পাক-ভারত উত্তেজনা
নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা, গুলি বিনিময়ে ভারত-পাক দোষারোপ
.jpg)
সত্য নিউজ:কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষই একে অপরকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণের জন্য দায়ী করছে, যা পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বকে আরও জটিল করে তুলছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, পার্নিকিয়াল, খই রাট্টা, শারদা, খেল, নীলম ও হাজি পীর সেক্টরে ভারতীয় বাহিনী বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। তারা আরও জানায়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারমুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দারবনি এবং অখনুর সেক্টরে টানা ১১ দিন ধরে পাকিস্তানি বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিটি হামলার পরই তারা উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
এই সামরিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সংঘটিত প্রাণঘাতী হামলা, যাতে অন্তত ২৬ জন নিহত হন—তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। নয়াদিল্লির দাবি, হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ তা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা নিরসনের উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে এক ফোনালাপে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার আলোকে দ্বিপক্ষীয় উপায়ে সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গেও লাভরভের কথা হয়েছে। ইসলামাবাদ রাশিয়ার সহায়তা কামনা করেছে পরিস্থিতি প্রশমনে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীর অঞ্চলকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবেচনা করে, অথচ বাস্তবে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে। সীমান্তে এই ধরনের গোলাগুলি এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কেবল দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাই নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা কার্যকর না হলে সীমান্ত সংঘাত আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ