রাষ্ট্রের নীতির ভিত্তিই বদলাতে চায় এনসিপি, কী বলছে তারা?

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রের চার মূলনীতি সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদসীমা নির্ধারণ বিষয়ে দলটি নমনীয় অবস্থান প্রদর্শন করেছে।
রোববার (২২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাব উত্থাপন করে এনসিপি। সংলাপ শেষে দলটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা জানান, প্রধানমন্ত্রী মেয়াদসীমা নির্ধারণে কমিশনে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তার ভাষ্য, “সবার আলোচনায় একটা জায়গা এসেছে যে একজন ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। এনসিপির প্রস্তাব ছিল—এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার শপথ নিতে পারবেন। তবে জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করতে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্যান্য দিকেও নজর দিতে হবে। যেমন আপার হাউজ, এনসিসি, পিআর পদ্ধতি ইত্যাদি। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার—এসব নিয়োগ হবে নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কোনো সংস্থার মাধ্যমে।”
রাষ্ট্রের মূলনীতি প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, ’৭২ সালের চার মূলনীতি—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই 'মুজিববাদী' নীতিগুলোকে আমরা সমর্থন করি না। এগুলো বাতিল করতে হবে। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আমরা উন্মুক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো গোঁড়ামির পক্ষে নই। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনায় বিশ্বাস করি। সেই চেতনার আলোকে সংবিধানের সংস্কার দরকার।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এনসিপির এই অবস্থান সংবিধান সংস্কার বিতর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। বিশেষত রাষ্ট্রের চার মূলনীতির বিষয়ে সরাসরি ‘বাতিল’ শব্দ ব্যবহার করায় রাজনৈতিক পরিসরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে গঠিত এই কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে এনসিপির এ অবস্থান ভবিষ্যৎ আলোচনায় বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সংসদের নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) এক দোকানিকে জরিমানা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, এই জরিমানার অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এই দাবি করেন।
‘ছাত্রনেতার জরিমানা করার ক্ষমতা নেই’
রিজভী বলেন, “ছাত্ররাজনীতিতে যা ঘটছে, আপনারা সব দেখছেন। একজন ভিপি হয়েছেন, কিন্তু তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকান করছে কে মার্কেট করছে, এটা তো ইউনিভার্সিটির প্রশাসন আছে, তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। সেখানে ছাত্রনেতা শুধু অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বায়তুল মালে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় দলের পক্ষ থেকে লোহার খাট দেওয়াকেও অদ্ভুত ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ বলে মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, “এটা তো এতিমখানা নাকি, যে আপনি সেখানে লোহার খাট দেবেন, খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিল দেবেন? এই জিনিসগুলো খুব খারাপ লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে।”
গণমাধ্যমে পক্ষপাতমূলক প্রচারণার অভিযোগ
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আজকের এই বাস্তবতায় বলা হচ্ছে, অমুক খারাপ, আমরা ভালো। যখন ভালো-মন্দ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বালুমহলের সঙ্গে বিএনপির লোক জড়িত, তখন জামায়াতের লোকও জড়িত আছে। সেটাও গণমাধ্যমে আসছে, তবে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না।” তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটের পাথর উত্তোলনে জামায়াত নেতার নাম পাওয়া গেলেও, নারীঘটিত বিভিন্ন ঘটনায় নাম পাওয়া গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু বিএনপি বলে প্রচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে তাদের পদ স্থগিত করছি, বহিষ্কার করছি সেটা তো বলছেন না।” রিজভী সোমারসেট মমের বিখ্যাত উক্তি ‘এভরি ফ্যামিলি হ্যাজ অ্যা ব্ল্যাক শিপ’ উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে কিছু কুলাঙ্গার থাকতে পারে, কিন্তু সেই দল যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তবে সেই পরিবারই সবচেয়ে ভদ্র ও যথার্থ।
ভিপির জরিমানা ও প্রক্টরের আপত্তি
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভিপি আজিজুল হক একটি দোকান থেকে টেস্টিং সল্ট (এমএসজি) পাওয়ায় দোকানিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও দোকানদার প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাবারে টেস্টিং সল্ট মেশানোর কথা স্বীকার করেন। এ সময় ভিপির পক্ষ থেকে দোকানদারের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়, যাতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, জরিমানা করার এখতিয়ার ছাত্রনেতাদের নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই হল প্রশাসনের মাধ্যমে করতে হবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সোমবার সকালে তার দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে এবং তার সঙ্গে ডা. সাজ্জাদ হোসেনও যাচ্ছেন।
সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন নুর
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। ঘটনার দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এরপর আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা চলতে থাকে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে অন্য শক্তি জায়গা নেবে : ফজলুর রহমান
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে স্থগিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে যদি বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান না নেয়, তাহলে অন্য রাজনৈতিক শক্তি এই জায়গা দখল করবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আওয়ামী লীগ
মুক্তিযুদ্ধকে ‘আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছে’—এই অভিযোগের জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, “খুব সোজা হিসাব। ৭০ সালে শেখ মুজিবের দল জিতলো… ৭১% ভোট পেলো আওয়ামী লীগ একা।” তিনি বলেন, একটি দল যখন ১৬০টি আসন পায়, তখন সেই দলই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, এরপরও শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর কাছে গিয়ে তার সহযোগিতা চেয়েছেন, যিনি প্রথম বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন।
জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
ফজলুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের দালালদের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। তিনি বলেন, “২৫ মার্চ রাতে টিক্কা খান যখন পাঁচ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলল, তখন তার সঙ্গে প্রথম যে দেখা করে পায়ে ধরে সালাম করল, তার নাম গোলাম আজম।” তিনি বলেন, ইতিহাসে এর প্রমাণ আছে, যেখানে গোলাম আজম টিক্কা খানকে বলেছিলেন, “হুজুর, আপনার সঙ্গে আমি আছি।”
দলের প্রতি আহ্বান
ফজলুর রহমান বলেন, তার দলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী তাকে দলে নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, “আমি তো মানুষ, আমার তো ভুল হতে পারে।” তিনি দাবি করেন, তার দল তাকে জানায়নি যে তিনি কী ভুল করেছেন, যার জন্য তার উপদেষ্টা পদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি নাকি কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছি। আমি কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা দিলে আপনার চ্যানেলে আমাকে ডাকতেন না।”
নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবার আলাদা পথেই হাঁটছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। উভয় দলই নিজেদের জন্য পৃথক জোট গঠনের পাশাপাশি আসন সমঝোতার জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বামপন্থি দলগুলোরও জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপির জোট গঠনের কৌশল
আগামী নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়েই একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। যুগান্তরের খবর অনুযায়ী, বিএনপি ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চায়। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং ১২ দলীয় জোটসহ প্রায় বিশটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি দলেরও বিএনপির সঙ্গে জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল যখন ঘোষণা হবে, তখন আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব। জোটের প্রয়োজন হলে জোট হবে। এখন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।”
জামায়াত ও অন্যান্য দলের তৎপরতা
অন্যদিকে, জামায়াতও জোট ও আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপাসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করছে, তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামপন্থি দলগুলো যাতে এক জায়গায় থাকতে পারে, সেই চেষ্টা করছি। আলাপ-আলোচনা চলছে।”
নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা
এনসিপিও জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। দলটি উদারপন্থি বলে পরিচিত কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এছাড়া, বাম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি পৃথক জোট গঠনের তৎপরতা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার নির্বাচনকে ঘিরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে রয়েছে। তবে জোট গঠন বা সমঝোতার কৌশল সঠিকভাবে নিতে না পারলে নেতৃত্বে থাকা দল প্রত্যাশিত ফল নাও পেতে পারে।
বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ দলের নাম ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।
‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে।” তিনি আরও বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে যেন কেউ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেই ব্যাপারেও প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ধানের শীষের যত নেতাকর্মী আছে, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের সামনে একটিই লক্ষ্য থাকতে হবে—যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকা। তিনি বলেন, এর কোনো বিকল্প নেই।
মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সৎ নেতৃত্বের কারণে আগামীতে দেশের মানুষ জামায়াতকেই ভোট দেবে। তিনি বলেন, মানুষের এই আস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। ‘বিশ্ব নবীর জীবন ও কর্মনীতি’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগ।
‘সৎ নেতৃত্বই কল্যাণ রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত’
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একটি আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত হলো সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। তার মতে, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপকার। তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও আদর্শই আমাদের পথনির্দেশক এবং তা অনুসরণ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরের মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগের সভাপতি শায়খ আবু মুহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক, রাজশাহী আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি ড. ওবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে: এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের পতাকাকে উঁচিয়ে ধরতে হবে। তিনি বলেন, এখন থেকেই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
‘আগামী নির্বাচনই মূল লক্ষ্য’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আগামী নির্বাচনই বিএনপির মূল লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সম্মেলন থেকে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে, যারা ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি বলেন, “আজকের এই সম্মেলনে আমরা সবাই এক মঞ্চে এসেছি। রামগঞ্জে ঐক্যের বন্ধন গড়ে উঠেছে। এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ বা মতভেদ নেই। উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা নেতৃত্বের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।”
সম্মেলনে উপস্থিত নেতা ও নির্বাচন
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবুসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আয়োজিত সমাবেশ পরবর্তী সময়ে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। উপজেলার ১০টি ও পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডের মোট ১,৪২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, তার সবই দিয়েছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো’
মির্জা ফখরুল বলেন, “যাদের কাল জন্ম হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে ভিন্ন অবস্থানে ছিল, তাদের জানা উচিত, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো। কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। যারা গুম-খুন করে ভাঙতে চেয়েছিল, তারাই পালিয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, বরং সংগ্রাম করে এই জায়গায় এসেছে। তিনি একাত্তর সালকে দলের জন্য গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
‘তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় যাকে নির্যাতন করে নির্বাসিত করা হয়েছিল, সেই নেতা (তারেক রহমান) নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন নতুন সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। তাই সবাইকে বিএনপির পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে, তা নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। তিনি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের তাড়িয়ে দেওয়া ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে দাবি জানাতে পারে, তবে তা পুরো জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, যে পরিবর্তন সবাই চায়, তা একদিনে সম্ভব নয়; এর জন্য ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘জনগণের রায় ছাড়াই সবকিছু ঠিক করা হচ্ছে?’
সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গতকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, কোথাও বলা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, আর বিএনপি হবে বিরোধী দল! তাহলে কি জনগণের রায় ছাড়াই এসব ঠিক করে ফেলা হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনো দল এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয় যে তারা সরকার গঠন করবেই, তাহলে তারা নির্বাচনে আসে না কেন?
তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য এখন সবার কাছে স্পষ্ট। তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংকটের পরিবর্তে ঐক্য তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করার মাধ্যমে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
‘ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে থাকা ভুল সিদ্ধান্ত’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আলোচনার টেবিলে মতৈক্য না হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকলে একটি শক্তিশালী ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার মতে, ছাত্রদের সরকারের দায়িত্বে থাকা উচিত হয়নি। তারা চাইলে জাতির প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর তাদের প্রতিনিয়ত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
- ‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
- আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
- ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি : রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ভারতীয় সিনেমায় পরিবার নয়, প্রতিভা: নতুন মুখ যারা ছাড়বে নিজের ছাপ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সরকার টিকা ক্রয়ের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে
- ‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
- টেকসই উন্নয়নে নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতির ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: মাশরাফি ও হাবিবুল বাশার সুমনের বিশ্লেষণ
- উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুরুল হক নুর
- অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
- পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব কী বললেন?
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে
- বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে অন্য শক্তি জায়গা নেবে : ফজলুর রহমান
- আবারও কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
- ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি: প্রভা
- লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি
- সন্ধ্যা পর্যন্ত সাত অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদের ইন্তেকাল
- ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা
- মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার গোল, এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে রিয়ালের দাপট
- মৃত্যু কেন মুমিনের কাছে প্রিয়? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা
- ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
- নীরব ঘাতক: যে ৫টি খাবার কিডনির ক্ষতি করছে
- জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?
- সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
- মহালয়া: দেবীপক্ষের শুরু, পূজার আনন্দ শুরু হলো আজ থেকে
- এশিয়া কাপ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ
- ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এরদোগান: টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্কের পর কেন এই বৈঠক?
- আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’: ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা
- নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
- জাতিসংঘ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, সফরসঙ্গী চার রাজনীতিবিদ
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
- এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিল ইসি
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার