অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নতুন দাবি জামায়াতের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৮:১৭:২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নতুন দাবি জামায়াতের
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি বৈধতা দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রক্লেমেশন জারি কিংবা গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ দাবি তোলা হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে জুলাই জাতীয় সনদকে একটি কার্যকর আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই সনদের ভিত্তিতেই আয়োজন করতে হবে।

এছাড়া বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার পর সনদের কিছু বিষয় নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসারও সিদ্ধান্ত নেয় জামায়াতে ইসলামী।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের (সাবেক এমপি) ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (সাবেক এমপি), সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন ও মো. সেলিম উদ্দিন বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের সরকার গঠনের জন্য জুলাই জাতীয় সনদকে অবিলম্বে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রক্লেমেশন কিংবা গণভোট যে কোনো একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সনদটি বৈধতা পেলে জনগণের প্রত্যাশা পূর্ণ হবে এবং রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ সুগম হবে।

-রফিক


মীর হেলালের বক্তব্যে তারেক রহমানের বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৮:১১:২১
মীর হেলালের বক্তব্যে তারেক রহমানের বার্তা
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও পূর্ব সমাবেশ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান থেকে শুরু হওয়া র‍্যালিটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজীর দেউড়ি নাসিমনে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিচালিত হবে। তাই দলের কোনো স্তরের নেতা-কর্মীর আচরণে জনগণ যেন কষ্ট না পান, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপির ক্ষমতার একমাত্র উৎস বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ।

মীর হেলাল আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার সময় থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণআন্দোলন পর্যন্ত দেশবিরোধী বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই জিয়াউর রহমানের পরিবার জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলকে প্রশংসা করে বলেন, এটি একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। হামলা-মামলা, গুম-খুনের ভয় উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবক দল দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থেকেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল বিএনপির ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করেছে এবং আগামী দিনেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে, দুর্যোগ-দুর্বিপাক কিংবা সংকটে দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতেও এই সংগঠনের কর্মীরা সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

আরেক বিশেষ অতিথি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা বহুবার হয়েছে, কিন্তু কখনো সফল হয়নি। যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে, শেষ পর্যন্ত তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া দল বিএনপিও বেঁচে থাকবে। তিনি আরও যোগ করেন, গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চললেও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া এই সংগঠন সবসময় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে সক্রিয় থেকেছে। তিনি ঘোষণা দেন, ভবিষ্যতেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, মানবিকতা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।

এ সময় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান। এছাড়া বক্তব্য দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুদ্দিন রাশেদ, জহিরুল ইসলাম টম, হারুনুর রশিদ (কোতোয়ালী), গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসানসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল হাই, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান শিমুল, আব্দুল মান্নান আলমগীর, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, মো. জাহিদুল ইসলাম (দপ্তরের দায়িত্বে), নোমান সিকদার সোহাগ, রিদওয়ানুল হক রিদু, মো. ইকবাল হোসেন জিসান, ইমরান হোসেন তালুকদার, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মারুফ, মো. পারভেজ, মো. ইব্রাহীম, মো. বাকের, মোহাম্মদ জাবেদ, সাফায়াত সোবহান, রাশেদ পাটোয়ারী, মো. রাজীব প্রমুখ।

-রাফসান


হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৮:০৪:১১
হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে সাত দিনের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আবারও শারীরিক সমস্যায় ভুগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সেদিন সন্ধ্যায় থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় ফেরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করেন। দেশে ফেরার পরপরই তিনি দলের গুলশান কার্যালয়ে যান এবং রাত পর্যন্ত সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দীর্ঘ বৈঠকের পর রাত বাড়তেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদের তত্ত্বাবধানে তাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা দ্রুত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেন। অধ্যাপক ড. এন এ এম মোমেনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রাথমিকভাবে রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাসসহ অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় বিষয় খুঁটিয়ে দেখা হয়।

পরে রাত ২টা ২০ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. জাহিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, চিকিৎসকরা দ্রুত সাড়া দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার পর মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এখন তিনি ভালো আছেন এবং চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।”

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। হৃদরোগ, হজমজনিত সমস্যা ও বয়সজনিত নানা অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়মিত বিদেশে চিকিৎসা নিতে হয়। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এত দ্রুত আবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় বিএনপির ভেতরে এবং সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

দলের নেতাকর্মীরা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।

-রফিক


জামায়াতের সংস্কার চাওয়া হাস্যকর: বললেন হাবিব উন নবী খান সোহেল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ২২:১৩:১৪
জামায়াতের সংস্কার চাওয়া হাস্যকর: বললেন হাবিব উন নবী খান সোহেল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, একটি দল কখন যে কার সঙ্গে, মতিগতি বুঝি না। তিনি বলেন, দলটি কখনো বিএনপির সঙ্গে, কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। আবার যখন কারও সঙ্গে না, তখন ভেতরে ভেতরে লোক ঢুকিয়ে রাখে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কবিতার ভাষায় তিনি জামায়াতকে বলেন, ‘যখন ডুবেছে পঞ্চমীর চাঁদ, হঠাৎ মরিবার হলো তার সাধ’। তিনি বলেন, ৯৬ সালে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধে, আরও কয়েকটি দল নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।

জামায়াতের সংস্কার চাওয়ার বিষয়টিকে তিনি হাস্যরস উল্লেখ করে বলেন, জামায়াতও সংস্কার চায়! আমি বলি, নিজেদের মধ্যে সংস্কার করেছেন কি? এসময় তিনি বলেন, আগে ৭১ সালে গণহত্যার দায়ে জাতির কাছে ক্ষমা চান, তারপর মাথা নিচু করে রাজনীতি করুন।

তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের রক্ত কণিকা হয়তোবা এখনো লেগে আছে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের আনাচে-কানাচে। প্রিয় নেতা (তারেক রহমান) সেই লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা আপনাকে ডাকছে। আমাদের জন্য না হলেও সেই লোহিত কণিকা শ্বেত কণিকার আহ্বানে আপনি ছুটে আসুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনার পিতার রক্ত আপনাকে ডাকছে। খুনের বদলা খুন না, আমি জানি আপনি তা বিশ্বাস করেন না। কিন্তু যে স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আমাদের নেতা চলে গিয়েছিলেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেই আপনি আপনার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবেন। সেটা আমরা বিশ্বাস করি।’

/আশিক


আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর (অব.) হাফিজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ২২:০৪:১৭
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর (অব.) হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি ‘অদ্ভুত ঘটনা’ ঘটতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংবিধান সংশোধন করে। কিন্তু বাংলাদেশে তা করছে একদল অনির্বাচিত লোক, যারা দেশের গত ১৭ বছরের সংগ্রামে বা জুলাই অভ্যুত্থানে কোনো অংশগ্রহণ করেনি। তারা বাংলাদেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়।

মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যা শুরু করেছিলেন আমাদের নেতা মেজর জিয়াউর রহমান। যখন রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে আশার বাণী শোনানোর জন্য কাউকে খুঁজে পায়নি, তখন জিয়াউর রহমান জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

তিনি তারুণ্যের শক্তি প্রসঙ্গে বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু পরাশক্তির চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ধনী। কারণ, বাংলাদেশের মতো দেশে এমন সন্তান জন্ম নেয়, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরস্ত্র হয়ে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাসী মাথাপিছু আয় দেখিয়ে আমাদের দরিদ্র দেশের কাতারে ফেলতে চায়। কিন্তু আমাদের গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে।

/আশিক


পিআর পদ্ধতি নয়, চাই দ্রুত নির্বাচন’: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৯:০৭:৪৪
পিআর পদ্ধতি নয়, চাই দ্রুত নির্বাচন’: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন চায় এবং সংকট নিরসনের একমাত্র উপায় হলো দ্রুত নির্বাচন। তবে বিএনপি সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নয়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় থাইল্যান্ডে সাত দিনের চিকিৎসা শেষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’ যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই প্রত্যাশা করছি।’

/আশিক


ড. ইউনূসের সরকারের কাছে এটা আশা করি না: মব জাস্টিস নিয়ে রিজভীর ক্ষোভ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৭:৫৪:১০
ড. ইউনূসের সরকারের কাছে এটা আশা করি না: মব জাস্টিস নিয়ে রিজভীর ক্ষোভ
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, সারা দেশে আইনবহির্ভূতভাবে ‘মব’ বা গণপিটুনির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল যেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না পারে, সে জন্য মব তৈরি করে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ড. ইউনূসের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কেন এ ধরনের পরিস্থিতি হবে? সারা দেশে আইনবহির্ভূতভাবে মব হচ্ছে। উচ্ছৃঙ্খল জনতা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে, কারণ সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না।’ তিনি অভিযোগ করেন যে, রংপুরে দুজন সংখ্যালঘুর গণপিটুনিতে প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটছে।

বিগত সরকারের আমলে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ঋণখেলাপিদের ঋণ নবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেও দেড় লাখ কোটি টাকার ঋণখেলাপিদের ঋণ নবায়ন করা হয়েছে। জনগণ সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ আশা করে না।

ঋণখেলাপিদের গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এগুলো করতে না পারলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে।’

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে। অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেসব ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, একবার হয়েছে ভোটারশূন্য নির্বাচন, আরেকবার মধ্যরাতের ভোট, আর সর্বশেষ ২০২৪ সালে হয়েছে ডামি নির্বাচন।’

/আশিক


এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৭:০৫:২২
এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মনোনয়ন নেওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন মাহিন সরকার। তিনি দলটির যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এই ঘটনার পর মাহিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) মধ্যরাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে মাহিন লিখেছেন, ‘আমি তাদের একজন যার হাতে অভ্যুত্থানের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত হয়েছিল। অন্তত আমার কথাগুলো বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘মাহিন সরকারের তার অনাগত সন্তানের কাছে বলার মতো গল্প আছে। মাহিন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে তার রক্ত দিয়ে রাঙিয়েছে। গানপয়েন্টে ছয়জন সমন্বয়কের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর মাহিন সরকার বলেছিল ‘মানি না’। মাহিন সরকারসহ চারজন সমন্বয়কই বাকি সমন্বয়কদের বৈধতা দিয়েছে। মাহিন সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচারে মাঠে নেমেছিল, কেউ আসেননি পাশে। আজকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বহিষ্কার করে দিলেন।’

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে মাহিন বলেন, ‘যদি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম কিংবা চারিত্রিক স্খলনের মতো অভিযোগ থাকে, তারপরও সংগঠনসমূহে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি সে সুযোগও পাইনি, এটা সামগ্রিকভাবে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে গেল।’ তিনি বিশ্বাস করেন, ‘বিজয় আসমান থেকেই আসে, জমিনে তার প্রতিফলন হয় মাত্র।’

এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ’ অভিযোগে মাহিন সরকারকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশে মাহিন সরকারকে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। এই আদেশ সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ নামে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের জিএস পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহিন সরকার।

/আশিক


শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১১:০২:৩৫
শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা সুলতান বাপ্পী একসময় ছিলেন সক্রিয় ও উদ্যমী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে বারবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হয়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারান এবং প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। পরিবারের অসহায় পরিস্থিতির কারণে গত চার বছর ধরে তাকে শেকলবন্দি করে রাখতে বাধ্য হয় তার স্বজনেরা।

সম্প্রতি তার এই করুণ অবস্থার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি সুলতান বাপ্পীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামে বাপ্পীর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মোবাইলফোনে ভিডিও কলে বাপ্পীর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার আশ্বাস প্রদান করেন।

ছাত্রদল নেতারা জানান, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বাপ্পীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারেক রহমান ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিল আয়োজনের পর থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বারবার বাপ্পীর ওপর হামলা চালায়। হামলার পর রাস্তায় প্রকাশ্যে কটূক্তি করে বলা হতো, এত পেটানোর পরও কিভাবে সে হেঁটে বেড়ায়। সেই নির্যাতনের ফলেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পরিবার তাকে তিনটি শেকলে বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়। কিছু সময়ের জন্য তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। বর্তমানে শয্যাশায়ী অবস্থায় থেকে কোমরে গুরুতর ক্ষতও সৃষ্টি হয়েছে।

সুলতান বাপ্পী সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং পরিবারের জন্য একটি স্থায়ী জীবিকার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, তারেক রহমানের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেলে বাপ্পী আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরপরই তারেক রহমান চিকিৎসার দায়িত্ব নেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অসংখ্য ছাত্রদল নেতা-কর্মী আহত ও নিহত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের সুলতান বাপ্পীর ঘটনাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

-রাফসান


তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১০:৫০:২৬
তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অন্যদিকে তারেক রহমান ও বাবরের পক্ষে আইনগত লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালতে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে।

এর আগে গত ৩১ জুলাই এ মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে আসামিদের খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ থেকে দেওয়া ওই রায়ে বলা হয়, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার প্রক্রিয়া আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। অভিযোগপত্র ও তার ভিত্তিতে পরিচালিত বিচারকে বেঞ্চটি অবৈধ ঘোষণা করে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ এই খালাস রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং গত ১ জুন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেয়। বর্তমানে তারই ধারাবাহিকতায় মামলার শুনানি চলছে।

নিম্ন আদালতের রায়

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ মোট ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী সালাম পিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, শেখ আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দালসহ আরও কয়েকজন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর, মাওলানা সাব্বির আহমদ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, আরিফুল ইসলাম আরিফসহ আরও অনেকে। তাদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে পলাতক। তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদও পলাতকদের তালিকায় আছেন।

ভয়াল সেই দিন

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এক ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে চিরতরে অঙ্গহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

-রফিক

পাঠকের মতামত: