আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে সুযোগ দিলে আবার অভ্যুত্থান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২০:২৮:১৭
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে সুযোগ দিলে আবার অভ্যুত্থান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে তা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, কিছু গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী মহল আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পরিকল্পিতভাবে বয়ান তৈরি ও জনমত গঠনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা বা অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়, তাহলে অভ্যুত্থানপন্থি ছাত্র-জনতা সেই নির্বাচন বয়কট করবে।

সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে আওয়ামী লীগকে ‘নিষিদ্ধঘোষিত, পতিত, ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি। তারা বিগত দেড় দশকে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। বিবৃতিতে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়, যার প্রমাণ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে ‘আওয়ামী অধ্যায়’ চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তাদের পক্ষে জনমত তৈরির যেকোনো চেষ্টা হবে জুলাই গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার শামিল এবং শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

সংগঠনটি স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে যদি ‘আওয়ামী পুনর্বাসন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়, তাহলে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেবে।


ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২৩:১০:১৩
ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন

বুধবার রাত প্রায় ১০টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকায় পরপর দুটি ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থল ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিউটি অফিসার ও টহল টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পর কয়েকজনকে দ্রুত সরে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের পরিচয় বা সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। একই রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ছিটেফোঁটা খবরও আসে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিকভাবে যাচাই করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, নিকটবর্তী সুবিশাল উন্মুক্ত এলাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিক থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হতে পারে। ঘটনাপরবর্তী সময় টিএসসি চত্বর ও আশপাশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে তাৎক্ষণিক মিছিল করেন এবং সন্দেহভাজনদের ধরার চেষ্টা চালান, যদিও কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, স্প্লিন্টার ও অবশিষ্টাংশ জব্দ এবং ফরেনসিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে বিস্ফোরকের ধরন, তৈরির কৌশল ও সম্ভাব্য রুট শনাক্ত করা যায়।

নভেম্বর জুড়ে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে ককটেল ও ক্রুড বোমা উদ্ধার, নিষ্ক্রিয়করণ বা বিস্ফোরণের বিচ্ছিন্ন শিরোনাম আগে থেকেই নজরে আসছিল। ঘটনাগুলোর ভৌগোলিক ছড়িয়ে পড়া ও সময়ের কাছাকাছি সংঘটন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ালেও, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, প্রতিটি ঘটনার আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই টিএসসি এলাকার বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দ্রুত কেস-লিংক বিশ্লেষণ, রাসায়নিক ট্রেস ও ডিটোনেশন স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে কোনো সমন্বিত নেটওয়ার্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যায়।

ঘটনার পরামর্শ ও নিরাপত্তা নির্দেশনা: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ভিড় বা মিছিলের মধ্যে সন্দেহজনক ব্যাগ, প্যাকেট বা ফেলে রাখা বস্তু থেকে দূরে থাকা, তৎক্ষণাৎ ৯৯৯ বা নিকটস্থ থানায় জানানো, এবং ক্যাম্পাসের নির্ধারিত নিরাপত্তা পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, গ্রন্থাগার সংলগ্ন এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে রাতের শিফটে অতিরিক্ত টহল, ভিডিও নজরদারি ও স্ট্যাটিক পোস্ট বসানোর কথাও বিবেচনায় আছে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক চিত্রে যা বোঝা যায়: বিস্ফোরণের সময় নির্বাচনপূর্ব রাজনীতি, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি এবং জনসমাগমের ঘনত্ব—সব মিলিয়ে টিএসসি এলাকায় প্রতীকী তৎপরতা দেখাতে কোনো গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে সময় ও স্থান বেছে নিতে পারে। তবে উদ্দেশ্য রাজনৈতিক বার্তা, আতঙ্ক ছড়ানো, নাকি নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে—এসব বিষয়ে এখনই নিশ্চিত বক্তব্য দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে নেই। পুলিশ ও ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলে পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার হবে।


আওয়ামী লীগ কর্মী যারা অন্যায় করেনি, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে: নুরুল হক নুর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২১:৩৭:১৭
আওয়ামী লীগ কর্মী যারা অন্যায় করেনি, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে: নুরুল হক নুর
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক যারা অন্যায় করেনি, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি মনে করেন, যারা ভালো মানুষ, তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে হবিগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাজনীতিতে অংশগ্রহণের অধিকার

নুরুল হক নুর বলেন, তাঁর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জীবন ভাই যেমনটি বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদও স্পষ্টভাবে বলতে চায়—দেশে অবস্থানগতভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক বা কর্মী যারা জনগণের প্রতি অন্যায় করেনি, জুলুম-নিপীড়ন চালায়নি, কারও বাড়িঘর দখল করেনি—তারা যেন সব রাজনৈতিক দলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

স্বাধীনভাবে পছন্দের রাজনীতি তিনি বলেন, “বিএনপি ভালো লাগলে বিএনপিতে, জামায়াত ভালো লাগলে জামায়াতে, গণঅধিকার পরিষদ ভালো লাগলে গণঅধিকার পরিষদে, এনসিপি ভালো লাগলে এনসিপিতে যাক—মানুষ যেন স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দের রাজনীতি করতে পারে। যারা ভালো মানুষ, তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।”

নির্বাচন ও জোট

গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, এই মুহূর্তে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আলাদাভাবে করার বাস্তবতা নেই।

জোটের সুযোগ তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কারও সঙ্গে জোট করা বা একীভূত হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। তবে ইতোমধ্যে অনেক দল তাদের সঙ্গে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছে।

ভীতি সৃষ্টি তিনি মনে করেন, মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে।


বিএনপির এক বছরের সফলতা চাঁদাবাজি এবং মামলাবাজি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২১:৩২:৫২
বিএনপির এক বছরের সফলতা চাঁদাবাজি এবং মামলাবাজি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
ছবিঃ সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন’ ঘিরে দেশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে মরণ হয়ে গিয়েছে। এখন তারা কিছু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা নিয়ে দেশবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক মিলনায়তনে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চ ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিরুদ্ধে তার দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

আওয়ামী লীগের মোকাবিলা তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এনসিপির এক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই বাংলাদেশে যথেষ্ট। এটা নিয়ে আমাদের কোনো টেনশন নেই।” তিনি আরও দাবি করেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

মামলা বাণিজ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আওয়ামী লীগের মামলা তুলে নেওয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “মামলা তো তুলেই নিয়েছে গত এক বছর টাকার বিনিময়ে। নতুন করে আর কী তুলবেন?”

বিএনপি’র সফলতা তিনি অভিযোগ করে বলেন, “চাঁদাবাজি এবং মামলা বাণিজ্য—এই দুইটা ছাড়া গত এক বছরে বিএনপির ইতিহাসে আর কোনো কাজ লেখা নেই।” তিনি মনে করেন, জনগণ ভোট নয়, তাদের জুতা দেবে।

এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তিনি বিভাজন দেখতে পাচ্ছেন।

“কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌম, গণতন্ত্র ও অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সব দলকে একসঙ্গে হতে হবে। সব দল একসঙ্গে হয়ে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা না করে, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দুর্গতি রয়েছে।”


বিএনপির ঘাঁটি বরিশাল-১ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও সক্রিয় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২০:৩৬:৩৩
বিএনপির ঘাঁটি বরিশাল-১ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও সক্রিয় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনটি তীব্র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে রয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, জামায়াতে ইসলামী এবং চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরাও সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির প্রার্থী ও নির্বাচনী যাত্রা

বরিশাল-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হলেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।

গত ৭ নভেম্বর গৌরনদীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জনসভার মাধ্যমে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেছেন।

জহির উদ্দিন স্বপন মন্তব্য করেছেন, সুযোগসন্ধানী রাজনীতি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপই আগামী নির্বাচনে তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করেন, জনগণ ধানের শীষের প্রতি আস্থা রাখলে তাঁরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান

বরিশালের ছয়টি আসনেই জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী চূড়ান্ত করে অনেকটাই নির্ভার আছে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরও সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।

বরিশাল-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা কামরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছে এবং তিনিও এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। জামায়াত নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

এই আসনে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরও শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা অনেক আগে থেকেই মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও স্থানীয় সমীকরণ

বরিশাল জেলায় বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে অন্যদিকে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে প্রার্থী-জট না থাকায় তারা কিছুটা নির্ভার।

যদিও বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, তবুও দলীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও অন্তর্দ্বন্দ্ব নির্বাচনের আগে দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই তিন দলের প্রার্থীরাই এলাকায় জোর গণসংযোগ শুরু করেছেন। ফলে ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার ত্রিমুখী নির্বাচনী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।


গণভোটের আড়ালে ফ্যাসিবাদ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২০:২২:৩৮
গণভোটের আড়ালে ফ্যাসিবাদ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় হবে। তিনি গণভোটের চেয়ে দেশের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। একইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গণভোট করতে গেলে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা অপচয় হবে।

তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন:

"গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কেউ বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চাইলে তারা নিজেরাই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে।"

তিনি এই অর্থ কৃষকদের জন্য ব্যয় করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন:

"আলুচাষিদের যে ভর্তুকি প্রয়োজন, আবদার মেটাতে গিয়ে গণভোট করতে গেলে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। গণভোটের চেয়ে তাই আলুচাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন।"

তিনি বলেন, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোট উৎপাদনের চেয়ে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ওই সব চাষির কথা বলার মতো দেশে কেউ নেই, এটাই দুর্ভাগ্য।

তারেক রহমান বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন:

"মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা ছিল না।"

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৭ নভেম্বরের চেতনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র ও একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল এবং সেনাবাহিনীর গৌরবকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল, তারা পরাজিত হয়েছে।

"যারা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, অসংখ্য প্রাণের মধ্য দিয়ে তাদের পতন হয়েছে। দেশকে কেউ যেন তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে—এটাই হোক ৭ নভেম্বরের অঙ্গীকার।"

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত চলছে, যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৪৭:৪৭
দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে একটি নির্বাচিত সংসদ গঠনের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও, গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের পর গণতন্ত্র যখন আবারও ফিরে আসার পথে, ঠিক তখনই তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু চৌধুরী বলেন এত ত্যাগের পর গণতন্ত্র আবারও হুমকির সম্মুখীন। এই হুমকি আসছে যখন দেশের সব মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একটি নির্বাচিত সংসদ করতে চায়, ঠিক সেই সময়ে। দেশের মানুষের মালিকানা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টিকারী মহল সক্রিয় রয়েছে।

সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান

দেশে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার আনার চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন

সংস্কার অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদেই হতে হবে। কোনো নির্দেশনা দিয়ে, প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোনো সংস্কার হতে পারে না।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জুলাই সনদের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের কোনো আদেশ জারির চেষ্টার বিরোধিতা করেন।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অভ্যাস আওয়ামী লীগের। বাকশাল থেকে শুরু করে দেশের সব দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগ।


ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ে পড়বে: নুর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৪২:৩৮
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ে পড়বে: নুর
হবিগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য পড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, আগামী নির্বাচন বানচালের জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।

বুধবার ১২ নভেম্বর বিকেলে হবিগঞ্জে নির্বাচনী জনসভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোটের বিষয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, এই মুহূর্তে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের দুটি আলাদা ভোট গ্রহণের বাস্তবতা নেই। তিনি জানান:

"আমরাসহ অনেক রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সময় গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।"

নুরুল হক নুর তাঁর দলের জোট গঠন নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন আমরা গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোটে যাব না। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছি।

তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের সমর্থনে স্থানীয় পৌরসভা মাঠে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় এসব মন্তব্য করেন।

সংগঠনের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজু, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান, তাহমিদ হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ অনেকেই।


সতেরো বছর পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:৫৮:৪৯
সতেরো বছর পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, "আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত।" গতকাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ এই তথ্য জানান।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন ও দেশে ফেরার সম্ভাবনা

২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর ধরে তারেক রহমান লন্ডনে বসবাস করছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর মামলা সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য গত কয়েক মাস ধরে 'শিগগিরই' তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা বললেও, এবারই প্রথম একটি সম্ভাব্য সময়সীমা (নভেম্বরের শেষ দিক) জানানো হলো।

গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নিজেই দ্রুত দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, "রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে— সেই প্রত্যাশিত, যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।"

বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান

প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও তারেক রহমান কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন।

তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।

এই আসনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়া সেই ১৯৯৬ সালের জুন মাস থেকে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচন করছেন এবং কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই পুরনো আসনেই এবার প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) আসনেও নির্বাচন করেছেন।


আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:০৪:৪১
আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি পুরোনো বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। এই বক্তব্যে তিনি বাসে আগুন দিতে যাওয়া ব্যক্তিকে সেই আগুনেই ফেলে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটিতে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়

"আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি এভাবে গাড়িতে আগুন ও মানুষের জীবনে আগুন ধরাতে চেষ্টা করে ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন।"

আরেকটি অংশে তিনি বলেছিলেন: "কেউ বাসে আগুন দিতে গেলে তাকে সেই আগুনেই ফেলে দেবেন।"

এই ভাইরাল বক্তব্যটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় দেওয়া হয়েছিল।

ওই দিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন:

"অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কোনোটা আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানুষের জান-মালের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "আমাদের আর কোনো কিছু নেই, আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। দেশের জনগণই আমাদের সব।"

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাসের এক এমন প্রলয়ঙ্করী অধ্যায় যা কেবল লক্ষ লক্ষ প্রাণই কেড়ে নেয়নি, বদলে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীর মানচিত্র ও... বিস্তারিত