মরুভূমির বুকে এক বিস্ময়: সৌদি আরবের ‘ডেজার্ট রক’ রিসোর্ট

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৯:০৭:৩৫
মরুভূমির বুকে এক বিস্ময়: সৌদি আরবের ‘ডেজার্ট রক’ রিসোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের লোহিত সাগর উপকূলে পাহাড়ের ভেতর খোদাই করে তৈরি হয়েছে এক অভিনব ফাইভ স্টার রিসোর্ট, যার নাম ‘ডেজার্ট রক’। গত বছর উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত সংস্কার শেষে এ গ্রীষ্মে আবারও অবকাশ যাপনকারীদের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

এই রিসোর্টে প্রবেশ করতে হয় সরু ও বাঁকানো শিলা কেটে তৈরি গলি পেরিয়ে। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে একটি আকর্ষণীয় ওয়েলকাম প্যাভিলিয়ন, যেখানে সুরেলা সংগীত অতিথিদের স্বাগত জানায়। ডেজার্ট রকে থাকার জায়গা চার ভাগে বিভক্ত। হোটেলের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে দুই শয্যার একটি ভিলা। এর মাস্টার বেডরুম থেকে দুর্গম পাহাড়ি দৃশ্য ও ব্যক্তিগত ইনফিনিটি পুলের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। অন্যান্য কক্ষে দুটি কুইন বেড, বড় ডাইনিং স্পেস ও শিলার দেওয়ালে সাজানো বসার ঘর রয়েছে। এর বাথরুমেও ফ্লোর-টু-সিলিং জানালা ও ওয়াক-ইন রেইন শাওয়ারের ব্যবস্থা আছে, যা থেকে বাইরের দৃশ্যের স্বাদ নেওয়া যায়।

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ব্যতিক্রমী আয়োজন

রিসোর্টের সাজসজ্জায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান ও রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, যা মরুভূমির পরিবেশের সঙ্গে মিশে গেছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে পেরুভিয়ান, কাশ্মীরি ভেড়ার মাংসসহ বিভিন্ন দেশের সিগনেচার আইটেম।

এখানে অবকাশ যাপনকারীদের জন্য থাকছে ওয়াদি পুল, অবজারভেটরি, ডেজার্ট গেমসসহ নানা ধরনের বিনোদন। পাশাপাশি যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাদের জন্য অ্যাবসেইলিং, জিপলাইন, ক্লাইম্বিং, হাইকিং, ই-বাইকিং ও নক্ষত্রদর্শনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থা আছে। এখানে সৌদি রান্না শেখানোর ক্লাসও রাখা হয়েছে।

রিসোর্টের স্পা সেন্টারে অতিথিরা সাওনা, স্টিম রুম, হাম্মাম, ভিটালিটি পুল ও কোল্ড প্লাঞ্জসহ নানা ধরনের থেরাপি উপভোগ করতে পারবেন। ডেজার্ট রকে এক রাতের জন্য এক শয্যার ওয়াদি ভিলায় থাকতে হলে সর্বনিম্ন ১,৮৬৬ ডলার খরচ করতে হবে।

খবর : দ্য ন্যাশনাল

Holiday Village

ত্বকের যত্নে ‘বেসিক’ রুটিন: কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই ত্বককে রাখবেন সতেজ ও উজ্জ্বল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৮:৫৪:২০
ত্বকের যত্নে ‘বেসিক’ রুটিন: কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই ত্বককে রাখবেন সতেজ ও উজ্জ্বল
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই নিজের ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যাই। অথচ, ত্বকই আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় ও দৃশ্যমান অঙ্গ, যার প্রতিচ্ছবিতেই ধরা পড়ে আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ছাপ। দূষণ, রোদ, স্ট্রেস এবং ভুল পণ্যের ব্যবহারে ত্বক রুক্ষ বা ব্রণসম্ভাবনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই গাইডে আমরা তুলে ধরছি ত্বকের প্রাথমিক যত্নের সহজ ধাপগুলো, ত্বকের ধরন অনুযায়ী করণীয়, এবং সপ্তাহিক বা দৈনন্দিন স্কিন কেয়ার রুটিন – সবকিছুই একদম শুরু থেকে, যাতে আপনি নিজেই গড়ে তুলতে পারেন একটি কার্যকর ও টেকসই স্কিন কেয়ার অভ্যাস।

ত্বকের প্রাথমিক যত্ন: ৩টি মূল উপাদান

ত্বক সুস্থ রাখার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি মূল উপাদান অপরিহার্য: নরম ক্লেনজার যা ত্বক পরিষ্কার রাখে, ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং সানস্ক্রিন (SPF 30+) যা সূর্যের ক্ষতি থেকে বাঁচায়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে র‍্যাশ, রোজেশিয়া ও একজিমার মতো সমস্যা বাড়ে।

সঠিক রুটিন ও সাপ্তাহিক যত্নের কৌশল

ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পণ্যগুলো সবসময় হালকা থেকে ভারী—এই ক্রমানুসারে ব্যবহার করা উচিত। প্রথমে ক্লেনজার, এরপর টোনার (ইচ্ছামতো), সিরাম (যেমন ভিটামিন সি), ময়েশ্চারাইজার, এবং সবশেষে দিনের বেলায় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সাপ্তাহিক যত্নের অংশ হিসেবে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এক্সফোলিয়েশন করা ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং মাস্ক বা ফেস অয়েল ব্যবহার করা উচিত। ব্যবহারের সময় ঘাড় ও বুকেও প্রোডাক্ট লাগানো জরুরি।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন

তৈলাক্ত ত্বক: এই ত্বকের জন্য হালকা জেল টাইপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা ভালো এবং নিয়াসিনামাইডযুক্ত পণ্য কার্যকর।

শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকে ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। গরম পানি এড়িয়ে চলুন এবং রাতে ফেস অয়েল ব্যবহার করুন।

কম্বিনেশন ত্বক: এই ধরনের ত্বকে আলাদা আলাদা অংশে ভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন এবং অ্যালকোহলমুক্ত প্রোডাক্ট বেছে নিন।

সাধারণ ত্বক: সাধারণ ত্বকে বেশি পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। হালকা ক্রিম বা লোশন বেছে নিন এবং সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

দৈনন্দিন টিপস ও ঘরোয়া রেসিপি

সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি খান এবং চিৎ হয়ে ঘুমান, যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। বালিশের কভার পরিষ্কার রাখুন এবং মুখে গরম নয়, ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। ঘরোয়া রেসিপির মধ্যে ঠোঁটের জন্য চিনি ও মধুর স্ক্রাব, শরীরের জন্য কফি ও নারিকেল তেলের স্ক্রাব, টোনার হিসেবে গোলাপজল ও অ্যালোভেরা এবং ফেস মাস্ক হিসেবে বেসন ও দই খুবই কার্যকর।


লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৭:৩১:০৬
লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
লিংকডইন/রয়টার্স

পেশাজীবীদের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে এখন সহজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির সন্ধান মেলে। তবে লিংকডইন প্রোফাইল আকর্ষণীয় না হলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা পায় না। আবার সঠিক কৌশল না জানলে চাকরির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সময়মতো জানা সম্ভব হয় না।

পছন্দের চাকরির সন্ধান পেতে আপনার লিংকডইন প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

চাকরির সন্ধানে লিংকডইনের ৫ কৌশল

১. প্রোফাইল হেডলাইন: প্রোফাইল হেডলাইন হলো প্রোফাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রোফাইলের নামের নিচে দেখা যায়। নিজের পেশা ও দক্ষতাকে প্রকাশ করতে সক্ষম হেডলাইন লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ডেটা অ্যানালিস্ট (ট্র্যান্সফরমিং প্যাটার্নস ইনটু ইনসাইট অ্যান্ড ভ্যালু)’—এরকম হেডলাইন আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।

২. প্রোফাইল সামারি: প্রোফাইলের ‘অ্যাবাউট’ সেকশনে দেওয়া সামারি বা সারসংক্ষেপ ব্যবহারকারীর পেশাগত দক্ষতা, অর্জন এবং অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরে। এটি আকর্ষণীয় করে এবং সংক্ষেপে লিখতে হবে। সামারিতে নিজের মূল দক্ষতা, উল্লেখযোগ্য কাজ ও অর্জন, এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের উল্লেখ করলে প্রোফাইলটি আরও বিশ্বাসযোগ্য ও আকর্ষণীয় হবে।

৩. নিয়মিত পোস্ট করা: লিংকডইনে নিজের পেশাগত কার্যক্রম, অর্জন, এবং দক্ষতা সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পোস্ট করার মাধ্যমে নিজের পেশাগত অগ্রগতি ও সাফল্য অন্যদের সামনে তুলে ধরুন। আপনার পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে পোস্ট করলে তা আপনার প্রোফাইলের গুরুত্ব বাড়াবে এবং চাকরির প্রস্তাবও আসতে পারে।

৪. নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি: লিংকডইন নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। তবে কৌশলী হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংযোগই স্থাপন করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার সময় অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। যাঁদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান, তাঁদের তালিকা তৈরি করুন এবং পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ করুন।

৫. কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান অনুসরণ ও গ্রুপে সক্রিয় থাকা: যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল অনুসরণ করুন। এতে তাদের পোস্ট করা চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আপনি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবীদের গ্রুপে যুক্ত হয়ে সক্রিয় থাকা জরুরি। এসব গ্রুপ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং চাকরির সুযোগ সম্পর্কে জানা যায়।

সূত্র: টেকলুসিভ


ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৬:২০:৫৫
ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক এমন এক মজার খাবার, যা চায়ের সঙ্গে হোক বা জন্মদিনের কেক হিসেবেই—সবসময়ই দারুণ জনপ্রিয়। এই রেসিপিতে খুব সহজভাবে জানানো হলো, কীভাবে আপনি বাসায় বসেই একটি নরম ও মোলায়েম স্পঞ্জ কেক তৈরি করতে পারেন। সন্ধ্যার চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে এই কেক আপনাকে প্রশংসিত করবেই।

উপকরণ

ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ: ময়দা – ১ কাপ, ডিম – ৩টি, চিনি (গুঁড়ো করা) – ১ কাপ, তেল বা বাটার – ১/২ কাপ, দুধ – ১/২ কাপ, বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ, এবং ভ্যানিলা এসেন্স – ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি

ধাপ ১: ডিম ও চিনির মিশ্রণ প্রথমে একটি বড় বাটিতে ডিমগুলো ভেঙে নিন এবং গুঁড়ো চিনি দিয়ে ভালোভাবে বিট করুন। মিশ্রণটি ফেনার মতো ঘন হয়ে এলে বুঝবেন ভালোভাবে বিট হয়েছে।

ধাপ ২: তেল ও এসেন্স মেশানো এবার তেল (বা গলানো বাটার) এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিন। ভালোভাবে নেড়ে নিন।

ধাপ ৩: শুকনো উপকরণ প্রস্তুত একটি আলাদা বাটিতে ময়দা ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিন (ছাঁকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এতে কেক ফ্লাফি হবে)।

ধাপ ৪: ব্যাটার তৈরি এখন ধীরে ধীরে শুকনো উপকরণ (ময়দা + বেকিং পাউডার) মিশ্রণে দিন। পাশাপাশি দুধও অল্প অল্প করে দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার যেন খুব পাতলা বা খুব ঘন না হয়।

ধাপ ৫: বেকিংয়ের জন্য প্রস্তুত একটি কেক টিনে হালকা করে তেল ব্রাশ করে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে নিন। এরপর ব্যাটারটি ঢেলে দিন।

ধাপ ৬: বেক করা কেক টিনটি প্রি-হিটেড ওভেনে (১৮০°C তাপমাত্রায়) ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করুন। কেক সেঁকা হয়েছে কি না বোঝার জন্য একটি টুথপিক ঢুকিয়ে দেখুন—পরিষ্কার বেরিয়ে এলে কেক তৈরি।

কেকটি ঠান্ডা হলে টিন থেকে বের করে পছন্দমতো টুকরো করুন। চাইলে ওপর থেকে একটু চিনি ছিটিয়ে বা হালকা আইসিং করে পরিবেশন করতে পারেন।


গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৪:৪৫:৫১
গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

মৌসুমি পরিবর্তনের এই সময়টায় গলাব্যথা বা ‘সোর থ্রোট’-এর সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢোক গিলতে গেলে গলায় কাঁটার মতো অস্বস্তি অনুভব হয়। সাধারণত গার্গল নিলে কিছুটা উপশম দিলেও তা সব সময় কাজ করে না। এই সময় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে সহজেই এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

গলা ব্যথা কমানোর ৪টি ঘরোয়া টোটকা

১. মধু: মধু দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ, যা গলার ব্যথার কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ব্যবহার: এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি বা ভেষজ চায়ের সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একাধিকবার খেলে আরাম পাওয়া যায়।

২. দারচিনি: সুগন্ধযুক্ত এই মশলাটির রয়েছে দুর্দান্ত ভেষজ গুণ। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

ব্যবহার: প্রতিদিনের চায়ে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৩. রসুন: প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার অনেক পুরনো। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদানটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

ব্যবহার: গলাব্যথা, সর্দি বা ফ্লু-জনিত উপসর্গ দেখা দিলেই প্রতিদিন একটি কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে, অথবা গরম স্যুপে ফোটানো অবস্থায় খাওয়া ভালো।

৪. হলুদ-দুধ: হলুদে রয়েছে শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান (কারকিউমিন), যা গলার টিস্যুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার: এক কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সংক্রমণজনিত গলাব্যথায় উপকার মেলে। এই উপায়টি পুরনো হলেও এখনও সমান কার্যকর।

গলার সমস্যাকে অবহেলা না করে, প্রাথমিক ধাপেই এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চললে ওষুধ না খেয়েও স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সূত্র : এই সময়


পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ২১:০৮:৫০
পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার সময় তাড়াহুড়ো বা মনোযোগ কম থাকলে অনেক সময় খাবার পুড়ে যায়। যদিও পোড়া অংশ ফেলে দেওয়া যায়, তবুও সেই গন্ধ প্রায় সবসময় থেকে যায়, যা খুব কষ্টদায়ক। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা দিয়ে সহজেই পোড়া গন্ধ কমানো সম্ভব।

পোড়া গন্ধ দূর করার কৌশল

১. ভাত পুড়ে গেলে: ভাত পুড়ে গেলে সাধারণত তা তলার দিকে জমে যায় এবং গন্ধ ছড়ায় পুরো ভাতে। এমন সময় ভাত চামচ দিয়ে তলা থেকে আলাদা করে তুলে নিন।

টিপস: ভাতের ওপর একটা পাউরুটির স্লাইস রেখে দিন। পাউরুটিটি পোড়া গন্ধ শুষে নেবে এবং ভাতের গন্ধ অনেকটা কমে যাবে।

২. মাছ বা তরকারি পুড়ে গেলে: মাছ বা অন্য তরকারি রান্নার ঝোল পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঝোলটা আলাদা পাত্রে তুলে নিন।

টিপস: এরপর ঝোলের মধ্যে এক টুকরো কুমড়ো বা আলু দিয়ে রান্না করুন। এটি পোড়া গন্ধ কমাতে বেশ কার্যকর।

৩. মাংসের তরকারি পুড়ে গেলে: যদি মাংসের তরকারি পুড়ে যায়, তবে প্রথমেই মাংসগুলো তুলে নিন।

টিপস: তারপর অন্য পাত্রে পেঁয়াজ ভেজে মাংস আর আলু দিয়ে ভালো করে কষান। পেঁয়াজের টক-ঝাঁঝা গন্ধ পোড়া গন্ধ ঢেকে দিতে সাহায্য করবে।

খাবার পুড়ে গেলে আতঙ্কিত হবেন না। একটু সাবধানতা এবং এই ছোট ছোট ঘরোয়া টিপসগুলো মেনে চললেই দ্রুত পোড়া গন্ধ কমানো যায়।


উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৯:০৯:০৯
উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
ছবিঃ সংগৃহীত

বিছানার আরামকে গায়ে মেখে উপুড় হয়ে শোওয়ার সুখ আলাদাই। এই ভঙ্গিতে কারও শ্বাস নেওয়ার সুবিধা হয়, আবার কারও নাকডাকার সমস্যা দূরে থাকে। কিন্তু যদি সার্বিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হয়, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ওইভাবে না ঘুমোনোই ভালো। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বেন্টলির কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা অনুযায়ী, উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ঘুমের সময় শরীরের উপর মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তাই ভুলভাবে ঘুমোলে শরীরে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তা শুধরে নেওয়ার উপায় থাকে না। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর ক্ষেত্রে তেমন সম্ভাবনাই বেশি।

উপুড় হয়ে শোয়ার ৪টি প্রধান বিপদ

১. ঘাড় ও পিঠে ব্যথা: উপুড় হয়ে শুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুবিধার জন্য মাথাকে কোনো এক দিকে ঘুরিয়ে রাখতে হয়। গবেষণা বলছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই অবস্থায় মাথা একটা দিকে ঘুরিয়ে রাখলে তার চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের ওপর। যা থেকে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি হতে পারে।

২. স্নায়ুর সমস্যা: উপুড় হয়ে শুলে পিঠ সোজা থাকলেও কোমর এবং ঘাড় বেঁকে থাকে। মেরুদণ্ড অদ্ভুতভাবে দু’দিকে মুচড়ে থাকে, যার প্রভাব পড়ে স্নায়ুতেও। গবেষণা বলছে, এর ফলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে, পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা বা পা অসাড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

৩. ত্বকে বলিরেখা: উপুড় হয়ে শুলে মুখের ওপর চাপ পড়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে মুখের চামড়া ঝুলে পড়ার বা ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।

৪. অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঝুঁকি: গবেষণা জানাচ্ছে, সন্তানসম্ভবা মহিলাদেরও ওইভাবে শোয়া উচিত নয়, কারণ তা শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা দিতে পারে, যা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পেটের উপর চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়া ঘুমোনোর সব থেকে খারাপ ‘ধরন’গুলোর মধ্যে একটি।


নীরব শক্তি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি গোপন বৈশিষ্ট্য

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৬:১৩:১২
নীরব শক্তি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি গোপন বৈশিষ্ট্য
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে আমরা নিজেদের জীবনের রঙিন অংশগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখাতে ব্যস্ত। টাটকা সেলফি, ভ্রমণের ভিডিও, রেস্তোরাঁয় মজার রিল বা বিরাট সাফল্যের দীর্ঘ স্ট্যাটাস—কিছুই বাদ পড়ছে না। তবে একটি ছোট গোষ্ঠী এসব থেকে পুরোপুরি দূরে থাকে। সম্পর্কবিষয়ক গবেষকদের মতে, সবকিছু জানাতে না চাওয়াতেও থাকে একধরনের নীরব আত্মবিশ্বাস। আর যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা অসামাজিক নন, বরং অন্যরকম মূল্যবোধে জীবনকে দেখেন।

গবেষকরা এ ধরনের মানুষের মধ্যে সাধারণত ৭টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন, যা তাদের আলাদা করে তোলে।

নীরব কিন্তু সফল—৭টি বৈশিষ্ট্য

১. নিজের ভেতরের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত: তাঁরা অনেকটাই আত্মমুখী। নিজেদের চিন্তা, অনুভূতি আর লক্ষ্য নিয়ে সময় কাটান। বাইরের প্রতিক্রিয়া বা লাইক–কমেন্ট তাঁদের কাছে জরুরি নয়। তাঁদের কাছে নিজের মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাসই আসল বিষয়।

২. সময়কে মূল্য দেন: অকারণ স্ক্রল, ট্রেন্ড ফলো করা বা অন্যের জীবনের আপডেট দেখা—এসব থেকে তাঁরা দূরে থাকেন। তাঁরা বুঝে ফেলেছেন, সময় অমূল্য। এই সময় তাঁরা ব্যবহার করেন পড়াশোনায়, প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলায় বা নিজের সঙ্গ উপভোগে।

৩. সম্পর্কের গভীরতা খোঁজেন: তাঁরা বন্ধু চান, ফলোয়ার নয়। সংখ্যার চেয়ে মান তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এমন সম্পর্ক চান, যা সত্যিকারের; যেখানে বোঝাপড়া আর বিশ্বাস থাকে, শুধু অনলাইনে সুন্দর দেখানোর জন্য নয়।

৪. শান্ত ও স্থির মেজাজের মানুষ: অনলাইন বিতর্ক, আবেগতাড়িত পোস্ট বা ঝগড়ায় তাঁরা জড়ান না। নিজেদের আবেগ তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে ভাবেন, এটা কি সত্যিই প্রয়োজন?

৫. আত্মনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী: তাঁরা কারও প্রশংসা বা অনুমোদনের অপেক্ষা করেন না। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। বাইরের স্বীকৃতির চেয়ে নিজের সন্তুষ্টিই তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

৬. ব্যক্তিগত সীমারেখা মানেন: কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন—সবকিছু সবাইকে জানানো তাঁদের পছন্দ নয়। তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেন। তাঁদের কাছে নিজের বিষয় নিজের কাছেই রাখা এক ধরনের মানসিক শান্তি।

৭. বর্তমানে থাকতে জানেন: তাঁরা পোস্ট করার চেয়ে মুহূর্তটা অনুভব করেন। সূর্যাস্ত দেখার সময় ছবি তোলার চেয়ে সূর্যাস্তটা উপভোগ করাই তাঁদের কাছে বেশি মূল্যবান।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

গবেষকেরা বলেন, যাঁরা এসব থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা যে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না, তা নয়। বরং তাঁরা হয়তো সচেতনভাবেই অন্যে ফিডে শান্তি না খুঁজে নিজের ভেতরেই শান্তি খোঁজেন। ব্যক্তিগত জীবনে আরেকটু গোপনীয়তা এবং কম প্রদর্শনের অভ্যাস করলে হয়তো জীবনটা আরও সহজ হতো।

সূত্র: এক্সপার্ট এডিটর


শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২০:৫১:৩৫
শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে গরম এবং শক্তিশালী রাখতে আমন্ড (কাঠবাদাম) বাদামকে খুবই উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই বাদামে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ক, হার্ট ও ত্বক—তিনটির জন্যই লাভদায়ক। কিন্তু অনেকেই দ্বিধায় থাকেন—শীতকালে বাদাম ভিজিয়ে খাবেন, নাকি শুকনো খাওয়াই ভালো?

চলুন, জেনে নেওয়া যাক শীতকালে এই বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় এবং উভয় পদ্ধতির উপকারিতা।

ভেজানো বনাম শুকনো আমন্ডের উপকারিতাআসলে, দুটি পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। আপনি সঠিক উপায়ে এবং সঠিক সময়ে এই বাদাম খেলে এর পুষ্টিগুণের প্রভাব বহুগুণ বেড়ে যায়।

ভেজানো আমন্ড খাওয়ার উপকারিতা

সহজে হজম: ভিজিয়ে রাখলে এই বাদামের বাইরের স্তর নরম হয়ে যায়, ফলে এটি চিবানো এবং হজম করা সহজ হয়।

পুষ্টির ভালো শোষণ: ভেজানোর ফলে এই বাদামে থাকা এনজাইম সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে শরীর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সহজে শোষণ করতে পারে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: ভেজানো বাদামে ভিটামিন ই-এর প্রভাব বেশি দেখা যায়, যা ত্বককে নরম এবং চুলকে শক্তিশালী করে।

শুকনো বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

উষ্ণতা প্রদান: শীতকালে শুকনো বাদাম খেলে শরীর গরম থাকে।

দীর্ঘ সময় শক্তি: শুকনো বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে, যার ফলে সারা দিন সক্রিয় থাকা যায়।

স্ন্যাকিং: দৈনন্দিন স্ন্যাকিং, ভ্রমণের সময় বা চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য এগুলো খুব ভালো।

সঠিক উপায় ও পরিমাণ

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, আপনার হজমশক্তি যদি দুর্বল হয় বা ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে ভেজানো বাদাম খাওয়াই ভালো। আর যদি শক্তি ও উষ্ণতা চান, তবে সকালে দুধের সঙ্গে ২-৩টি শুকনো বাদাম খান।

পরিমাণ: ভালো ফলাফলের জন্য শীতকালে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি বাদাম খাওয়া উচিত।

উপসংহার: ভেজানো বাদাম সহজে হজম হয় এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সম্পূর্ণ সুবিধা দেয়। তবে, সীমিত পরিমাণে শুকনো বাদামও শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি উভয় পদ্ধতিতেই বাদাম খেতে পারেন।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২০:৪৩:৪৮
মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
ছবিঃ সংগৃহীত

সকালে ঘুম ভাঙার পর কিংবা অফিসের কাজের চাপে—মাথাব্যথা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অনেকেই মনে করেন, ‘মাথা থাকলে ব্যথা হবেই।’ কিন্তু এই চরম সত্যের মূল কারণ হচ্ছে আপনার ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা, পানিশূন্যতা কিংবা চোখের ক্লান্তি। এই সমস্যাগুলো সমাধান করলে মাথাব্যথা অনেকটাই কমে আসতে পারে। তবে যদি মাথাব্যথা নিয়মিত হয়, অত্যধিক তীব্র বা চোখ ঝাপসা দেখায়, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, হালকা মাথাব্যথা কমাতে ৫টি ঘরোয়া টিপস:

মাথাব্যথা কমানোর ৫ ঘরোয়া উপায়

১. ইয়োগা (Yoga): ইয়োগা আপনার মাথাব্যথার সমাধান দিতে পারে। বিশেষ করে চোখের চাপ, স্ট্রেস বা ঘুমের অভাবজনিত মাথাব্যথার ক্ষেত্রে ইয়োগা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইয়োগার ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাস মনকে শান্ত করে, কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) কমিয়ে দেয় এবং মাথায় রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে।

২. বিশ্রাম ও ঘুম: ঘুম কম হলে বা পরিশ্রম বেশি হলে মাথাব্যথা শুরু হয়। মাথাব্যথা শুরু হলে সামান্য কিছু সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করে নিরিবিলি অন্ধকার রুমে বিশ্রাম নিন। যখন-তখন কিছুক্ষণের জন্য চোখকে আরাম দিন।

৩. পানি পান: সাধারণত পানিশূন্যতা মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই সাধারণ মাথাব্যথা হলে প্রথমেই ১–২ গ্লাস পানি পান করুন। দিনে পর্যাপ্ত পানি (অন্তত ১০ গ্লাস) পান করলে শরীর ডিহাইড্রেশনমুক্ত থাকে এবং মাথাব্যথা দূর করা যেতে পারে।

৪. আদা চা: আদা প্রদাহ কমিয়ে দেয় এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তোলে। মাথাব্যথা অনুভূত হলে এক চামচ কুচানো আদা এককাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে চা তৈরি করে খান। চা খাওয়া অভ্যাস না থাকলে কেবল আদাযুক্ত হালকা গরম পানিও খেতে পারেন।

৫. লেবুপানি ও অন্যান্য: অতিরিক্ত গ্যাস কিংবা হজমের সমস্যা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লেবুপানি আপনার মাথাব্যথা দূর করতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া পুদিনা তেল কপালে ও কানের পাশে হালকা মালিশ করলেও আরাম পাওয়া যেতে পারে।

পাঠকের মতামত: