গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে: ফেসবুক পোস্টে তোপ তারেক রহমানের

১৯৭৫ সালের ১৬ জুনকে ‘গণমাধ্যমের কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনব্যবস্থার ধারায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছেন।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অতীতের বাকশাল এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এক অভিন্ন আদর্শ সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা। তার ভাষায়, “একই পথের পথিক মা ও মেয়ে।”
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সরকার বহুদলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করে মাত্র চারটি সরকারি সংবাদপত্র রেখে বাকিদের বন্ধ করে দেয়, ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন। এটি ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আঘাত।
তিনি লিখেছেন, “সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনে। কিন্তু একদলীয় শাসন সেই স্বর কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকেই অবমাননা করেছিল।”
তারেক রহমান দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং বাকশালের কালাকানুন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করেন।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাও তার পিতার পথ অনুসরণ করে নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন।” তারেক রহমানের ভাষ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো কঠোর আইন সংবাদমাধ্যমকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে এসেছে নির্যাতনের খড়গ। সাংবাদিকদের চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা হয়েছে এক নির্মম যন্ত্রের মাধ্যমে।”
তারেক রহমান স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা মুক্ত হলেও এখনও তা পুরোপুরি স্বাধীন নয়। তিনি বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব আসতে পারে না।”
প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম: “স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, অপব্যবহারও নজরদারিতে আনা উচিত”পোস্টটির মন্তব্য ঘরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, তিনি তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত। তবে একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকতার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচার ও সংবাদ বিকৃতির বিষয়টিও তুলে ধরেন।
তার ভাষায়, “অনেক মিডিয়া হাউজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিংবা টিআরপি পাওয়ার আশায় প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। শিরোনামে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ভিতরে তথ্য প্রমাণ মেলে না।”
তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য, তবে সেটির অপব্যবহার রোধে আইন ও তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।”
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব এখন সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া শুধু দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চাকে জোরদার করছে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য যোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণনির্ভর নেতৃত্ব তৈরির পথও প্রশস্ত করছে। তার মতে, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা যত গভীর হবে, ততই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ড্যাবসহ পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে চিকিৎসক, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। এই দফাগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিকল্পনা নয়, বরং অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। এর বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ছোট ছোট অবদান দিয়েই বড় পরিবর্তন সম্ভব। আজ যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আড়াই বছর আগে বিএনপি সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সেসব জাতির সামনে তুলে ধরেছিল। জনগণের সমর্থন পেলে ক্ষমতায় গিয়ে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেন, সেদিন দেশের মানুষ “বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে” এবং এখন তারা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রত্যাশায় বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আশ্বাস দেন, ক্ষমতায় এলে গণতান্ত্রিক চর্চা শুধু দলেই নয়, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে অব্যাহত রাখা হবে।
সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা, ড্যাবের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও কয়েক হাজার চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ড্যাবের জাতীয় সম্মেলনের মূল পর্ব শেষে দুপুর ১টায় কার্যনির্বাহী পরিষদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়—সভাপতি, মহাসচিব, সিনিয়র সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এই ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।
-রফিক
যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন, তারা মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়ভীতি অনুভব করছেন। তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি চাইবার পিছনে তাদের নির্বাচনে ভয়ের বাস্তব কারণও রয়েছে। বিশেষ করে ইসলামী দলের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইসলামী আন্দোলন। এই দলটি আওয়ামী লীগের সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও বরিশালের সাম্প্রতিক নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ায় এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয়, তাহলে নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ পিআর পদ্ধতি চালু করার জন্য সংসদের সমর্থন প্রয়োজন।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের যেসব দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে, সেসব দেশে সরকার স্থিতিশীলতা হারিয়েছে; নেপাল তার বড় উদাহরণ। একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সরকারের স্থিতিশীলতা জরুরি, যা পিআর পদ্ধতিতে অর্জন করা কঠিন।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন দেশে সরকারি কোনো দল নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্বেচ্ছায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে সেটি তাদের ব্যর্থতা হবে। বিভিন্ন দলের দাবি থাকবে এবং সেসব দাবিকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে। যদি দাবি জনপ্রিয় হয়, তবে তারা নির্বাচিত হবে, অন্যকে দোষারোপ করে বা সহিংসতা সৃষ্টি করে দাবির ভিত্তি গঠন করা ঠিক নয়।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
/আশিক
তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানই হবেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বা ভোটের অধিকারই নয়, দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উপমহাদেশের মধ্যে সেরা, কিন্তু সমস্যা সিস্টেমের দিক থেকে। দেশে পারস্পরিক হিসেব-নিকেশের সংস্কৃতি রয়েছে, যা সঠিক সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং এই সংস্কৃতি দেশের উন্নয়নকে অবরুদ্ধ করছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তা দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের শক্তি রাখে। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও জনগণের প্রতি দায়িত্বের অংশ হওয়া উচিত।
/আশিক
আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে দেশে দাঙ্গা লাগানো দরকার। কারণ দাঙ্গার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন এবং নির্বাচন প্রভাবিত করা যায়।’ তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের বিহারি-বাঙালি বিরোধী দাঙ্গার কথাও উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পটু, প্রয়োজনে নিজের বাড়িতেও আগুন দিতে পিছপা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, কোনো মানুষ বা ধর্ম কখনো সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ চালানো হয়, যাতে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। ৮৮ সালের ঘটনা উদাহরণ দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তখনও হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ একই কৌশল নিয়েছিলেন। গয়েশ্বরের মতে, সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মীয় নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ট্যাকটিক। ভারতে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে মুসলমানরা নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু। অনেক জমিদার বাড়িতে থাকা মন্দির দেবোত্তর না হওয়ায় তারা রক্ষা পাচ্ছে না। তাই সব মন্দিরকে দেবোত্তর ঘোষণা করে সীমানা নির্ধারণ করা জরুরি।’
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় সামঞ্জস্য ছিল। তবে শেখ হাসিনা সরকার এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁর আমলেই অনেক দেবালয় ও প্রতিমা ধ্বংস হয়েছে, যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা-সমর্থকদের মাধ্যমে।’ রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ পলাতক অবস্থায় থেকেও দেশের বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কলকাতায় তাদের অফিস থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।
/আশিক
খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল শাখাসমূহের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে ১৮টি হলে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটিগুলোর অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
তবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার ৫১ সদস্যের নতুন কমিটিকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছেন গোপালগঞ্জের রাজু শেখ, যিনি অতীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপমূলক মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন।
ছাত্রদল সূত্রের দাবি, গত ৫ আগস্টের পর রাজু শেখ তার ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করে মন্তব্য করেন “রেডি হয়ে লাভ নেই, আমরা আপনাকেও চাই না, মানুষ এত বলদ নাহ।” এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে। সংগঠনের ভেতরে অনেকেই মনে করছেন, এমন অতীত থাকা একজনকে নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি দলের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
বিতর্কিত এই নিয়োগ বিষয়ে জানতে আমার দেশ পত্রিকার পক্ষ থেকে রাজু শেখের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
-রফিক
আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সুযোগ, যার মাধ্যমে জনগণের রায়ের ভিত্তিতে দেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও কল্যাণভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিবর্তন কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক, অংশগ্রহণমূলক এবং উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত সমমনা ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আপনাদের ঐক্য এবং দৃঢ়সংকল্পের ফলেই দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত জুলাই মাসে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই অর্জন কেবল একটি শাসনব্যবস্থার অবসান নয়, বরং নতুন বাংলাদেশ গঠনের দ্বার উন্মোচন করেছে।”
তারেক রহমানের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে ঐক্যের গুরুত্ব। তিনি নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল যৌথ সংগ্রামের ফল, যেখানে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। তার মতে, এই ঐক্যকে অটুট রেখে সামনে এগোতে হবে, যাতে পরিবর্তনের ধারাটি সুসংহত হয় এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এলডিপি ও লেবার পার্টির উচ্চপর্যায়ের নেতারা অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমান তার বক্তৃতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বলেন, এই নির্বাচন কেবল একটি রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যে বিজয় আমরা অর্জন করেছি, সেটিকে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তাই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্ব দেন।
শেষে তিনি বলেন, “জনগণ পরিবর্তন চায়। তারা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সমতা চায়। সেই পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচন হবে সেই পরিবর্তনের সূচনা বিন্দু, যা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।”
-রফিক
জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী সচেতনভাবে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তার দাবি, এই কৌশল মূলত জনমতকে ভুল পথে পরিচালিত করা এবং আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত “গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ পিআর পদ্ধতির জটিল কাঠামো ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নন। এই পরিস্থিতিতে পিআর নিয়ে জনসমক্ষে অবিরত আলোচনা জনগণকে শুধু বিভ্রান্তই করছে না, বরং একটি অযৌক্তিক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে, যা নির্বাচনী প্রস্তুতিকে বিলম্বিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী কাঠামোর মাধ্যমেই জাতীয় নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়িয়ে সময়ক্ষেপণ করলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে সাধারণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে এই দল নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।
আসন্ন নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কোনো প্রকার মৌলিক সংস্কার হয়নি। সেই পুরনো কাঠামোর মধ্য দিয়েই যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা থেকে যায়।
হাফিজ উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ভারতের মাটিতে অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন কূটচাল ও পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, “দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের মোকাবিলা করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান, যেন সবাই মিলে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে। তার মতে, এখন সময় হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক ও বিদেশি কূটচালকে উপেক্ষা করে জাতীয় স্বার্থে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা।
-রাফসান
নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃত্বে উঠে আসা নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু, তেমনি তীব্র সমালোচনারও মুখোমুখি। জনগণের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এই নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন টকশো— উভয় ক্ষেত্রেই আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। ছবিটিতে দেখা যায়, দামি পাঞ্জাবি পরিহিত, হাস্যোজ্জ্বল হান্নান মাসউদ একটি ডায়েরিতে কিছু লিখছেন। ক্যাপশনে উল্লেখ ছিল “ঈদুল ফিতরের পর প্রথম দিনের মতো অফিস”। অনেকেই ধারণা করেন এটি তার ব্যক্তিগত অফিস, যা ঘিরে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। তবে হান্নান মাসউদ স্পষ্ট করে জানান, ছবিটি তার ব্যক্তিগত অফিসের নয়; বরং এনসিপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তোলা।
তবুও সমালোচনা থামেনি। বরং বিষয়টি সম্প্রসারিত হয়ে তার জীবনযাপন ও আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নে পৌঁছায়। একাধিক টেলিভিশন টকশোতেও তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হয় কীভাবে তিনি হঠাৎ দামি গাড়ি, বিলাসবহুল পোশাক ও বাড়ির মালিক হলেন। এসব প্রশ্নের জবাবে হান্নান মাসউদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিয়ে এক ধরনের ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ চলছে। কয়েক দিন আগেও তার অফিসের ছবিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যক্তিগত অফিস বলে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন।
প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন “আমি কোনো সরকারি পদে নেই, তবুও কেন আমার আয়ের উৎস জানতে হবে?” তার দাবি, তিনি তার উপার্জনের ব্যাপারে কারো কাছে বাধ্য নন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন তিনি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিলেও ন্যূনতম তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান। মাসে যদি ৩০টি টকশোতে অংশ নেন, তবে তার আয় দাঁড়ায় প্রায় নব্বই হাজার টাকা। আগে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জনের জন্য প্রতিদিন অন্তত দুটি টিউশনি করাতে হতো।
এছাড়া চলার পথে বহু শুভানুধ্যায়ী ও সমর্থক তাকে সহযোগিতা করেন বলেও জানান তিনি। হান্নান মাসউদের ভাষায়, এই সহযোগিতা ও তার নিজের শ্রমের আয় দিয়েই তিনি জীবনযাপন করছেন কোনো গোপন বা অবৈধ অর্থের মাধ্যমে নয়।
শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘প্রভাব ও প্রেতাত্মা’ এখনো দেশের কিছু সচিব ও শীর্ষ আমলাদের মধ্যে বিরাজমান, যারা নেপথ্যে থেকে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
৮ আগস্ট শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবীন দলের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসল এটি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। সুতরাং এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে যেসব ব্যক্তি বা মহল নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, তাদের পরিচয় জাতির সামনে প্রকাশ করা এবং কেন তারা অজুহাত সৃষ্টি করছে তা ব্যাখ্যা করা।
তিনি বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। জনগণ আন্দোলন করে আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা আপনাদের দায়িত্ব।”
ফারুক জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দেরিতে হলেও ঘোষণা এসেছে যে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।” তবে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে যোগ করেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা এখন নতুন কৌশল নিচ্ছে, আমাদের ‘নব্য ফ্যাসিবাদ’ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মনে রাখবেন, বিএনপি শহীদ জিয়ার দল, স্বাধীনতার ঘোষকের দল, একটি আদর্শিক রাজনৈতিক শক্তি এ দলকে ষড়যন্ত্র করে দমিয়ে রাখা যাবে না।”
আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন ও অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।
পাঠকের মতামত:
- ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
- লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি, প্রাণ সংকটে কপিল শর্মা
- যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু
- তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
- গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে
- মাসিক আয় থেকে সঞ্চয় করার সহজ ছয়টি উপায়
- অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার
- রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
- ফেসবুক প্রেমে ফাঁদ, ৯ কোটি রুপি হারালেন বৃদ্ধ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার
- বড় কিছু নিয়ে ফিরছেন শাকিব খান, ভক্তদের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন
- নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা
- আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
- ছবিতে প্রথমে যা দেখলেন, সেটাই বলে দেবে আপনার চরিত্র
- সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
- উপেক্ষার জবাব হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে দিলেন রোনালদো
- আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
- দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
- চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
- হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
- ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল ইরাক
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের ঘোষণা
- নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
- ছয় বছর পর ড্যাবের ভোটযুদ্ধ আজ, চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা
- ১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- মোদিকে গোপন পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
- আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- সুরা আল-বাকারার উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও বিষয়বস্তু বিস্তারিত জানুন
- কিশমিশের পানির বহুমুখী উপকারিতা: স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সঙ্গী
- ভক্তদের উদ্দেশ্যে রহস্যময় বার্তা শাকিব খানের
- ক্রিকেটের তীর্থক্ষেত্রের স্মৃতি ঘরে তোলার বিরল সুযোগ
- চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা
- কানাডায় কপিল শর্মার রেস্তোরাঁয় ফের গুলিবর্ষণ
- যানবাহন পানিতে পড়লে বাঁচার উপায়: বিশেষজ্ঞের জরুরি পরামর্শ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
- বয়স থেমে গেছে ৪০-এ! আর মাধবনের ২১ দিনের তারুণ্যের গোপন রহস্য
- নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
- শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক
- ট্রাম্প বলেন, “খুব হতাশ”
- কলকাতায় গোপন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.): ন্যায়, প্রজ্ঞা ও বিশ্বনেতৃত্বের এক স্বর্ণযুগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- ‘সাইয়ারা’কে ছাড়িয়ে অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘মহাবতার নরসিংহ’র বক্স অফিস ঝড়
- আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
- ‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের মনোবিশ্লেষণমূলক পাঠ: একটি প্রজন্মের অবচেতনের বিস্ফোরণ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- হুয়াংহে নদীর তীরে এক মহাজাতির উত্থান: চীনা সভ্যতার আদিগন্ত ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- তালেবানের আফগানিস্তান: ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়