ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৩, গাজায় হামলা আরও তীব্র

গাজার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সোমবার (২ জুন) একটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামরিক গাড়িতে চালানো অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত ও ভয়াবহ হামলা। নিহত সেনারা নবম ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন এবং ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, আহতদের উদ্ধার করতে পাঠানো হেলিকপ্টারগুলোও গোলাগুলির মুখে পড়ে যায়। পরে আরও হেলিকপ্টার এসে গোলাবর্ষণের মাধ্যমে উদ্ধার প্রচেষ্টা চালালেও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় সাময়িকভাবে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করতে হয়।

এই হামলার পর গাজার ওপর ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া আরও সহিংস হয়ে ওঠে। সারাদিন ধরে গাজার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় নিহত হয় বহু ফিলিস্তিনি নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।

হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও এই অভিযোগগুলোর তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হামাস আরও অভিযোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সমর্থনে ইসরায়েল এই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও যুদ্ধ আইনের লঙ্ঘন। তারা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।