এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৭:০৫:২২
এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মনোনয়ন নেওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন মাহিন সরকার। তিনি দলটির যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এই ঘটনার পর মাহিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) মধ্যরাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে মাহিন লিখেছেন, ‘আমি তাদের একজন যার হাতে অভ্যুত্থানের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত হয়েছিল। অন্তত আমার কথাগুলো বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘মাহিন সরকারের তার অনাগত সন্তানের কাছে বলার মতো গল্প আছে। মাহিন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে তার রক্ত দিয়ে রাঙিয়েছে। গানপয়েন্টে ছয়জন সমন্বয়কের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর মাহিন সরকার বলেছিল ‘মানি না’। মাহিন সরকারসহ চারজন সমন্বয়কই বাকি সমন্বয়কদের বৈধতা দিয়েছে। মাহিন সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচারে মাঠে নেমেছিল, কেউ আসেননি পাশে। আজকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বহিষ্কার করে দিলেন।’

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে মাহিন বলেন, ‘যদি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম কিংবা চারিত্রিক স্খলনের মতো অভিযোগ থাকে, তারপরও সংগঠনসমূহে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি সে সুযোগও পাইনি, এটা সামগ্রিকভাবে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে গেল।’ তিনি বিশ্বাস করেন, ‘বিজয় আসমান থেকেই আসে, জমিনে তার প্রতিফলন হয় মাত্র।’

এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ’ অভিযোগে মাহিন সরকারকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশে মাহিন সরকারকে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। এই আদেশ সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ নামে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের জিএস পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহিন সরকার।

/আশিক


শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১১:০২:৩৫
শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা সুলতান বাপ্পী একসময় ছিলেন সক্রিয় ও উদ্যমী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে বারবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হয়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারান এবং প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। পরিবারের অসহায় পরিস্থিতির কারণে গত চার বছর ধরে তাকে শেকলবন্দি করে রাখতে বাধ্য হয় তার স্বজনেরা।

সম্প্রতি তার এই করুণ অবস্থার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি সুলতান বাপ্পীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামে বাপ্পীর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মোবাইলফোনে ভিডিও কলে বাপ্পীর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার আশ্বাস প্রদান করেন।

ছাত্রদল নেতারা জানান, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বাপ্পীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারেক রহমান ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিল আয়োজনের পর থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বারবার বাপ্পীর ওপর হামলা চালায়। হামলার পর রাস্তায় প্রকাশ্যে কটূক্তি করে বলা হতো, এত পেটানোর পরও কিভাবে সে হেঁটে বেড়ায়। সেই নির্যাতনের ফলেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পরিবার তাকে তিনটি শেকলে বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়। কিছু সময়ের জন্য তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। বর্তমানে শয্যাশায়ী অবস্থায় থেকে কোমরে গুরুতর ক্ষতও সৃষ্টি হয়েছে।

সুলতান বাপ্পী সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং পরিবারের জন্য একটি স্থায়ী জীবিকার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, তারেক রহমানের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেলে বাপ্পী আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরপরই তারেক রহমান চিকিৎসার দায়িত্ব নেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অসংখ্য ছাত্রদল নেতা-কর্মী আহত ও নিহত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের সুলতান বাপ্পীর ঘটনাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

-রাফসান


তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১০:৫০:২৬
তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অন্যদিকে তারেক রহমান ও বাবরের পক্ষে আইনগত লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালতে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে।

এর আগে গত ৩১ জুলাই এ মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে আসামিদের খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ থেকে দেওয়া ওই রায়ে বলা হয়, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার প্রক্রিয়া আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। অভিযোগপত্র ও তার ভিত্তিতে পরিচালিত বিচারকে বেঞ্চটি অবৈধ ঘোষণা করে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ এই খালাস রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং গত ১ জুন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেয়। বর্তমানে তারই ধারাবাহিকতায় মামলার শুনানি চলছে।

নিম্ন আদালতের রায়

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ মোট ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী সালাম পিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, শেখ আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দালসহ আরও কয়েকজন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর, মাওলানা সাব্বির আহমদ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, আরিফুল ইসলাম আরিফসহ আরও অনেকে। তাদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে পলাতক। তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদও পলাতকদের তালিকায় আছেন।

ভয়াল সেই দিন

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এক ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে চিরতরে অঙ্গহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

-রফিক


 ‘জাতীয় পার্টি জিন্দা লাশ’: ফোনালাপে শেখ হাসিনার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ফাঁস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৯:১৬:১৫
 ‘জাতীয় পার্টি জিন্দা লাশ’: ফোনালাপে শেখ হাসিনার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ফাঁস
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টিকে ‘জিন্দা লাশ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ফোনালাপের ক্লিপ থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে শেখ হাসিনার ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি কথোপকথনে এই মন্তব্যটি শোনা যায়।

ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “তুমি আমাকে যা বলবা সত্যি কথা বলবা।” জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “জি বলব।” এরপর শেখ হাসিনা মোহাম্মদপুরের বিহারী পট্টির পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। নানক তখন জানান যে, সেখানে পরিস্থিতি ভালো, শুধু একজন ‘সেন্টু কমিশনার’ নামে জাতীয় পার্টির নেতার সঙ্গে কিছু ছেলে রয়েছে, যারা তার কাছ থেকে সুবিধা নেয়। তিনি আরও জানান, এই গুটি কয়েক ছেলে ছাড়া মোহাম্মদপুরে সব ঠিক আছে, শুধু পল্লবীতে সমস্যা।

নানক মন্তব্য করেন, “কিন্তু আপা, সেন্টুকে ধরলে আবার জাতীয় পার্টি চ্যাতবে।” এর জবাবে শেখ হাসিনা নানককে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “চুপ করো, জাতীয় পার্টি চ্যাতলে আমাদের কী আসে যায়? জাতীয় পার্টি আর কত? দরকার নাই আর ওই পার্টির। নিয়ে আর কি করব? জিন্দা লাশ। আমি এবার একটারেও ছাড়বো না।”

তখন নানক বলেন, “একেবারে ছাইকা ফেলতে হবে, আপা।”

/আশিক


জনগণ ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়: এ্যানি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১২:৩৬:৩৪
জনগণ ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়: এ্যানি
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আজকে কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর বিএনপি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই গণআন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কালেক্টেরিয়েট রোডের বশির ভিলা হল রুমে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ্যানি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “নির্বাচনমুখী এই ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করতে হবে, জনগণের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা একত্রিত।”

এ্যানি আরও বলেন, “এই দেশে গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করতে হলে জনগণের সরকার গঠন অপরিহার্য। সেই জনগণের সরকারের সঙ্গে আমাদের সবার সম্পৃক্ততা রয়েছে— সামাজিক, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সব দিক থেকেই। একটি নির্বাচিত সরকারই এ দেশে রাজনীতিতে নতুন সামাজিক পরিবেশ তৈরি করবে।”

তিনি বর্তমান সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, “হাসিনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক সংস্কার অব্যাহত থাকবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অবসান ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, কারণ জনগণ পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যিনি বলেন, “এই সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. শাহ আলম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল বারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সিকদার ডালিম এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মো. শাহ পরান। বক্তারা বলেন, সরকারের নানা দমনপীড়ন সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে দলকে সক্রিয় রাখতে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মীপুরে বিএনপির এই উদ্যোগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।

সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একমত হয়ে বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। নির্বাচনী পরিবেশকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র থাকলেও জনগণ ইতিমধ্যে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে গেছে। মাঠপর্যায়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

-শরিফুল


অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন: গাইবান্ধা বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১২:২২:২৩
অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন: গাইবান্ধা বিএনপি
ছবিঃ সংগৃহীত

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গাইবান্ধা-০৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাহিদুজ্জামান নিশাদ নিজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত এক সংবাদকে ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেন, গত ১৫ আগস্ট দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিএনপির বড় পদ কিনলেন আ. লীগের ডামি প্রার্থী’ শিরোনামের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি কোনো দিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও হব না। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারে, আমি যেকোনো শাস্তি বিনা শর্তে মেনে নিতে প্রস্তুত।”

নিজেকে একজন শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিশাদ বলেন, তার ব্যবসায়িক সাফল্য কখনোই সরকারি সুবিধা বা প্রভাবের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। তার ভাষায়, “আমি কখনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারি করিনি, সরবরাহ দিইনি, কোনো বালু বা জলমহাল কিংবা হাট-বাজার ইজারা নিইনি। আমার প্রতিষ্ঠিত শিল্পকারখানা সরকারি সহায়তা ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে।”

দলীয় পদ লাভ প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ তিনি যোগ্যতা, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা লিখিতভাবে তার নাম জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করেন। জেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রস্তাব পাঠায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি তা যাচাই-বাছাই করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সহ-সভাপতির পদ প্রদান করে। নিশাদের দাবি, “এ প্রক্রিয়ায় কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি, কাউকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। অর্থের বিনিময়ে পদ কেনার অভিযোগ নিছক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মিথ্যাচার।”

তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, “এ ধরনের অপপ্রচার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।” পাশাপাশি তিনি ঘোষণা দেন, যারা এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং আমার দেশ পত্রিকাকে কারণ দর্শানোর উকিল নোটিশ পাঠাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও সেখানে উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনার সাক্ষী হন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, দলের ভেতরে এবং জনগণের কাছে নিজেকে সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই নিশাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

-রফিক


খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে প্রবীণদের মাঝে উপহার বিতরণ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১১:৩০:৩৩
খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে প্রবীণদের মাঝে উপহার বিতরণ
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রবীণদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের উদ্যোগে রোববার রাজধানীর আগারগাঁও শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আবাসিক প্রবীণরা খালেদা জিয়ার কর্মময় জীবন, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং জনগণের অধিকার আদায়ে তাঁর অটল অবস্থানের কথা স্মরণ করেন। তারা একবাক্যে স্বীকার করেন, খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রীই নন, বরং গণমানুষের প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। এসময় প্রবীণরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।

আলোচনার পর উপস্থিত প্রবীণদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের হাতে উপহারস্বরূপ খেজুর, জায়নামাজ, তসবিহ এবং ধর্মীয় বই তুলে দেওয়া হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দেশের মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত বলেন, “প্রবীণরা জাতির অভিভাবক। তাঁদের দোয়া ও আশীর্বাদই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, সুস্থতা এবং দেশের কল্যাণ কামনার অংশ হিসেবেই এই আয়োজন করা হয়েছে।

এই আয়োজনে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রবীণদের মুখে খালেদা জিয়ার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা এবং রাজনৈতিক জীবনের নানা স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানকে আবেগঘন করে তোলে।

-রফিক


প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ২১:০৮:৩১
প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কথা বলছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, যারা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিরোধী এবং রাতের নির্বাচনের পক্ষে, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, যারা পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র) এবং সংস্কার চান, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করবেন।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর জনগণের আন্দোলনের ফলে যারা ক্ষমতায় বসেছিল, তারা এখন ‘রাবণে’ পরিণত হয়েছে। জনগণের জীবন দেওয়া, রক্ত দেওয়া শেষ হচ্ছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ড. তাহের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিতের পর নির্বাচন হবে। কিন্তু এখন সংস্কার নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আপনি যদি খেলা মনে করে আমাদের এঙ্গেইজ করেন, তাহলে আপনি ঠিক করেন নাই।”

তিনি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন না, বরং চান এই সময়কে এগিয়ে ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ আনা হোক। তিনি আরও বলেন, জামায়াত ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে প্রস্তুত।

তিনি সংস্কার নিয়ে গণভোটের দাবি জানিয়ে বলেন, “জনগণ যা বলবে, আমরা তা মেনে নেব।”

সাবেক এই সংসদ সদস্য বিএনপি সহ সব দলের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, “আমরা ইন্টার পার্টি ডায়ালগ, বৈঠক করি। সবাই মিলে রাউন্ডটেবিল করি। সত্যিকারে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার সমোঝোতায় আসি, এবং উৎসবমুখর একটি নির্বাচন জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করি।”

সামেন ও ব্র্যাকের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পার্থক্য কমে আসছে। আরও ৫ মাস আছে সামনে। আরও অনেক চাঁদাবাজি ও দখল আছে, মানুষ মেরে ফেলার সম্ভাবনা আছে, তখন পার্সেন্টেজ আরও কমবে।


‘ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো জায়গা হবে না বাংলাদেশে’: রুমিন ফারহানার হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ২০:০৭:৫৩
‘ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো জায়গা হবে না বাংলাদেশে’: রুমিন ফারহানার হুঁশিয়ারি
চট্টগ্রামে মাতৃসম্মেলনে বক্তব্য দেন রুমিন ফারহানা। ছবি : কালবেলা

ধর্মকে ব্যবহার করে যারা মানুষকে বিভক্ত করতে চায়, তারা দেশের চিরায়ত সম্প্রীতির শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না।

রবিবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই দেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম— সবাই মিলে গড়ে উঠেছে এবং এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। সাধারণ মানুষ ধর্ম নিয়ে বিভাজন চায় না, কিন্তু একটি মহল ক্ষমতা ধরে রাখতে ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। দেশের মানুষ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

রুমিন ফারহানা বলেন, শ্রীকৃষ্ণ মানবপ্রেম, সত্য ও ন্যায়ের শিক্ষা দিয়েছেন। দ্রৌপদীর পাশে দাঁড়িয়ে নারীর মর্যাদা সমুন্নত করার তার শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক। তাই নারীকে সম্মান জানানোই শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম শিক্ষা।


‘না ভোট’ বিএনপির প্রস্তাব নয়, দাবি নজরুল ইসলাম খানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৯:২৩:০৪
‘না ভোট’ বিএনপির প্রস্তাব নয়, দাবি নজরুল ইসলাম খানের
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ‘না ভোটের’ প্রস্তাব বিএনপি করেনি বলে জানান।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোট’ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘না ভোটের’ প্রস্তাব বিএনপি করেনি, এটি কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির পরামর্শে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আরপিওতে আসলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানাবে, তখন এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ইসি কাজ করছে, এমন তথ্য জানার পর নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা জানতে এসেছেন এটি কিসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। তিনি প্রবাসী ভোটারদের বিষয়ে বলেন, সিইসি জানিয়েছেন যাদের এনআইডি এবং ই-পাসপোর্ট আছে তাদের সবাইকেই ভোটের আওতায় আনা যাবে। বিএনপি নরমাল পাসপোর্টধারীদেরও ভোটারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো দলের ভেতরে আলোচনা হয়নি এবং তফসিল ঘোষণার পরে আলোচনা হবে।

নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

পাঠকের মতামত: