কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি, পরে করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যু

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৯:৪০:৫৪
কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি, পরে করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যু

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইউসুফ (৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোররাতে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. রবিউল ইসলাম তুহিন।

মৃত ইউসুফ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৩ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরদিন, ১৪ জুন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকায় চিকিৎসকরা করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন।

বুধবার দুপুরে রোগীর স্বজনরা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে (ইবনে সিনা) র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করান। রাতে করোনা পজিটিভ রিপোর্টটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা করোনার চিকিৎসা শুরুর পূর্বেই ইউসুফ ভোররাতে মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে, বুধবার (১৮ জুন) ভোরে একই হাসপাতালের আইসিইউতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজন রোগী শেখ আমির হোসেন (৫৮) মারা যান। তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের মৃত শেখ মকছেদ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “হাসপাতালে দুই দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং জনগণের স্বাস্থ্যবিধি অবহেলার কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আবারও বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা টেস্ট ও হালনাগাদ সতর্কতা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

—আশিক নিউজ ডেস্ক


আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি 

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১২:৫৩:৫০
আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি 
মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, আগামী নির্বাচন যদি ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচনের মতো হয়, তবে তা জাতির জন্য 'চরম দুর্ভোগ' বয়ে আনবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সেখানকার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার বলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চায়।' তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা স্বাভাবিকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ 'শান্তির বাংলাদেশ' গড়ার জন্য তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।

এসময় তিনি প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নিরপেক্ষ থাকুন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিন এবং সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।'

জামায়াতের এই নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই পরে আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অন্যায় করলে কারও পালানোর পথ খোলা থাকবে না।

তিনি আরও দাবি করেন, 'নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকেই পরিবর্তনের এই ধারা শুরু হয়েছে।'

নির্বাচনে 'কালো টাকার প্রভাব' বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, যারা শত কোটি টাকা খরচ করে মনোনয়ন নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে দেশে দুর্নীতি আরও বাড়বে।

শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে এটি শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পথের দুপাশে গ্রামবাসীরা হাত নেড়ে গোলাম পরওয়ারকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় নেতাকর্মীরা 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।

পথসভাটিতে সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানা আমীর জি এম আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা-১ আসনের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।


মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:২৫:৩৭
মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ (খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী—উভয় দলই প্রার্থী দেওয়ায় ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল এবং তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপির পক্ষে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আর জামায়াতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।

খুলনা-২ আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে বিএনপি এই আসনটিতে মোট চারবার জয়লাভ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে দুবার। তবে এই নির্বাচনে দুই ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ভোটের ফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর শক্তি ও চ্যালেঞ্জ

নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই আসনের একজন পরীক্ষিত নেতা। সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলের কঠিন সময়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখার কারণে তার একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

অতীতের ফলাফল

মঞ্জু এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৯৫০ (৫০.০%), যা তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।

নেতৃত্বের মূল্যায়ন

দলের দুর্দিনে হাইকমান্ড তাকে এই আসন থেকে এককভাবে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, যা তাঁর নির্বাচনী গতিকে আরও বেগবান করতে পারে।

তবে এবার জামায়াতের প্রার্থী থাকায় ইসলামপন্থী ভোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মঞ্জুর জয় নিশ্চিত করার পথে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।

জামায়াত প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্রভাব

শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি এবং জামায়াতের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো।

স্থানীয় পরিচিতি

হেলাল খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি পরিচিতি ও ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ভোটের ব্যাংক

জামায়াতে ইসলামীর খুলনাসহ এই অঞ্চলে নিজস্ব একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদিও ১৯৯৬ সালের পর থেকে জামায়াত এই আসনে সরাসরি প্রার্থী দেয়নি, এবার হেলালের মতো একজন পরিচিত মুখকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের ভোটগুলো পুরোপুরি একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটের সমীকরণ ও বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রধান প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটগুলো বিভক্ত হওয়ার প্রবল শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১. ভোট বিভাজন: মঞ্জু এবং হেলাল উভয়েরই লক্ষ্য থাকবে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটারদের আকৃষ্ট করা। দুই নেতার উপস্থিতিতে এই ভোট ভাগ হয়ে গেলে তা শেষ পর্যন্ত অন্য দলের প্রার্থীর জন্য সুবিধা এনে দিতে পারে।

২. জোটের অভাব: দুই দলই (বিএনপি ও জামায়াত) গত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে থাকলেও নির্বাচনে কোনো আনুষ্ঠানিক জোট না হওয়ায় তাদের এই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুলনার ভোটের হিসাবে নতুন পরিবর্তন আনবে। জামায়াত এই আসনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভোটাররা মনে করছেন, এই খুলনা শহরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীর অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বৈরথ খুলনা-২ আসনকে এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় আসনে পরিণত করেছে।


১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৪:৪২:৪৩
১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
কারাগারের ফটকে ফুল দিয়ে বন্দিদের স্বাগত জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলনায় আধুনিক নতুন কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন বন্দিকে নিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। নতুন কারাগারে আসা বন্দিদের কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চালুর কথা থাকলেও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯টি উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের নতুন কারাগারে রাখা হবে। পুরাতন কারাগারটি, যা ভৈরব নদীর তীরে জেলখানা ঘাটে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত, সেটি এখন থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের জন্য খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরাতন কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।

পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম।

এই নতুন কারাগারটিকে একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। এখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট থাকার পাশাপাশি কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এই নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকছে।


খুলনা-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই: কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৬:২০:০৭
খুলনা-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই: কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?
ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা-২ আসন নিয়ে জমে উঠেছে বিএনপির মনোনয়ন লড়াই। নানা নাটকীয়তার পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু হাইকমান্ডের ডাক পাওয়ায় এ আসন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন, এই আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী কে হচ্ছেন, সেটি নিয়ে বড় চমক অপেক্ষা করছে।

এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনজন হেভিওয়েট নেতা: বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

মঞ্জুকে নিয়ে কেন এত আলোচনা?

সংগঠন থেকে বাদ: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ হারান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আহ্বায়ক কমিটিতে শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিনকে পদ দেওয়া হয়। এরপর মঞ্জু তার অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মাঠে সক্রিয়তা: মঞ্জু পদ থেকে বাদ দেওয়ার পরও মাঠ ছাড়েননি। বিভিন্ন ব্যানারে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন এবং সমাবেশে কর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছেন। এমনকি সমাবেশের মঞ্চে আসন না পেয়ে কর্মীদের সঙ্গে মাঠে বসে সমাবেশে অংশ নেওয়ার নজিরও রয়েছে।

হাইকমান্ডের ডাক: সম্প্রতি গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ডাক পড়ায় চার বছরের সব হিসাব-নিকাশ ওলোট-পালট হয়ে যায়।

অন্যান্য প্রার্থীর তৎপরতা

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্লাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। এরপর নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনাও সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রচারণা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার হস্তক্ষেপে মনা ও তুহিন যৌথভাবে ধানের শীষের প্রচারণা শুরু করেন।

মঞ্জু ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত এই আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতাকে পরাজিত করে। সেই হিসাবে এই আসনটিতে তার গ্রহণযোগ্যতা তিনজনের মধ্যে বেশি বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

দলের বার্তা

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “দীর্ঘদিন পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ডেকেছেন, এটা আমাদের বড় পাওয়া। আমরা চাই আগামীতে খুলনা-২ আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।”

তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান সব আগ্রহী প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ডেকেছেন। কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। বিষয়টি এমনও হতে পারে, তিনজনের মধ্যে কাউকে না দিয়ে নতুন কোনো চমকও থাকতে পারে।


খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৪:৪০:৪৫
খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
ছবি: সংগৃহীত/সবুজ খান

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে মো. সবুজ খান নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরানি স্কুলের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

পারিবারিক শত্রুতার জের

জানা গেছে, সকালে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন সবুজ খান। পথে পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত একযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সবুজের ছেলে বলেন, স্থানীয় কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডল চাপাতি দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে। তিনি বলেন, “টাকার জন্য একজনকে মারতে গেছিল, আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইকে তাড়া করছিল, মারতে পারেনি। আজকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার বদলে মৃত্যুদণ্ড চাই।”

নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, “নাজমা আমার ছোট বোন। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা। নাজমার তিন ছেলে সোহেল, সুজন, সাগরসহ আরও অনেকে মিলে আজ আমার স্বামীরে মেরে ফেলেছে।”

পুলিশের পদক্ষেপ

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৭:৫২:০৬
২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
ছবি: সংগৃহীত

খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।

এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।

ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।


খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:০৪:৪৩
খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার পানি সংকট দূর করতে মধুমতী নদী থেকে পানি আনার জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে খুলনা ওয়াসা, যার নাম ‘পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২’। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। তবে শুরুতেই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এর কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধুমতী নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় এই বিপুল অঙ্কের অর্থ অপচয় হতে পারে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওয়াসা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করবে। শুষ্ক মৌসুমের জন্য ১১৫ কোটি লিটার পানি রিজার্ভারে মজুত রাখার কথা থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিমাণ পানি মাত্র ৯ দিনের চাহিদা মেটাবে।

বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ওয়াসা’র এই পরিকল্পনাকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন। তাদের মতে, মধুমতী নদীর পানি বছরে দেড় থেকে দুই মাস অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকে। বৃষ্টি কম হলে এই লবণাক্ততা চার মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। সাত বছর আগে ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রথম ধাপের প্রকল্পটিও শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দূর করতে পারেনি। তখন মানুষকে টাকা খরচ করে লবণ পানি কিনতে বাধ্য হতে হয়েছিল।

খুলনার ভূগর্ভের পানির স্তরও সংকটের মধ্যে রয়েছে। নগরবাসী প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে ১৫-১৬ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াসাও যদি প্রতিদিন আরও ৫-১০ কোটি লিটার পানি উত্তোলন শুরু করে, তা দীর্ঘ মেয়াদে সংকট আরও ঘনীভূত করবে।

পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, “ভবিষ্যতে মধুমতীর লবণাক্ততা আরও বাড়বে। তাই ওয়াসাকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। তা না হলে এই প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

ওয়াসার ব্যাখ্যা

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা অন্য নদীর তুলনায় কম। লবণ পরিশোধন কেন্দ্র ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পরিশোধন করবে এবং শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভের পানির সঙ্গে নদীর পানি মিশিয়ে সরবরাহ করা হবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ছায়েদ মোহাম্মদ মনজুরুল আলম বলেন, “লবণ পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন করতে গেলে কয়েক হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। এটি নিয়মিত পরিচালনা করাও ব্যয়সাপেক্ষ।” তিনি আরও বলেন, “এ জন্যই পাম্প বসানো হচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।”


সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৪:৩৮:১৬
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
টাকার জন্য মরদেহ দাফনে বাধা। ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।

হৃদয়বিদারক ঘটনা

নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।

মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।

গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা

টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।

দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।


খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর

খুলনা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২১:২৩:৫১
খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর
ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ডাক বাংলার মোড়ের কার্যালয়টিতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয়টির প্রধান গেট, সাইনবোর্ড এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেন।

বিক্ষোভ চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা অভিযোগ করেন যে, প্রশাসন এবং জাতীয় পার্টি এক হয়ে পরিকল্পিতভাবে নুরের ওপর হামলা চালিয়েছে।

একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট মোড় অবরোধ করে ব্রিফিং করেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা জেলা ও নগরীর নেতাকর্মীরা। এতে মোড়টির ছয়টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রিফিংয়ে, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরীর নেতা এস কে রাশেদ বলেন, “নুরুল হক নুর ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য প্রকাশ পেলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি। সেই রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজ দায়িত্বে বসে আছেন। অথচ সেই বিপ্লবীদের ওপরই সেনা ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে।”

এস কে রাশেদ আরও বলেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না, তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শীর্ষ কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস (NAVANAPHAR) চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের... বিস্তারিত