পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই মূলত নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত যাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে ও বক্তব্য দিচ্ছে, ‘২৪ এর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল’—তা প্রকাশ করা উচিত।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এনডিপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর আন্দোলন ও বিভ্রান্তির অভিযোগ
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআরসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোনো আন্দোলন করা সঠিক হবে না।”
গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা
সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে গাজা অভিমুখে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।
গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে হামাস। শুক্রবার সংস্থাটি জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবিলম্বে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
হোয়াইট হাউস সোমবার এ প্রস্তাব প্রকাশ করে। ২০ দফার এ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি প্রস্তাবের প্রতি ‘সতর্ক সমর্থন’ ব্যক্ত করেন।
গাজা সংকট সমাধানে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা
১. সন্ত্রাসমুক্ত গাজা: গাজাকে সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকিমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
২. গাজার পুনর্গঠন: দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে গাজার উন্নয়ন ও পুনর্গঠন করা হবে।
৩. যুদ্ধবিরতি: উভয় পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। ইসরায়েল সেনা নির্দিষ্ট সীমারেখায় সরে যাবে, সব সামরিক অভিযান (বিমান ও আর্টিলারি হামলা সহ) বন্ধ থাকবে।
৪. জিম্মি মুক্তি: ইসরায়েল প্রকাশ্যে চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি (জীবিত ও মৃত) ফেরত দেওয়া হবে।
৫. বন্দি বিনিময়: জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল ২৫০ জন আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,৭০০ আটক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী-শিশুও থাকবে। মৃত ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
৬. আমনেস্টি: জিম্মি মুক্তির পর যারা অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেবে, সেই হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। যারা গাজা ছেড়ে যেতে চাইবে, তাদের নিরাপদ পথে পাঠানো হবে।
৭. মানবিক সহায়তা: চুক্তি স্বাক্ষরের পরই ব্যাপক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে—বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, হাসপাতাল, বেকারি পুনর্গঠন ও ধ্বংসস্তুপ অপসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৮. সহায়তা বিতরণ: জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় সহায়তা প্রবাহিত হবে। রাফাহ সীমান্ত একই প্রক্রিয়ায় উভয়দিকে খোলা থাকবে।
৯. অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা: গাজা পরিচালনা করবে প্রযুক্তিবিদ ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়। তদারকির দায়িত্ব থাকবে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা “বোর্ড অব পিস”–এর হাতে, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প। টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা যুক্ত হবেন।
১০. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা: মধ্যপ্রাচ্যের সফল শহরগুলোর মডেল ধরে গাজার পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: গাজায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা থাকবে।
১২. গাজা ত্যাগে স্বাধীনতা: কেউ চাইলে গাজা ছেড়ে যেতে পারবে এবং চাইলে পুনরায় ফিরে আসতে পারবে। তবে মানুষকে গাজায় থেকে পুনর্গঠনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।
১৩. হামাসের শাসনে নিষেধাজ্ঞা: হামাস ও অন্যান্য দল গাজার শাসনে কোনোভাবেই অংশ নেবে না। সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে অস্ত্র জব্দ করা হবে, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকরণ হবে।
১৪. আঞ্চলিক গ্যারান্টি: আঞ্চলিক সহযোগীরা নিশ্চয়তা দেবে যে হামাস চুক্তি মানছে এবং গাজা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি নয়।
১৫. আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF): যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। এ বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং ইসরায়েল-মিসরের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করবে।
১৬. ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার: গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না ইসরায়েল। আইডিএফ ধাপে ধাপে এলাকা ছেড়ে দেবে, যতক্ষণ না গাজা নিরাপদ ও নিরস্ত্র হয়।
১৭. প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে: হামাস দেরি করলে বা প্রত্যাখ্যান করলে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় উন্নয়ন ও সহায়তা কার্যক্রম চলবে।
১৮. ধর্মীয় সংলাপ: ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার করতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালানো হবে।
১৯. ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করলে স্বশাসন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে।
২০. দীর্ঘমেয়াদি শান্তি: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংলাপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সহাবস্থানের রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করবে।
-আলমগীর হোসেন
সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া জোরদারভাবে চলছে। প্রতিটি আসনে যোগ্য প্রার্থীর তালিকা থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,
“বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার রাজনৈতিক দল। প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত প্রার্থী আছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাছাই করছি। শিগগিরই একক প্রার্থী মাঠে নামবে, তবে তা অফিসিয়াল ঘোষণা হবে নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর।”
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, জরুরি কিছু ছাড়া এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত নয়, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
“গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।”
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি।
“যা হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালালেও কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।”
প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়—এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।”
সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে সুসংগঠিতভাবে অগ্রসর হচ্ছে। একদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগোচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও নতুনভাবে উত্থাপন করেছেন।
এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
মান্নার মন্তব্য ও অঙ্গীকার
ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে মাহমুদুর রহমান মান্না লেখেন, তিনি এনসিপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন,
“যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”
তবে মান্না এই শর্তও জুড়ে দেন যে, যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে তাকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে এই প্রতীক দিতে পারে না।
ইসি’র চিঠি ও জটিলতা
এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে চিঠি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এই চিঠি পাঠান।
প্রতীকের তালিকা: চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এনসিপির পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিকল্প বেছে নেওয়ার নির্দেশ: এই জটিলতা নিরসনে ইসি এনসিপিকে তাদের দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে, যা এখনও বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে পছন্দ করে নিতে অনুরোধ করেছে।
শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) এবার তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টির বেশি প্রতীক থেকে নিজেদের মার্কা বাছাই করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সংস্থাটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
শাপলা প্রতীকে ইসির আপত্তি
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানায়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) মোতাবেক প্রার্থীর প্রতীক ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, শাপলা প্রতীক না পেলে তা আদায় করে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তাতে কর্ণপাত করেননি। সিইসি বলেন, “আমরা মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ তারা তো দেশদ্রোহী না, দেশপ্রেমিক।” তিনি বলেন, ইসি যথারীতি আইন মোতাবেক কাজ করেই যাবে।
৫০টি প্রতীক থেকে বাছাইয়ের নির্দেশ
চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে ইসি’তে বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে বাছাই করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, মোবাইল ফোন, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ও প্রতীক
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পর মোট ৫৬টি দল নিবন্ধন পেলেও, পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপাসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের বাইরের প্রতীকগুলো নতুন দল ও সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আরও ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান।
বেলা পৌনে ১০টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সফরসঙ্গীরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফেরেন। তাদের সফর নিয়ে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
যেভাবে ঘটল লাঞ্ছনার ঘটনা
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে যখন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ব্রিফিং করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতারা উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন একজন গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন।
এই অনুরোধের পর এনসিপি নেতাকর্মীরা উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সফরে ছিলেন যারা
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ ও দুর্নীতি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে যদি আবারও লুটপাট, জুলুমবাজি, ধর্ষণ ও ব্যভিচার হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় পটুয়াখালীর ঝাউবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতার নয়, নীতির পরিবর্তন দরকার
মুফতি ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে নিরপরাধ মানুষ খুন হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, কিন্তু সেই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জনগণ তা মানবে না।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, যেখানে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। বৈষম্য দূর হবে, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। কেউ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে না, চিকিৎসার অভাবে মরবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না।” তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এজন্য শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন প্রয়োজন।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধাক্ষ্য মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ছবি, ভিডিও এবং ফটোকার্ড তৈরি করে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই অপপ্রচারের পেছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ডিসমিসল্যাব চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৬২টি পোস্ট বিশ্লেষণ করেছে। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পোস্ট আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজ থেকে করা হয়েছে।
যেভাবে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার
ডিসমিসল্যাব বলছে, তাসনিম জারাকে টার্গেট করতে ভুয়া ছবি, মূলধারার গণমাধ্যমের আদলে বানানো বিভ্রান্তিকর ফটোকার্ড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মিত ভিডিও ও অডিও ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ, যা ফেসবুকের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। এমনকি কিছু পোস্টে জারার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে যৌনবাহিত রোগের ওষুধের ভুয়া বিজ্ঞাপনও চালানো হয়েছে।
প্রচারণার ব্যাপ্তি: পোস্টগুলো মোট ২৯ হাজার ৬৯৩ বার শেয়ার হয়েছে এবং ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ বার দেখা হয়েছে। এগুলোতে মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৪টি প্রতিক্রিয়া এসেছে।
প্রধান পোস্টদাতা: মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ‘জয় বাংলার সৈনিক’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং কভার ফটোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রেখেছেন, তিনি তাসনিম জারার বিকৃত ছবি সবচেয়ে বেশি শেয়ার করেছেন।
কারা ছড়াচ্ছে এই কনটেন্ট?
মোট ৬২টি পেজ ও প্রোফাইলের মধ্যে যেগুলোতে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে:
নির্দিষ্ট পেজ: আওয়ামী লীগ ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুজিবাবাদী লীগ বা স্বঘোষিত ‘মুজিব সৈনিক’।
পরিচালনাকারী: মোট ১৩৩ জন অ্যাডমিনের মধ্যে ১০২ জনই বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। বাকিরা মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছিলেন।
এনসিপি নেত্রীর প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে তাসনিম জারা বলেন, “আমাকে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে এ অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত প্রায় সব নারীই এর মুখোমুখি হন। এটা রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকার প্রধান একটি কারণ।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফেসবুক এখানে দায় এড়িয়ে চলে, কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের সরকারের উচিত এই বিষয়ে টেক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা।” তিনি নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন সহিংসতা বন্ধে দলমত–নির্বিশেষে একটি সাধারণ আচরণবিধি এবং দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করার পদ্ধতি বের করার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন: রাশেদ খান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ মাস ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, “আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো একজন উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও চাইলে দায়িত্ব নিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে তারা কাজ করেছেন, এখন পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিক।” তিনি প্রশ্ন করেন, “সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে বিপ্লবী জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে লাভ কী?”
রাশেদ খান একটি সংবাদপত্রের ফটোকার্ড যুক্ত করেন, যেখানে ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ, তবে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ (Proportional Representation) পদ্ধতি দেশে সবসময় ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন:
“পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটা পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস (Permanent Restlessness) পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায়। এটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, যা জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।”
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নির্বাচন
এই বিএনপি নেতা বলেন, তার দল ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি দল এবং তাদের রাজনীতি সমন্বয়ের রাজনীতি। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চাইনি, চাইও না, করবও না।”
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।
পাঠকের মতামত:
- পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ
- পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!
- ইসরায়েলের নাম টেনে ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
- ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, নিখোঁজ আরও ৪৯
- আর্জেন্টিনায় তিন কিশোরী হত্যা: মূলহোতা পেরুতে আটক
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- “গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- ভারত অস্বীকার করল খাগড়াছড়ি অস্থিরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- পৃথিবীর শেষ সীমান্ত: মহাসাগরের গহীনে অজানার খোঁজে
- বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ আজ: টিভিতে কোথায়, অনলাইনে কীভাবে দেখবেন?
- মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য? একটানা বসে থাকা নয়তো এর কারণ!
- নূহ (আ.)-এর প্রতি তার জাতির ৫টি অভিযোগের জবাব
- রাশিফল: ৩ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর, বন্ধ মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা
- মিরপুরে মেট্রোরেলের পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
- হাসিনাকে সমর্থন দেওয়ায় ভালো পরিবেশ নষ্ট হয়েছে : সাকিব প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা
- গাজাগামী শেষ ত্রাণবাহী নৌযানটিও ইসরায়েলের হাতে আটক
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়
- কালো দাগকে অবহেলা নয়: জেনে নিন চোখের নিচের কালো দাগের স্বাস্থ্যঝুঁকি
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- কেন ফেরাউনরা নিজেদের শরীর মমি করে রাখত? এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার লড়াইয়ের ইতিহাস
- নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশাল জয় বাংলাদেশের
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন: প্রতিবাদে আজ ইতালিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ইসরায়েলি বাহিনী আমাকে অপহরণ করেছে: গ্রেটা থুনবার্গ
- এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
- ছেলেদের পোশাকে ২০২৫ সালের সেরা ১০ কালার কম্বো
- ফ্লোটিলার কর্মীদের উচ্চ-নিরাপত্তা কারাগারে রাখতে পারে ইসরায়েল
- শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
- মারুফার জোড়া আঘাতে শুরুতেই ধসে গেল পাকিস্তানের ব্যাটিং
- আটক ফ্লোটিলা যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েলের বার্তা
- পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- রাতে বারবার পা নড়ে? সতর্ক হোন, হতে পারে ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’
- গাজার পথে ত্রাণ: ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে ছুটছে ৪ জাহাজ
- মরক্কোতে জেন-জি বিক্ষোভ: পুলিশ স্টেশনে আগুন
- ইসরায়েলের আক্রমণে পিছু হটব না: গাজামুখী নৌবহর থেকে শহিদুল আলম
- অর্ধেক মানবী, অর্ধেক জিন? কুরআনে বর্ণিত রাণী বিলকিসের রহস্য
- নারী বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজকের একাদশ
- এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- কেউ একজন বিরাট কোহলিকে অভিযোগ দিয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা
- বিস্ময়কর সাফল্য: ত্বকের কোষ থেকে তৈরি হলো মানুষের ভ্রূণ!
- পোশাক রপ্তানিতে চীনের হারানো বাজার হিস্যা বুঝে নিচ্ছে বাংলাদেশ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা