‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:১০:০৫
‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। তিনি বলেন, “এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়, আমরা তা করব। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”

রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের শের-ই-বাংলা পার্কে মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি’র প্রতীক নিয়ে সমালোচনা

সারজিস আলম নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না।”

তিনি জানান, আইনগত কোনো বাধা না থাকায় তারা শাপলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না। তিনি বলেন, “আমরা সব শেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে কিছু অ্যাড করতে হয়, তাহলেও আমাদের দ্বিমত থাকবে না।”

ভারতের ‘অ-প্রতিবেশীসুলভ’ আচরণ

ভারতকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইস গেটের ৯টি ভোরবেলায় হঠাৎ করে খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন:

“তারা মন চাইলে নদীতে স্লুইস গেট দিল, মন চাইলে আটকে রাখল আর মন চাইলে ছেড়ে দিল। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরও প্রকট হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে।”

সারজিস আলম আরও বলেন, যতদিন ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, ততদিন তারা বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহানুভূতি কখনোই পাবে না।

এনসিপির বরাদ্দ ও কর্মসূচি

সারজিস আলম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ আনা হয়েছে। পরে গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য মোনাজাত করা হয়।


ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২০:৫২:০০
ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে দেশের সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। তবে কখন এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই তথ্য জানান।

গণভোটের সময় নিয়ে বিতর্ক

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চাইছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে এই গণভোট হোক। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী চায় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।

এই মতপার্থক্য সত্ত্বেও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি দলগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দলগত অবস্থান থেকে সরে এসে অনেক রাজনৈতিক দল ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছে।

অধ্যাদেশ ও চূড়ান্ত রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।” তিনি জানান, একটি অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) গণভোট আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, “জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত, এটি ইম্পোজ করা নয়।”

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে গণভোট হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।”

এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতারাও গণভোটের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ

অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন সনদ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে এক বা একাধিক সুপারিশ আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে দেবে। তার আগে আগামী ৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করবে, তা যেন টেকসই হয়, সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তিনি বলেন, “কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই দায়ের শেষ নয়। আমাদের সকলে মিলে এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”


সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৮:৪৮:১২
সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার (৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।

গণভোট হবে চূড়ান্ত রায়

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটে কোনো বাধা নেই। সনদে কী থাকবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকবে। এই জন রায় হবে চূড়ান্ত। আগামী সংসদ গণভোটের রায় মানতে বাধ্য থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা আছেন এবং মোটামুটি একমত হয়েছেন। এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে।

বিএনপির নতুন অবস্থান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানান, তারা আগে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার দাবি করেছিলেন, কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নামে অধ্যাদেশ জারি এবং তারপরে গণভোটের পক্ষে।”

তিনি আরও জানান, সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) থাকা বিষয়গুলো দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।


ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:৪৯:৩৯
ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও তিনি এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হননি। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর হামলার বিচার না হলে, আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা দেব।’

শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচার না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয়

নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি, তবে সরকার দ্বারা সুবিধাভোগী নই। আমরা কোনো ভাগবাটোয়ারার অংশীদারও নই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এবং নির্বাচন নিয়ে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন না হলে দেশ আবার সংকটে পড়বে।

তিনি বলেন, “একটি দলের প্রধানকে এভাবে আক্রমণ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে? সমঝোতার নির্বাচনে যাদের ইশারা দিবে, তারাই নির্বিঘ্নে আওয়ামী লীগের ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের মতো প্রচার প্রচারণা চালাবে।”

সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি তার ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

‘টার্গেট অপারেশন’ এবং অন্যদের প্রতি বার্তা

নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, তার ওপর হামলাটি ছিল একটি টার্গেট অপারেশন। এর উদ্দেশ্য ছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বার্তা দেওয়া। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে শেখ হাসিনার গদিকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, ওই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এরকম বর্বরোচিত হামলার শিকার আমরা হইনি।”

তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানকারী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান:

“আপনারা যদি পরবর্তী সিরিয়ালে পড়তে না চান, এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত থাকুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে।”

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৩৫ দিন পার হয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসা ও প্রেক্ষাপট

গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে শারীরিক জটিলতা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:১১:৫৫
কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, “কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না। কুমির পানিতেই থাকে। আমাদের আবার পানিতে নামাবেন কী?” তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা নানা ভয়ভীতি, হুংকার আর হামলায় অভ্যস্ত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি সামসুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করে বিশ্বের মাঝে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল। তিনি বলেন, এসব অনাচারের মূল কারণ হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা।

এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে হাফেজ কাজী মোহাম্মদ আলীর হাতে হাতপাখা প্রতীক তুলে দিয়ে তাকে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।


আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস বইছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:২৩:৩০
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস বইছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা

সালাহউদ্দিন আহমদ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পিআর মানে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।”

তিনি বলেন:

অস্থিরতা: পিআর ব্যবস্থায় স্থিতিশীল সরকার থাকে না, বরং কয়েক মাস পরপর প্রধানমন্ত্রী ও সরকার পরিবর্তিত হয়। এতে কোনো দল জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, উন্নয়নও ব্যাহত হয়।

দেশের জন্য ক্ষতিকর: বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে এমন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগের ইন্ধন: তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই দেশে পিআরের বাতাস বইছে। যারা পিআর নিয়ে সরব, তাদের অনেকেই আবার আওয়ামী লীগের সহায়তায় ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

সালাহউদ্দিন আহমদ প্রশ্ন রাখেন, পিআর ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার থাকবে কি না। তিনি বলেন, যেখানে সর্বশেষ জরিপে ৫৬ শতাংশ মানুষই পিআর বোঝে না, সেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর সমর্থন করে—এমন দাবি বিভ্রান্তিকর।

সংবিধান ও গণতান্ত্রিক গুরুত্ব

বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের চেষ্টা মানেই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া।

সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংবিধান ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না।” তিনি বলেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেই তা স্থায়ী হয়ে যাবে—এমন ধারণা ভুল। তিনি জোর দেন যে, তর্ক-বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে, যাতে জনগণ ও দেশ বিজয়ী হয়।

অনুষ্ঠানে এনডিপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্ আল হারুন (সোহেল), সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ এনডিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:২৪:২২
পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই মূলত নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত যাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে ও বক্তব্য দিচ্ছে, ‘২৪ এর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল’—তা প্রকাশ করা উচিত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এনডিপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর আন্দোলন ও বিভ্রান্তির অভিযোগ

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআরসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোনো আন্দোলন করা সঠিক হবে না।”

গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা

সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে গাজা অভিমুখে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।


গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১১:১৪:০৪
গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে হামাস। শুক্রবার সংস্থাটি জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবিলম্বে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।

হোয়াইট হাউস সোমবার এ প্রস্তাব প্রকাশ করে। ২০ দফার এ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি প্রস্তাবের প্রতি ‘সতর্ক সমর্থন’ ব্যক্ত করেন।

গাজা সংকট সমাধানে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা

১. সন্ত্রাসমুক্ত গাজা: গাজাকে সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকিমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

২. গাজার পুনর্গঠন: দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে গাজার উন্নয়ন ও পুনর্গঠন করা হবে।

৩. যুদ্ধবিরতি: উভয় পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। ইসরায়েল সেনা নির্দিষ্ট সীমারেখায় সরে যাবে, সব সামরিক অভিযান (বিমান ও আর্টিলারি হামলা সহ) বন্ধ থাকবে।

৪. জিম্মি মুক্তি: ইসরায়েল প্রকাশ্যে চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি (জীবিত ও মৃত) ফেরত দেওয়া হবে।

৫. বন্দি বিনিময়: জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল ২৫০ জন আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,৭০০ আটক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী-শিশুও থাকবে। মৃত ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

৬. আমনেস্টি: জিম্মি মুক্তির পর যারা অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেবে, সেই হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। যারা গাজা ছেড়ে যেতে চাইবে, তাদের নিরাপদ পথে পাঠানো হবে।

৭. মানবিক সহায়তা: চুক্তি স্বাক্ষরের পরই ব্যাপক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে—বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, হাসপাতাল, বেকারি পুনর্গঠন ও ধ্বংসস্তুপ অপসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

৮. সহায়তা বিতরণ: জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় সহায়তা প্রবাহিত হবে। রাফাহ সীমান্ত একই প্রক্রিয়ায় উভয়দিকে খোলা থাকবে।

৯. অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা: গাজা পরিচালনা করবে প্রযুক্তিবিদ ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়। তদারকির দায়িত্ব থাকবে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা “বোর্ড অব পিস”–এর হাতে, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প। টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা যুক্ত হবেন।

১০. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা: মধ্যপ্রাচ্যের সফল শহরগুলোর মডেল ধরে গাজার পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: গাজায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা থাকবে।

১২. গাজা ত্যাগে স্বাধীনতা: কেউ চাইলে গাজা ছেড়ে যেতে পারবে এবং চাইলে পুনরায় ফিরে আসতে পারবে। তবে মানুষকে গাজায় থেকে পুনর্গঠনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।

১৩. হামাসের শাসনে নিষেধাজ্ঞা: হামাস ও অন্যান্য দল গাজার শাসনে কোনোভাবেই অংশ নেবে না। সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে অস্ত্র জব্দ করা হবে, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকরণ হবে।

১৪. আঞ্চলিক গ্যারান্টি: আঞ্চলিক সহযোগীরা নিশ্চয়তা দেবে যে হামাস চুক্তি মানছে এবং গাজা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি নয়।

১৫. আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF): যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। এ বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং ইসরায়েল-মিসরের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করবে।

১৬. ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার: গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না ইসরায়েল। আইডিএফ ধাপে ধাপে এলাকা ছেড়ে দেবে, যতক্ষণ না গাজা নিরাপদ ও নিরস্ত্র হয়।

১৭. প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে: হামাস দেরি করলে বা প্রত্যাখ্যান করলে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় উন্নয়ন ও সহায়তা কার্যক্রম চলবে।

১৮. ধর্মীয় সংলাপ: ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার করতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালানো হবে।

১৯. ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করলে স্বশাসন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে।

২০. দীর্ঘমেয়াদি শান্তি: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংলাপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সহাবস্থানের রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করবে।

-আলমগীর হোসেন


সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ০০:৫১:৫৩
সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া জোরদারভাবে চলছে। প্রতিটি আসনে যোগ্য প্রার্থীর তালিকা থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,

“বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার রাজনৈতিক দল। প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত প্রার্থী আছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাছাই করছি। শিগগিরই একক প্রার্থী মাঠে নামবে, তবে তা অফিসিয়াল ঘোষণা হবে নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর।”

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, জরুরি কিছু ছাড়া এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত নয়, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

“গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি।

“যা হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালালেও কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।”

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,

“বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়—এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।”

সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে সুসংগঠিতভাবে অগ্রসর হচ্ছে। একদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগোচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও নতুনভাবে উত্থাপন করেছেন।


এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৯:৩৭:০১
এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এনসিপির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।

মান্নার মন্তব্য ও অঙ্গীকার

ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে মাহমুদুর রহমান মান্না লেখেন, তিনি এনসিপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন,

“যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”

তবে মান্না এই শর্তও জুড়ে দেন যে, যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে তাকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে এই প্রতীক দিতে পারে না।

ইসি’র চিঠি ও জটিলতা

এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে চিঠি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এই চিঠি পাঠান।

প্রতীকের তালিকা: চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এনসিপির পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিকল্প বেছে নেওয়ার নির্দেশ: এই জটিলতা নিরসনে ইসি এনসিপিকে তাদের দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে, যা এখনও বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে পছন্দ করে নিতে অনুরোধ করেছে।

পাঠকের মতামত: