পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:১৭:১৫
পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর পক্ষে সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মূলত বিএনপি এই আসনটি তাদের জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ায় এবং সেখানে মাওলানা জোনায়েদ আল হাবিবকে প্রার্থী করায় রুমিন ফারহানা এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় নিজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রুমিন ফারহানা। বিএনপি থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখনো আমি এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। তারা যদি বলে তাহলে আমি সেই পথে (পদত্যাগ) যাব। তবে নির্বাচন আমি করবই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা থাকলেও এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা জানান যে তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই আসনে দলের জন্য কাজ করেছেন এবং এলাকার মানুষের ব্যাপক সমর্থন তাঁর সাথে রয়েছে। তিনি বলেন, “এত বড় দল (বিএনপি) তাদের ভালো-মন্দ দেখতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে! দল বাধ্য হয়ে তাদের আসন দিয়েছে।” দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বহিষ্কারের যে হুমকি রয়েছে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে দল ব্যবস্থা নিতে চাইলে নিতে পারে, তবে তিনি মনোনয়ন কেনার আগেই সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।

উল্লেখ্য যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রুমিন ফারহানার এই স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা জোটের প্রার্থীর জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রুমিন ফারহানা নিজেকে এলাকার মানুষের ‘শক্তি ও সাহসের উৎস’ হিসেবে দাবি করেছেন এবং নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় যে বিএনপি হাই কমান্ড তাঁর এই বিদ্রোহী প্রার্থিতার বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কী ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:১০:৫৪
তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে ফিরে আসাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে আন্তরিক স্বাগতম জানান। নাহিদ ইসলাম তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নিজের দেশে ফেরার এই অধিকার পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও শক্তিশালী প্রতিফলন।

নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক বার্তায় তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের ওপর বিগত বছরগুলোতে হওয়া রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরে লেখেন, “তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাঁকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং হাজারো শহীদের রক্তদানের মাধ্যমে আজ এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যেখানে রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে তিনি স্বদেশে ফিরতে পেরেছেন। নাহিদ ইসলাম এমন এক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে আর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের শিকার হতে হবে না।

এনসিপি আহ্বায়কের মতে বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে দেশ আজ এক মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছে। এই নতুন বাস্তবতায় প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইনের শাসন এবং সমান রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন। তবে একই সাথে তিনি সতর্ক করে বলেন যে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হবে এই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পোস্টের শেষ অংশে নাহিদ ইসলাম তারেক রহমানকে স্বদেশে পুনরায় স্বাগত জানিয়ে তাঁর আগামীর রাজনৈতিক পথচলা ফলপ্রসূ হওয়ার কামনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর আগে সকালে এনসিপির আরেক শীর্ষ নেতা সারজিস আলমও তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরণের ইতিবাচক সহাবস্থানের আবহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।


আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:০১:২৯
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ বার্তার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পোস্টে তিনি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ এবং তিনিই যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন আবার যাঁর থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

তারেক রহমান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ তাঁর এই বার্তার মাধ্যমে একদিকে যেমন বিনয় প্রকাশ পেয়েছে, অন্যদিকে গত দেড় দশকের রাজনৈতিক নিপীড়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আল্লাহর ওপর অটুট বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন তাঁর অনুসারীরা।

এর আগে বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দেওয়ার সময় এবং যাত্রাপথেও তিনি একাধিক পোস্ট দিয়ে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তাঁর বিমান প্রথমে সিলেটে অবতরণ করে এবং পরবর্তীতে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি রাজধানী ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বরণ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ক্ষমতার পালাবদল এবং দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের এই আধ্যাত্মিক ও বিনয়ী বার্তা দেশের মানুষের মাঝে এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন দেশের রাজনীতি এক নতুন মোড় নিয়েছে, তখন তাঁর এই ‘ক্ষমতা আল্লাহ দেন এবং কেড়ে নেন’ এমন উক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিকেলে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৪:১৯:১৮
ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঐতিহাসিক এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক ও জনআবেগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট হয়ে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এ অবতরণ করে। বিমানবন্দর এলাকায় অপেক্ষমাণ লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমান।

এই অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চারটি ছবি প্রকাশ করেন। ছবির ক্যাপশনে সংক্ষিপ্ত অথচ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় তিনি লেখেন “সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।” এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

এর আগে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছালে তারেক রহমানকে প্রথমে বরণ করে নেন তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। পরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে একে তাকে অভ্যর্থনা জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা। এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে গুলশানের ঐতিহাসিক ১৯৬ নম্বর বাড়ি, যা বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান সেখানে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা ও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শেষে তারেক রহমান বর্তমানে তার জন্য নির্মিত প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া-কে দেখতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় পর মা-ছেলের এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিশেষ আবেগের জন্ম দিয়েছে।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

-রফিক


তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৩:২৩:৫৮
তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–এর প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপি ছাড়ার বিষয়টি জানান। ‘একটি বিশেষ ঘোষণা’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি আর এনসিপির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখছেন না এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

ফেসবুক পোস্টে মীর আরশাদুল হক উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করেই তিনি এই ঘোষণা দিচ্ছেন। তার ভাষায়, এই দিনটি তার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনি মনে করেন বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের নেতৃত্বই দেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প।

উল্লেখ্য, এনসিপিতে মীর আরশাদুল হক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিবের পাশাপাশি নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য, মিডিয়া সেল ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, পরিবেশ সেলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী। একই সঙ্গে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

এনসিপি নিয়ে নিজের হতাশার কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে তিনি লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, বাস্তবে গত ১০ মাসে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তার মতে, দলীয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দিক থেকে এনসিপি সেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি সেই ভুল পথে আর এগোতে চান না।

তিনি আরও বলেন, দল ছাড়লেও এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং তিনি তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মীর আরশাদুল হক মন্তব্য করেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও জোট সরকার গঠন করতে পারলেই দেশ একটি কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পথে এগোতে পারবে। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য, কর্মকৌশল ও রাজনৈতিক অবস্থান তাকে গভীরভাবে আশাবাদী করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল ধর্মীয় আবেগ ও পপুলিজমকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, সেখানে তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, কর্মসংস্থান ও সংস্কৃতির মতো সাধারণ মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলোতে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক রূপরেখা তুলে ধরছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

শেষাংশে তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হুজুগ বা আবেগ নয়, বরং দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করা প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সেই সমর্থন প্রকাশ করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

-রাফসান


ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৩:১৬:৪৭
ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পরপরই তারেক রহমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে নেমেই তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমান–এর বিজি ২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ।

বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানে এক আবেগঘন মুহূর্তে অপেক্ষারত তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তাকে গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

ভিআইপি লাউঞ্জেই অবস্থানকালে তারেক রহমান মোবাইল ফোনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপকালে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার পুরো প্রক্রিয়ায় গৃহীত নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ ও আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপি সূত্রের মতে, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। পরিবারসহ তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

-রফিক


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১২:০১:৩৭
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে স্বদেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রভাবশালী নেতা সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। সারজিস আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে স্বৈরাচারের পতন এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই সন্ধিক্ষণে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।” তাঁর এই বার্তাটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এনসিপি ও বিএনপির মধ্যকার আগামীর সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল ছিল।

আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে বিএনপির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সারজিস আরও লেখেন, “পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।” সারজিসের এই মন্তব্যকে বিশ্লেষকরা আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের ডাক হিসেবে দেখছেন।

এদিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ইতিমধ্যেই ঢাকার আকাশে অবস্থান করছে। সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজিরবিহীন কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেছে। সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বলয় বিমানবন্দর এলাকাটিকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছে। সাধারণ জনতার প্রবেশাধিকার না থাকলেও বিমানবন্দরের আশপাশে উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। সারজিস আলমের এই স্বাগত বার্তা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও বাড়তি উদ্দীপনা জুগিয়েছে।


ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:৪৪:১০
ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসে কাটানোর পর অবশেষে নিজ জন্মভূমির মাটিতে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা ‘গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড’ সম্পন্ন করে। লণ্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে এই ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সপরিবারে দেশের উদ্দেশ্যে ডানা মেলেছিলেন তিনি।

তারেক রহমানের ফিরে আসা কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা আজ এক উৎসবমুখর এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ বা বুলেট নিরোধক গাড়ি ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অভ্যর্থনা শেষে তিনি সড়কপথে কুড়িল হয়ে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। সেখানে সমবেত লক্ষ লক্ষ জনতার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারেক রহমান দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সংবর্ধনা স্থলে অবস্থান করবেন। এরপর তিনি সড়কপথে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে যাত্রা করবেন যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৭ বছর পর মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন দেশের রাজনীতিতে এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে এক বিশাল পরিবর্তনের সংকেত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বেবিচক। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সোয়াট টিম এবং র‍্যাবের বিশেষ ইউনিটগুলোকে পুরো রুট জুড়ে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাঁর সাথে একই ফ্লাইটে বিএনপির আরও প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী স্বদেশে ফিরেছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।


বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:৩২:৩৮
বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের গত সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসে আজ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির গত ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ যা ঘটতে যাচ্ছে তা সমসাময়িক রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং পুরো দেশবাসী সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে প্রহর গুনছে।

দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চলা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের কথা স্মরণ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন যে ছাত্র জনতার অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি এসেছে। তাঁর মতে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বর্তমানে দেশে যে মুক্তির আবহ বিরাজ করছে তারেক রহমানের ফিরে আসা সেই আবহে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি মনে করেন যে এই প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার ঘরে ফেরা নয় বরং এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এক প্রতীকী বিজয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে সর্তকবার্তা উচ্চারণ করে বলেন যে ফ্যাসিবাদের দোসর এবং তাদের দেশি-বিদেশি মিত্ররা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির সামনে এই ধরণের অপচেষ্টা কেবল তাদের জন্যই ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা দেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে চায় তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা।

ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিএনপি একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন আকাঙ্ক্ষা সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই তা পূর্ণতা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির একঝাঁক সদস্যের উপস্থিতিতে তারেক রহমানকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে আজ এক উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:০৮:১৯
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদ ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর আজ স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় এক উৎসবমুখর এবং আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বিমানবন্দরে উপস্থিত রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলসহ দলের একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তাঁর এই ফিরে আসাকে বিএনপির রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা 'গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড' শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিমানটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ডানা মেলবে। সব ঠিক থাকলে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন যেখানে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।

তারেক রহমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এটি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতার ফিরে আসা নয় বরং এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের দীর্ঘ লড়াইয়ের এক বড় বিজয়। বিকেল নাগাদ তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান কারিগর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের... বিস্তারিত