ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৬:৪১:৪৮
ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, দেশের চলমান সংস্কার, বিচার ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ড. ইউনূসের সরকার শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশ পরিচালনা করছেন। এভাবে চলতে থাকলে দেশের মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি হবে না। তিনি বলেন, ‘চুনোপুটিদের নয়, খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, কামাল ও শামীম ওসমানদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হবে। জাতি এ বিষয়ে কোন টালবাহানা মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে আরো ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। যদি টাকা না থাকে, তাহলে জনগণই টাকা দেবে।’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং সফল গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকারের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

তিনি এনসিপি দলকে সমালোচনা করে বলেন, এই দলটি সরকার থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটি তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, টিআইবির প্রধানও তাদের ‘কিংস পার্টি’ বলেছেন। এনসিপি সমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদে বসে দেশের কাজ চালাচ্ছে। তবে হাসিনাত-আব্দুল্লাহরা এখনো ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন, যা ভুল। তিনি প্রশ্ন তুলেন, যারা হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে পরাজিত করেছে, তারা আজ কলঙ্কিত হচ্ছে, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হচ্ছে এবং মানুষের কাছে হেয় হচ্ছেন। ছাত্রদের কলঙ্কিত করার দায় কার?

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতিতে লিপ্ত। তারা নিজেরাই আখের গোছাতে ব্যস্ত। ডিসি নিয়োগসহ সব জায়গায় দুর্নীতির ছোঁয়া আছে। তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ বছর আগে বিএনপি-জামায়াত তকমা পাওয়া আমলারা এখনো নির্যাতিত ও পদবঞ্চিত।

জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি, যে সরকার শহীদদের তালিকা সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেনি, তার থেকে জাতি কী আশা করবে? জাতিসংঘের তদন্তে নিহতের সংখ্যা ১৪০০ হলেও জুলাই সনদে তা এক হাজার দেখানো হয়েছে, কেন ও কীভাবে তা হয়েছে জানতে চেয়েছেন।

তিনি গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাঠে না থাকলে আওয়ামী লীগ অরাজকতা সৃষ্টি করবে। তারা ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে নানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। তিনি ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার কথা উল্লেখ করেন এবং ১৪, ১৯ ও ২৪ সালে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের বিচার দাবি করেন।

/আশিক


গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৬:০৭:১১
গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার
ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬০টিরও বেশি উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি ও স্পাইওয়্যার সিস্টেম আমদানি ও মোতায়েন করেছে, যার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২৪০ কোটি টাকা। টেকনোগ্লোবাল ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রকৃত সংখ্যা ও প্রযুক্তির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে অনেক সময় অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রযুক্তি তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় ‘গোপনে’ দেশে প্রবেশ করেছে। বিশেষভাবে ইসরাইলি উৎস থেকে আসা প্রযুক্তিগুলো সাইপ্রাস, সিঙ্গাপুর ও হাঙ্গেরির মতো দেশের মাধ্যমে আনা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই।

৭০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত এক দশকে বাংলাদেশের নজরদারি ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশিং মডেল থেকে আধুনিক সাইবারভিত্তিক নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ হামলা এবং ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর সন্ত্রাস দমনের নামে নজরদারি ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটে। কিন্তু অনুসন্ধান দেখিয়েছে, এই প্রযুক্তিগুলো রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক, কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত নির্বাচন এবং গণবিক্ষোভের সময়।

আমদানিকৃত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে আইএমএসআই ক্যাচার, ওয়াই-ফাই ইন্টারসেপ্টর, সেলেব্রাইট, ফিনফিশার ও প্রিডেটরের মতো স্পাইওয়্যার, যা ওয়ারেন্ট ছাড়াই নজরদারি চালাতে সক্ষম। সেলেব্রাইট ইউএফইডি মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, জিপিএস ইউনিটসহ বিভিন্ন ডিভাইস থেকে তথ্য আহরণ, এনক্রিপশন বাইপাস, মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরুদ্ধার এবং বিস্তারিত ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির ক্ষমতা রাখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) নজরদারি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ক্রেতা, যা মোট ব্যয়ের ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক থেকে ১৬.৭ মিলিয়ন ডলারের নেটওয়ার্ক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইয়ান্না টেকনোলজিস থেকে ৫১.৭ মিলিয়ন ডলারের ইন্টিগ্রেটেড ল’ফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম ক্রয় করে। র‌্যাব ও পুলিশ ওয়াই-ফাই ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপশন, সিগন্যাল জ্যামিং এবং বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি সংগ্রহ করেছে। ডিজিএফআই ২০১৫ সালে সিটিজেন ল্যাব থেকে ফিনফিশার স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করে, যা ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে তথ্য চুরি করতে পারে। অপরদিকে BGD e-GOV CIRT সামাজিক মাধ্যম ও ওয়েব কনটেন্ট পর্যবেক্ষণের জন্য অক্সিজেন ফরেনসিক ডিটেকটিভ ও বেলকাসফটএক্স ব্যবহার করেছে।

ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান সেলেব্রাইট, এনএসএ গ্রুপ (পেগাসাস), ইনটেলেক্সা, কোরালকো টেক ও ইউটিএক্স টেকনোলজিসও বাংলাদেশের কাছে প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। তুরস্কের বিলগি টেকনোলজি টাসারিমও নজরদারি সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুরনো টেলিযোগাযোগ, টেলিগ্রাফ ও ওয়্যারলেস আইন ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যাপক নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, অথচ এ কার্যক্রমে সংসদীয় তদারকি, বিচারিক সম্পৃক্ততা বা কার্যকর জবাবদিহির কোনো ব্যবস্থা নেই।

-রাফসান


আরাফাত রহমান কোকো ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ’ দাবি রিজভীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৪:৪৯:৫৮
আরাফাত রহমান কোকো ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ’ দাবি রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আরেকটি গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শক্তিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আমরা বারবার দেখেছি, নানা কারণে ও অজুহাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করার চেষ্টা হয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৬ এবং সর্বশেষ গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতিতে বোঝা গেছে—জাতীয়তাবাদী শক্তিই তাদের টার্গেট। তারা ধর্মের নামে কৌশল অবলম্বন করে এবং আসন্ন নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা দেশে নেই, তবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কালো টাকা ও অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক শক্তি কর্মসূচি দিলেই তারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে ষড়যন্ত্রে জড়াচ্ছে। চট্টগ্রামে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও এর অংশ।

রিজভী বলেন, জাতি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় আছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন শিডিউল ঘোষণা করবে। কিন্তু অনেকেই এ নির্বাচনকে ঘিরে কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রে জড়াচ্ছে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি আদর্শের জন্য সংগ্রাম করেছি। বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপসহীন লড়াই করেছেন, নেতাকর্মীদের আত্মদানে উদ্বুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন আবার ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।

রিজভী দাবি করেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না; তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ। শেখ হাসিনা সরকারের অত্যাচারের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন এবং মহানগর উত্তর বিএনপির এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৩:০৪:৪২
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে রাজনৈতিক অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলার আবেদন করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর বিএনপির বাসন থানা শাখার সভাপতি তানভীর সিরাজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২-এর বিচারক আলমগীর আল মামুনের বেঞ্চে মামলার আবেদন জমা দেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করবেন কি না, তা প্রাথমিক শুনানি শেষে নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।

আবেদনে তানভীর সিরাজ উল্লেখ করেন, সাংবাদিক তুহিনকে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র হত্যা করে, কারণ তিনি তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ সারজিস আলম প্রকৃত ঘটনা উপেক্ষা করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিএনপিকে দায়ী করে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্ট দেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জনমনে তুহিন হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

তানভীর সিরাজ আরও দাবি করেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন যে তদন্তে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবুও সারজিস আলম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়েছেন, যা তার ব্যক্তিগত ও দলের সুনামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এজন্য তিনি আদালতে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

-শরিফুল


দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন জামায়াত প্রধান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১২:৩০:২০
দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন জামায়াত প্রধান
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসার জন্য টানা ১০ দিন ভর্তি থাকার পর বাসায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার গাড়িবহর এবং রাস্তার দুই পাশে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।

গত ২ আগস্ট বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবিরের তত্ত্বাবধানে তার হৃদপিণ্ডের চারটি ব্লকের সফল বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। অপারেশনের পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।

হাসপাতাল ছাড়ার আগে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, জামায়াত আমির সুস্থ আছেন এবং বাসায় ফিরছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহ তিনি বিশ্রামে থাকবেন। তবে এই সময়ে তিনি পরামর্শ দিতে পারবেন এবং আশা করছি তিন সপ্তাহ পর তিনি আবার দেশ ও জাতির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।”

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে অবস্থানকালে অসংখ্য ব্যক্তি তাকে দেখতে চাইলেও সবার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। দলের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের ডা. শহীদ আহমেদ চৌধুরী, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও বক্তব্য দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা‘ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলালম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সার্জারি ও চিকিৎসা চলাকালে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দোয়া ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা ডা. শফিকুর রহমান এবং তার পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসবেন এবং নেতৃত্বের দায়িত্বে পুনরায় সক্রিয় হবেন।

-রফিক


দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নওগাঁ বিএনপির শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১১:০৮:৪৩
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নওগাঁ বিএনপির শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময় পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মামুনুর রহমান রিপন বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১টায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষ হওয়ার পর শুরু হয় গণনা, যা রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা এবং নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম রেজাউল ইসলাম রেজু।

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট হয়। সভাপতি পদে ৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদের জন্য ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জেলার ১১ উপজেলা ও ৩ পৌরসভার মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৪১৪ জন।

সভাপতি পদে ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজমুল হক পান ৪০০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মামুনুর রহমান রিপন ৬৯২ ভোটে জয়ী হন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বায়েজিদ হোসেন পলাশের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৭১।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং উদ্বোধন করেন আব্দুস সালাম।

সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম রেজাউল ইসলাম রেজু। সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক জেলা সভাপতি সামসুজ্জোহা খান ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা প্রমুখ।

নওগাঁ জেলা বিএনপির ইতিহাসে এই সম্মেলনকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে সেই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর গঠন হয়নি। ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যেখানে আহ্বায়ক ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু এবং সদস্য সচিব ছিলেন বায়েজিদ হোসেন পলাশ।

-রাফসান


সাদা পাথর লুটের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১০:৪৫:৫৩
সাদা পাথর লুটের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথর লুট এবং সরকারি জমি দখলের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিনকে তার পদ থেকে স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশের বৃহত্তম ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশেই সরকারের প্রায় ২৭৫ একর উন্মুক্ত জমি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের দিকে এলাকায় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি এসব জমি দখলে নেন। অভিযোগ রয়েছে, এর অর্ধেকেরও বেশি জমি দখলে যায় সাহাব উদ্দিনের হাতে। জমিগুলো কোয়ারির কাছাকাছি হওয়ায় পাথর ভাঙার মেশিন মালিকদের কাছে ভাড়া দিয়ে উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জন করা হতো।

বিগত সরকার আমলেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতায় থেকে জমি দখল করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও শেষের দিকে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই জমি দখলমুক্ত করে। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি আবারও ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর সাইট এলাকায় প্রায় ১৫০ একর সরকারি জমি দখলে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এই জমি থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তৎপরতা দেখা দেয়। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, “অভিযোগ যাচাই করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল এবং সাহাব উদ্দিনকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

ঘটনা নিয়ে সাহাব উদ্দিনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

-রফিক


দলের অনিয়ম ও নীতি-নৈতিকতার অভাবে এনসিপি নেতা পদত্যাগ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ২১:৩৪:৪৯
দলের অনিয়ম ও নীতি-নৈতিকতার অভাবে এনসিপি নেতা পদত্যাগ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফরিদপুর সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম এবং ‘জুলাই বিপ্লবের নীতি–নৈতিকতার পরিপন্থী’ আচরণের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১০ আগস্ট) রাতে তিনি জেলা আহ্বায়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগপত্রে রুবেল মিয়া উল্লেখ করেন, দলের সাম্প্রতিক কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত ও অবস্থান তার ব্যক্তিগত আদর্শের সঙ্গে মিল না থাকার কারণে তিনি হতাশ ও বিচলিত। তাই তিনি দলের সব পদ ও কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

এর আগে ৫ জুন ফরিদপুর এনসিপির ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়, যেখানে সৈয়দা নীলিমা দোলা প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পান।

রুবেলের পদত্যাগ বিষয়ে নীলিমা দোলা বলেন, নতুন দল গঠনের সময় নানা ধরনের টানাপোড়েন ও সীমাবদ্ধতা স্বাভাবিক। অনেকের প্রত্যাশা তাৎক্ষণিক পূরণ না হওয়ায় হতাশা তৈরি হয়, হয়তো রুবেল সেই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

/আশিক


বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তুলোধুনো করলেন সারজিস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৯:৫৭:০৮
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তুলোধুনো করলেন সারজিস
ফজলুর রহমান ও সারজিস আলম। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, ফজলুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতাদের উদ্দেশ্যে অশোভন ভাষায় মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ফজলুর রহমান এখন এমন ভাষা ও বক্তব্য দিচ্ছেন, যা আওয়ামী লীগের বক্তব্যের সঙ্গে মিল রাখে এবং যা খুনি লীগের মিডিয়া সেলগুলোতে প্রচারিত হয়।

সারজিস আলম বলেন, সিনিয়র রাজনীতিবিদদের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চান তারা, তবে ফজলুর রহমানের মতো রাজনৈতিক সৌজন্য বিবর্জিত এবং ‘ফ্যাসিবাদের দালালি’ করা ব্যক্তিদের দায় তাদের নিজেদেরই নিতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভ্যুত্থান মেনে নিতে না পারা এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করা নেতাদের কারণে ছাত্র ও জনতার ক্ষোভ বাড়ছে।

তিনি পোস্টে আরও প্রশ্ন তোলেন, বিএনপি কি বারবার এমন ব্যক্তিদের কারণে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে চায়? সারজিসের দাবি, এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ মনে করবে, দলের পক্ষ থেকেই এসব বলা হচ্ছে।

/আশিক


‘সংস্কারের দাবি আড়াই বছর আগে বিএনপিই তুলেছিল’—তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৯:৪২:১১
‘সংস্কারের দাবি আড়াই বছর আগে বিএনপিই তুলেছিল’—তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, স্বৈরাচারী শাসন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সরকারি বিভিন্ন সেক্টর ধ্বংস করে গেছে। তবে অতীতের শাসন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিএনপি এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান জানান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং তারা জানে বিএনপি জনগণের ক্ষতি করে না—এই আস্থা বজায় রাখা দলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।

দীর্ঘ দেড় দশক পর নওগাঁ জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শহরের বিভিন্ন সড়ক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড দিয়ে সাজানো হয়।

এর আগের দিন, রোববার (১০ আগস্ট) রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে অংশ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পদ্মা ও অন্যান্য নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হবে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে দেশ-বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, শিক্ষার প্রসার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যৎমুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছে অন্যান্য দল, অথচ আড়াই বছর আগে বিএনপিই প্রথম এই দাবি তুলেছিল। এটি দলের দূরদর্শিতার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান আরও বলেন, অতীত সরকার গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি করেছে। বিএনপির প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা। স্বৈরাচারী শাসন দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যখাত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা বিএনপি পুনর্গঠন করবে। এ লক্ষ্যেই দল এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত: