গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে: ফেসবুক পোস্টে তোপ তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ১৫:৩৬:৫৫
গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে: ফেসবুক পোস্টে তোপ তারেক রহমানের

১৯৭৫ সালের ১৬ জুনকে ‘গণমাধ্যমের কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনব্যবস্থার ধারায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছেন।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অতীতের বাকশাল এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এক অভিন্ন আদর্শ সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা। তার ভাষায়, “একই পথের পথিক মা ও মেয়ে।”

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সরকার বহুদলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করে মাত্র চারটি সরকারি সংবাদপত্র রেখে বাকিদের বন্ধ করে দেয়, ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন। এটি ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আঘাত।

তিনি লিখেছেন, “সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনে। কিন্তু একদলীয় শাসন সেই স্বর কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকেই অবমাননা করেছিল।”

তারেক রহমান দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং বাকশালের কালাকানুন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করেন।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাও তার পিতার পথ অনুসরণ করে নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন।” তারেক রহমানের ভাষ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো কঠোর আইন সংবাদমাধ্যমকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে এসেছে নির্যাতনের খড়গ। সাংবাদিকদের চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা হয়েছে এক নির্মম যন্ত্রের মাধ্যমে।”

তারেক রহমান স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা মুক্ত হলেও এখনও তা পুরোপুরি স্বাধীন নয়। তিনি বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব আসতে পারে না।”

প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম: “স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, অপব্যবহারও নজরদারিতে আনা উচিত”পোস্টটির মন্তব্য ঘরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, তিনি তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত। তবে একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকতার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচার ও সংবাদ বিকৃতির বিষয়টিও তুলে ধরেন।

তার ভাষায়, “অনেক মিডিয়া হাউজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিংবা টিআরপি পাওয়ার আশায় প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। শিরোনামে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ভিতরে তথ্য প্রমাণ মেলে না।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য, তবে সেটির অপব্যবহার রোধে আইন ও তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।”

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত