তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:৪৮:২৮
তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানই হবেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বা ভোটের অধিকারই নয়, দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উপমহাদেশের মধ্যে সেরা, কিন্তু সমস্যা সিস্টেমের দিক থেকে। দেশে পারস্পরিক হিসেব-নিকেশের সংস্কৃতি রয়েছে, যা সঠিক সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং এই সংস্কৃতি দেশের উন্নয়নকে অবরুদ্ধ করছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তা দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের শক্তি রাখে। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও জনগণের প্রতি দায়িত্বের অংশ হওয়া উচিত।

/আশিক


আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:১০:৫৭
আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে দেশে দাঙ্গা লাগানো দরকার। কারণ দাঙ্গার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন এবং নির্বাচন প্রভাবিত করা যায়।’ তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের বিহারি-বাঙালি বিরোধী দাঙ্গার কথাও উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পটু, প্রয়োজনে নিজের বাড়িতেও আগুন দিতে পিছপা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, কোনো মানুষ বা ধর্ম কখনো সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ চালানো হয়, যাতে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। ৮৮ সালের ঘটনা উদাহরণ দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তখনও হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ একই কৌশল নিয়েছিলেন। গয়েশ্বরের মতে, সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মীয় নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ট্যাকটিক। ভারতে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে মুসলমানরা নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু। অনেক জমিদার বাড়িতে থাকা মন্দির দেবোত্তর না হওয়ায় তারা রক্ষা পাচ্ছে না। তাই সব মন্দিরকে দেবোত্তর ঘোষণা করে সীমানা নির্ধারণ করা জরুরি।’

সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় সামঞ্জস্য ছিল। তবে শেখ হাসিনা সরকার এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁর আমলেই অনেক দেবালয় ও প্রতিমা ধ্বংস হয়েছে, যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা-সমর্থকদের মাধ্যমে।’ রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ পলাতক অবস্থায় থেকেও দেশের বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কলকাতায় তাদের অফিস থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।

/আশিক


খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ২০:০০:০৮
খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল শাখাসমূহের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে ১৮টি হলে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটিগুলোর অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

তবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার ৫১ সদস্যের নতুন কমিটিকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছেন গোপালগঞ্জের রাজু শেখ, যিনি অতীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপমূলক মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন।

ছাত্রদল সূত্রের দাবি, গত ৫ আগস্টের পর রাজু শেখ তার ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করে মন্তব্য করেন “রেডি হয়ে লাভ নেই, আমরা আপনাকেও চাই না, মানুষ এত বলদ নাহ।” এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে। সংগঠনের ভেতরে অনেকেই মনে করছেন, এমন অতীত থাকা একজনকে নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি দলের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিতর্কিত এই নিয়োগ বিষয়ে জানতে আমার দেশ পত্রিকার পক্ষ থেকে রাজু শেখের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

-রফিক


আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৭:৫১:৪১
আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সুযোগ, যার মাধ্যমে জনগণের রায়ের ভিত্তিতে দেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও কল্যাণভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিবর্তন কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক, অংশগ্রহণমূলক এবং উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত সমমনা ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আপনাদের ঐক্য এবং দৃঢ়সংকল্পের ফলেই দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত জুলাই মাসে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই অর্জন কেবল একটি শাসনব্যবস্থার অবসান নয়, বরং নতুন বাংলাদেশ গঠনের দ্বার উন্মোচন করেছে।”

তারেক রহমানের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে ঐক্যের গুরুত্ব। তিনি নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল যৌথ সংগ্রামের ফল, যেখানে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। তার মতে, এই ঐক্যকে অটুট রেখে সামনে এগোতে হবে, যাতে পরিবর্তনের ধারাটি সুসংহত হয় এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এলডিপি ও লেবার পার্টির উচ্চপর্যায়ের নেতারা অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তারেক রহমান তার বক্তৃতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বলেন, এই নির্বাচন কেবল একটি রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যে বিজয় আমরা অর্জন করেছি, সেটিকে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তাই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্ব দেন।

শেষে তিনি বলেন, “জনগণ পরিবর্তন চায়। তারা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সমতা চায়। সেই পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচন হবে সেই পরিবর্তনের সূচনা বিন্দু, যা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।”

-রফিক


জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৭:৪২:৪৫
জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী সচেতনভাবে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তার দাবি, এই কৌশল মূলত জনমতকে ভুল পথে পরিচালিত করা এবং আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত “গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ পিআর পদ্ধতির জটিল কাঠামো ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নন। এই পরিস্থিতিতে পিআর নিয়ে জনসমক্ষে অবিরত আলোচনা জনগণকে শুধু বিভ্রান্তই করছে না, বরং একটি অযৌক্তিক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে, যা নির্বাচনী প্রস্তুতিকে বিলম্বিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী কাঠামোর মাধ্যমেই জাতীয় নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়িয়ে সময়ক্ষেপণ করলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে সাধারণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে এই দল নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।

আসন্ন নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কোনো প্রকার মৌলিক সংস্কার হয়নি। সেই পুরনো কাঠামোর মধ্য দিয়েই যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা থেকে যায়।

হাফিজ উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ভারতের মাটিতে অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন কূটচাল ও পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, “দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের মোকাবিলা করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”

তিনি উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান, যেন সবাই মিলে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে। তার মতে, এখন সময় হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক ও বিদেশি কূটচালকে উপেক্ষা করে জাতীয় স্বার্থে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা।

-রাফসান


নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৫:৫৭:৪৬
নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ, ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃত্বে উঠে আসা নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু, তেমনি তীব্র সমালোচনারও মুখোমুখি। জনগণের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এই নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন টকশো— উভয় ক্ষেত্রেই আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। ছবিটিতে দেখা যায়, দামি পাঞ্জাবি পরিহিত, হাস্যোজ্জ্বল হান্নান মাসউদ একটি ডায়েরিতে কিছু লিখছেন। ক্যাপশনে উল্লেখ ছিল “ঈদুল ফিতরের পর প্রথম দিনের মতো অফিস”। অনেকেই ধারণা করেন এটি তার ব্যক্তিগত অফিস, যা ঘিরে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। তবে হান্নান মাসউদ স্পষ্ট করে জানান, ছবিটি তার ব্যক্তিগত অফিসের নয়; বরং এনসিপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তোলা।

তবুও সমালোচনা থামেনি। বরং বিষয়টি সম্প্রসারিত হয়ে তার জীবনযাপন ও আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নে পৌঁছায়। একাধিক টেলিভিশন টকশোতেও তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হয় কীভাবে তিনি হঠাৎ দামি গাড়ি, বিলাসবহুল পোশাক ও বাড়ির মালিক হলেন। এসব প্রশ্নের জবাবে হান্নান মাসউদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিয়ে এক ধরনের ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ চলছে। কয়েক দিন আগেও তার অফিসের ছবিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যক্তিগত অফিস বলে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন।

প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন “আমি কোনো সরকারি পদে নেই, তবুও কেন আমার আয়ের উৎস জানতে হবে?” তার দাবি, তিনি তার উপার্জনের ব্যাপারে কারো কাছে বাধ্য নন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন তিনি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিলেও ন্যূনতম তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান। মাসে যদি ৩০টি টকশোতে অংশ নেন, তবে তার আয় দাঁড়ায় প্রায় নব্বই হাজার টাকা। আগে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জনের জন্য প্রতিদিন অন্তত দুটি টিউশনি করাতে হতো।

এছাড়া চলার পথে বহু শুভানুধ্যায়ী ও সমর্থক তাকে সহযোগিতা করেন বলেও জানান তিনি। হান্নান মাসউদের ভাষায়, এই সহযোগিতা ও তার নিজের শ্রমের আয় দিয়েই তিনি জীবনযাপন করছেন কোনো গোপন বা অবৈধ অর্থের মাধ্যমে নয়।


শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৫:৪৯:২১
শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘প্রভাব ও প্রেতাত্মা’ এখনো দেশের কিছু সচিব ও শীর্ষ আমলাদের মধ্যে বিরাজমান, যারা নেপথ্যে থেকে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

৮ আগস্ট শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবীন দলের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসল এটি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। সুতরাং এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে যেসব ব্যক্তি বা মহল নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, তাদের পরিচয় জাতির সামনে প্রকাশ করা এবং কেন তারা অজুহাত সৃষ্টি করছে তা ব্যাখ্যা করা।

তিনি বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। জনগণ আন্দোলন করে আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা আপনাদের দায়িত্ব।”

ফারুক জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দেরিতে হলেও ঘোষণা এসেছে যে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।” তবে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে যোগ করেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা এখন নতুন কৌশল নিচ্ছে, আমাদের ‘নব্য ফ্যাসিবাদ’ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মনে রাখবেন, বিএনপি শহীদ জিয়ার দল, স্বাধীনতার ঘোষকের দল, একটি আদর্শিক রাজনৈতিক শক্তি এ দলকে ষড়যন্ত্র করে দমিয়ে রাখা যাবে না।”

আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন ও অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।


কলকাতায় গোপন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১২:৪৮:৪২
কলকাতায় গোপন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় স্থায়ী কার্যালয় গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ। শহরের একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের পেছনের দিকের ভবনের অষ্টম তলায় অবস্থিত এই অফিসটিতে চলছে দলের সীমিত কার্যক্রম। তবে পুরো আয়োজন রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ গোপনীয়তায় বাইরে নেই কোনো সাইনবোর্ড, ঝোলানো হয়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার ছবি, এমনকি দলের রাজনৈতিক পরিচয়ের কোনো দৃশ্যমান চিহ্নও নেই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতারা এতদিন ভাড়াবাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা রেস্তোরাঁয় অনিয়মিত বৈঠক করতেন। দীর্ঘ এক বছর পর এবার তারা একটি স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছেন, যেখানে দলীয় সমন্বয় ও সীমিত আলোচনা নিয়মিতভাবে হচ্ছে। প্রায় ৫০০–৬০০ বর্গফুট আয়তনের এই অফিসে একই সময়ে ৩০–৩৫ জন নেতা-কর্মী বসে বৈঠক করতে পারেন। তবে বড় পরিসরের সভা আয়োজনের জন্য এখনও তাদের ব্যাঙ্কোয়েট হল বা রেস্তোরাঁ ভাড়া নিতে হয়।

একজন সিনিয়র নেতা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “ঘরটির পরিচয় প্রকাশ না পায়, সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই কোনো রাজনৈতিক প্রতীক বা ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি। এখানে মূলত দেখা-সাক্ষাৎ, সাংগঠনিক আলোচনার প্রাথমিক ধাপ এবং সীমিত পরিসরে বৈঠক হয়।” দলীয় নেতাদের মতে, এই স্থায়ী কার্যালয়টি ভাড়া নেওয়া একটি বাণিজ্যিক ইউনিট, যেখানে আগের ভাড়াটিয়ার ফার্নিচার ও টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও সরল-সাদামাটা সাজসজ্জা ও গোপন অবস্থান নির্বাচনের মধ্যেই স্পষ্ট, কলকাতায় এই কার্যালয় শুধু আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নয় বরং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ ও সাংগঠনিক যোগাযোগ রক্ষার একটি কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১২:২৯:৪২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হল শাখাসমূহের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে ১৮টি হল শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সংগঠনটির ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নবগঠিত এই কমিটিগুলো অনুমোদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী নতুন নেতৃত্বে স্থান পেয়েছেন। প্রতিটি কমিটিতে একজন আহ্বায়ক, একজন সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং একজন সদস্য সচিব থাকছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন পদে সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান প্রধান কমিটির কাঠামো

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল: ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রিজভী আলম, সদস্য সচিব জোবায়ের হোসেন।

কবি জসীমউদ্দীন হল: ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল ওহেদ, সদস্য সচিব মেহেদী হাসান।

মাস্টারদা সূর্যসেন হল: ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন প্রান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক লিয়ন মোল্যা, সদস্য সচিব মো. আবিদুর রহমান মিশু।

বিজয় একাত্তর হল: আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান মো. সাদমান সিদ্দিক, সদস্য সচিব সাকিব বিশ্বাস।

শেখ মুজিবুর রহমান হল: ৫৪ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক সাঈফ আল ইসলাম দীপ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রিনভী মোশাররফ, সদস্য সচিব মো. সিহাব হোসেন (শাহেদ)।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল: ৬১ সদস্যের বৃহত্তম কমিটির আহ্বায়ক আবু জার গিফারী ইফাত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. তানভীর আহমেদ জিয়াম, সদস্য সচিব মনসুর আহমেদ রাফি।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল: আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান আসিফ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামসুল হক আনান, সদস্য সচিব শাহরিয়ার লিয়ন।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: আহ্বায়ক তাওহিদুল ইসলাম (তাইমুন), সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, সদস্য সচিব সৈয়দ ইয়ানাথ ইসলাম।

স্যার এ এফ রহমান হল: আহ্বায়ক ফেরদৌস সিদ্দিক সায়মন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান মুন্না, সদস্য সচিব মো. মাহদীজ্জামান জ্যোতি।

জগন্নাথ হল: আহ্বায়ক মধুসূদন কুন্ডু হৃষীকেশ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নিত্যানন্দ পাল, সদস্য সচিব প্রসেনজিৎ বিশ্বাস।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল: আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ, সদস্য সচিব মো. জুনায়েদ আবরার।

ফজলুল হক মুসলিম হল: আহ্বায়ক মো. আবিদ হাসনাত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক বি এম ফাহিম শাহরিয়ার দীপ্ত, সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান রুমী।

অমর একুশে হল: আহ্বায়ক মো. আসাদুল হক আসাদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহনোমান জিওন, সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ।

রোকেয়া হল: আহ্বায়ক মোছা. শ্রাবণী আক্তার, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্রাবন্তী হাসান বন্যা, সদস্য সচিব আনিকা বিনতে আশরাফ।

শামসুন নাহার হল: আহ্বায়ক তায়েবা হাসান বিথী, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নিতু রানী সাহা, সদস্য সচিব রাবেয়া খানম জেরিন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল: আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান (অবন্তী), সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস ইতি।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল: আহ্বায়ক নওশিন নাহার অথি, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শারমিন খান, সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস পুতল।

কবি সুফিয়া কামাল হল: আহ্বায়ক তাওহিদা সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকিয়া সুলতানা আলো, সদস্য সচিব তাসনিয়া জান্নাত চৌধুরী।

ছাত্রদলের এই নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল শাখায় সাংগঠনিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৫৯৩ জন নতুন নেতৃত্বে আসায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গতি আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শক্তি পুনঃসংগঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায় থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।


দেশে আসছেন তারেক রহমান, জানালেন হুমায়ুন কবির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২০:২২:০৭
দেশে আসছেন তারেক রহমান, জানালেন হুমায়ুন কবির
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান—এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমান একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হুমায়ুন কবির জানান, চলতি বছরের ১৩ জুলাই লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। ওই বৈঠকে আগামী নির্বাচন ও সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বৈঠকে মূলত আলোচনায় ছিল—বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ পরিচালনায় তাদের রূপরেখা কী হবে, কেমন বাংলাদেশ গড়তে চায় তারা এবং নির্বাচনী ইশতেহারে কী কী অগ্রাধিকার পাবে—এসব বিষয়।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত এখন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেই দেশের মাটিতে পা রাখবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

তথ্যসূত্র: সমকাল

পাঠকের মতামত: