“নিজ ঘরে নিরাপত্তার জন্য লড়াই, আদালতে মেয়ে”

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে রোববার (২২ জুন) নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মেহরীন আহমেদ নামে এক প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাবা নাসির আহমেদ তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছেন।
মামলার বাদী মেহরীন জানান, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নিজ বাসায় তার বাবা-মা শারীরিকভাবে তাকে পেটান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পারিবারিক সম্পদের ব্যবহার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বাধা দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মেহরীন পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তার মা ও বাবাকে হাজিরের জন্য সমন জারি করেছেন।
আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, “মেহরীন নিজের সুরক্ষার জন্য এ মামলা করেছেন। আদালত দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা করছি।”
মেহরীন আদালতে বলেন, “আমি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ জীবন চাই। আমার বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধ করতে বিচার চাই।”
এ ঘটনায় সমাজে পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতনের বাস্তবতা একবার আরও স্পষ্ট হলো। বিষয়টি ভবিষ্যতে পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব সমাধানে আইনি পন্থার গুরুত্বকেই তুলে ধরে
মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা ও গার্ড অব অনারে সংবর্ধনা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের সরকারি সফরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানীতে পা রাখেন। এর আগে দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তিন দিনের এই সফরে ড. ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। সফরের মূল আলোচনায় থাকবে বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ একাধিক খাতের উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা।
বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, গভীর সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার, কৃষি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে। মালয়েশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
এছাড়া এই সফরে ড. ইউনূসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সফরে তার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে খাজানা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা এবং গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনায় থাকবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যেখানে আমরা মাত্র ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাছ আহরণ করি। এই সুযোগ কাজে লাগানোর দিকে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিচ্ছেন।”
এছাড়া প্রোটন হোল্ডিংসের সঙ্গে ইলেকট্রিক যানবাহন উৎপাদন এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি এক্সিয়াটার প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকও এই সফরের অংশ। শফিকুল আলম বলেন, “প্রোটন হোল্ডিংস ইলেকট্রিক যান নিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশেও ইভি ম্যানুফ্যাকচারিং করা যায় কিনা এবং কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।”
/আশিক
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলেও তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা আবারও ফিরেছে কমিশনের হাতে। পাশাপাশি পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে ‘না’ ভোটের বিধান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলেও তিনি জানান।
সানাউল্লাহ আরও বলেন, প্রার্থীরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবেন, তবে তা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
তিনি জানান, হলফনামায় দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরের মেয়াদকাল জুড়েই কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে সংসদ সদস্যপদ বাতিলও করা যাবে।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২২টি দলকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। এসব দলের মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলবে। এছাড়া ৮৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে কমিশন আপত্তি পেয়েছে বলেও তিনি জানান।
/আশিক
২৭ বছরের নিচে জামায়াত জনপ্রিয়তায় বিএনপিকে ছাড়িয়ে
আগামী সংসদ নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, তা এখনও নির্ধারণ করেননি দেশের প্রায় ৪৮ শতাংশের বেশি মানুষ। এছাড়া, জরিপে ১৪.৪ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এই জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১২ শতাংশ বিএনপি, ১০.৪ শতাংশ জামায়াতে ইসলামি, ৭.৩ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ২.৮ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে একই প্রশ্নে বিএনপির ভোট ছিল ১৬.৩০ শতাংশ, জামায়াতের ১১.৩০ শতাংশ এবং এনসিপির ২ শতাংশ। অর্থাৎ, আট মাসের ব্যবধানে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কিছুটা কমলেও এনসিপির ভোট সামান্য বেড়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, ২৭ বছরের নিচের ভোটারদের মধ্যে জামায়াত বিএনপির চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই বয়সীদের মধ্যে ৯ শতাংশ বিএনপি, ১২ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। ২৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে, যারা দু’দলেরই প্রতি ১১ শতাংশ সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বিএনপির জনপ্রিয়তা তুলনামূলক বেশি, যেখানে ১৬ শতাংশ বিএনপি, ৯ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং ৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবেন। শিক্ষাগত অবস্থান অনুযায়ীও ভোটারের পছন্দে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত দু’দলেরই সমর্থন শতকরা ১০ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ৫ শতাংশ এবং এনসিপির ৪ শতাংশ। অপরদিকে, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমনদের মধ্যে বিএনপির সমর্থন ১৪ শতাংশ, জামায়াতের ৯ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ৭ শতাংশ এবং এনসিপির ২ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ মনে করেন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, যেখানে ১৫ শতাংশ মনে করেন এটি সুষ্ঠু হবে না।
সূত্র : বিবিসি
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ সোমবার বেলা ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এই সফরে মালয়েশিয়ার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সরকারি নীতি-নির্ধারক, বাণিজ্যিক সংস্থা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অভিবাসন ইস্যু, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা এই সফরের আলোচ্যসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে চলমান শ্রমবাজার চুক্তি কার্যকর ও সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের ভূমিকা আরও জোরদার করার প্রেক্ষাপটে। সফর শেষে তিনি আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
-রফিকুল
সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা অনিয়ম প্রতিরোধে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বডি ক্যামেরা থাকবে, যা প্রতিটি পদক্ষেপ নথিভুক্ত করবে এবং মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ভোট যেন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখেন এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়।
নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোনো নিরপরাধ বা নিরীহ মানুষ যেন আইনগত হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে সতর্ক। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক জুলাই ও আগস্ট মাসে কিছু ক্ষেত্রে টাকার প্রলোভনে ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে, যা প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন ন্যায়সঙ্গত থাকে এবং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এক সময় এমন অবস্থা ছিল যখন থানায় কেউ অভিযোগ জানাতে যেত না, আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহ হয়েছিল, এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয়তার ঘাটতিতে ভুগছিল। বর্তমানে সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে, যদিও এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছানো যায়নি। তারপরও বিদ্যমান পরিস্থিতি নির্বাচনী পরিবেশের জন্য যথেষ্ট সহায়ক এবং নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কোনো বড় বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভালো থাকার নজির পাওয়া যায়নি। তবে এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে একটি শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের চোখে কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কঠোর অবস্থান প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আইন সবার জন্য সমান। অপরাধ যেই করুক না কেন, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। জুলাই-আগস্টের ঘটনাগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চিফ প্রসিকিউটর আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, ভাঙচুর, হামলা কিংবা যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। অপরাধের ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে নতুন মামলাও করা হবে।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
-রফিক
সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর এবং বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হলে দেশের বন্দর পরিচালন ব্যবস্থা আরও আধুনিক, প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব হবে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং ও লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিডা চেয়ারম্যান। এসময় তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
পরদিন সোমবার (১১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বিস্তারিতভাবে লেখেন যে, দেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা মূল্যায়নের সময় প্রথমেই বন্দরের সক্ষমতা ও অবকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরের হতে হবে ‘বেস্ট ইন ক্লাস’। তাছাড়া বন্দরগুলো নিজেরাই বিনিয়োগের অন্যতম বড় ক্ষেত্র।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে উল্লেখ করেন, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এককালীন অন্যতম বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)। তাঁর মতে, এই বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে শুধু বন্দর নয়, আশেপাশের শিল্প, লজিস্টিকস এবং সাপ্লাই চেইন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের পারফরম্যান্স ইতোমধ্যে নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করা হয়েছে এবং জাহাজ ক্লিয়ারেন্সের সময় কমেছে প্রায় ৮ ঘণ্টা। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই উন্নতি এসেছে। একইসঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, অটোমেটেড টিকিটিং ও গেট, অনলাইন এজেন্ট ডেস্ক চালু করেছে, যা কার্যক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে।
নতুন অপারেটর নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করেন, বন্দর ভালোই চলছে, তাহলে কেন নতুন অপারেটর? বাস্তবে আমরা এখনো এই বন্দরের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারিনি। প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং ম্যানেজমেন্ট এই তিন ক্ষেত্রের সর্বোত্তম সমন্বয় ঘটাতে পারলেই বন্দরের প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।”
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন আশা প্রকাশ করে বলেন, বিডা অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বছরের শেষ নাগাদ যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সব বন্দরের অপারেটর নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাঁর মতে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দর অবকাঠামো ও লজিস্টিকস খাত আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে।
-রাফসান
বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু
বাংলাদেশে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। গত ৭ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে তিনি তাঁর কূটনৈতিক মিশন শুরু করেন। সোমবার (১১ আগস্ট) জার্মান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মধ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। আলোচনায় দুই দেশের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও বহুমাত্রিক করার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। বৈঠকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি উন্নয়ন, এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন এবং বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও মানবসম্পদ উন্নয়নে জার্মানির অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হবে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
নিজ বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ড. লোটজ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ় মনোবল ও কর্মস্পৃহা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে বহু বছরের সুসম্পর্ক বিদ্যমান, যা পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। আমরা এই যাত্রা একসঙ্গে অব্যাহত রাখব এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করব।”
উল্লেখ্য, জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী দেশ। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তারা অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু অভিযোজন, এবং শিল্প প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ নানা খাতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন, এবং সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা জার্মানির অবদানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-রফিক
পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪০ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) ও পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। যদিও প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ ৭ আগস্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে বিষয়টি আজ রোববার জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে ওই কর্মকর্তা নিজ কর্মস্থল থেকে পলায়ন করে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তাই তাদের পদক বাতিল করা হয়েছে।
পদক বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারসহ পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পরিদর্শক পদমর্যাদার সদস্যরা।
এই পদক প্রত্যাহারের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- মূত্রের রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- দলের অনিয়ম ও নীতি-নৈতিকতার অভাবে এনসিপি নেতা পদত্যাগ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা ও গার্ড অব অনারে সংবর্ধনা
- ‘ভাই’ ডাকার জেরে এমন ঘটনা, দেখে অবাক নেটিজেনরা
- ফেনীর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে গেল বিএসএফ
- রোনালদোর পর মেসির দেশের প্রেয়সী পেলেন স্পেনের ইয়ামাল!
- বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তুলোধুনো করলেন সারজিস
- মার্কিন পণ্যের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বয়কট আন্দোলন
- ‘সংস্কারের দাবি আড়াই বছর আগে বিএনপিই তুলেছিল’—তারেক রহমান
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন
- হঠাৎ বন্যায় শিবগঞ্জে পানিবন্দি ১১ হাজারের বেশি পরিবার
- সংঘর্ষের তিন মাস পর নৌ মহড়ায় নামছে ভারত ও পাকিস্তান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় আসামিরা ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন
- অভিনেত্রী এমা টমসনের বিবাহবিচ্ছেদ দিবসে ট্রাম্পের ডেট করার প্রস্তাব
- এআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ার ফলে কি কমছে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক?
- দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব না: দুদক চেয়ারম্যান
- বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে ১০৫ শতাংশের বেশি
- ৫ আগস্টের পর লোভে পড়েছেন অনেকে: শহীদউদ্দীন এ্যানি
- ২৭ বছরের নিচে জামায়াত জনপ্রিয়তায় বিএনপিকে ছাড়িয়ে
- ওয়াশিংটন থেকে গৃহহীনদের উচ্ছেদ করে ‘অনেক দূরে’ পাঠানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের
- ‘মুজিব’ ছবিতে সুযোগ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বাঁধন
- আসছে বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত নতুন ১০০ টাকার নোট
- আন্দোলন থামাতে চাঁদা দাবি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল, শোকজ এনসিপি নেতা
- পিতার মতো ছেলেরও নেই কোনো বাড়ি, গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স, দেশে ফেরার আগে ভাড়া বাসার খোঁজ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাকিব
- নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন জামায়াতের এই নেতা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- মনোযোগ বাড়াতে ৬টি সেরা কৌশল
- ‘কুলি’তে রজনীকান্ত নিয়েছেন ১৫০ কোটি, ১৫ মিনিটের জন্য আমিরের কত নিলেন?
- হাবিব ওয়াহিদের নতুন আবেগঘন চমক
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে পশ্চিমা দেশগুলোর অগ্রযাত্রা
- যে কারনে আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ বহু নেতা
- দিনে গড়ে ১১৪ লিটার দুধ দিয়ে নজির গড়ল গরু
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
- সালমান খানের জীবনে ফের আতঙ্কের ঝড়
- দিল্লিতে বিক্ষোভে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
- আজকের স্বর্ণের দাম তালিকা এক নজরে
- প্রেমের কথা স্বীকার করলেন জয়া আহসান, জানুন প্রেমিকের পরিচয়
- শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি
- সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
- ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!
- প্রবাসীদের জন্য সোনালি সুযোগ, আয়ের সেরা গন্তব্য
- আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
- ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে আরব লিগের সতর্কবার্তা
- জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির সময়মতো ডিভিডেন্ড
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- শেয়ারবাজারে চমক: ১৭ কোম্পানির শেয়ার এক বছরের সর্বোচ্চ দামে