ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৫৭:৩৫
ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত এই দলটি নির্বাচনের মাঠে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

দলটির নেতারা বিভিন্ন সংসদীয় আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও এরই মধ্যে ফরম নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দলটি মোট ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে।

এনসিপি গত ৬ নভেম্বর থেকে এই ফরম বিতরণ শুরু করেছে, যা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। প্রার্থীরা শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই নয়, বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকেও ফরম নিতে পারছেন। পাশাপাশি, অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ডা. তাসনিম জারা জানিয়েছেন, 'খুবই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশের' মধ্য দিয়ে এনসিপির মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কাজ চলছে। তিনি বলেন, শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ইতোমধ্যে ফরম কিনেছেন এবং বাকিরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফরম বিতরণ শুরুর দিন থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে কার্যালয়ে আসছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসন থেকে এবং সদস্য সচিব আখতার রংপুর-৪ আসন থেকে লড়বেন। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী হবেন।

এছাড়া, এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে সরকারে থাকা দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদও নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, তারা তাদের বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ এবং আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

দলীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, ঢাকা-১৩ আসনে আকরাম হুসেইন, ভোলা-১ আসনে সামান্তা শারমিন, নরসিংদী-২ আসনে সারোয়ার তুষার এবং নোয়াখালী-৬ আসনে আবদুল হান্নান মাসউদ প্রার্থী হবেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল আমিন, কুমিল্লা-১০ আসনে জয়নাল আবেদীন শিশির, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আতিক মুজাহিদ এবং ফেনী-২ আসনে সালেহ উদ্দিন সিফাত লড়বেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোল্লা ফারুক এহসান, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মীর আরশাদুল হক, ঝালকাঠি-১ আসনে মশিউর রহমান এবং ঢাকা-৫ আসনে নিজাম উদ্দিনের নাম আলোচনায় আছে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মাহিন সরকার, নওগাঁ-৫ আসনে মনিরা শারমিন, পটুয়াখালী-২ আসনে মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আশরাফ উদ্দীন মাহাদী প্রার্থী হচ্ছেন।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ-২ আসনে এসএম সাইফ মোস্তাফিজ, বাগেরহাট-৩ আসনে মোল্যা রহমতুল্লাহ, ফেনী-১ আসনে এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নীলফামারী-৪ আসনে আবু সাঈদ লিয়ন, ঝালকাঠি-১ আসনে আরিফুর রহমান তুহিন এবং মেহেরপুর-২ আসনে সাকিল আহমাদ প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

দলের যুগ্ম সদস্য সচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনও শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, বাকিরাও কিছুদিনের মধ্যেই কিনবেন।" তবে ঠিক কতজন ফরম কিনেছেন, সেই সংখ্যাটি তিনি এখনই প্রকাশ করতে চাননি, বলেছেন পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে। তিনি আরও যোগ করেন যে, প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়গুলোতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম কেনার জন্য আসছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, শুধু শীর্ষ নেতারাই নন, সাবেক আমলা, অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষও এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন।

এদিকে, দলের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে এবং সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। গত বৃহস্পতিবার নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে 'জুলাই যোদ্ধা' এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ২ হাজার টাকায় ফরম দেওয়া হচ্ছে।


ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:১৭:৪৫
ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশ—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—এর মধ্যে নতুন উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিচুক্তির স্থায়িত্ব রক্ষায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন এবং তাদেরকে শান্তিচুক্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ২৬ অক্টোবর এশিয়া সফরকালে ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে কো-সাইন করেন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যেটিকে তিনি তাঁর বৈশ্বিক শান্তি প্রচেষ্টার অন্যতম সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত মীমাংসায় তাঁর ভূমিকা তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার করে তুলেছে।

তবে চুক্তি সইয়ের মাত্র কয়েকদিন পর পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। সোমবার থাইল্যান্ড চুক্তি স্থগিত করে, অভিযোগ করে যে সীমান্ত এলাকায় একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে তাদের সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর বুধবার দুই দেশের মধ্যে নতুন সংঘর্ষের অভিযোগ উঠে, যেখানে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে গোলাগুলিতে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

ফ্লোরিডাগামী এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, দুই দেশের নেতাদের তিনি ইতোমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, “আমি আজই একটি যুদ্ধ থামিয়েছি—শুল্ক ও শুল্কের হুমকি ব্যবহার করে।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, বিষয়টি তিনি সরাসরি নিজের কূটনৈতিক দক্ষতা ও চাপ প্রয়োগের কৌশলের সফল উদাহরণ হিসেবে দেখাতে চান।

হোয়াইট হাউস জানায়, মালয়েশিয়ার সঙ্গেও ট্রাম্প যোগাযোগ করেছেন, যারা থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল। কুয়ালালামপুরেই চুক্তিটি যৌথভাবে সই করা হয়েছিল।

এই উত্তেজনার পটভূমি বহু পুরনো। ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি সীমান্ত মানচিত্র নিয়ে শতবর্ষের বিরোধ নতুন করে উসকে দেয় দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস। সীমান্তবর্তী কয়েকটি মন্দিরকে কেন্দ্র করে মালিকানা বিতর্কই সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দু। গত গ্রীষ্মে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে ৪৩ জন নিহত হয় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়—যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার এক কঠিন স্মারক হয়ে আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাময়িক যুদ্ধবিরতির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুই দেশের ইতিহাস, সীমান্তব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অবস্থানের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। নতুবা যে কোনো সময় ছোট একটি ঘটনার সূত্র ধরে বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের ফোনালাপ ও মধ্যস্থতা পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়তা করতে পারে, তবে প্রকৃত সমাধান নির্ভর করছে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির বাস্তব অগ্রগতির ওপর।

-নাজমুল হাসান


গণভোটে ‘না’–এর ডাক: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা জয়নুল ফারুকের কঠোর অবস্থান ও নির্বাচনী সমীকরণের নতুন বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ২২:১৩:০৬
গণভোটে ‘না’–এর ডাক: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা জয়নুল ফারুকের কঠোর অবস্থান ও নির্বাচনী সমীকরণের নতুন বার্তা

গণভোটকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে যখন নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সরাসরি ভোটারদের উদ্দেশে ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার প্রত্যেক ভোটারের হাতে থাকবে দুটি ব্যালট পেপার। একটিতে থাকছে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লাসহ বিভিন্ন প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটি ব্যালটে থাকবে গণভোটের জন্য “হ্যাঁ” বা “না” চিহ্ন। তাঁর ভাষায়, বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটারদের সুনির্দিষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কোন ব্যালটে কোন প্রতীকে টিক চিহ্ন দেওয়া উচিত, এবং গণভোটের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ হওয়া উচিত “না”।

শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী–২ আসনের সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মহিলা দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এই অবস্থান স্পষ্ট করেন।

নিজের বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ঘিরে এক ধরনের “চক্রান্ত” চলছে। তাঁর অভিযোগ, কারও বক্তব্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হচ্ছে, আবার কেউ কেউ নতুনভাবে উপ–প্রধানমন্ত্রীর দাবি তুলছেন। তিনি বলেন, কিছু দিন আগেও বলা হচ্ছিল পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না, গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এখন দাবি পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।

মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই নির্বাচনী লড়াই ঠেকিয়ে রাখার নয়; যে করেই হোক এই লড়াই জিততে হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি জয়ী হলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে দেশে অন্তত এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের রাজনৈতিক সততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি।’ একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন যে এবারের নির্বাচন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শেষ লড়াই হতে পারে। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে ব্যক্তি হিসেবে অপছন্দ করা যেতে পারে, কিন্তু ধানের শীষকে নয়।

মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের প্রতি কঠোর বার্তাও দেন তিনি। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন—এ ধারণা ভুল। তিনি বলেন, এখন আর মিছিল-মিটিংয়ের সময় নয়, বরং তারেক রহমানের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করাই হবে দলের ভবিষ্যৎ সাফল্যের চাবিকাঠি।

সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লা আল মামুন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া আক্তার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন এবং সদস্যসচিব সহিদ উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে একধরনের সংগঠিত এবং প্রতীকী শক্তির ইঙ্গিত বহন করে।

আমিন/৯৮


গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৪:৫২:৪২
গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ
রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার সকালে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, মনে রাখতে হবে কেবল গণভোটের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন কিংবা সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। এর জন্য জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে, কারণ এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সার্বভৌম হাউস।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ’ শীর্ষক মৌন মিছিলের আগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে বিএনপির মিডিয়া সেল।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবারের সমাবেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মাধ্যমে প্রকাশিত প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে।

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, কোনো রকমের জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে দিতে চাই না।” তিনি মনে করেন, জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বকে ডিকটেড করানোর মতো কোনো প্রস্তাব বা আরোপিত বিষয় থাকতে পারে না।

ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী হওয়ায় বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতির একটি আদেশ জারি করা হয়েছে এবং জুলাই জাতীয় সনদসহ সেই আদেশের ওপর গণভোট আয়োজনের আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদে যে বিষয়গুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে, বিএনপি তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে সনদের বাইরের কোনো বিষয় যদি আরোপ করা হয়, তার সঙ্গে বিএনপি একমত হবে না এবং স্বাক্ষরে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সেটি কোনো বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে নোট অব ডিসেন্টে মীমাংসিত। এটি নতুন করে আরোপ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেছিলেন, “জুলাই জাতীয় সনদে যে আদেশটা জারি করা হয়েছে, সেটির মধ্যে অনেকগুলো আছে নিত্যনতুন, তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রস্তাবগুলো করা হয়েছে।”


“হাসিনার পরিকল্পনায় বিপদে আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কর্মীরা”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১০:৫৮:১৫
“হাসিনার পরিকল্পনায় বিপদে আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কর্মীরা”
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ও নিরপরাধ নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে অযথা সন্দেহের মুখে পড়তে পারেন। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন এবং দলটির কর্মীদের প্রতি বেশ কিছু সতর্কতাও উচ্চারণ করেন।

রাশেদ খান লিখেছেন, গত ১৫ মাস আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তুলনামূলকভাবে শান্তিতে ছিলেন। কিন্তু তার মতে, শেখ হাসিনা ‘তাদের শান্তিতে রাখতে চান না’। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে যেসব রাজনৈতিক পরিকল্পনা করছেন, তা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিজস্ব কর্মীদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

তার ভাষায়, “দিল্লিতে বসে হাসিনার ষড়যন্ত্রের ফাঁদে যারা রাজপথে নামবে, তারা তো বিপদে পড়বেই। বাকিরাও আওয়ামী লীগ করার কারণে সন্দেহের মধ্যে থাকবে। এর দায়টা শেখ হাসিনার।”

রাশেদ খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কর্মীদের এখন ‘পরীক্ষা দিতে হবে’ যে তারা কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। বরং তাদের উচিত হবে অপরাধী আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগ কর্মীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করা। তিনি স্পষ্ট করেন “নিরীহ আওয়ামী লীগের ওপর আমরা জুলুম করব না, কিন্তু কোনো অপরাধীর সঙ্গেও আপোষ নয়।”

এ সময় তিনি দাবি করেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা ছাত্রলীগকে অর্থসহায়তা দিয়েছে বা শেখ হাসিনাকে লালন–পালন করেছেন এদের নির্বাচনের আগেই নিয়ন্ত্রণে না আনলে তারা আবারও দেশকে অস্থির করতে পারে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে রাশেদ খান বলেন, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অত্যন্ত জরুরি। অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেপ্তার এসব ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।


রাজশাহীতে বিএনপির ‘দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ’: মনোনীত বনাম বঞ্চিত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১০:৪৬:৫৪
রাজশাহীতে বিএনপির ‘দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ’: মনোনীত বনাম বঞ্চিত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৪টিতে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই পুরো অঞ্চলজুড়ে তীব্র অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন পাওয়া ও বঞ্চিত প্রার্থীদের অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ, মশাল মিছিল, সংবাদ সম্মেলন ও শক্তি প্রদর্শনে ক্রমেই সংঘাতমুখী হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। অনেক এলাকায় নেতা–কর্মীরা সরাসরি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামায় ক্ষোভ, বিভক্তি ও অনিশ্চয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

রাজশাহী-৩: মহাসড়ক অবরোধে ঘণ্টাব্যাপী যানজট

রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ করে রায়হানুল হক ও নাসির হোসেনের সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের কারণে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।মনোনীত প্রার্থীর অনুসারীরা অভিযোগ করছেন এটি একটি “পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা” এবং দলকে বিভক্ত করার খেলা।

রাজশাহী-৫: দুই দিন ধরে উত্তাল সড়ক

নজরুল ইসলাম মণ্ডলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বঞ্চিত চার প্রার্থীর অনুসারীরা। পরদিন শিবপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।

স্থানীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠে দুর্বল করে দেবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: শাজাহান মিয়াকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ, মশাল মিছিল

এই আসনে ৯০ বছর বয়সী অধ্যাপক শাজাহান মিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে তাঁর বদলে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকতকে প্রার্থী করার।ফেসবুকে শওকতের ‘বঞ্চনার গল্প’ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। মঙ্গলবার কয়লাবাড়ী এলাকায় মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে তাঁর অনুসারীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: 'ফ্যাসিস্টের দোসর' অভিযোগ, বিক্ষোভ চরমে

আমিনুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে নাচোল ডাকবাংলা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন ইমদাদুল হক মাসুদের সমর্থকরা। তাঁরা আমিনুলকে সরাসরি “ফ্যাসিস্টের দোসর” বলে অভিযোগ করেন।

নওগাঁ: পাঁচ আসনের তিনটিতেই উত্তেজনা, অবরোধ ও পাল্টা কর্মসূচি

নওগাঁ-১, ৩ এবং ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একের পর এক সমাবেশ, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ চলছে।– নওগাঁ-১: সাবেক এমপি ছালেক চৌধুরীর সমর্থকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ– নওগাঁ-৩: পারভেজ আরেফিন জনির সমর্থকদের বিক্ষোভ– নওগাঁ-৪: সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল মতিনের অনুসারীদের মহাসড়ক অবরোধ

নাটোর-১: নতুন প্রার্থী, পুরনো ক্ষোভ

ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুলকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মনোনয়নবঞ্চিত ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজনের সমর্থকরা। লালপুর-বনপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

পাবনা ও জয়পুরহাটেও টানাপোড়েন

পাবনা-৩, জয়পুরহাট-১ ও জয়পুরহাট-২ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের অনুসারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। সড়ক অবরোধ, মিছিল, সমাবেশে tension বাড়ছে।

দলীয় নেতাদের সতর্কবার্তা

বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন—“বিএনপি বড় দল, অনেকেই মনোনয়ন চান। কিন্তু এখন মূল লক্ষ্য দলীয় প্রার্থীকে জেতানো। বিভেদ হলে সবচেয়ে বড় লাভবান হবে প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত।”

রাজশাহী বিভাগে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট যত গভীর হচ্ছে, ততই নির্বাচনী মাঠে বিরোধী শক্তিগুলোর জন্য “ওয়াকওভার” পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দল যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে এর প্রভাব ভরাডুবির মতো ভয়ঙ্কর ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


এনসিপি, জামায়াত ও বিএনপির ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা কুমিল্লা-৪ আসনে ভোটের হিসাব জটিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২০:৪৪:১৮
এনসিপি, জামায়াত ও বিএনপির ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা কুমিল্লা-৪ আসনে ভোটের হিসাব জটিল
সত্য নিউজ গ্রাফিক্স

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনটি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপি'র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও মনোনয়ন তুলেছেন।

তিন দলের প্রার্থী ও কঠোর অবস্থান

বিএনপি: এই আসনে দলের পরীক্ষিত নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হন। স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা তাঁর অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা রাখছেন।

জামায়াতে ইসলামী: জামায়াত এখানে তাদের প্রার্থী হিসেবে সাইফুল ইসলাম নাম ঘোষণা করেছে। এই অঞ্চলে জামায়াতের নিজস্ব ভোট ব্যাংক থাকায় তারা ভোটের সমীকরণকে জটিল করে তুলেছে।

এনসিপি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও এই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। তিনি তাঁর ২৮তম জন্মদিনের দিনই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ঘোষণা দেন, এই আসনটি তাঁর নিশ্চিত।

রাজনৈতিক সমীকরণ ও প্রভাব

আগের নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রধানত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেত। তবে এবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং এনসিপি'র মতো নতুন দলের উত্থান এই আসনের ভোটের বিভাজন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

জামায়াত ও এনসিপির প্রার্থীর উপস্থিতি বিএনপির ভোট ব্যাংকে ভাগ বসাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে নিজের সাবেক দুর্গে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

হাসনাতের ঘোষণা: এনসিপি সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর 'আসন নিশ্চিত' হওয়ার ঘোষণা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার তীব্রতা বাড়িয়েছে।

ফলস্বরূপ, কুমিল্লা-৪ আসনটিতে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পাল্লা ভারী হবে, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা।


জন্মদিনের দিনেই মনোনয়ন ফরম তুললেন এনসিপি সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২০:২৪:৪৬
জন্মদিনের দিনেই মনোনয়ন ফরম তুললেন এনসিপি সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ
হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলামটরে অবস্থিত এনসিপির কার্যালয় থেকে তিনি এই মনোনয়ন ফরম কেনেন।

জন্মদিনের দিনে মনোনয়ন

হাসনাত আবদুল্লাহর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের দিনটি কাকতালীয়ভাবে তাঁর ২৮তম জন্মদিনের সঙ্গে মিলে গেছে। ১৯৯৭ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ঠিক একই দিনে মনোনয়ন ফরম তুললেন।

বিজয় নিশ্চিতের ঘোষণা

মনোনয়ন ফরম নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর সমালোচকদের জবাব দেন। তিনি বলেন:

"অনেকে বলে আমরা নাকি মেম্বার ইলেকশনেও জিতব না। তাদের বলি, আজ এই কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে এই আসনটি আমার নিশ্চিত হয়ে গেল।"

এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি সমালোচকদের উদ্দেশ্যে নিজের বিজয় নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।


সংকট সমাধানে দায় এড়াচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা: সামান্তা শারমিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২০:১৩:৫৬
সংকট সমাধানে দায় এড়াচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা: সামান্তা শারমিন
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। ছবি : সংগৃহীত

'জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫' জারির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বা এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার ও প্রধান উপদেষ্টা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যার পর তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জুলাই সনদ আদেশ ঘোষণার পর সামান্তা শারমিন তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন:

"জুলাই সনদ আদেশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি সংকট ফেলে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলের উচিত, জনগণের স্বার্থ মাথায় রেখে কাজ করা। সরকার ও প্রধান উপদেষ্টা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।"

একই দিনে সরকার 'জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫' জারি করে।

বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো সাহাবুদ্দিন আদেশে স্বাক্ষর করেন এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই আদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো এখন গণভোটে তোলা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ওপর জনগণের মতামত নেওয়া হবে এই গণভোটের মাধ্যমে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দুটি বিকল্প সুপারিশ জমা দেয়। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল বহুল প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদে সই করে।


জামায়াতের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া: গণভোটের আগে কি আসছে নতুন সংকট?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৮:১৮:০১
জামায়াতের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া: গণভোটের আগে কি আসছে নতুন সংকট?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে যে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে যে ঘোষণা দিয়েছেন, জামায়াতের মতে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ এবং চলমান সংকটকে আরও জটিল করতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণ একটি সমস্যাহীন, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশায় ছিল। কিন্তু একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা সেই সংকটকে অমীমাংসিত রেখে দিয়েছে।

গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টা জনগণের অভিপ্রায় ও গণদাবিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, নভেম্বরে গণভোট আয়োজন এবং সার্বিক সংস্কার নিশ্চিত করার দাবিতে আট দল যে যৌথ আন্দোলন চালিয়ে আসছে, সে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আজকের ভাষণে সংকট সমাধানের বদলে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জামায়াত নেতা জানান, সন্ধ্যায় দলের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনা হবে এবং এরপর আনুষ্ঠানিক অবস্থান ও করণীয় ঘোষণা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনরত আট দলের শরিকদেরও নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। ১৬ নভেম্বর আট দল যৌথ বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।

গোলাম পরওয়ারের মতে, গণভোটের মূল উদ্দেশ্য সংস্কার-সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে জনগণের সুস্পষ্ট মতামত নেওয়া। কিন্তু ভোটাররা কোন কোন প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেবেন, তার স্পষ্ট ধারণা না থাকলে সেই গণভোটের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তিনি বলেন, ভোটারদের প্রথমে জানতে হবে কোন সংস্কার প্রস্তাব এসেছে, কী পরিবর্তন হবে এবং কেন তাদের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়া উচিত। সেই প্রস্তুতিবিহীন অবস্থায় একই দিনে দুটি ভোট আয়োজন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, অতীত নির্বাচনে সহিংসতা ও কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। যদি নির্বাচনের দিন কোন কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়, তবে গণভোটের ফলাফল কীভাবে গণ্য হবে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তাই নির্বাচন ও গণভোট আলাদা দিনে আয়োজনই অধিকতর নিরাপদ এবং যৌক্তিক বলে জামায়াত মনে করে।

তিনি বলেন, “আদালত বা আইনগতভাবে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য নির্বাচন-পূর্ব গণভোটই ছিল জাতীয় দাবি। সেই নিরসন হলো না। বরং নতুন একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো।”

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত