গুপ্ত রাজনীতি আর সন্ত্রাস নয়: উমামা ফাতেমা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:৫২:২৯
গুপ্ত রাজনীতি আর সন্ত্রাস নয়: উমামা ফাতেমা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে গুপ্ত রাজনীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত করে একটি আধুনিক ও দলীয়করণমুক্ত ক্যাম্পাসে রূপান্তর করবেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্ট্যাটাসে উমামা লেখেন, প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এই ১২ দিনের নির্বাচনী সময়ের বহু আগে থেকেই আমি নিরলসভাবে কাজ করেছি একটি দলীয়করণমুক্ত ও একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমি সবসময় লড়াই করেছি। এবারের ডাকসু নির্বাচন ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রচারণা চলাকালে আমি শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের স্বপ্ন, প্রত্যাশা ও বাস্তব সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। দিন-রাত পরিশ্রম করে ও পরিকল্পনা সাজিয়ে ইশতেহার তৈরি করেছি এবং তা শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছি। আমি জানি না কতটা সফল হয়েছি, তবে সাধ্যমতো প্রতিটি শিক্ষার্থীর কথা শোনার চেষ্টা করেছি এবং তাদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করেছি।

নারী শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিটি হলের কক্ষপর্যায়ে গিয়ে তাদের দাবি জানার চেষ্টা করেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দুটি হল পুরোপুরি কভার করা সম্ভব হয়নি, তবুও মেয়েদের চাহিদা ও দাবি তার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণে শিক্ষার্থীরা দলে দলে অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন উমামা। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীরা সুবিবেচনার মাধ্যমে এমন প্রার্থীদের ভোট দেবেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় রাজনীতি, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কবল থেকে মুক্ত করে একটি গতিশীল ও আধুনিক ক্যাম্পাস গড়তে সক্ষম।

শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে লিখেছেন, “আমি আপনাদেরই একজন। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আপনাদের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাই।”

-রাফসান


ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:৪৪:৫৯
ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী
ছবিঃ ডেইলি সান

আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা বা ভূমিকা এই নির্বাচনে নেই।

এর আগে সেনাবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার সেনাবাহিনীর সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে আবারও একই অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে, যাতে নির্বাচনকেন্দ্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এবং পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। সেনাবাহিনী এ ধরনের গুজবকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর এই স্পষ্ট ঘোষণা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ভোটারদের মাঝে গুজবের প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

-সুত্রঃডেইলি সান


রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১০:৫৪:৩৮
রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন–২০২৫-এর ১৩ দিনের প্রাণবন্ত প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে শনিবার রাত ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী এখন অপেক্ষা করছে বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এইবারের ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের সৃজনশীলতা ও কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো। পোস্টার, লিফলেট ও প্রচারণার ধরনে এসেছে অভিনবত্ব। কোনো প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ডলার কিংবা টাকার নোটের আদলে লিফলেট ছাপিয়েছেন, কেউ বানিয়েছেন গাছের আকারে হ্যান্ডআউট, আবার কেউ পোস্টারে ব্যবহার করেছেন ওয়াই-ফাই চিহ্ন। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বৃক্ষাকৃতির প্রচারপত্র বিলিয়েছেন, পরিবহন সম্পাদক প্রার্থী দিয়েছেন বাসের আদলে কার্ড, স্বাস্থ্য সম্পাদক প্রার্থী হৃদয়-আকৃতির পোস্টার বানিয়েছেন। এমনকি ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী বিতরণ করেছেন বিড়ালের আকৃতির লিফলেট। কেউ বুকমার্কের মতো ডিজাইন করেছেন, কেউ আবার ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রচারপত্র তৈরি করেছেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী লিগ্যাল নোটিশের মতো পোস্টার ছাপিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রচারণায় সৃজনশীলতার এক রঙিন ছোঁয়া ছিল।

প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রাণ সঞ্চার করেছে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের উন্মুক্ত বিতর্কসভা। গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থীরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ভিশন ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন সেখানে।

প্রচারণায় অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামঘরানার বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন (বিডিএসএ) এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য। প্রতিটি প্যানেলই মিছিল, পথসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ইশতেহার উপস্থাপন করেছে।

ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে দরজায় দরজায় প্রচারণার পাশাপাশি বাসে যাতায়াতরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলোচনাসভা আয়োজন করেছে কয়েকটি প্যানেল, যেখানে মেয়েদের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দিয়েছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের প্রতিক্রিয়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, “এবারের ডাকসু নির্বাচন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উৎসবমুখর। প্রতিটি প্রচারপত্রই অভিনব ও আলাদা।” বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষার্থী শামসুল আলম জানান, “প্রার্থীরা যখন সরাসরি আমাদের কাছে এসে ক্যাম্পাস উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন ভালো লাগে। আসলে ডাকসু এক ভিন্ন মাত্রার সংযোগ তৈরি করে।”

ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের চেনে, তাই নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। আমরা আগে থেকেই কাজ করেছি। আমাদের কথা ও কাজে সামঞ্জস্য ছিল বলেই শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্বাস করে।” তবে তিনি ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, যা অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারি হামিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। আমরা অঙ্গীকার করছি নিরাপদ ও সবার জন্য সমান ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।” একইভাবে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আল সাদি ভুইয়া জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশায় তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।

নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ব্যালট বাক্স বিতরণসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন দিবসে ক্যাম্পাস বহিরাগতদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, বাইরের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এবারের প্রচারণা ছিল বর্ণিল, সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবেন।

-এম জামান


চবিতে চতুর্মুখী আন্দোলন, উত্তাল ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৯:২৪:১১
চবিতে চতুর্মুখী আন্দোলন, উত্তাল ক্যাম্পাস
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চতুর্মুখী আন্দোলনে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক পক্ষ তাদের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে শাখা ছাত্রদল এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে, শিক্ষক হেনস্তা ও নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদেও হয়েছে বিক্ষোভ।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন।

প্রশাসনকে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়ে পদত্যাগের দাবি ছাত্রদলের

ছাত্রদল আবারও প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, রেজিস্ট্রার এবং প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে পদত্যাগ দাবি করে। ছাত্রদল নেতারা বলেন, প্রশাসনকে তার ব্যর্থতার জন্য ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল করেছিল শাখা ছাত্রদল।

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এদিকে, রোববার দুপুরে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বামপন্থী কিছু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, এবং প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কলা ঝুপড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ৭ দফা দাবি জানিয়েছিল।

শিক্ষক হেনস্তা ও স্লাট শেমিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তারা এ ঘটনার যথোপযুক্ত বিচার দাবি করেছে। এই ঘটনা ঘটেছিল যখন বামপন্থী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’ নামকরণ করেছিল।

একই দিন দুপুর ১টার দিকে ফেসবুকে নারী শিক্ষার্থীদের স্লাট শেমিংয়ের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে নারী শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায়।


ভিপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী আবিদুল

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৯:০২:২৩
ভিপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী আবিদুল
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে পরিচালিত এক জরিপে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ‘বাংলাদেশ পাবলিক একাডেমি’ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বেসরকারি’ এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপে ২৪০ জন ইচ্ছুক ভোটার অংশ নিয়েছিলেন।

জরিপে আবিদুল ইসলাম খান ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) আব্দুল কাদের ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ১২ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় এবং শিবিরের মোঃ আবু সাদিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।

আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় শেষ হচ্ছে সকল প্রকার প্রচারণা। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে ব্যস্ত। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে তার প্রচারণা শুরু করেন। তিনি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নারী হেনস্তা রোধে বিশেষ সেল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ এখনও বিদ্যমান। কিছু প্রার্থী নারী ভোটারদের জন্য নিরাপদ ভোট পরিবেশ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।


ডাকসু নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও সমর্থকরা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৬:৫৬:৫০
ডাকসু নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও সমর্থকরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের ভিড়/ ছবি: জাগো নিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের আমেজ। ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ছিল প্রচারণার শেষ দিন। এ কারণে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন ভোটারদের মন জয় করতে। সবার হাতে হাতে ঘুরছে প্রচারপত্র ও পোস্টার।

রোববার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, মল চত্বর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ব্যবসা অনুষদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং হলপাড়াসহ সব জায়গায় এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা সরাসরি ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচারপত্র ও লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তারা দোয়া ও সমর্থন চাইছেন।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, যার মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।


রাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:৫২:০৩
রাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এই প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবীর (ভিপি)। এছাড়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন নাফিউল ইসলাম জীবন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন জাহিন বিশ্বাস এষা।

রবিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান এই প্যানেল ঘোষণা করেন।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল এই প্যানেল ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে, তারা ১৭টি হল সংসদের জন্যও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল চূড়ান্ত করেছে।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন, তারা হলেন:

ক্রীড়া সম্পাদক: নার্গিস খাতুন

সাংস্কৃতিক সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল কাফী

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: স্বপ্না আক্তার

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: গাজী ফেরদৌস হাসান

মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক: রাফায়েতুল ইসলাম রাবিত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: মারুফ হোসেন

বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক: মাসুম বিল্লাহ

পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক: এআর রাফি খান

সদস্য: মিনারুল ইসলাম মেঘ, সাইদ হাসান ইবনে রুহুল, মাহবুব মোর্শেদ ইল্লিন, মো. আশরাফুল ইসলাম।

প্যানেল ঘোষণার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন, জানুন ইশতেহারের আটটি অঙ্গীকার

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১২:১৫:৩২
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন, জানুন ইশতেহারের আটটি অঙ্গীকার
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ২০২৫। এ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত সাদি-বৈশাখী-সাজ্জাদ-ইকরা পরিষদ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য-২৪ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার উন্মোচন করেন। তারা বলেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া নয়, বরং শিক্ষার্থীদের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার নির্বাচনী প্রত্যাশা

প্রার্থীরা জানান, ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাঙ্গনকে গণতান্ত্রিক ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে রূপান্তরিত করাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।

ইশতেহারের আটটি অঙ্গীকার

প্রকাশিত ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং শিক্ষাঙ্গনের সার্বিক অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য আটটি মূল অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়:

  • আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা: আধুনিক পাঠ্যক্রম, আন্তর্জাতিক জার্নাল অ্যাক্সেস, এবং একাডেমিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে।
  • শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস: সহিংসতা ও দমনমুক্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারবেন।
  • পরিকল্পিত আবাসন ও মানসম্পন্ন খাবার: হলের আবাসন সংকট নিরসন ও ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
  • নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা, সিসিটিভি, নিরাপত্তা টহল এবং হেল্পলাইন চালু করা হবে।
  • স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ: বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ এবং জরুরি সেবা সহজলভ্য করা হবে।
  • সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাস, সাশ্রয়ী ভাড়া এবং রুট সম্প্রসারণ করা হবে।
  • ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার: শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতার বিকাশে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
  • পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ: ক্যাম্পাসে সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে।

প্রার্থীরা বলেন, এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি আধুনিক ও শিক্ষার্থী-কল্যাণমুখী শিক্ষাঙ্গন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের হাতে তাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ নির্মাণের সুযোগ এনে দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন পর এ ধরনের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তাদের প্রত্যাশা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দেবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সামাজিক পরিবেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।


ডাকসু নির্বাচনে সাতক্ষীরার শামীম হোসেন: তরুণ প্রজন্মের নতুন কণ্ঠস্বর

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৫:০৪:৫৩
ডাকসু নির্বাচনে সাতক্ষীরার শামীম হোসেন: তরুণ প্রজন্মের নতুন কণ্ঠস্বর
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন সাতক্ষীরার তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী শামীম হোসেন। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর গ্রামের সন্তান শামীম এখন শুধু নিজ জেলার তরুণদেরই নয়, বরং সারা দেশের ছাত্রসমাজের কাছে এক ভিন্ন ধারা ও নতুন প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

শামীম হোসেন তার নির্ভীক কণ্ঠস্বর, আপোষহীন মনোভাব এবং দৃঢ় নেতৃত্বগুণের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছেন। তার বক্তব্য ও অবস্থান প্রমাণ করে যে, প্রকৃত নেতৃত্বের জন্য কোনো বড় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন হয় না—বরং সততা, সাহস এবং দায়বদ্ধ মনোভাবই একজন নেতাকে শক্তিশালী করে তোলে।

শিক্ষাজীবনের শুরুতে আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের নিয়মিত ছাত্র। এই শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা এবং তার স্পষ্টভাষী স্বভাবই তাকে ছাত্ররাজনীতিতে স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে।

শামীম হোসেন বিশ্বাস করেন, ছাত্রসমাজের অধিকারের জন্য আন্দোলন মানেই শুধু প্রতিবাদ নয়; এটি নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার সংগ্রামও বটে। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি নিরন্তর বলে আসছেন যে ভয়কে জয় করে অধিকার আদায় করতে হবে। তার প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন প্রকাশকারীদের মতে, শামীম হোসেনের শক্তি শুধু তার মেধা নয়, বরং তার দৃঢ় নেতৃত্ব ও নৈতিক অবস্থান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাতক্ষীরার মানুষ—সবাই তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। অনেকের মতে, শামীম হোসেনের মতো একজন সৎ, সাহসী ও আপোষহীন তরুণই পারে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক ধারা ভেঙে নতুন যুগের সূচনা করতে।

এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শামীম হোসেন প্রমাণ করেছেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে এখনো ইতিবাচক পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা বিদ্যমান। তারা এমন নেতৃত্ব চায়, যারা ভয় বা স্বার্থের কাছে নতি স্বীকার না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সোচ্চার থাকবে।

-রফিক


“মামার বাড়ির আবদার নয়”-রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উপাচার্যের

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১০:০০:০৬
“মামার বাড়ির আবদার নয়”-রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উপাচার্যের
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আসন্ন রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তোমরা তালা দেবে, তোমরা মারামারি করবে, আর আমাকে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে—এটা তো মামার বাড়ির আবদার।”

উপাচার্য মনে করেন, যদি শিক্ষার্থীরা রাকসু নির্বাচনে ছাত্রসুলভ আচরণ প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটিই তাদের অযোগ্যতার প্রকাশ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা প্রমাণের দায়িত্ব তাদের নিজেদের, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসন্ন রাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক নকীব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনার প্রভাব রাকসু নির্বাচনে পড়তে পারে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।” তিনি আরও জানান, রাকসু নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রোববার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে অশালীন ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে, সেই মুহূর্তেও কমিশন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি।

উপাচার্যের ভাষায়, “তারা উচ্চ নৈতিকতা ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ। কিছু শিক্ষকও আছেন, যারা জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে যাননি। আমাদেরও সুযোগ ছিল দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যখন তালা দেয়, মারামারি করে, তখন প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না যে আমরা সবকিছু সামলাবো। যদি শিক্ষার্থীরা নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে না পারে, তাহলে তারা নিজেরাই রাকসুর জন্য অযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি সব সময় ধৈর্য ধারণ করেছে এবং কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তার মতে, দোষ যাদের, আলাপ আলোচনা হওয়া উচিত তাদের নিয়েই।

রাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য নকীব বলেন, “আমি চাইতাম আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ও ভেতরের সৌন্দর্য দিয়েই রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হোক। কিন্তু বাস্তবতায় অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এ ধরনের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে তা আমাদের ছাত্রসমাজ এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার হবে।”

প্রসঙ্গত, গত রোববার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। এ সময় তারা একটি চেয়ার ভাঙচুর করে, টেবিল উল্টে ফেলে এবং ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এতে কয়েক দফায় ধস্তাধস্তি হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফটকের তালা ভেঙে ফেলে। চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর দুইটার দিকে মনোনয়নপত্র বিতরণ পুনরায় শুরু হয় এবং বিতরণের সময় একদিন বাড়ানো হয়।

-রফিক

পাঠকের মতামত: