গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার

২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬০টিরও বেশি উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি ও স্পাইওয়্যার সিস্টেম আমদানি ও মোতায়েন করেছে, যার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২৪০ কোটি টাকা। টেকনোগ্লোবাল ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রকৃত সংখ্যা ও প্রযুক্তির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে অনেক সময় অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রযুক্তি তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় ‘গোপনে’ দেশে প্রবেশ করেছে। বিশেষভাবে ইসরাইলি উৎস থেকে আসা প্রযুক্তিগুলো সাইপ্রাস, সিঙ্গাপুর ও হাঙ্গেরির মতো দেশের মাধ্যমে আনা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই।
৭০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত এক দশকে বাংলাদেশের নজরদারি ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশিং মডেল থেকে আধুনিক সাইবারভিত্তিক নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ হামলা এবং ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর সন্ত্রাস দমনের নামে নজরদারি ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটে। কিন্তু অনুসন্ধান দেখিয়েছে, এই প্রযুক্তিগুলো রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক, কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত নির্বাচন এবং গণবিক্ষোভের সময়।
আমদানিকৃত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে আইএমএসআই ক্যাচার, ওয়াই-ফাই ইন্টারসেপ্টর, সেলেব্রাইট, ফিনফিশার ও প্রিডেটরের মতো স্পাইওয়্যার, যা ওয়ারেন্ট ছাড়াই নজরদারি চালাতে সক্ষম। সেলেব্রাইট ইউএফইডি মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, জিপিএস ইউনিটসহ বিভিন্ন ডিভাইস থেকে তথ্য আহরণ, এনক্রিপশন বাইপাস, মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরুদ্ধার এবং বিস্তারিত ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির ক্ষমতা রাখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) নজরদারি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ক্রেতা, যা মোট ব্যয়ের ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক থেকে ১৬.৭ মিলিয়ন ডলারের নেটওয়ার্ক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইয়ান্না টেকনোলজিস থেকে ৫১.৭ মিলিয়ন ডলারের ইন্টিগ্রেটেড ল’ফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম ক্রয় করে। র্যাব ও পুলিশ ওয়াই-ফাই ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপশন, সিগন্যাল জ্যামিং এবং বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি সংগ্রহ করেছে। ডিজিএফআই ২০১৫ সালে সিটিজেন ল্যাব থেকে ফিনফিশার স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করে, যা ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে তথ্য চুরি করতে পারে। অপরদিকে BGD e-GOV CIRT সামাজিক মাধ্যম ও ওয়েব কনটেন্ট পর্যবেক্ষণের জন্য অক্সিজেন ফরেনসিক ডিটেকটিভ ও বেলকাসফটএক্স ব্যবহার করেছে।
ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান সেলেব্রাইট, এনএসএ গ্রুপ (পেগাসাস), ইনটেলেক্সা, কোরালকো টেক ও ইউটিএক্স টেকনোলজিসও বাংলাদেশের কাছে প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। তুরস্কের বিলগি টেকনোলজি টাসারিমও নজরদারি সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুরনো টেলিযোগাযোগ, টেলিগ্রাফ ও ওয়্যারলেস আইন ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যাপক নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, অথচ এ কার্যক্রমে সংসদীয় তদারকি, বিচারিক সম্পৃক্ততা বা কার্যকর জবাবদিহির কোনো ব্যবস্থা নেই।
-রাফসান
অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্তব্য করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পতিত সরকারের ছেঁড়া জুতো পায়ে দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তাদের কারও কারও মধ্যে ছোট ছোট ‘হাসিনা হয়ে ওঠার কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা’ দেখা যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে তরুণ-যুবারা দ্রোহের যে আগুন জ্বেলে দিয়েছিল, গত ১৪ মাস ধরে সরকার তাতে কেবল পানি ঢেলে চলেছে এবং তরুণ-যুবারা ধারাবাহিকভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিপ্লবী যুব সংহতির আহবানে জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশ থেকে আট শতাধিক যুব প্রতিনিধি এই দিনব্যাপী কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
তরুণদের হতাশা ও বিপদের আশঙ্কা
সাইফুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যুবারা অধিকার প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিল, গত এক বছরে তা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, অনেকেই তরুণদের ব্যবহার করেন, কিন্তু তাদের অধিকার দিতে চান না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়লে দেশ অভূতপূর্ব বিপদের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি সরকারকে তাদের জানা-অজানা এজেন্ডা গুটিয়ে এনে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানেই যাবতীয় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার আহ্বান জানান।
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান বলেন, গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয়, তার জন্য যুবশক্তিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, বৈষম্য বিলোপ করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থানসহ মানবিক জীবনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানান।
বিশিষ্ট নৃ-বিজ্ঞানী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোশরেকা অদিতি হক বলেন, “বিপ্লবের নামে আমাদের গৌরবের অর্জনকে অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দেশকে পিছনে টানার অপচেষ্টা চলছে। যুবশক্তিকে এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে।”
কনভেনশনের দ্বিতীয় অধিবেশনে যুব অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ‘জাতীয় যুব কনভেনশনের ঘোষণা’ দাবিনামা গ্রহণ করা হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে একটি র্যালি বের হয়, যা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে শঙ্কা
রাশেদ খান পিআর পদ্ধতির তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, “নিম্নকক্ষে (জাতীয় সংসদ) পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কখনোই সম্ভব নয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্ভব হতে পারে এবং এর ফলে দেশে আরেকটি জাতিগত বিভাজন ও ধর্মীয় দাঙ্গা লাগার শঙ্কা তৈরি হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
সরকারের দায় ও মাঠের আন্দোলন
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, “সংস্কার ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না”—এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকার দায় এড়াতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভিন্নমতকে ঐকমত্যে নিয়ে আসার দায়িত্ব সরকারের এবং সবার বক্তব্য শুনে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চলমান আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আলোচনা চলমান থাকার সময় মাঠের আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? তিনি বলেন, ভিসি-ডিসি নিয়োগ বা সুযোগ-সুবিধার সময় যারা আন্দোলন করেনি, এখন আন্দোলন করছে। এর অর্থ তারা আরেকটি সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আরেকটি ১/১১ হলে দায় এড়াতে কেউ পারবেন না।
গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, অদৃশ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে জনগণের দাবি আদায়ে আর রাস্তায় নামতে হবে না। তিনি বলেন, জনগণের সহযোগিতায় জামায়াত একটি ঘুণে ধরা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চায়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)-এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, গত অর্ধশতাব্দীতে পূর্বের সরকারগুলো তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ তৈরির পরিবেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে উন্নয়নের ‘বুলেট ট্রেন’ চালু করা সম্ভব না হলেও ‘এক্সপ্রেস ট্রেন’ অবশ্যই চালু করা যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে প্রত্যেকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে এবং কেউ বেকার থাকবে না। প্রত্যেকে হয় উদ্যোক্তা হবে, নয়তো চাকরিজীবী হবে। শুধু ডিগ্রির ভিত্তিতে নয়, কাজের দক্ষতা ও ফলাফলের ভিত্তিতেই মর্যাদা দেওয়া হবে।
শিক্ষাব্যবস্থা ও দুর্নীতি
শিক্ষা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, যারা এই পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করার কারণেই দেশের শিক্ষা খাতের করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এমন শিক্ষা দেবে না, যা মানুষকে দুর্নীতিবাজ বা অমানবিক করে তোলে; বরং এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা মানুষকে ‘সত্যিকারের মানুষ বানায়’ এবং ‘অন্যকে সম্মান করতে শেখায়’। তিনি নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সমন্বয় তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন।
দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ তুলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা দুর্নীতির প্রবাহ বন্ধ করব। এটা শুনে অনেকের হৃদয় ধড়ফড় করছে, কারণ অনেকেই এভাবেই চলেন।” তবে তিনি জানান, যে সার্ভিসের গভীরতা ও দায়িত্ব যতটা, সেই অনুযায়ীই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের সাহসিকতার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেওয়া হবে, এমনকি তা যদি সরকারের বিরুদ্ধেও যায়।
“ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে বক্তব্য দিতে গিয়ে মার্কিন সেনাদের ‘আদেশ অমান্য করার আহ্বান’ জানানোর অভিযোগে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, “পেত্রোর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁর ভিসা বাতিল করা হবে।” এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সেনাদের বিদ্রোহে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় পেত্রো এক সমাবেশে বলেন,
“আমি মার্কিন সেনাদের বলছি—মানুষের দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। (সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না, মানবতার আদেশ মানুন।”
পেত্রোর কার্যালয় বা কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময়ও পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা “গণহত্যার সহযোগীতা” এবং এ জন্য মার্কিন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া তিনি ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা ধ্বংসের ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে দেখা যায়, তিনি নিউইয়র্কে প্রো-প্যালেস্টাইন সমাবেশে নিজের বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন,
“প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো। গাজা পতন হলে মানবতাও ধ্বংস হবে।”
ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের কড়া সমালোচক পেত্রো এরই মধ্যে দেশ থেকে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিত করেছেন।
-নাজমুল হাসান
‘আমরা চোর-ডাকাতদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না’: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, “ধর্ষণ, লুটপাট, চাঁদাবাজির নাম রাজনীতি নয়, এটি জুলুম ও ডাকাতি।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, দেশের ক্ষমতায় থাকা শক্তিগুলো রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
‘রাষ্ট্র নয়, এটি ডাকাততন্ত্র’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, “৫৩ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা শুধু অত্যাচার ও দুর্নীতিই করেছে। দেশের ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। এটা রাষ্ট্র নয়, ডাকাততন্ত্র।” তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নেই মানে—প্রধান বিচারপতিও নেই, পুলিশপ্রধান নেই, এমনকি বায়তুল মোকাররমের ইমামও নেই। এমন অবস্থা কি রাষ্ট্রের হতে পারে?”
পিআর পদ্ধতি ও নীতির পরিবর্তনের দাবি
আদালতের প্রতি আস্থাহীনতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বিচারকরা যখন যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে, তার দিকেই তাকিয়ে রায় দেন। এমন বিচারক দিয়ে ন্যায়বিচার হয় না।”
প্রতিনিধিত্বমূলক পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মুফতি করীম বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, সংবিধানে পিআর পদ্ধতি নেই। আমি বলবো, আপনি নিজেই সংবিধানে নেই। সংবিধান বলে, সরকার পরিবর্তনের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, যেখানে সিদ্ধান্ত হবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আগে একদল চাঁদাবাজি করেছে, এখন আরেক দল করছে। আগে ধর্ষণ করেছে একদল, এখন করছে আরেক দল। শুধু হাতবদল হয়েছে, চরিত্র বদল হয়নি। আমরা চোর-ডাকাতদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন দরকার।” ফয়জুল করীম বলেন, দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত পরিবর্তনের পথ।
নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: মির্জা ফখরুল
আগামী নির্বাচনে কোনো সংশয় নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা যারা রাজনৈতিক দলগুলো আছি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো রকমের সংশয় নেই। আমরা নিশ্চিত (উই আর কনভিন্সড) যে ২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।”
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য যথেষ্ট জোরালো ছিল। নির্বাচন নিয়ে গত কিছুদিন ধরে তিনি যে কথাগুলো বলে আসছেন, এই ব্যাপারে আমাদের অন্তত কোনো সংশয় নেই।” এ সময় তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে একমত হওয়ার বাস্তবতা নেই’: জামায়াত
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সবাই এর সঙ্গে একমত। আমরাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তবে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধানের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ, এটির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন না হলে সেখানে একমত হওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই।” আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে নির্বাচনের বিষয়ে যা বলেছেন, সেটার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই, তবে তিনি বিস্তারিত কথা বলেননি।
নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিএনপি-জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। উভয় দলই একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে জনসমর্থন আদায়ের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। তবে তাদের এই কৌশলগত দূরত্ব দেশের রাজনীতিতে এক নয়া মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএনপির কৌশল: দ্রুত নির্বাচন ও জনসম্পৃক্ততা
বিএনপি মনে করে, জনগণের ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অপরিহার্য। দলটির নীতিনির্ধারকরা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রার্থী বাছাই: গত সপ্তাহ থেকে বিএনপি সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। নজরুল ইসলাম খান এবং ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে নিজ নিজ বিভাগের বিরোধপূর্ণ আসনগুলোতে আলোচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় ও জনসম্পৃক্ততা: দলটি দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে থাকার কর্মসূচি নিয়েছে। পূজা শেষে নির্বাচনমুখী জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে যাবে দলটি।
প্রচারণা: দলটির বিরুদ্ধে চলমান নেতিবাচক প্রচারণাকে আমলে নিয়ে, বিএনপি ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন কর্মসূচিতে নামবে, যার মাধ্যমে নির্বাচনের মাঠে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চায়।
সালাহউদ্দিন আহমদের মন্তব্য: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, দলীয় একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে আলোচনা চলছে, যেন যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাই তার পক্ষে কাজ করে। শরিকদের জন্য কিছু আসন ছাড়া হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
জামায়াতের কৌশল: সংস্কার প্রথম, তারপর নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতির দাবি
দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি যখন দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, জামায়াত তখন ‘সংস্কার প্রথম, তারপর নির্বাচন’ নীতিতে জোর দিচ্ছে।
প্রার্থী ঘোষণা ও প্রচারণা: জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে প্রায় সবকটি সংসদীয় আসনেই অনানুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে এবং তাদের পক্ষে ‘নির্বাচনী’ ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।
আন্দোলন: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দলটি ছয়টি দলকে নিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি শেষ করেছে। পিআর দাবি আদায় না হলে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সেই হুঁশিয়ারিও তারা দিয়েছে।
মুহাম্মদ র হমানের মন্তব্য: জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনাকে ধরে রাখতে হলে আগে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে না।”
রাজনৈতিক মেরুকরণ ও বিশ্লেষকের মত
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, জামায়াতের এই ‘সংস্কার প্রথম, তারপর নির্বাচন’ নীতি মূলত দুটি উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা—সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার এবং বিএনপির ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনী জোটে অনুকূল শর্ত আদায় করা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক বলেন, “এই কৌশলগত বিভাজন দেশের রাজনীতিতে নয়া মেরূকরণের ইঙ্গিত। তবে জামায়াতের এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।”
‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে দ্রুত ফেরত চান জামায়াত আমির
উত্তরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মামুনুর রশিদ তিন দিনের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।
জামায়াত আমির বলেন, “জুলাইযোদ্ধা খ্যাত মাওলানা মামুনুর রশিদ তিন দিনেরও অধিক সময় ধরে নিখোঁজ। তার পরিবার গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। তার অবস্থান চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, পরিবারটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে প্রশাসনের ভূমিকা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সবকিছুর পরে আমরা তাকে দ্রুত ফেরত চাই।”
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও কে এম মামুনুর রশিদ নিখোঁজ হওয়ার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, ঘটনার তদন্তে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।
সারজিস আলম: ‘খুনি হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের বিচার আগামী ৬ মাসের মধ্যে হওয়া সম্ভব নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের এম সাইফুর রহমান টাউন হলে আয়োজিত জেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “যদি হত্যাযজ্ঞের নির্দেশদাতা ১০০ জনের বিচার কার্যকর হয় এবং দোষী হয়, তাহলে আমরা বুঝতে পারব বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “খুনি হাসিনার বিচারের আগে এই বাংলায় নির্বাচন হবে—এটা জনগণ মেনে নেবে না।”
‘শাপলা প্রতীক না পেলে আন্দোলনে যাব’
সারজিস আলম বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন এনসিপিকে শাপলা প্রতীকই দেওয়া হবে এবং তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নেবেন। তিনি বলেন, “শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই।” তিনি বলেন, “যদি আইনগতভাবে আমরা যৌক্তিকভাবে পাই, তাহলে সেটা যদি আমাদের না দেওয়া হয়, তাহলে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে আন্দোলনে সমাধান খুঁজে পাব।”
এনসিপি ও নাগরিক অধিকারের একীভূত হওয়ার আলোচনা
সারজিস আলম জানান, নাগরিক অধিকারের সঙ্গে তাদের একীভূত হওয়ার আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে সারা বাংলাদেশ জানবে।
পাঠকের মতামত:
- অসহায় বৃদ্ধের চুল-দাড়ি জোর করে কেটে দেওয়ায় মামলা
- পর্যটন দিবসে কক্সবাজার: উৎসবে আমেজ, সেন্টমার্টিন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
- ‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
- চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
- অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
- রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
- খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
- বিসিবি নির্বাচনে লড়ছেন আসিফ আকবর
- অস্কারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে লিসা গাজীর ‘বাড়ির নাম শাহানা’
- আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
- “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
- “আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
- রেকর্ড গড়ে বায়ার্নের শততম গোল করলেন হ্যারি কেন
- শিরোপা ধরে রাখতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ তরুণরা
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- গান ছাড়লেন তাহসান, ফাটল কি মিথিলা-সৃজিতের সংসারেও?
- ‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
- আজ দুপুর পর্যন্ত দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
- ‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
- ‘আমরা চোর-ডাকাতদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না’: মুফতি ফয়জুল করীম
- ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়
- নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: মির্জা ফখরুল
- নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিএনপি-জামায়াত
- বিসিবি নির্বাচন: সমঝোতা প্রস্তাব ঘিরে তামিমের বাসায় রাতের বৈঠক
- জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন
- ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা
- ‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে দ্রুত ফেরত চান জামায়াত আমির
- সারজিস আলম: ‘খুনি হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’
- পাকিস্তানকে হারানোর মিশনে দারুণ শুরু বাংলাদেশের, চাপে পাকিস্তান
- ‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন
- সিলেটে ডিসি অফিস ঘেরাও, নগরভবনে ইটপাটকেল: রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
- মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা
- ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ
- রাজনৈতিক চাপের কারণে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না ইসি: এনসিপি নেতা
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ‘আমাকে ধরতে চাইলে আপনারাও ধরা পড়বেন’: তামিম ইকবাল
- ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
- ‘যারা কম জনপ্রিয়, তাদের জন্যই পিআর লাভজনক’: সালাহউদ্দিন আহমদ
- যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন ড. ইউনূস
- কম পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব লাভজনক ৪টি ব্যবসা
- ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-সার পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা
- ‘শাপলা প্রতীক কেন দেব না, তার ব্যাখ্যা দেব না’: সিইসি
- ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে জামায়াতের ইন্ধন’: রুহুল কবির রিজভী
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন