জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপিকে চাপে রাখতে চায় এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৪ ০৮:২৯:৩৫
জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপিকে চাপে রাখতে চায় এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ হলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তারা কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, জুলাই সনদের বিষয়টি সুরাহা হওয়ার পর তাঁরা নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে মনোযোগ দেবেন।

এনসিপি মনে করে, সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র, নির্বাচনের সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্য দলটির ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায় এনসিপি।

এই কৌশলের অংশ হিসেবেই এনসিপির নেতারা জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত সময়সীমা নিয়ে ভিন্ন সুরে বক্তব্য দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, "ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।"

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবও বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়টি সুরাহা হওয়ার পর আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাবব।” এনসিপি নেতারা মনে করেন, উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি চালু হলে দেশে একটি ন্যূনতম রাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি হতে পারে। তবে এই বিষয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ভিন্নমত থাকায় এনসিপি তাদের চাপে রাখতে চাইছে।

একই অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও হাসনাত আবদুল্লাহ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁরা মনে করেন, সম্প্রতি তাদের নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের পেছনে ডিজিএফআই-এর হাত রয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রতিটি দলই নির্বাচনী দৌড়ে আছে। তাই তারা পরস্পরকে চাপে রাখবে, এটা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, এনসিপি যদি মনে করত তারা নির্বাচন করে ১৬০ আসন পাবে, তবে তারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে বলত না।

এদিকে, এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে দেশজুড়ে পদযাত্রার মাধ্যমে তারা জনগণের ভালো সমর্থন পেয়েছে। তাই শিগগিরই দুই শতাধিক উপজেলায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে, যা তাদের ভোটের প্রস্তুতির অংশ।


আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে সুযোগ দিলে আবার অভ্যুত্থান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২০:২৮:১৭
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে সুযোগ দিলে আবার অভ্যুত্থান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে তা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, কিছু গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী মহল আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পরিকল্পিতভাবে বয়ান তৈরি ও জনমত গঠনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা বা অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়, তাহলে অভ্যুত্থানপন্থি ছাত্র-জনতা সেই নির্বাচন বয়কট করবে।

সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে আওয়ামী লীগকে ‘নিষিদ্ধঘোষিত, পতিত, ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি। তারা বিগত দেড় দশকে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। বিবৃতিতে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়, যার প্রমাণ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে ‘আওয়ামী অধ্যায়’ চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তাদের পক্ষে জনমত তৈরির যেকোনো চেষ্টা হবে জুলাই গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার শামিল এবং শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

সংগঠনটি স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে যদি ‘আওয়ামী পুনর্বাসন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়, তাহলে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেবে।


আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন চাই না: জামায়াত নেতা ডা. তাহের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৯:৩৭:৪৬
আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন চাই না: জামায়াত নেতা ডা. তাহের
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, তার দল নির্বাচনে যেতে আগ্রহী, তবে তার আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব বিষয় স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন চাই না।”

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জামায়াতের ঢাকা মহানগরের (উত্তর ও দক্ষিণ) উদ্যোগে রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, অধিকাংশ দলই জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে। কিন্তু এর পরও একটি দল এর আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “সরকার মুখে স্বীকার করছে, কিন্তু সে অনুযায়ী যদি বাস্তবায়ন না করে তাহলে ঈমান থাকে?”

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দাবি করেন, জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান করতে হবে এবং এর আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান এবং এর আলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতেই এদিন জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করে।


ওষুধ শিল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ: সরকারের অস্বচ্ছ নীতিকে দুষলেন মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৫:০০:৫০
ওষুধ শিল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ: সরকারের অস্বচ্ছ নীতিকে দুষলেন মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে, সরকারের অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতির কারণে দেশের ওষুধ শিল্প ঝুঁকিতে পড়েছে। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গত প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না এবং ওষুধের দামও সমন্বয় করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি) বা এর টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যা শিল্পের স্বার্থবিরোধী।

ফখরুল বলেন, ওষুধ শিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। এই খাতে জড়িত সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি সরকারকে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিবের মতে, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি গঠন বা নীতি প্রণয়ন গ্রহণযোগ্য নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-এর বিষয়টি মাথায় রেখে এই শিল্পের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের প্রায় শতভাগ চাহিদা স্থানীয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি ১৬০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে।

বিএনপির শাসনামলে এই শিল্পের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৪ সালে ওষুধের মূল্যনীতি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ, রফতানি প্রণোদনা এবং গবেষণায় বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো সেই সময় গুরুত্ব পেয়েছিল।

তিনি বলেন, ট্রিপস ওয়েভার সুবিধা হারানোর ঝুঁকি বাড়ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আগে নতুন ওষুধ নিবন্ধন দ্রুত শুরু করা জরুরি। সবশেষে, বিএনপি আশা করে সরকার ওষুধ শিল্পের স্থিতিশীলতা রক্ষায় শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে।

/আশিক


পিআর পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়: নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে রিজভীর কঠোর মন্তব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৪:৪৩:২০
পিআর পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়: নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে রিজভীর কঠোর মন্তব্য
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে রিজভী বলেন, ওই চিকিৎসক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসককে কেউ হামলা করেননি, বরং তিনি নাকে রং লাগিয়ে লাইভে এসে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে।

রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনারও নিন্দা জানান রিজভী। তিনি বলেন, জনকল্যাণমূলক বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং উসকানিমূলক কথায় যেন কেউ বেআইনিভাবে প্রাণ না হারায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মব কালচার চলছে এবং সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের লুটপাট নিয়েও কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাট করা হয়েছিল, যার কোনো হদিস নেই। এই অর্থ উদ্ধারে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি নিয়ে রিজভী মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশ এখনো এই পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত নয়। তার মতে, একটি গরিব অর্থনীতিতে পিআর পদ্ধতি টেকসই নয় এবং গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়ানোই এখন জরুরি। এই পদ্ধতিতে জটিলতা তৈরি করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই বলেও তিনি মনে করেন।

সবশেষে, তিনি জানান যে, বিএনপির নামে যারা অপরাধ করছে বলে প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে।


"আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১২:১০:৪০
"আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা–১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়সার এবং কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ভোলাইন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ অভিযোগকে ঘিরে একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে, যা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। অডিওতে আবদুল গফুর ভূঁইয়ার কণ্ঠস্বরের পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলমের কণ্ঠও শনাক্ত করা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বড় ভাই ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীনকে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান সেই সুপারিশ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পরই সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া ফোন করে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরদিন তিনি সরাসরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও জানা গেছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, গফুর ভূঁইয়া উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, “আপনার কত বড় কলিজা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আপনাকে কে বসিয়েছে, তার কলিজা খুলে ফেলব। আপনার কলিজাও খুলে ফেলব। বেয়াদবিরও একটা সীমা আছে।” তিনি আরও হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনি এটা সুন্দরভাবে না করলে আপনার ক্ষতি হবে। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না, আইন জানি। কুত্তার বাচ্চা ডিসি, শুয়োরের বাচ্চা।”

ঘটনার পর বোর্ড চেয়ারম্যানের অনুরোধে ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, “আমার সঙ্গে সাবেক এমপির কোনো সরাসরি কথা হয়নি। তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং হয়তো তাকে গালিগালাজ করেছেন।”

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, “সভাপতি পদ নিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে নানা কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

অভিযোগ সম্পর্কে আবদুল গফুর ভূঁইয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।”

-রফিক


ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:২২:০৮
ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু
ছবিঃ সংগৃহীত

ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, অতীতে যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কারসাজি করেছে, তারা জনগণের আস্থা হারিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হয়, তবে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, যেখানে সকলে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

টুকু বলেন, “এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের জনগণের ভাষা বুঝতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি চায়, যা কেবল সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি সতর্ক করেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। “আমরা চাই একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও জনগণের বাংলাদেশ, যেখানে জনগণের স্বার্থে কাজ করা সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন হবে,” তিনি যোগ করেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, যা বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের সরকারকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে টুকু বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার, কোনো ব্যক্তির সরকার নন। জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হলো, যারা নতুন করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের নাম প্রকাশ করা এবং তারা কেন এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা জাতিকে জানানো।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নই হবে মূল লক্ষ্য। “আমরা সহনশীল ও ধৈর্যশীল থেকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধান করব এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব,” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুনা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১০:৫৮:২৭
বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ডাক্তার্স অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব)-এর সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিল ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পর সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি পরিষদের মধ্যে একজনের বিজয়ী হওয়া এবং অপরজনের পরাজিত হওয়া স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।

বিজয়ী পরিষদ মোট ৫২.৮৮% ভোট পেয়ে জয়লাভ করায় তাদের প্রতি তিনি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, পরাজিত পরিষদও ৪৬.৯৪% ভোট অর্জন করেছে, যা প্রমাণ করে চিকিৎসক সমাজের একটি বড় অংশ তাদের প্রতি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে উপস্থিত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পরাজিত পক্ষকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

ডা. রফিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। তাই বিদ্বেষমূলক মনোভাব পরিহার করে একসাথে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।

তিনি বিজয়ী পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য সুদৃঢ় করে ড্যাবের হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত।

একইসাথে, তিনি পরাজিত পরিষদের প্রতিও অনুরোধ জানান যে, তারা বিজয়ী নেতৃত্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা বজায় রাখবেন। তার মতে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে সমুন্নত রাখতে প্রতিটি জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকের দায়িত্ব হলো মিলেমিশে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে দল ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া।

-রাফসান


"যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৯:২৬:৫৪
"যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
ছবিঃ সংগৃহীত

গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি আবাসিক হলে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ১৮টি কমিটিতে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। তবে একই দিনই ওই কমিটিগুলো থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছয়জনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

কমিটি ঘোষণার পরদিন রাতেই হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, আবাসিক হলে প্রকাশ্য বা গোপন কোনো ধরনের রাজনীতি করা যাবে না। এর ফলে হলে ছাত্ররাজনীতি কার্যত স্থগিত ঘোষণা করা হলেও, সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য পাওয়া গেছে, শাখা ছাত্রদলের নেতারা হলে সিট দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার গ্রুপে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরারকে তার অনুসারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে—যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

জুনায়েদ আবরার স্বীকারও করেন, কমিটির ৪৮ সদস্যের মধ্যে অনেকেই হলে সিট পাননি এবং মেসে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “তাদের জন্য প্রভোস্ট স্যারের কাছে সুপারিশ করা যায় কিনা, সেই চিন্তা চলছে।” তবে তিনি এটিও জানান যে, এখনও প্রভোস্টের সঙ্গে তার কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি এবং সিট খালি না থাকলে প্রশাসন চাইলেও দিতে পারবে না।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের এই ৪৮ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ এবং সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরার।

বিষয়টি জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ আনেনি, বিষয়টি প্রথম আপনার কাছ থেকেই জানলাম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে কোনো লাভ হবে না, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই নতুন সিট বণ্টন শেষ করেছি।”

-রাফসান


বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৯:১০:৩১
বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। হামলার শিকার চিকিৎসক ইকবাল হোসেন চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথা-মুখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রক্তাক্ত মুখে আতঙ্কিত ভঙ্গিতে ইকবাল হোসেন সাহায্যের আবেদন জানাতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি বলেন,“আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ার পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে বিএনপির হারুন; ওদের সন্ত্রাসীদের টাকা দিই নাই বলে মেরেছে। এখন আমাকে মারার জন্য খুঁজছে। আমি লুকিয়ে আছি একটি ঘরে। ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি, ২০-৩০ মিনিট হয়ে গেছে, এখনও পুলিশ আসেনি। আমার ভাগনে-ভাগনিকে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান ভাই।”

ভিডিওটি প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে পুলিশের বিলম্বিত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নুর বেগম জামে মসজিদের পাশে ইকবাল হোসেন একটি বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। এই নির্মাণকাজ নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে অন্য পক্ষের সঙ্গে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওসির দাবি, তদন্তে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে ইকবাল হোসেন দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুনের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি পূরণ না করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলার সময় তার ভাগনে ও ভাগনিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুলিশ এ ঘটনার সব দিক তদন্ত করছে এবং চাঁদা দাবি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও ব্যক্তিগত বিরোধ সব দিক যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ ধরনের হামলা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তারা মনে করেন, কোনো নাগরিকের ৯৯৯-এ কল করার পরও দীর্ঘ সময় সহায়তা না পাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: