বিশেষ প্রতিবেদন

ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ৩১ ১২:৫৬:২৩
ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ

৫ আগস্ট ২০২৪—তারিখটি ছিল নিঃশব্দ অথচ ঐতিহাসিক। ঢাকার আকাশে সেদিন ছিল না কোনো বিজয়ের উল্লাস, ছিল না কোনো পতাকা মিছিল কিংবা রাজনৈতিক জয়জয়কার। তবে দেশবাসীকে না জানিয়েই, ক্ষমতায় একযুগেরও বেশি সময় কাটানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। পালিয়ে যান ভারত অভিমুখে। কিন্তু তার রেখে যাওয়া বাংলাদেশ ছিল রক্তাক্ত, বিধ্বস্ত এবং চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত একটি রাষ্ট্র। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ভয়াবহভাবে অবমূল্যায়িত, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত অচল এবং প্রবাসী আয় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে না পেরে হতাশায় ভুগছিলেন, সাধারণ মানুষ হাহাকার করছিলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে। এই আর্থিক বিপর্যয়ের পেছনে ছিল দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার এবং কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দুঃশাসন।

বিশেষ করে আলোচনায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম, যিনি ছিলেন তথাকথিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বহুবার। তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান দাবী করেন, তিনি জয়কে আগেই এ বিষয়ে অবহিত করেছিলেন, কিন্তু জয় তা চেপে গিয়ে এক ভারতীয় পরামর্শকের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই থেকেই শুরু হয় রিজার্ভ সংকট, যার ফলশ্রুতি হয় বৈদেশিক লেনদেনের ধস, ঋণের পাহাড় এবং বিনিয়োগের অবসান।

রাজনৈতিক অঙ্গনেও দেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ভারতের প্রতি অতিনির্ভরশীল পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ প্রায়ই দিল্লির ছায়ানীতির অনুসারী হয়ে দাঁড়ায়। সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণহানি, কূটনৈতিক নিঃসাড়াবস্থা এবং আঞ্চলিক দখলদারিতার বিরুদ্ধে নিরব ভূমিকা জনগণের আস্থাকে তীব্রভাবে আঘাত করে। এই রাজনৈতিক দুর্বলতা এবং অর্থনৈতিক অচলাবস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি অনিবার্য বিপর্যয়ের পরিবেশ, যার পরিণতিতে শেখ হাসিনার গোপন দেশত্যাগ একটি নৈতিক পতনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

এই শূন্যতার মুহূর্তে জাতীয় দায়িত্ব নেয় একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে আসেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস। রাজনৈতিক দলনির্ভরতার বাইরে গঠিত এক ব্যতিক্রমধর্মী নাগরিক-প্রশাসনিক জোটের সমর্থনে তিনি শুধু নীতিনির্ধারক নন, বরং দেশের কার্যকরী প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হন। তার অর্থনৈতিক দর্শন ছিল একেবারে ভিন্নধর্মী: রাষ্ট্রায়ত্ত পুঁজি নয়, মানবিক অর্থনীতি—যেখানে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক ন্যায্যতাই হবে সমৃদ্ধির ভিত্তি। তার নেতৃত্বে সরকার তিনটি মূল খাতে সংস্কার শুরু করে: প্রথমত, প্রবাসী আয় ও রেমিটেন্স পুনরুজ্জীবন; দ্বিতীয়ত, বৈদেশিক ঋণ হ্রাস এবং সময়মতো পরিশোধ; তৃতীয়ত, আমদানি ও জ্বালানি খাতে প্রণোদনা ও ভর্তুকি।

এই নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে রেমিটেন্স খাতে ঘটে অভূতপূর্ব অগ্রগতি। সরকার ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর উপর বিশেষ প্রণোদনা চালু করে, যার ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই দেশে আসে ৩.২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স—বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনেই আসে আরও ১.০৫ বিলিয়ন ডলার। এই প্রণোদনা কেবল বৈধ লেনদেনকে উৎসাহ দেয়নি, বরং হুন্ডির মত অসাধু পথ একেবারেই ভেঙে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৬.৭৩ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে আইএমএফ অনুমোদিত ব্যয়যোগ্য নেট রিজার্ভ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার—যা আগের সরকার কখনো প্রকাশই করেনি।

ইউনুস সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে গ্রহণ করে কঠোর এককনীতি। মাত্র আট মাসে ২৯ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ শোধ করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল কাতারের কাছে কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের ঋণ সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা, যার ফলে কূটনৈতিক সম্পর্কেও আসে এক নতুন ভারসাম্য। গ্যাস ও এলএনজি খাতে ৬,৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে গ্যাসের ইউনিটপ্রতি দাম ৭০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় নামানো হয়। এর ফলে শিল্প উৎপাদনের খরচ কমে আসে, বিদ্যুৎ খাতে সাশ্রয় হয় এবং জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস পায়। একই সঙ্গে গ্যাস বিলের বকেয়া ৭৫ কোটি টাকা থেকে কমে আসে মাত্র ২৪ কোটিতে।

প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্ব শুধু দেশের ভিতরে সীমাবদ্ধ ছিল না; আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ ব্যাপক প্রশংসা পায়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, "একটি দেশের প্রকৃত শক্তি তার মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় নিহিত।" তার এই বক্তব্যে বিশ্বমঞ্চে প্রশংসার ঝড় ওঠে। ব্লুমবার্গ তাদের বিশ্লেষণে লেখে, "বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবেশ করছে নিজের শর্তে।" দ্য ইকোনমিস্ট মন্তব্য করে, "ইউনুসের ব্যাংক-টু-বেসিকস নীতি দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য নতুন প্রোটোটাইপ।" এছাড়াও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশকে 'সাউথ এশিয়ার নিউ ফাইন্যান্সিয়াল মডেল' হিসেবে আখ্যা দেয়।

এই সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে অধ্যাপক ইউনুস একটি বাঁকবদলের নাম। তিনি শুধু একজন নীতিনির্ধারক ছিলেন না, ছিলেন এক দূরদর্শী পথপ্রদর্শক, যিনি প্রমাণ করেছেন যে শৃঙ্খলা, সুশাসন ও মানবিক দর্শন থাকলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার অসম্ভব কিছু নয়। তিনি দেখিয়েছেন, ইতিহাস কেবল রাজনীতির হাতে লেখা হয় না, অর্থনৈতিক সাহসিকতার প্রতিচ্ছবিও হয়ে উঠতে পারে একটি জাতির নবজাগরণের সূচনা।

আজ, ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে দাঁড়িয়ে যখন আমরা পেছনে তাকাই, তখন স্পষ্ট দেখতে পাই যে ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নবজন্মের দিন। শেখ হাসিনার ছায়া যখন ঢাকার আকাশ থেকে বিদায় নেয়, তখন অন্ধকারের বুক চিরে উঠে আসে এক নতুন সূর্য—যার নাম প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে—এইবার শুধুই প্রতিশ্রুতির নয়, বাস্তবায়নের আত্মবিশ্বাস নিয়ে।


বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৪৩:৫৯
বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন। আমদানি-রপ্তানি ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধার্থে প্রতিদিনের মুদ্রার বিনিময় হার জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী

বৈদেশিক মুদ্রার নাম ও বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার:

ইউএস ডলার: ১২২ টাকা ২৯ পয়সা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৩ টাকা ৫৭ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪৩ টাকা ৫৮ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৯ টাকা ১৪ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৭২ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৮ টাকা ৮১ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৮১ টাকা ৩৫ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৬৩ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ২৯ টাকা ৯৫ পয়সা

চীনা ইউয়ান: ১৭ টাকা ৩৪ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১৩ টাকা ২১ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৫২ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৫ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ০.৭৮ পয়সা

(সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক)

*যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।


গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৫১:২২
গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস এবং নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানিয়েছে যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড গড়েছে। নতুন মূল্যতালিকায় দেখা যায় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ কিনতে এখন থেকে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে।

বাজুস তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে স্বর্ণের এই নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে যার ফলে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে প্রকৃত দাম আরও অনেকটা বেড়ে যাবে। এর আগে মাত্র কয়েক দিন আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল যেখানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা কিন্তু মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে তা আবারও বাড়ানোর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে যেখানে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায় এবং ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা। উল্লেখ্য চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৭ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৭৩২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।


রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০৭:৪৩
রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায় যে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই ঘাটতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে কারণ গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে যে গত চার মাসে মোট আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২.১১ বিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি এবং এর বিপরীতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪.৫ বিলিয়ন ডলার ফলে আমদানি ও রপ্তানির এই বিশাল ব্যবধানের কারণেই বাণিজ্য ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

গত এক বছরের অধিকাংশ সময়ে মাসিক আমদানির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে সীমাবদ্ধ থাকলেও রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে গত অক্টোবর মাসে তা এক লাফে প্রায় ৫.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে এই চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি ছিল পেট্রোলিয়াম ও সার আমদানির পাশাপাশি রমজান উপলক্ষ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, মটর ডাল ও খেজুরের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদা মেটানো। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানির জন্য অধিক পরিমাণে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ এবং মটর ডালের আমদানি রেকর্ড ২৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ এবং ছোলা আমদানি ২৭ শতাংশ বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমদানি ব্যয়ের এই উর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাবেও যেখানে জুলাই-অক্টোবর সময়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ মিলিয়ন ডলারে যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও মূলত আমদানি ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাব ঋণাত্মক ধারায় রয়ে গেছে। তথ্যে দেখা যায় যে আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের ৮.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে কিন্তু এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স বাড়ার পরও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করে চলতি হিসাবকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। মূলত জ্বালানি তেল ও সারের আমদানি যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া এবং একই সঙ্গে রমজানের পণ্যের মজুদ গড়ার তোড়জোড় অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকটিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।


১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১১:৪০:১৩
১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের টাকার রেট জানা সাধারণ মানুষ, প্রবাসী আয়ের প্রেরক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন, ডলারের চাহিদা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের প্রধান প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নির্ধারিত টাকার রেট (১৬ অক্টোবর ২০২৫)

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় মূল্য নিম্নরূপ:

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা:

সৌদি রিয়াল: ৩২.৫১ টাকা

দুবাই দেরহাম: ৩৩.২০ টাকা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭.২৩ টাকা

ওমানি রিয়াল: ৩১৬.৬৯ টাকা

কাতারি রিয়াল: ৩৩.৪৯ টাকা

বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৩০ টাকা

ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা

লিবিয়ান দিনার: ২২.৪৮ টাকা

পশ্চিমা ও ইউরোপীয় মুদ্রা:

ইউএস ডলার: ১২১.৯৩ টাকা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬২.৮১ টাকা

ইউরো: ১৪১.৬৭ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮.৯৪ টাকা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.০১ টাকা

এশীয় ও অন্যান্য দেশের মুদ্রা:

মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৮.৮৭ টাকা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪.৯৮ টাকা

ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৮ টাকা

চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.০৯ টাকা

জাপানি ইয়েন: ০.৮২ টাকা

ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা

তুর্কি লিরা: ২.৯২ টাকা

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা

মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯৪ টাকা

কেন পরিবর্তন হয় মুদ্রার রেট?

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করে:

আন্তর্জাতিক বাজার: বিশ্ববাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়ে বা কমে।

আমদানি-রপ্তানি: দেশের আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের ভারসাম্যের ওপর টাকার মান নির্ভর করে।

বৈদেশিক রিজার্ভ: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্থিতি টাকার মানকে প্রভাবিত করে।

সতর্কতা ও পরামর্শ

উপরে উল্লেখিত রেটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স রেট। খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) বা মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে এই রেটের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে এবং ব্যবসায়ীরা এলসি খোলার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সর্বশেষ রেট জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।


স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১০:৫৯:৪৩
স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম
ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং আজ মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হবে রেকর্ড পরিমাণ ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যা আজ ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। বাজুসের নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের পাশাপাশি অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও পিছিয়ে নেই এবং আজ থেকে এই মানের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে হলে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা খরচ করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।

ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে যে বাজুস নির্ধারিত এই মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম সর্বশেষ সমন্বয় করা হয়েছিল যখন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং ২১ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হলো বিশেষ করে যারা আসন্ন বিয়ের মৌসুমকে সামনে রেখে গয়না কেনার পরিকল্পনা করছিলেন।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৭ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৪ হাজার ৫৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ২১ ক্যারেটের ক্ষেত্রে এই দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। বাজুসের এই ঘন ঘন দাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং ক্রেতারা বলছেন যে বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানো হলেও কমার ক্ষেত্রে সেই প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায় না।


এক লাফে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম বাড়ল যত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:১৫:১৩
এক লাফে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম বাড়ল যত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে উন্নত মানের স্বর্ণের দাম দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বাজুস শনিবার এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূল্য সংশোধনের ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় জানানো হয়, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই মূল্যহার কার্যকর হয়েছে এবং সোমবার ১৫ ডিসেম্বরও একই দর বহাল রয়েছে।

বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দামের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি দেশের বাজারে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভরি প্রতি ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি প্রতি বিক্রি হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকায়।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরি প্রতি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।

স্বর্ণের পাশাপাশি রূপার বাজারেও দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজুসের ঘোষণায় বলা হয়, ২২ ক্যারেট রূপার ভরি প্রতি দাম এখন ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেট রূপা বিক্রি হবে ৪ হাজার ৩৬২ টাকায়।

১৮ ক্যারেট রূপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভরি প্রতি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ভরি প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে।

বাজুস আরও জানিয়েছে, ঘোষিত দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং ন্যূনতম মজুরি যুক্ত হলে গহনার চূড়ান্ত দাম আরও বাড়তে পারে। গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির পার্থক্যও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

-রাফসান


স্বর্ণের নতুন বাজার দর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১০:৫৯:০৩
স্বর্ণের নতুন বাজার দর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রুপার দামও।

স্বর্ণের নতুন দাম (প্রতি ভরি) বাজুসের নির্ধারিত নতুন রেট অনুযায়ী সোমবার থেকে স্বর্ণের দাম হবে নিম্নরূপ

২২ ক্যারেট (সবচেয়ে ভালো মান): ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা।

২১ ক্যারেট: ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।

রুপার নতুন দাম (প্রতি ভরি) স্বর্ণের সঙ্গে রুপার বাজারেও বড় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দরগুলো হলো

২২ ক্যারেট: ৪ হাজার ৫৭২ টাকা।

২১ ক্যারেট: ৪ হাজার ৩৬২ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ৩ হাজার ৭৩২ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ২ হাজার ৮০০ টাকা।

বাড়তি কত খরচ হবে? ক্রেতাদের স্বর্ণালংকার কেনার সময় নির্ধারিত দরের সঙ্গে আরও দুটি খরচ যুক্ত করতে হবে

সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট।

বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি (গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এটি কম-বেশি হতে পারে)।

দাম বাড়ার কারণ ও প্রেক্ষাপট বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৪ টাকা, যা সোমবার থেকে বেড়ে ২ লাখ ১৫ হাজার ছাড়াল।


ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:৪৯:২২
ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে টাকার বিনিময় হার জানা সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ মুদ্রার নতুন বিনিময় হার প্রকাশ করেছে।

প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আজকের উল্লেখযোগ্য মুদ্রার দর নিম্নরূপ

মার্কিন ডলার (USD): ১২২.১৪ টাকা

ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): ১৬০.৬১ টাকা

ইউরো (EUR): ১৪২.২০ টাকা

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রার রেট (রেমিট্যান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ) প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। সেখানকার মুদ্রার আজকের দর:

কুয়েতি দিনার: ৩৯৮.২৮ টাকা (সবচেয়ে শক্তিশালী)

বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৮৯ টাকা

ওমানি রিয়াল: ৩১৭.৪৪ টাকা

কাতারি রিয়াল: ৩৩.৫৬ টাকা

দুবাই দেরহাম (UAE): ৩৩.২৫ টাকা

সৌদি রিয়াল: ৩২.৫৭ টাকা

এশিয়া ও প্রতিবেশী দেশের মুদ্রার রেট এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও ভ্রমণকারীদের জন্য আজকের দর:

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৩.৯৭ টাকা

ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৬ টাকা

মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৯.৫৬ টাকা

চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.২২ টাকা

ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা

জাপানি ইয়েন: ০.৭৯ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা

অন্যান্য দেশের মুদ্রার রেট

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.১০ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৯.৮৭ টাকা

লিবিয়ান দিনার: ২২.৩৭ টাকা

মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯১ টাকা

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা

তুর্কি লিরা: ২.৮৮ টাকা

ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা

মুদ্রার দর ওঠানামার কারণ ও প্রভাব অর্থনীতিবিদদের মতে, টাকার মান পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে

আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা বাড়লে টাকার মান কমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য দরের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

এই হালনাগাদ রেট আমদানিকারকদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণে এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সঠিক সময় বেছে নিতে সাহায্য করে, যা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।


গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ২০:৫৫:৫১
গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি
ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের শুরুতেই প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। মাসের প্রথম ১৩ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। রবিবার ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আগের মাস ও বছরের সঙ্গে তুলনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহ আগের মাস ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। আগের মাস নভেম্বরের ১৩ দিনের গড় হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৫ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৩৩৩ ডলার। অন্যদিকে গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে এসেছিল ১২৩ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

কোন ব্যাংকে কত আয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের চিত্র পর্যালোচনে দেখা যায় বরাবরের মতোই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

বেসরকারি ব্যাংক: ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক: ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক: ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বিদেশি ব্যাংক: ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন ডলারের বিনিময় হার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকা এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ির কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত