জামায়াতের সংস্কার চাওয়া হাস্যকর: বললেন হাবিব উন নবী খান সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, একটি দল কখন যে কার সঙ্গে, মতিগতি বুঝি না। তিনি বলেন, দলটি কখনো বিএনপির সঙ্গে, কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। আবার যখন কারও সঙ্গে না, তখন ভেতরে ভেতরে লোক ঢুকিয়ে রাখে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
কবিতার ভাষায় তিনি জামায়াতকে বলেন, ‘যখন ডুবেছে পঞ্চমীর চাঁদ, হঠাৎ মরিবার হলো তার সাধ’। তিনি বলেন, ৯৬ সালে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধে, আরও কয়েকটি দল নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
জামায়াতের সংস্কার চাওয়ার বিষয়টিকে তিনি হাস্যরস উল্লেখ করে বলেন, জামায়াতও সংস্কার চায়! আমি বলি, নিজেদের মধ্যে সংস্কার করেছেন কি? এসময় তিনি বলেন, আগে ৭১ সালে গণহত্যার দায়ে জাতির কাছে ক্ষমা চান, তারপর মাথা নিচু করে রাজনীতি করুন।
তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের রক্ত কণিকা হয়তোবা এখনো লেগে আছে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের আনাচে-কানাচে। প্রিয় নেতা (তারেক রহমান) সেই লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা আপনাকে ডাকছে। আমাদের জন্য না হলেও সেই লোহিত কণিকা শ্বেত কণিকার আহ্বানে আপনি ছুটে আসুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার পিতার রক্ত আপনাকে ডাকছে। খুনের বদলা খুন না, আমি জানি আপনি তা বিশ্বাস করেন না। কিন্তু যে স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আমাদের নেতা চলে গিয়েছিলেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেই আপনি আপনার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবেন। সেটা আমরা বিশ্বাস করি।’
/আশিক
হামাসের আপত্তি সত্ত্বেও গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে বড় সিদ্ধান্ত
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রণীত এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে যে প্রস্তাবটি পাস করেছে, সেটিকে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই প্রস্তাবে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী—ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ)—গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণে আগ্রহ জানিয়েছে।
১৩টি দেশ—যাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া উল্লেখযোগ্য—এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যদিও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। কোনো দেশই প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে যায়নি। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, এই প্রস্তাব গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি দৃঢ় করার পথে “গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে হামাস প্রস্তাবটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী এটি ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার ও রাজনৈতিক দাবি পূরণ করে না।
টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস অভিযোগ করে, প্রস্তাবটি গাজায় “আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব” চাপিয়ে দেয়, যা গাজার জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য অগ্রহণযোগ্য। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাহিনীর ভূমিকাকে গাজার ভেতরে প্রসারিত করে প্রতিরোধ শক্তিকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা আইএসএফ-কে নিরপেক্ষতার বাইরে নিয়ে যাবে এবং সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষে কার্যকর পক্ষ হিসেবে দাঁড় করাবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের পাশাপাশি নতুন করে প্রশিক্ষিত ও যাচাইকৃত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং হামাসসহ সকল অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থায়ী নিরস্ত্রীকরণে ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে গাজায় কার্যরত পুলিশ বাহিনী হামাসের অধীনেই পরিচালিত হয়।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ জানান, আইএসএফ গাজায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসী কাঠামো ভাঙন, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক কাঠামো—বোর্ড অব পিস (বিওপি)—গঠনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। এই বোর্ড একটি প্রযুক্তিনির্ভর, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটির তত্ত্বাবধান করবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠন, শাসনব্যবস্থা এবং মানবিক সহায়তার সামগ্রিক তদারকি করবে।
দুই বছরের যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির পর গাজা পুনর্গঠনের অর্থায়ন বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ ফান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আইএসএফ ও বিওপি দু’টিই ফিলিস্তিনি কমিটি ও নতুন পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
প্রস্তাব পাসের পর ট্রাম্প একে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, বোর্ড অব পিসের চূড়ান্ত সদস্যদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এবং তিনি নিজেই এর নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
নতুন খসড়া প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি “বিশ্বাসযোগ্য পথরেখা” উল্লেখ করা হয়েছে—যা নিরাপত্তা পরিষদের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশের জোরালো দাবির প্রতিফলন। তবে ইসরায়েল প্রকাশ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করে আসছে, যা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বাস্তব প্রয়োগে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ আরব রাষ্ট্রগুলোও প্রস্তাবে আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ প্রয়োগ করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আবারও জোর দিয়ে বলেন, প্রস্তাবটির ভাষা কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে দ্রুত বাস্তবে রূপান্তর জরুরি, যাতে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি কার্যকর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এবং মিসর, সৌদি আরব ও তুরকিসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ প্রস্তাবটির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। পিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবের ধারাগুলো “অবিলম্বে ও জরুরি ভিত্তিতে” কার্যকর করতে হবে।
রাশিয়া ও চীন ভেটো ব্যবহার না করলেও প্রস্তাবের অস্পষ্ট কাঠামো, জাতিসংঘের প্রতিফলনের সীমাবদ্ধতা এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি না থাকার কারণে তারা ভোটদানে বিরত থাকে। তাদের মতে, প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো এখনও অস্পষ্ট এবং বাস্তবায়ন নিয়ে যথেষ্ট নিশ্চয়তা নেই।
এর আগে প্রস্তাবের প্রথম ধাপ—ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং আটক ব্যক্তিদের বিনিময়—চলতি বছরের ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়। ওয়াল্টজ এটিকে “অত্যন্ত ভঙ্গুর প্রথম ধাপ” হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে এক ধরনের সাময়িক বিরতি সৃষ্টি করে। ওই হামলায় ১,২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মা হন। এর পরবর্তী ইসরায়েলি অভিযানগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬৯,৪৮৩-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
-নাজমুল হাসান
প্রকাশ্যে যুবদল নেতাকে হত্যা নিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে গুলি করে যুবদল নেতা ও পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনা এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সেকশন-১২ ব্লক-সি এলাকায় বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় হেলমেট পরা তিন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে পরপর সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির আঘাতে কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা দ্রুতগতিতে দোকানের ভেতরে ঢুকে মুহূর্তেই গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় একজন হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করে এবং ঘটনাটির পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ না অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায়।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই আরেকটি নৃশংসতা প্রকাশ পায়। খুনি দল দোকান থেকে বের হয়ে দ্রুত পালাতে একটি ব্যাটারি চালিত রিকশায় ওঠে। কিন্তু রিকশার চার্জ কম থাকায় চালক আরিফ দ্রুত রিকশা চালাতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কোমরে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত রিকশাচালক আরিফকে পথচারী পিয়ারুল ইসলাম প্রথমে স্থানীয় ইসলামী হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। আহত আরিফ জানান, দুজন হেলমেটধারী ব্যক্তি তাকে দ্রুত রিকশা চালাতে চাপ দিচ্ছিলেন; কিন্তু রিকশার ব্যাটারি দুর্বল থাকায় তিনি গতি বাড়াতে পারেননি, এতে তারা গুলি করে পালিয়ে যায়।
এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ও পল্লবী এলাকায় বিক্ষোভ করেন এবং দাবি করেন যে এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসংগ্রামের বিদ্বেষ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে এবং হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশ জানায়, এই হত্যাকাণ্ড দলীয় কোন্দল, ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি বড় কোনো গোষ্ঠীর ছক সব দিকই তদন্ত করা হচ্ছে। আটক দুর্বৃত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকি হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। এখনো মামলা হয়নি, তবে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
-শরিফুল
মতিঝিল-পল্টনের আসনে হেভিওয়েট বনাম নবাগত: আলোচনায় ঢাকা-৮
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন আসনে নানা ধরনের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল আসন ঢাকা-৮ (শাহবাগ, মতিঝিল, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর) এবার ভিন্ন কারণে আলোচনায় এসেছে। এই আসনে অভিজ্ঞতার বিপরীতে তারুণ্য এবং প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটাররা।
কেন গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-৮
ঢাকা-৮ আসনকে প্রায়শই রাজধানীর 'রাজনৈতিক স্নায়ুকেন্দ্র' বা 'হার্ট' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়, প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল, রাজনৈতিক সমাবেশের কেন্দ্রবিন্দু পল্টন ময়দান এবং দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অংশ এই আসনেই পড়েছে। তাই এই আসনের নির্বাচনী ফলাফল সব সময়ই একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বিএনপির 'হেভিওয়েট' প্রার্থী মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে তাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদকে (মির্জা আব্বাস) প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি ঢাকার সাবেক মেয়র এবং বিএনপির একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ঢাকার রাজনীতিতে তার দীর্ঘদিনের বিচরণ এবং দলের ভেতরে ও ভোটারদের মধ্যে তার একটি শক্ত ভিত্তি রয়েছে। মির্জা আব্বাসের মতো একজন 'হেভিওয়েট' প্রার্থীর অংশগ্রহণ এই আসনের নির্বাচনকে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বের শীর্ষে নিয়ে এসেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় হাদি
অন্যদিকে, বিএনপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তিনি এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। একজন তরুণ মুখ হিসেবে এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে তিনি ভোটারদের, বিশেষত নতুন প্রজন্মের ভোটারদের, নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন।
শরিফ ওসমান হাদি এরই মধ্যে তার নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন। গত ১৫ নভেম্বর মতিঝিলের এ জি বি কলোনিতে প্রচারণা চালানোর সময় তার গায়ে দুর্বৃত্তরা ময়লা পানি ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে হাদিকে বলতে শোনা যায়, "ভাই ময়লা পানি যে মারছেন আরও মারতে পারেন, সমস্যা নেই মারেন...।" প্রচারণার শুরুতেই এই ধরনের বাধার শিকার হওয়ায় তিনি ভোটারদের সহানুভূতির পাশাপাশি তার দৃঢ় মনোবলের কারণেও আলোচনায় থাকছেন।
অভিজ্ঞতা বনাম নতুন ধারার রাজনীতি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা-৮ আসনের এই লড়াইটি হতে যাচ্ছে 'অভিজ্ঞতা বনাম নতুন মুখ'-এর এক আদর্শ উদাহরণ। একদিকে মির্জা আব্বাস তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দলের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর নির্ভর করে লড়বেন। অন্যদিকে, শরিফ ওসমান হাদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বাইরের ভোটারদের এবং পরিবর্তনের পক্ষে থাকা তরুণদের ভোট টানার চেষ্টা করবেন।
মতিঝিল, পল্টন ও শাহবাগের মতো বৈচিত্র্যময় এলাকার ভোটাররা কাকে বেছে নেবেন, তা নিয়ে এখনই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এই আসনে যেমন ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় ভোটব্যাংক রয়েছে, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার তরুণ শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল ভোটারদেরও একটি বড় প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে, ঢাকা-৮ আসনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইটি এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ইভেন্ট হতে চলেছে।
২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিল বিএনপি, রিজভীর বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ২৮ জন নেতার ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। নেতারা আবেদন করার পর, দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ২৮ জনের মধ্যে একটি বড় অংশই গাজীপুর মহানগর এলাকার। তাদের মধ্যে রয়েছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, সাবেক সদস্য মো. আবুল হাশেম, খায়রুল আলম এবং মো. মনির হোসেন (মাটি মুনির)।
আরও রয়েছেন বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনির, বাসন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাতা এবং গাজীপুর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ার সরকার।
একই এলাকার ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজা আক্তার এবং ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিনা আক্তার বীথিও দলে ফিরেছেন। এছাড়া ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মো. মাহাফুজুর রহমান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গাজীপুর ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলার বেশ কয়েকজন নেতার প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় আছেন বরিশাল দক্ষিণ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তর জেলার মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক দিলারা শিরিন এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জুয়েল।
আরও রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ সভাপতি এস এম আসলাম ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টি এইচ তোফা, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিদ্দিকী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন এবং ছাতক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ইজাজুল হক রনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও দুটি বিশেষ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, যিনি এর আগে স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তার সেই পদত্যাগপত্র আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়াও, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. খুরশিদ আলমের (মতি) ওপর যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা প্রত্যাহার করে তাকে বিএনপির স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিএনপি বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছিল।
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। এক দশকের বেশি সময় পর, সেই একই আদালতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
এই রায়ের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে, এটি কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? শেখ হাসিনা এখনও দলটির প্রধান। এই রায়ের ফলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কেমন দাঁড়াবে, তা নিয়েও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার (প্রত্যর্পণ) জন্য ভারতের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাজা হওয়ার পরও তাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই অনুরোধে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।
এই প্রসঙ্গে বিবিসির বাংলা বিভাগের সম্পাদক মীর সাব্বির লিখেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে যদি একটি নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে এবং তারা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে জোরালো দাবি তোলে, অথবা তিনি যেন ভারতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারেন সেজন্য চাপ সৃষ্টি করে, তবে সেই নির্বাচিত সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা করা ভারতের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
এই রায় ঘোষণার আগেই আদালত গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার 'উসকানিমূলক' বক্তব্য প্রচারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যার নিন্দা জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এর পাশাপাশি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায় 'অদৃশ্য' দেখা যাচ্ছে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতাই বর্তমানে নির্বাসনে রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আবার অনেকেই দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আজকের এই রায়ের পর যদি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার বা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর আরও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তবে দলটি আরও বেশি চাপের মুখে পড়বে। যদিও দলটি দাবি করছে যে, তাদের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো অভ্যন্তরীণ বিতর্ক নেই, তবে এখন দেখার বিষয় হলো, এই ক্রমবর্ধমান আইনি সীমাবদ্ধতা এবং প্রত্যর্পণের কূটনৈতিক চাপের মুখে আগামী দিনে দলটি ভিন্ন কোনো কৌশল গ্রহণ করতে বাধ্য হয় কি না।
শুধু ব্যক্তি নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চাই: নাহিদ ইসলাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে দলটি শুধু ব্যক্তির নয়, দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও বিচার দাবি করেছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই দাবি জানান।
নাহিদ ইসলাম রায় দ্রুত কার্যকরের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে দিল্লি থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার আসন্ন ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমরা আশা করি, তিনি শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন।" এনসিপি আহ্বায়ক আরও বলেন, "আগামী এক মাসের মধ্যে তাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।"
তিনি শুধু শেখ হাসিনাই নয়, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং 'ফ্যাসিস্ট' সরকারের সময় অপরাধে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। নাহিদ ইসলাম বলেন, "যারা বর্তমানে কারাগারে আছেন, তাদের মামলার রায়ও দ্রুত দিতে হবে। এটা শুধু রাজনৈতিক দলের দাবি নয়, এটা জুলাই-আগস্টের ভুক্তভোগীদেরও দাবি।"
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণহত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন। এর ফলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। তাই দলেরও বিচার শুরু করতে হবে।"
তিনি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, "১৬ জুলাই আবু সাঈদকে হত্যার পর আমরা শপথ নিয়েছিলাম—বিচার আদায় করেই ছাড়ব। জুলাই বিপ্লবে হাজার হাজার শহীদ ও আহতদের ওপর যে জুলুম হয়েছে, তার বিচার আজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।"
এনসিপির আহ্বায়ক এই রায়কে বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে একটি 'মাইলফলক' হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, "আমরা সন্তুষ্ট হব সেদিনই, যেদিন এই রায় কার্যকর হবে। সেদিনই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমিন, মুশফিক উস সালেহীন ও মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসানসহ অন্যান্য নেতারা।
এর আগে আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
হাসিনাকে ফেরত দিন, প্রতিবেশীর 'প্রথম দায়িত্ব' নিয়ে যা বলল জামায়াত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। দলটি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি এই আহ্বান জানায়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই মন্তব্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত বলেছে, "আমরা মনে করি এই বিচারের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ কারো নেই। কারণ বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, নিরপেক্ষ হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে।"
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, "পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে যারা আশ্রয় দিয়েছে আমরা মনে করি এই ঘৃণ্য অপরাধীদের পক্ষে তারা অবস্থান নিয়েছে। আমরা দাবি করব তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে এবং আইনের কাছে তাদেরকে সোপর্দ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দাবি করলে, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দাবিদার প্রতিবেশী হলে, এটি হচ্ছে তার প্রথম দায়িত্ব।"
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ একটি ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল এই রায় দেন।
রায়ে শেখ হাসিনাকে তিনটি পৃথক অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মোট যতটি মামলার মুখোমুখি শেখ হাসিনা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা বহুল আলোচিত মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হচ্ছে। গোটা জাতি এই রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ গণহত্যা–নির্যাতনের অভিযোগে সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটাই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বিচারিক রায়।
এই মামলাটি কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; গত বছরের জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পুরো দেশজুড়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন আদালত ও থানায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৫৮৬টি মামলা, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা, হুমকি, লুটপাট এবং দুর্নীতি-সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ।
এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তদন্তাধীন রয়েছে আরও চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা, যেখানে অভিযোগ হিসেবে রয়েছে পরিকল্পিত গণহত্যা, নির্যাতন, গুম এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে অসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ পরিচালনার অভিযোগ।
৫৮৬ মামলার মধ্যে ৩২৪টি হত্যা মামলা, যেখানে শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা, হুকুমদাতা এবং ঘটনাগুলোর প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক হত্যার অভিযোগ গণঅভ্যুত্থানকালে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের মাত্রা এবং নৃশংসতার গভীরতা তুলে ধরে।দুদকের ছয়টি দুর্নীতি মামলাও বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
তদন্ত সংস্থার কাছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও ৫০টির বেশি অভিযোগ পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরের সুখরঞ্জন বালি হত্যা, মাইকেল চাকমার নিখোঁজ হওয়া, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের ওপর আক্রমণসহ আরও বহু অভিযোগ। এগুলোর সত্যতা যাচাই–বাছাইয়ের পর প্রয়োজনীয় হলে মামলায় রূপান্তর হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট, ঠিক গণঅভ্যুত্থানের পরপরই। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া সেই মামলায় শহীদ আবু সাঈদ হত্যার অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের পর দেশে মোট ১,৬১২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে
- ৫৯৯টি হত্যা মামলা
- ১,০০৩টি সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাট মামলা
এই বিস্তৃত মামলার তালিকায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ৫৮৬, যা অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তুলনায় বিপুল। বিভিন্ন আসামির মধ্যে এটি সর্বোচ্চও বটে।
আরও উল্লেখযোগ্য হলো, আদালত অবমাননার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল গত ২ জুলাই।
‘কোথায় আওয়ামী লীগ? শাটডাউন শুধু ঘোষণাতেই’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা ঐতিহাসিক মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে। এই রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশের মতো রংপুরেও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। তবে বাস্তবে সেই কর্মসূচির কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি নগরীতে। বরং শাটডাউন ডাক দিয়েই গায়েব হয়ে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরজুড়ে ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাণিজ্যিক এলাকা, বাজার এবং আন্তঃজেলা সড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল রয়েছে। কোথাও শাটডাউনের কোনো প্রভাব নেই, বরং বেশ কিছু এলাকায় যানজটও ছিল তীব্র। শাটডাউন পালনে আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা না থাকলেও বিপরীতে বিএনপি, জামায়াত এবং নতুন রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ছিলো রাস্তাজুড়ে সক্রিয়।
রংপুর সাইড বেকারির স্বত্বাধিকারী, ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, “এ শহরে আওয়ামী লীগ নিজেই লাপাত্তা। শাটডাউন ডেকেছিল, কিন্তু তাদের কাউকেই দেখা যায়নি। রংপুরের মানুষ জুলাইয়ের শহীদদের পাশে আছে। মানুষ চায় হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিচার হোক।”
হোটেল ব্যবসায়ী রমজান আলীও একই বক্তব্য দিয়ে বলেন, “রংপুরে আওয়ামী লীগ মানেই এখন ভয়ে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক। জনগণের ক্ষোভের মুখে তাদের মুখ দেখানোরও সাহস নেই।”
অটোচালক রহমত আলী ও বশির মিয়া বলেন, “শাটডাউন দেখিনি, শুধু যানজটই দেখেছি। জনগণের চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মানুষের মুখে শাটডাউনের কথা শুনেছি, বাস্তবে কিছু ঘটেনি।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, “স্বৈরাচার হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ শাটডাউন ডেকেছিল। যাতে অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।”
জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি মওলানা এনামুল হক বলেন, “গণহত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ যদি নাশকতা করতে চায়, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনও ছিল সক্রিয়। রংপুরের তিন থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শফিক (পীরগঞ্জ), আতিকুর রহমান আতিক (বদরগঞ্জ) এবং আতাউর রহমান (রংপুর মেট্রো কোতোয়ালি) জানান যে শাটডাউনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে তারা দিন–রাত মাঠে আছেন।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, গত কয়েকদিনে সন্ত্রাস দমন আইনে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা ও শাটডাউনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ জনের বেশি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, “পুরো নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমাদের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- হামাসের আপত্তি সত্ত্বেও গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে বড় সিদ্ধান্ত
- প্রকাশ্যে যুবদল নেতাকে হত্যা নিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নানা কর্মসূচির ঝড়ে আজ রাজধানীতে বাড়তি ব্যস্ততা
- মঙ্গলবার ঢাকার কোন মার্কেট বন্ধ জেনে নিন
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ
- ফেসবুকে মোদীর আবেগঘন পোস্ট ভাইরাল
- বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
- আইকিউএয়ার তালিকায় ঢাকার হতাশার খবর
- ডিএসএইচ গার্মেন্টসের আর্থিক ফল প্রকাশ
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- "শেখ হাসিনার রায় কার্যকর হবে না"
- সাতক্ষীরা–৩ এ কাজী আলাউদ্দিনের ধানের শীষে ভোটের আহ্বান
- মতিঝিল-পল্টনের আসনে হেভিওয়েট বনাম নবাগত: আলোচনায় ঢাকা-৮
- ধানমন্ডিতে পুলিশের সামনেই জোড়া বিস্ফোরণ!
- ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিল বিএনপি, রিজভীর বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা
- নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- পেট ফাঁপা ও গ্যাসে ভুগছেন? মাত্র ১১ দিনেই স্বস্তি মেলার উপায়
- IELTS ছাড়াই অস্ট্রিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ, সাথে সম্পূর্ণ ফ্রি স্কলারশিপ
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- হাসিনার রায় নিয়ে 'সতর্ক' প্রতিক্রিয়া ভারতের, জানাল নিজেদের অবস্থান
- অদ্ভুত ধাতব বস্তু, রহস্যময় সংকেত: মারিয়ানার অন্ধকার গহ্বরে চীনের 'ফেন্টোজে' কী দেখল?
- সাময়িক আশ্রয় কি স্থায়ী হচ্ছে? হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের নতুন ভাবনা
- চাউশেস্কু থেকে সাদ্দাম: ইতিহাসে যে শাসকদের পতন হয়েছিল মৃত্যুদণ্ডে
- শুধু ব্যক্তি নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার চাই: নাহিদ ইসলাম
- শাহজালাল বিমানবন্দরে হঠাৎ ধোঁয়া, বহির্গমন টার্মিনালে আতঙ্ক
- আমরা রায়ে খুশি, তবে...হাসিনাদের দণ্ড নিয়ে যা বলল সাঈদের বাবা
- মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি হাসিনা-কামালের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
- হাসিনাকে ফেরত দিন, প্রতিবেশীর 'প্রথম দায়িত্ব' নিয়ে যা বলল জামায়াত
- বিবাহবার্ষিকীর দিনেই মৃত্যুদণ্ডের রায় পেলেন শেখ হাসিনা
- পাশের দেশ অশান্তি পাকাচ্ছে, রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- আল জাজিরা থেকে এনডিটিভি, বিশ্বজুড়ে যেভাবে প্রচার হলো হাসিনার রায়
- ১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- হাসিনার পর আসাদুজ্জামান খান কামালেরও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
- দোষ স্বীকারেও এড়াতে পারলেন না সাজা: সাবেক আইজিপির ৫ বছর কারাদণ্ড
- পতন থেকে মৃত্যুদণ্ড: ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়
- শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে 'মানবতাবিরোধী অপরাধের' সত্যতা মিলেছে: ট্রাইব্যুনাল
- ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই, এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
- রেড জুলাই নামে ৩২ নম্বরে বুলডোজার, শাওন বললেন 'রাজাকার বাহিনী'
- খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই': রায় ঘোষণাকে ঘিরে টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়
- ৮ হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ, হাজারো নিহত–আহত: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে রায়ে কী ঘটতে যাচ্ছে? সরাসরি দেখুন!
- হাসিনার রায় ঘিরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সতর্ক বার্তা
- ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল-ঘটছে কী?
- জুলকারনাইন: দুই শিং–ওয়ালা বাদশার রহস্য
- এবি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের রেটিং ঘোষণা
- মাগুরাপ্লেক্সের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন
- মনোস্পুলের ইপিএসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা








