয়াহাট, পুরালিয়া স্লুইসগেট ও কেরামতালির বাকসহ কিছু এলাকায় প্রত্যাশিত পরিমাণে ডিম সংগ্রহ হয়েছে। তিনি নিজে ১০টি নৌকায় প্রায় ৩৫-৩৭ বালতি নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন। এসব ডিম সরকারি ও বেসরকারি হ্যাচারিতে ও মাটির কুয়ায় রেনুতে পরিণত করা হবে এবং চারদিনের মধ্যেই বিক্রয়যোগ্য পোনা হিসেবে রূপ নেবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী জানান, হালদা পাড়ে ডিমের পরিস্ফুটনের জন্য হ্যাচারিগুলোতে ডিম সংগ্রহকারীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ১৮ ঘণ্টার মধ্যে রেনু তৈরি হবে, তারপর তিনদিন ধরে নার্সিং করা হবে এবং ৯৬ ঘণ্টা পর পোনা বিক্রির উপযোগী হবে। এই রেনুগুলো দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাছচাষিদের কাছে চাহিদাসম্পন্ন, কারণ প্রাকৃতিক রেনু দ্রুত বড় হয় এবং সুস্থ থাকে।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় গত এক বছরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, অবৈধ ড্রেজার ধ্বংস, জাল জব্দ, বালু উত্তোলনের নৌকা ধ্বংসসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের সুফল হিসেবে হালদা তার পুরনো ঐতিহ্যে ফিরছে। এবারের ডিম প্রাপ্তির সাফল্যে প্রশাসনও সন্তুষ্ট।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, এবার রুই জাতীয় মা মাছ ডিম দিয়েছে এবং সংগ্রহকারীরা বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সফলভাবে বিপুল পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, “হালদা রক্ষায় একাধিক সংস্থা ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই আজকের সাফল্য সম্ভব হয়েছে।” তিনি হালদাকে বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনার এক সফল উদাহরণ হিসেবেও অভিহিত করেন।
ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিরল প্রজাতির একটি ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের একটি বসতবাড়ির পাশ থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
জালে আটকে ছিল অজগরটি
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য মো. আমির হোসাইন শাওন এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বসতবাড়ির পাশের একটি জালে সাপটি আটকা পড়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা জাল কেটে অজগরটিকে উদ্ধার করি।” তিনি জানান, এটি বার্মিজ প্রজাতির একটি অজগর, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি।
সুস্থ করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে
শাওন আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় জালে আটকে থাকার কারণে সাপটি কিছুটা আঘাত পেয়েছে। এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।”
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, যারা আগে আওয়ামী লীগ করতেন এবং এখন বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তাদের আসা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, তবে দলে যোগ দেওয়ার আগে বিএনপি নেতাদের ওপর করা অত্যাচারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।
‘হাইব্রিড’ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা নয়
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপিকে মন বড় করে ক্ষমা করতে পারার প্রমাণ দিতে হবে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার চেষ্টা করছে, তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করে তাদের স্বাগত জানানো উচিত। তিনি বলেন, “আমাদের মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব মাফ করা।”
তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ বছর ধরে অনেককে আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিয়ে জীবিত থাকতে হয়েছে। দেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আসার পরও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এখন অনেকে চাঁদা আদায় করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এই ধরনের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি দুবার ভাববেন না।
‘দলে গ্রুপিং চলবে না’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার জন্য বিএনপিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী দলে গ্রুপিং তৈরি করছে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যদি বেগম জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবেসে থাকেন এবং জিয়া পরিবারকে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে জিয়া পরিবারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।”
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ও ওয়াদা
নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, যখন তাকে এই দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়, তখন তিনি ‘আয়নাঘরে’ ছিলেন। এই সম্মান তাকে তারেক রহমান দিয়েছেন এবং তিনি সম্মানের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছেন। তিনি তার বাবার প্রসঙ্গে বলেন, তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলে গিয়েছেন, তার জন্ম রাউজানে হলেও রাঙ্গুনিয়ায় যেন তাকে মাটি দেওয়া হয়। তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ তাকে নিজেদের সন্তান মনে করতেন।
তিনি ওয়াদা করে বলেন, জিয়া পরিবার রাঙ্গুনিয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা তিনি মেনে নেবেন এবং যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবেন। তিনি আশা করেন, বাকি যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তারাও একই ধরনের ওয়াদা করবেন। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যকে সংসদে পাঠাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জনসভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শওকত আলী নূরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ জালিয়াতির অভিযোগে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করার পর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যেভাবে ধরা পড়লেন জুবায়ের
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন জানান, গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জুবায়ের। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে না গিয়েও জালিয়াতি করে ভুয়া এন্ট্রি সিল দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলা ও জেলহাজতে প্রেরণ
জালিয়াতির অভিযোগে দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তুহিন হোসেন বাদী হয়ে জুবায়েরের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
সংরক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে উত্তরাঞ্চলের মাঠে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার টন ফসল। বছরে আলু, আম ও সবজি মিলিয়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টন ফসল নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। এতে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ে হিমাগার ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে এই লোকসান দিন দিন বাড়বে এবং দেশের জাতীয় অর্থনীতিও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।
লোকসানের ভয়াবহ চিত্র
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে মৌসুমে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টন আলু পচে যায়। প্রতি কেজি ১৫ টাকা ধরলেও এর ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা। একইভাবে, নওগাঁয় উৎপাদিত ৪.৫ লাখ টন আমের মধ্যে প্রায় ১.৫ লাখ টনই নষ্ট হয়। প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে ধরলেও ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ কোটি টাকা। রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আমেরও ১০-১৫ শতাংশ নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে উৎপাদিত সবজির ২৫ শতাংশই পচে যায় বা কম দামে বিক্রি হয়। এতে ২৫০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
কৃষকের দুর্ভোগ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ফায়দা
বগুড়ার কৃষক সেলিম মিয়া জানান, হিমাগারের ভাড়া বেশি এবং জায়গা পাওয়া কঠিন। বাধ্য হয়ে ৩০ টাকা খরচ করে উৎপাদিত আলু তিনি পাইকারদের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেলিম মিয়ার মতো হাজারো কৃষকের এটি প্রতিদিনের চিত্র। মৌসুম শেষে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ফসল বাজারে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীরা হিমাগারে জায়গা আগাম বুকিং দিয়ে রাখেন। ফলে কৃষকরা জায়গা পান না। যারা পান, তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া ও পরিবহন খরচ। পরে এই আড়তদাররাই ধীরে ধীরে বাজারে পণ্য ছাড়েন, দাম নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক গুণ বেশি লাভ তুলে নেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানও এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা যারা বড় আড়ত চালাই, তারাই মূলত দাম ঠিক করি।”
বিশেষজ্ঞ ও সরকারের পরিকল্পনা
কৃষি গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান খান বলেন, আলু, পেঁয়াজ, আম—এগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে কৃষক লোকসান গুনছেন আর আড়তদাররা দাম নিয়ন্ত্রণ করে ফায়দা তুলছেন। তাই উপজেলা পর্যায়ে ছোট-মাঝারি হিমাগার ও প্রি-কুলিং সুবিধা প্রয়োজন।
কৃষি গবেষণা জার্নালের গবেষক হোসেন মো. আলমগীর বলেন, প্রি-কুলিং, গ্রেডিং ও প্যাকহাউস সুবিধা না থাকায় উত্তরবঙ্গের বড় অংশের ফসল মাটিতে মিশে যাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সমস্যা সমাধানে সরকার নতুন হিমাগার স্থাপনের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২১০ কোটি টাকার বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ ও স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পোস্ট-হার্ভেস্ট ক্ষতি ২০-২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০-১২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ইসলামী শিক্ষা প্রসারের জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়।
‘গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে গানের মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, এটি মুসলিম সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। বক্তাদের ভাষ্য, “গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না, বরং তা চরিত্রে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলামি আদর্শে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে যোগ্য আলেমদের দ্বারা ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে ইসলামি মূল্যবোধ সংকুচিত হচ্ছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে প্রাধান্য না দিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “এই দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ তাদের জন্য ফরজ দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না হলে সারা দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামিক শিক্ষকের আবশ্যিক নিয়োগের দাবি জানান। এই কর্মসূচিতে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আব্দুল আজিজসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
চট্টগ্রামের রাউজানে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বণিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
যেভাবে ঘটলো অগ্নিকাণ্ড
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় শিক্ষক সিদুল কান্তি ধর জানান, সন্ধ্যায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রাউজান ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তার আগেই ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভস্মীভূত সবকিছু
আগুনে যেসব পরিবারের ঘর পুড়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—হারাধন ধর, প্রদীপ ধর, বিশু ধর, কৃষ্ণ পদ ধর, লিটন ধর, টিটন ধর, অখিল ধর, কার্তিক ধর, কাঞ্চন ধর, মিলন ধর, পরিমল ধর, বাবুল ধর এবং শ্যামল ধর।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে তারা ঘরের কোনো মালামালই বের করতে পারেননি। নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ সবকিছু আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী অসহায় হয়ে পড়া এই পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তার জন্য প্রশাসন এবং সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রাউজান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স সার্ভিসের ইনচার্জ সামশুল আলম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
বরিশালে কারিগরি শিক্ষার্থীরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাত দফা দাবিতে আন্দোলনরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা নগরীর ব্যস্ততম চৌমাথা মোড়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে এ ঘোষণা দেন। প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক মাহফুজুল আলম মিঠু।
তিনি সমাবেশে বলেন, “কারিগরি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তাই আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, তারা বরিশালে প্রবেশ করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করে আসছে। বরং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে চাকরি কাঠামোতে বৈষম্য দূরীকরণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মর্যাদা নিশ্চিত করা, পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষার সঠিক সময়সূচি নির্ধারণ, এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
জীবন্ত নবজাতককে কবরস্থানে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে চাঁদপুরের কুমিল্লা রোডের দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত এই নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নবজাতককে দাফন করার সময় সে নড়েচড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল থেকে নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, ওই নবজাতকের জন্ম হয়েছিল দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালেই। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
প্রশাসনের অভিযান ও ব্যবস্থা
ঘটনার পর দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি। তিনি জানান, অভিযানে এসে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি), প্যাথলজি এবং অন্যান্য কক্ষগুলোর পরিবেশ যথাযথ ছিল না। এছাড়া, পোস্ট-অপারেটিভ রোগীর জন্য কোনো সুব্যবস্থা এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নবায়ন করা ছিল না।
প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওটি এবং প্যাথলজিসহ সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে থাকা রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হবে, যিনি পরবর্তীতে হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কোনো সদস্যকে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে এই বার্তা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাইকিং করছেন। তিনি বলছেন, “সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেছেন, এই আহ্বানের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
পাঠকের মতামত:
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
- এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
- মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা
- ২৪ সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের দৌড়ে ভারতের ‘হোমবাউন্ড’
- ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও সংবাদ সম্মেলন বাতিল করল পাকিস্তান
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ‘নান্দো’ এবার সুপার টাইফুনে পরিণত হচ্ছে
- এটি দ্বিতীয় বিয়ে, আবদুল হান্নান মাসউদের আংটি বদল নিয়ে বিতর্ক
- কাজের চেয়ে কথায় পটু এই তারকা, পারফরম্যান্সের চেয়ে মন্তব্যে বেশি আলোচিত
- কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ, তবুও ক্রেতাদের ভিড়
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
- স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে গৃহবধূকে গরম তেলে হাত চুবাতে বাধ্য করা হলো
- মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
- ট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে: এ্যানি
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ইসরায়েলিদের পিটিশন
- বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
- মোবাইলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখবেন যেভাবে, জানুন সহজ উপায়
- সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
- প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
- অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
- গাজা যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- বাড়ছে বাণিজ্য, বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার আজকের হার
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসতে কোনো আপত্তি নেই: হুম্মাম কাদের
- সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
- নেহা ভাসিন বনাম এলনাজ নরৌজি: জিম লুকে কার স্টাইল বেশি পছন্দ?
- ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস
- নতুন লুকে পূর্ণিমা, ছবি দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
- ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, পরিসংখ্যান কাদের পক্ষে?
- কাল্কি বিতর্কের পর দীপিকার নতুন শুরু: শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’
- ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে লুকা জিদান
- পিআর পদ্ধতি ভারতের নীলনকশার অংশ: সরওয়ার আলমগীর
- যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
- ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারে টানা পতন: সূচকে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- “গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
- বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
- ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
- “গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
- “টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার