ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা

ইসলামে উত্তরাধিকার বা সম্পত্তি বণ্টনের নিয়মকে বলা হয় ফারায়েজ। এটি এমন এক বিধান যা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। কুরআনের সূরা আন-নিসা (৪:১১–১২, ১৭৬) তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পর একজন মুসলমানের সম্পত্তি কীভাবে ও কার মধ্যে ভাগ হবে। ইসলামী উত্তরাধিকার ব্যবস্থার মূল দর্শন হলো কারও প্রতি অবিচার না করা, পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষা করা এবং সম্পদকে সমাজে ন্যায্যভাবে সঞ্চালিত করা।
ইসলামিক আইন অনুযায়ী, সম্পত্তি বণ্টনের আগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফনের খরচ পরিশোধ করা হয়, এরপর তার জীবদ্দশার কোনো ঋণ থাকলে তা শোধ করতে হয়, এবং সর্বশেষে যদি মৃত ব্যক্তি কোনো ওসিয়তনামা (Will) করে যান তবে সেটি কার্যকর করতে হয় তবে ওসিয়তের পরিমাণ কখনোই সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি হতে পারে না। এই তিন ধাপ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরিয়াহ অনুযায়ী ভাগ হয়।
যদি কোনো পুরুষের মৃত্যু হয় এবং তার ছেলে না থাকে, তবে তার সম্পত্তি বণ্টিত হবে তার কন্যা, স্ত্রী, পিতা-মাতা ও ভাইবোনের মধ্যে। কন্যা বা মেয়ের ক্ষেত্রে কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে এক মেয়ে থাকলে সে পাবে মোট সম্পত্তির অর্ধেক (½), আর যদি দুই বা ততোধিক মেয়ে থাকে, তারা একত্রে পাবে দুই-তৃতীয়াংশ (⅔)। অর্থাৎ ছেলে না থাকলে মেয়েরাই প্রধান উত্তরাধিকারী। স্ত্রী জীবিত থাকলে, সন্তান থাকলে তিনি পাবেন মোট সম্পত্তির এক-অষ্টমাংশ (⅛), আর সন্তান না থাকলে এক-চতুর্থাংশ (¼)।
পিতা-মাতা উভয়েই জীবিত থাকলে তারা প্রত্যেকে পাবেন এক-ষষ্ঠাংশ (⅙) করে। তবে যদি মৃত ব্যক্তির কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে মা পাবেন এক-তৃতীয়াংশ (⅓) এবং পিতা পাবেন বাকি অংশ। ইসলামী শরিয়াহে পিতা-মাতার অধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; তারা জীবিত থাকলে কখনোই বঞ্চিত হন না।
এ ছাড়া ভাই-বোন তখনই উত্তরাধিকারী হন, যখন মৃত ব্যক্তির কোনো সন্তান ও পিতা জীবিত না থাকে। সেই ক্ষেত্রে একজন বোন এক-অর্ধেক (½) পায়, আর দুই বা ততোধিক বোন মিলে দুই-তৃতীয়াংশ (⅔) পায়। যদি ভাই-বোন একসাথে থাকে, তাহলে ভাগ হবে ২:১ অনুপাতে অর্থাৎ ভাইয়ের ভাগ মেয়ের দ্বিগুণ। এটি অনেকেই সমালোচনা করলেও ইসলামিক নীতিতে এটি ন্যায্যতার প্রতিফলন, কারণ পুরুষের ওপর পারিবারিক অর্থনৈতিক দায়িত্ব বেশি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একজন পুরুষ মারা গেছেন, রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও পিতা-মাতা। এখানে স্ত্রী পাবেন এক-অষ্টমাংশ (১/৮), দুই মেয়ে মিলে পাবেন দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩), এবং পিতা-মাতা প্রত্যেকে পাবেন এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬)। এই হিসাব অনুযায়ী কেউই বঞ্চিত নয়, বরং প্রত্যেকেই তাদের প্রাপ্য অংশ পাচ্ছেন। যদি হিসাবের যোগফল সম্পদের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ইসলামী “আওল” পদ্ধতিতে অনুপাতে কমিয়ে ভাগ করা হয়, যেন সবাই তাদের ন্যায্য অংশ পান।
ইসলামে সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ইচ্ছার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কেউ মৃত্যুর আগে কোনো উত্তরাধিকারীকে বাদ দিতে পারেন না, কিংবা কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা দিতে পারেন না। মৃত্যুর আগে সম্পত্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একপক্ষের নামে লিখে দেওয়া বা কাউকে বঞ্চিত করা শরিয়াহ অনুযায়ী হারাম। তবে কেউ চাইলে মৃত্যুর আগে নিজের সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত অংশ কোনো গরিব আত্মীয়, এতিম বা দাতব্য কাজে ওসিয়ত করতে পারেন, যা ইসলাম অনুমোদন করে।
ফারায়েজ ব্যবস্থার বিশেষত্ব হলো এর ন্যায়বিচারমূলক ভারসাম্য। ইসলাম বলে, সম্পত্তি এক প্রজন্মের ব্যক্তিগত মালিকানা নয়, এটি একটি সামাজিক দায়িত্ব ও আমানত। তাই ছেলে না থাকলে মেয়ের অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষিত, স্ত্রী বঞ্চিত নন, পিতা-মাতা উপেক্ষিত নন। এভাবে ইসলাম পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতি, ন্যায্যতা এবং প্রজন্মের ভারসাম্য নিশ্চিত করে।
ইসলামী উত্তরাধিকার আইন সমাজে নারীর অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম দৃষ্টান্ত। সপ্তম শতাব্দীতেই ইসলাম নারীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার স্বীকৃতি দিয়েছে যখন পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় নারীর সম্পত্তির অধিকার ছিল না। ছেলে না থাকলেও মেয়ের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তার পিতার সম্পত্তিতে, যা কুরআনে আল্লাহ নিজেই নির্ধারণ করেছেন।
কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার জন্য কেবল পুষ্টিকর খাবার আর নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয় বরং পর্যাপ্ত ঘুমও সমানভাবে জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু কাজের চাপ এবং অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের আসক্তিতে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই ঘুমের সংকটে ভুগছেন। পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈনের মতে নিয়মিত ঘুমের সাথে আপস করলে শরীর ও মন উভয়ই ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। কম ঘুমালে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন বেড়ে যায় যা মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়।
ঘুমের অভাব সরাসরি আমাদের পাচনতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় যার ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া কম ঘুমের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। এই হরমোন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শরীর ইনসুলিনের প্রতি তার সংবেদনশীলতা হারায় যা প্রকারান্তরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই।
ভালো ঘুমের জন্য কেবল সময় নয় বরং সঠিক ভঙ্গি বা পজিশনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনস হপকিন্সের ঘুম বিশেষজ্ঞ ডা. র্যাচেল সালাস কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। যাদের নাক ডাকার সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে তাঁদের জন্য পাশ ফিরে ঘুমানো বেশি আরামদায়ক। অন্যদিকে যাদের বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য বাম দিকে ফিরে ঘুমানো উপকারী কারণ ডান দিকে ঘুমালে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। আবার চেহারায় অকাল বলিরেখা এড়াতে পেটের ওপর ভর দিয়ে না শুয়ে চিত হয়ে ঘুমানো ভালো।
সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের জন্য বিশেষজ্ঞরা ঘুমের পরিবেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের নীল আলো থেকে দূরে থাকা উচিত। শোবার ঘর শান্ত ও অন্ধকার রাখলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে যা দ্রুত গভীর ঘুমে সাহায্য করে। ঘাড় বা পিঠে ব্যথা থাকলে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ভঙ্গি বদলে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন যে ঘুম কেবল বিশ্রাম নয় এটি শরীরের একটি প্রাকৃতিক মেরামত প্রক্রিয়া যা আপনাকে পরের দিনের কাজের জন্য নতুন শক্তি যোগায়।
মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়ম ও সঠিক যত্নের অভাবে অনেকেরই খুব অল্প বয়স থেকে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি ত্রিশ বছর ছোঁয়ার আগেই অনেকের চুলের ঘনত্ব আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে চুলের সঠিক পুষ্টির অভাবেই এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই কারণ আপনার রান্নাঘরে থাকা সাধারণ কিছু উপাদান ব্যবহার করেই মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একটি বিশেষ প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র ৭ দিনে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি চুলের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।
এই জাদুকরী হেয়ার প্যাকটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক মুঠো শুকনো কারি পাতা, ১ চামচ মেথি দানা ও ১ চামচ টক দই। প্রথমে এই চারটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত সমানভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রেখে এরপর ভালো মানের কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। নিয়মিত এই পদ্ধতির ব্যবহারে চুলের গঠনগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়।
কেন এই প্যাকটি এতো বেশি কার্যকর তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এর প্রতিটি উপাদান চুলের জন্য মহৌষধ। অ্যালোভেরা ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ যা চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। মেথি দানা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে চুল পড়া কয়েকগুণ কমিয়ে দেয়। কারি পাতা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য রক্ষা করে চুলের ফলিকলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। অন্যদিকে টক দই চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। যারা পাতলা চুল বা অতিরিক্ত চুল ঝরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা কোনো রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে এই প্রাকৃতিক প্যাকটি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ
চুল পড়াকে অনেকেই বয়স, আবহাওয়া বা সাময়িক সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু অবহেলিত অভ্যাস ও শারীরিক পরিবর্তন নীরবে চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। পুষ্টির ঘাটতি থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব কিংবা হরমোনজনিত সমস্যাগুলো সময়মতো চিহ্নিত না হলে চুল পড়া দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নিতে পারে।
বিশেষ করে আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মিত খাবার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও কেমিক্যাল-নির্ভর চুলের যত্ন চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি চক্রকে ব্যাহত করছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ বাহ্যিক সমাধানে মনোযোগী হলেও আসল কারণগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়, যার ফলে চুল পড়া থামার বদলে আরও বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপর্যাপ্ত পুষ্টি চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ। শরীরে আয়রন, প্রোটিন, জিঙ্ক ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি হলে চুল দুর্বল হয়ে সহজেই ভেঙে পড়ে। দীর্ঘদিন ফাস্ট ফুড খাওয়া বা হঠাৎ ওজন কমানোর জন্য ক্র্যাশ ডায়েট করলে এই ঘাটতি আরও প্রকট হয়।
একই সঙ্গে মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা চুলের ফলিকলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের কোষ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এর প্রভাব সরাসরি পড়ে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর।
অনেকেই গুরুত্ব দেন না ভুল চুলের যত্নের অভ্যাসে। নিয়মিত শক্ত করে চুল বাঁধা, অতিরিক্ত ব্লিচিং বা স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার চুলের গোড়ায় টান সৃষ্টি করে। আবার দীর্ঘদিন ঠিকমতো শ্যাম্পু বা স্কাল্প পরিষ্কার না করলে ময়লা জমে চুল পড়া বাড়ে।
চুল পড়ার পেছনে প্রায়ই লুকিয়ে থাকে অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা। থাইরয়েডের অসামঞ্জস্য, পিসিওএস, ডায়াবেটিস বা অটোইমিউন রোগের কারণে চুল পড়া শুরু হতে পারে। অনেক সময় রোগ নির্ণয় না হওয়ায় মানুষ শুধু বাহ্যিক লক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন।
এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন চুল পড়ার আরেকটি বড় কারণ। গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্মের পরের সময় কিংবা মেনোপজে হরমোনের ওঠানামা চুল পড়া বাড়াতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও হরমোনের সংবেদনশীলতার কারণে ধীরে ধীরে টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল পড়াকে হালকাভাবে না নিয়ে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। সুষম খাদ্য, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ঘুম এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করলে চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব।
-শরিফুল
শীতে ঠান্ডা নাকি গরম পানিতে গোসল: কোনটি বেশি নিরাপদ
শীতের আমেজ বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম কাপড় কিংবা গরম চা-কফির কদর যেমন বাড়ে তেমনি দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় গোসল। ঠান্ডার ভয়ে অনেকেই গোসল করতে অনীহা প্রকাশ করেন আবার কেউ কেউ দোটানায় ভোগেন যে ঠিক কোন তাপমাত্রার পানি শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে শীতকালীন গোসলের নানামুখী ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছে যা সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে সাহায্য করবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে শীতের সকালে গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের টানটান পেশি শিথিল হয় যা শরীরের ক্লান্তি বা ব্যথা উপশমে বেশ কার্যকর। গরম পানি মূলত রক্তনালী প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গরম পানির বাষ্প নাকের পথ পরিষ্কার রাখে যা শীতকালীন সর্দি বা ঠান্ডাজনিত অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে। তবে দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারের একটি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বা সেবাম নষ্ট করে ফেলে যার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমনকি যাদের একজিমা বা সোরিয়াসিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অতিরিক্ত গরম পানি ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অন্যদিকে শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসলেরও কিছু চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ত্বরান্বিত হয়। এটি শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে সতেজ করে এবং অলসতা কাটিয়ে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে হঠাৎ করে অত্যন্ত ঠান্ডা পানি মাথায় ঢাললে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা হাঁপানি বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও কনকনে ঠান্ডা পানি শরীরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে শীতে গোসলের পানির তাপমাত্রা নির্বাচন করা উচিত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে। তবে শরীরের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ভারসাম্যপূর্ণ উপায় হলো হালকা গরম বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। এই পদ্ধতিতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে এবং শীতের কষ্টও কমে। একই সাথে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের সুরক্ষাবলয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। শীতের সময় গোসলের পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই পরিমিতিবোধ বজায় রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।
কোটিপতি হওয়ার গোপন সূত্র ২১×১০×১২: মধ্যবিত্তের বড় সুযোগ
ভবিষ্যৎকে আর্থিকভাবে নিরাপদ এবং দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে বর্তমান প্রজন্মের কাছে মিউচুয়াল ফান্ডে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ কেবল সাধারণ সঞ্চয়ী হিসেবে জমিয়ে রাখলে তা মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রত্যাশিত হারে বৃদ্ধি পায় না। তাই আধুনিক অর্থশাস্ত্রে সঠিক বিনিয়োগের পথ বেছে নেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসআইপি এমন একটি সুশৃঙ্খল বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাজারের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব। এটি বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য জাদুকরী ভূমিকা পালন করে যারা অল্প অঙ্ক দিয়ে শুরু করে সময়ের ব্যবধানে বিশাল লক্ষ্য অর্জন করতে চান।
দীর্ঘমেয়াদে বড় তহবিল গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এখন একটি বিশেষ গাণিতিক হিসাব বা '২১x১০x১২' সূত্রের কথা বলছেন। এই সূত্রের সহজ ব্যাখ্যা হলো যদি কোনো বিনিয়োগকারী টানা ২১ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন এবং বার্ষিক গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পান তবে তিনি এক বিশাল অঙ্কের মালিক হতে পারেন। এখানে ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্যই হলো আসল শক্তি। এসআইপি পদ্ধতিতে বাজারের ওঠানামায় হঠাৎ কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থাকে না বরং এটি বিনিয়োগকারীর মধ্যে সঞ্চয়ের এক নিয়মিত অভ্যাস তৈরি করে যা দীর্ঘস্থায়ী সম্পদ গড়তে সাহায্য করে।
বিনিয়োগের এই পুরো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে 'চক্রবৃদ্ধি' বা কম্পাউন্ডিং সুবিধা। দীর্ঘমেয়াদে কেবল মূল টাকার ওপর নয় বরং অর্জিত লভ্যাংশের ওপরও নতুন করে লভ্যাংশ যুক্ত হয়। ধরা যাক কেউ ৩০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা শুরু করলেন এবং তা ২১ বছর অব্যাহত রাখলেন। এই সময়ের মধ্যে তার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু চক্রবৃদ্ধির জাদুতে ১২ শতাংশ গড় মুনাফায় ৫১ বছর বয়স হওয়ার আগেই তার তহবিলের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ টাকায় পৌঁছাতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন যেহেতু বাজারের ওপর নির্ভরশীল তাই দীর্ঘমেয়াদে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা প্রত্যাশিত তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে এসআইপি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে সবচেয়ে জরুরি হলো মাঝপথে বিনিয়োগ বন্ধ না করা। বাজার কিছুটা পড়ে গেলে আতঙ্কিত হয়ে টাকা তুলে নেওয়া বা কিস্তি দেওয়া বন্ধ করা লক্ষ্য পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শৃঙ্খলার সঙ্গে দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে ২১x১০x১২ সূত্রের মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন। সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের জাদুকরী শক্তিই একজন বিনিয়োগকারীকে তার অবসর জীবনের জন্য একটি মজবুত আর্থিক ভিত্তি তৈরি করে দিতে পারে।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার: ড. ইউনূস
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার অনড় অবস্থানের কথা পুনরায় ঘোষণা করেছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে তার সরকার যেকোনো ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে যে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ফোনালাপে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ফোনালাপের শুরুতেই সার্জিও গোর বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার সফল আলোচনার জন্য ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। এটি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরপর আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন। ড. ইউনূস মার্কিন দূতকে বলেন যে দীর্ঘ সময় স্বৈরাচারী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের হারানো ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তবে তিনি একটি উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বলেন যে ক্ষমতাচ্যুত শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এছাড়া তাদের পলাতক নেতা বিদেশ থেকে নিয়মিত সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন দূতকে আশ্বস্ত করে বলেন যে নির্বাচনের আর মাত্র ৫০ দিন বাকি রয়েছে এবং সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই নির্বাচন যেন দেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকে সে লক্ষ্যে সকল প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন যে কোনো অপশক্তি যেন জনগণের ম্যান্ডেটকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অংশীদারদের সহযোগিতা ও সমর্থন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টার পাশে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ। আলোচনায় শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা হয় যা আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ আলোচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে মার্কিন বিশেষ দূতের সঙ্গে এই আলাপচারিতা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বিদেশি চাপ ও সহযোগিতাকে কার্যকর করবে।
রাতে এক কোয়া কাঁচা রসুন: শরীরের জন্য মিলবে জাদুকরী উপকার
রন্ধনশালায় রসুনকে কেবল একটি স্বাদবর্ধক মশলা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও প্রাচীনকাল থেকেই এটি শক্তিশালী ভেষজ ওষুধ হিসেবে সমাদৃত। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে রসুনের তীব্র গন্ধ এবং এর অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মূল উৎস হলো অ্যালিসিন নামক একটি সালফারভিত্তিক যৌগ। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রতিদিন রাতে মাত্র এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার শক্তিশালী প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে রাতে শরীর যখন বিশ্রামে থাকে তখন রসুনের উপাদানগুলো শরীরকে মেরামত ও নিরাময় করার জন্য দীর্ঘ সময় পায় যা সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অসামান্য ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন রাতে নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। রসুনে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় রসুনের অবদান অনস্বীকার্য। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। রসুনের অ্যালিসিন উপাদান রক্তনালীকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ রোধ এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে বা ডিটক্সিফিকেশনে রসুনের বিকল্প মেলা ভার। রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং যকৃতের এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে। যদিও সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার দীর্ঘদিনের প্রচলন রয়েছে তবে রাতে খাওয়ার ফলে এটি হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার বাড়তি সময় পায়। ঘুমানোর সময় রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতেও রাতে রসুন খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
তবে রসুনের অগণিত উপকারিতা থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সি ডিজিজ বা বুকজ্বালার মতো হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কাঁচা রসুন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। রসুন প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে বলে যারা অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিনের মতো ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যেকোনো অস্ত্রোপচারের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা এইচআইভি বা এইডসের বিশেষ ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রসুন খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
শীতে বাড়ে খুশকি: মুক্তি পেতে ঘরেই আছে জাদুকরী সমাধান
শীতের আগমনের সাথে সাথে শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকের মাথাতেই খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। এই খুশকি কেবল মাথার ত্বকে অস্বস্তি বা চুলকানিই তৈরি করে না বরং এটি চুল ঝরার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবেও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞ ও রূপচর্চাবিদদের মতে শীতকালীন এই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ব্যয়বহুল রাসায়নিক প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনেক বেশি কার্যকর ও নিরাপদ। সঠিক যত্ন এবং প্রাকৃতিক উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত ও উজ্জ্বল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ও কার্যকর পদ্ধতি হলো তেঁতুলের ব্যবহার। পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিলে খুশকি যেমন দ্রুত দূর হয় তেমনি মাথার ত্বকের অস্বস্তিকর চুলকানিও কমে যায়। এছাড়া নিম পাতার রসের অ্যান্টিফাংগাস ও অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা খুশকি দমনে অত্যন্ত শক্তিশালী। চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই ঠান্ডা পানি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন চুলের গোড়ায় ব্যবহার করলে জীবাণু ও খুশকির সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
নারিকেল তেলের সাথে লেবুর রসের মিশ্রণ খুশকি তাড়াতে আরেকটি জনপ্রিয় টোটকা হিসেবে পরিচিত। অর্ধেক লেবুর রসের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ নারিকেল তেল মিশিয়ে ২০ মিনিট মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে ফাঙ্গাস জন্মানোর পথ বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে হোয়াইট ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড খুশকি দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শ্যাম্পু করার পর পানির সাথে ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদে খুশকির হাত থেকে মুক্তি মেলে। তবে যাদের চুল রুক্ষ তারা টকদই ও মেহেদি বাটার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন যা খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকে করবে রেশমি ও ঝলমলে।
চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেথি ব্যবহারের পরামর্শ দেন অনেকে। সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে তা বেটে চুলের গোড়ায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে দারুণ ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং নিজের চিরুনি ও ব্রাশ আলাদা রাখা খুশকির সংক্রমণ রোধে সহায়ক। অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য, চুলের রং এবং হেয়ার ড্রায়ার বা আয়রনের ব্যবহার এড়িয়ে চললে শীতকালেও খুশকিমুক্ত সুন্দর চুল ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাতের ৪ অভ্যাসেই কমবে ওজন, মেদহীন শরীরের সহজ উপায়
আধুনিক যুগের ব্যস্ততা আর অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বর্তমানে মানুষের শরীরের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার অন্যতম বড় উদাহরণ হলো ওজন বৃদ্ধি। ঘরে ঘরে এই সমস্যা এখন একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে একবার ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো বেশ শ্রমসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়। তবে এর জন্য কেবল কঠিন ডায়েট বা জিমে যাওয়া যথেষ্ট নয় বরং দৈনন্দিন ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষ করে রাতের খাবারের পর আমাদের অলসতা বা অসচেতনতা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ওজন কমানোর প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তোলা। পুষ্টিবিদদের মতে রাতের খাবারের পরপরই শুয়ে পড়ার অভ্যাস পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা ধীর করে দেয়। এর পরিবর্তে ডিনারের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হালকা হাঁটাচলা করলে হজম প্রক্রিয়া অনেক বেশি সক্রিয় হয়। এটি কেবল অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে না বরং শরীরের বিপাক হার বা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। তবে রাতে হাঁটার ক্ষেত্রে ধীরগতি বজায় রাখা উচিত এবং কোনোভাবেই ভারী ব্যায়াম করা ঠিক নয় কারণ এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
খাবার হজমের পাশাপাশি রাতের পানীয় নির্বাচনেও সচেতন হওয়া জরুরি। ডিনারের কিছুক্ষণ পর এক কাপ কুসুম গরম ভেষজ চা বা গ্রিন টি পানের অভ্যাস শরীর থেকে টক্সিন বের করতে এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি নীরব কিন্তু শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ঘুমানোর আগে ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন শান্ত থাকে যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
সবশেষে একজন মানুষের ওজন কমানোর লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো পর্যাপ্ত ঘুম। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম শরীরের অভ্যন্তরীণ মেরামত ও হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখে। ঘুমের অভাবে শরীরে এমন কিছু হরমোনের প্রভাব বাড়ে যা বার বার ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করে এবং শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং রাতের খাবারের পর এই চারটি অভ্যাস মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ শরীর ও কাঙ্ক্ষিত ওজন ফিরে পাওয়া সম্ভব। মনে রাখতে হবে যে ওজন কমানো কোনো ম্যাজিক নয় বরং এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার ফল।
পাঠকের মতামত:
- নাইজেরিয়ায় রক্তাক্ত মাগরিব: নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণ
- যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
- আজ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কামড় দেখল ঢাকাবাসী
- জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
- ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন
- পাকস্থলীর ধ্বংস করছে আপনার এই ৩টি সাধারণ অভ্যাস
- কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
- মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
- সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
- ভারতের 'বাহুবলী' রকেটের কাঁধে চড়ে মহাকাশ জয়
- রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
- হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি
- ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন
- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা
- হাদিকে সেলাই করা ব্যাঙের সাথে তুলনা করলেন বিএনপি নেত্রী মনি
- বৈপ্লবিক বিয়ে: বরের সাজে হাদি হত্যার বিচার চাইলেন ফরহাদ
- জোনায়েদ সাকিকে সমর্থন দিয়ে বিএনপির বড় ত্যাগ
- মাহমুদুর রহমান মান্নার ভোটযুদ্ধ শেষ: আদালত দিল বড় রায়
- চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ
- ৪৬তম বিসিএসের ভাইভার সময়সূচি প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
- মিশ্র লেনদেনে শেষ হলো ডিএসইর আজকের বাজার
- ২৪ ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৪ ডিসেম্বরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তারেক রহমানের আগামী ৩ দিনের কর্মসূচি জানালেন সালাহউদ্দিন
- নতুন বছরে কত দিন ছুটি? জানাল সরকার
- উত্থান-পতনের দোলায় ডিএসই–৩০ তালিকা
- স্পট মার্কেটে সীমিত দুই ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ড
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর, একসঙ্গে খুলছে যেসব বন্ড
- পুঁজিবাজারে আলোচনায় টোসরিফার ক্রেডিট রেটিং
- বাংগাস বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- যে কোম্পানির পরিচালকের শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বেক্সিমকোর মূলধন কাঠামোতে ইতিবাচক অগ্রগতি
- ডিএসইতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সর্বশেষ এনএভি প্রকাশ
- ডিএসই আপডেট: সূচক ও লেনদেনের সর্বশেষ চিত্র
- রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ছাড় দিল সরকার
- হীরার বৃষ্টি এবং হিলিয়ামের মেঘে ঢাকা রহস্যময় এক নতুন গ্রহ
- শীতে ঠান্ডা নাকি গরম পানিতে গোসল: কোনটি বেশি নিরাপদ
- শীর্ষ গণমাধ্যমে হামলা আসলে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা: নাসির
- মাত্র ২৯ ঘণ্টায় বাজিমাত: জমার অংক জানালেন তাসনিম জারা
- বিমানবন্দরে ভিড় করলেই ব্যবস্থা: নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তারেক
- বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
- এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার
- ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করল ঢাকা বোর্ড
- বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
- চরম টানাপড়েনে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক, বাড়ছে উত্তেজনা
- ইমরান খানের দলের সাথে শর্তসাপেক্ষ সংলাপে রাজি শাহবাজ শরিফ
- নানামুখী চ্যালেঞ্জে ভোটের মাঠে জটিল সমীকরণ
- আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল








