গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে: ফেসবুক পোস্টে তোপ তারেক রহমানের

১৯৭৫ সালের ১৬ জুনকে ‘গণমাধ্যমের কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনব্যবস্থার ধারায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছেন।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অতীতের বাকশাল এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এক অভিন্ন আদর্শ সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা। তার ভাষায়, “একই পথের পথিক মা ও মেয়ে।”
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সরকার বহুদলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করে মাত্র চারটি সরকারি সংবাদপত্র রেখে বাকিদের বন্ধ করে দেয়, ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন। এটি ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আঘাত।
তিনি লিখেছেন, “সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনে। কিন্তু একদলীয় শাসন সেই স্বর কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকেই অবমাননা করেছিল।”
তারেক রহমান দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং বাকশালের কালাকানুন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করেন।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাও তার পিতার পথ অনুসরণ করে নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন।” তারেক রহমানের ভাষ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো কঠোর আইন সংবাদমাধ্যমকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে এসেছে নির্যাতনের খড়গ। সাংবাদিকদের চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা হয়েছে এক নির্মম যন্ত্রের মাধ্যমে।”
তারেক রহমান স্বীকার করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা মুক্ত হলেও এখনও তা পুরোপুরি স্বাধীন নয়। তিনি বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব আসতে পারে না।”
প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম: “স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, অপব্যবহারও নজরদারিতে আনা উচিত”পোস্টটির মন্তব্য ঘরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, তিনি তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত। তবে একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকতার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচার ও সংবাদ বিকৃতির বিষয়টিও তুলে ধরেন।
তার ভাষায়, “অনেক মিডিয়া হাউজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিংবা টিআরপি পাওয়ার আশায় প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। শিরোনামে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ভিতরে তথ্য প্রমাণ মেলে না।”
তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য, তবে সেটির অপব্যবহার রোধে আইন ও তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।”
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
সাও পাওলো গভর্নর থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী? আলোচনায় তার্সিসিও
ব্রাজিলের রাজনীতিতে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে—দোষী সাব্যস্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর পর ডানপন্থীদের নেতৃত্ব কে দেবেন? একদিকে বলসোনারো ২৭ বছরের সাজা বাতিলের জন্য আপিল নিয়ে ব্যস্ত, অন্যদিকে ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাজিলের বৃহৎ রক্ষণশীল ভোটারগোষ্ঠী খুঁজছে নতুন মুখ। আর বারবার আলোচনায় উঠে আসছে এক নাম—সাও পাওলোর গভর্নর তার্সিসিও দে ফ্রেইতাস।
ফ্রেইতাস যদিও নিজেকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, তবুও জনমত জরিপ বলছে তিনি বর্তমান বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার বিপরীতে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন। ৪৬ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাও পাওলো ব্রাজিলের অর্থনৈতিক ইঞ্জিন, যার জিডিপি বেলজিয়াম বা সুইডেনের সমান। সেই রাজ্যের দায়িত্বে আছেন ফ্রেইতাস—একজন প্রাক্তন সেনা প্রকৌশলী, যিনি ২০২২ সালের নির্বাচনের আগে কখনো কোনো পদে নির্বাচন করেননি।
রাজনীতিতে নতুন হলেও ফ্রেইতাসকে বলা হয় কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ ও দক্ষ টেকনোক্র্যাট। বলসোনারোর মন্ত্রিসভায় অবকাঠামো মন্ত্রী হিসেবে কাজ করে তিনি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পান। তাঁর উপদেষ্টারা তাঁকে বর্ণনা করেন এক বাস্তববাদী নেতা হিসেবে—যিনি ‘দ্রুত সমাধানে বিশ্বাসী’। ফ্রেইতাসও সে পরিচয়ে আপত্তি করেন না। এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি বাস্তববাদী মানে মানুষের সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়, তবে আমি অবশ্যই তাই।”
৫০ বছর বয়সী ফ্রেইতাস জনসমক্ষে সহজপ্রাপ্য মনে হলেও মঞ্চে উঠে পরিণত নেতার মতো তীব্র বক্তৃতা দেন। পরিসংখ্যান ঝরঝর করে শোনাতে পারার দক্ষতা তাঁকে আলাদা করে তুলে। তিনি বলসোনারোর মতো অগ্নিমূর্তি নন, কিন্তু রাজনৈতিক মুহূর্তে সঠিক সুর ধরতে জানেন। সম্প্রতি বলসোনারোর রায়ের আগেই তিনি সুপ্রিম কোর্টকে “স্বৈরাচারী” আখ্যা দিয়ে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন।
ফ্রেইতাসের অবস্থান স্পষ্ট—তিনি সংসদের বিতর্কিত সাধারণ ক্ষমা প্রস্তাবের পক্ষে, যা শত শত অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি দেবে, এমনকি বলসোনারোকেও। তাঁর ভাষায়, “ক্ষমা দেশকে শান্ত করতে সাহায্য করবে, ব্রাজিলকে এগিয়ে যেতে হবে।”
রিও ডি জেনেইরোতে জন্ম নেওয়া ফ্রেইতাস অল্প বয়সেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ৩৩ বছর বয়সে ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। দিলমা রুসেফের বামপন্থী সরকারের অধীনে জাতীয় পরিবহন ও অবকাঠামো বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি। দক্ষতা ও সুনামের কারণেই বলসোনারো তাঁকে ২০১৯ সালে অবকাঠামো মন্ত্রী করেন এবং পরবর্তীতে গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সমর্থন দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফ্রেইতাস প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক মহলের কাছে এক কার্যকর নেতা—যিনি বলসোনারোর মতো অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়াবেন না। তবে বলসোনারোর কট্টর সমর্থক শ্রেণি এখনো অটুট। তাই ফ্রেইতাসকে তাদের আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাঁর প্রশাসনের পুলিশি নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সাও পাওলোতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৬১ শতাংশ—যখন জাতীয় গড় ৩ শতাংশ কমেছে। দুটি এনজিও জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে অভিযোগ জমা দিয়ে ফ্রেইতাসের বিরুদ্ধে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগকে নীরবে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তোলে। এ প্রসঙ্গে গভর্নরের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ছিল, “আমি পাত্তা দিচ্ছি না।”
তবুও সমর্থকদের কাছে ফ্রেইতাস কঠোর কিন্তু কার্যকর নেতৃত্বের প্রতীক। তাঁর অবস্থান অর্থনৈতিক দক্ষতা, আর্থিক শৃঙ্খলা ও শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে। তিনি বলেন, “সামাজিক ন্যায়বিচার তখনই সম্ভব, যখন আর্থিক শৃঙ্খলা থাকে।”
সব মিলিয়ে, বলসোনারো আইনি লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় ফ্রেইতাসের দিকে তাকিয়ে আছে ব্রাজিলের রক্ষণশীল রাজনীতি। তিনি সত্যিই কি বলসোনারোর উত্তরসূরি হবেন, নাকি নতুন এক রাজনৈতিক পরিচয় তৈরি করবেন—সেটাই এখন ব্রাজিলীয় রাজনীতির বড় প্রশ্ন।
-আলমগীর হোসেন
জামায়াতের প্রার্থী বাছাই শেষ, ভোটের ময়দানে নতুন চমক?
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২৯৮টি আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের গোপন ভোটের মাধ্যমে এসব প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে বলে জামায়াত জানিয়েছে। তবে জোট হলে বা কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।
আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত এখন তাদের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সংস্কারের প্রশ্নেও তারা বিএনপির বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। সবশেষ সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে ছয়টি দলকে নিয়ে তারা যুগপৎ আন্দোলনেও নেমেছে। যদিও পিআর পদ্ধতি আদায় না হলে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তা ভেবে দেখার হুঁশিয়ারি দিলেও দলটি সব আসনেই প্রাথমিক প্রার্থী বাছাই করে গত জানুয়ারি থেকে ভোটের প্রচার শুরু করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ আসন ও প্রার্থীরা
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, তাদের জরিপ অনুযায়ী শতাধিক আসনে বিএনপির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে জামায়াত। তবে জোট হলে এসব আসনের কয়েকটি ছেড়ে দেওয়া হবে নির্বাচনী মিত্রদের।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন:
ডা. শফিকুর রহমান: ঢাকা-১৫
এটিএম আজহারুল ইসলাম: রংপুর-২
মিয়া গোলাম পরওয়ার: খুলনা-৫
ডা. তাহের: কুমিল্লা-১১
হামিদুর রহমান আযাদ: কক্সবাজার-২
ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমিন: পাবনা-১
মাসুদ সাঈদী: পিরোজপুর-১
শামীম সাঈদী: পিরোজপুর-২
ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন আরমান: ঢাকা-১৪
এছাড়া, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে লড়বেন স্থানীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
নতুন নিয়ম ও বিতর্ক
দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতে রুকনরা (সদস্য) দলের প্রার্থী হয়ে থাকেন। তবে এবার আওয়ামী লীগ না থাকায় তারা এই নিয়মে পরিবর্তন আনতে পারেন। তারা বিএনপিকে টক্কর দিতে দলের বাইরে থেকে প্রার্থী আনার কথা ভাবছেন। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে অমুসলিমদেরও প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।
এদিকে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিতর্কও সামনে এসেছে। কুষ্টিয়া-৩ আসনে ওয়াজের বক্তা আমির হামজাকে প্রার্থী করার ঘোষণা দেওয়া হলেও তার বিতর্কিত কিছু মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে জানান যে, আমির হামজাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার প্রার্থী পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
‘এই সময়’-এর সংবাদে ভুল? মির্জা ফখরুলের নতুন বক্তব্যে দানা বাঁধছে কৌতূহল
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘এই সময়’-কে কোনো সাক্ষাৎকার দেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই সময়’ ভুলভাবে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘সাক্ষাৎকার নয়, কথা হয়েছে’
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কালবেলাকে মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকাটির সঙ্গে কথা বললেও সাক্ষাৎকার দেননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জামায়াতে ইসলামীর ৩০টা আসন চাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রশ্নই আসে না।”
আওয়ামী লীগ নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা
জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে মির্জা ফখরুল কালবেলাকে বলেন, “‘এই সময়’ কে আমি কোনো সাক্ষাৎকার দেইনি। কথা হয়েছে, কিন্তু এ ধরনের কোনো কথাই আমি বলিনি।”
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তো আমরা আগেই বলেছি।”
শাহবাগে এনসিপি’র বিক্ষোভ: নিউইয়র্কে নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ
নিউইয়র্কে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গাফিলতির জবাব ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামন থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ
প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্ক সফরে গিয়ে বিমানবন্দরে ডিম নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকেও গালমন্দ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা গতরাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ সৃষ্টি করেছে।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: ভারতের পত্রিকা সাক্ষাৎকার বিকৃত করেছে
ভারতের দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎকার ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিডিয়া সেল এ তথ্য জানায়।
‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ’
মিডিয়া সেল জানায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ভারতের দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এই ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, এটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর।
নিন্দা ও অনুরোধ
তিনি এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানান এবং জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভ্রান্তিকর এই সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রে আখতার ও জারাকে লাঞ্ছিত: নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারীর নেতাদের ওপর হামলার দায় সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
মির্জা ফখরুলকেও হেনস্তা, আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বিদেশেও
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও হেনস্তা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, “গত দেড় দশক ধরে বিরোধীমত দমন, গুম-খুন ও জুলুম-নির্যাতনের ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন দেশের ছাত্র-জনতা প্রত্যক্ষ করেছে; যা জুলাই অভ্যুত্থানকালেও অব্যাহত ছিল। অভ্যুত্থানের পর সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।”
এর আগেও অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একাধিকবার বিদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, যা তাদের (আওয়ামী লীগ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। অথচ এ ঘটনায় হেনস্তার শিকার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, বাংলাদেশের মাটিতে কোনোভাবেই এই সন্ত্রাসী দলকে পুনরায় ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।
সরকারের প্রতি আহ্বান ও হুঁশিয়ারি
বার্তায় বলা হয়, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারীর নেতারা বারবার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারাসহ বিভিন্ন ঘটনায় এই সরকার ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, যা অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রতীক ‘শাপলা’ না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবো: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দলীয় প্রতীক বা মার্কা ‘শাপলা’ হতে হবে, অন্য কোনো অপশন নেই। তা না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নেবো—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
‘আইনগত বাধা নয়, তালিকায় না থাকার অজুহাত’
মঙ্গলবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ইলেকশন কমিশন সচিব বলেছেন মার্কার তালিকায় শাপলা নেই তাই এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। তার মানে কোনো আইনগত বাধা নয় বরং তালিকায় না থাকার কারণে তারা এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না।”
ইসি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, এনসিপি প্রথম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময়ই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল শাপলা প্রতীক চাই। কিন্তু এতদিনেও তালিকায় প্রতীক যুক্ত করা হয়নি। তার ভাষায়, “তাহলে ওই তালিকায় শাপলা মার্কা যুক্ত করা কাদের কাজ ছিল? এতদিন কি তারা নির্বাচন কমিশনে বসে বসে নাটক দেখেছে? নাকি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে বসে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান, দল বা এজেন্সির কথামতো উঠবস করেছে?”
‘সকল ধরনের ভন্ডামিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “সকল ধরনের ভন্ডামিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই তাই এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই।”
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে রাজনীতি নাই হয়ে যাবে: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে নির্বাচন আনার কোনো সুযোগ নেই। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আনার অথবা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এটা করার চেষ্টা করবে জনগণ তাদের বিরুদ্ধেই দাঁড়াবে। তাদের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে নাই হয়ে যাবে।”
বিএনপিকে পরামর্শ ও পুনর্বাসনের বিরোধিতা
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্কে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে জরুরি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ বলেন, “আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার রাজনীতি বিএনপি যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই রাজনীতি বিএনপির জন্য কাল হয়ে থাকবে। বিএনপিকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিবর্তে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। তাহলে বিএনপি তরুণদের সাপোর্ট পাবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বিচার দাবি
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, “একদিকে যেমন আওয়ামী লীগ তৎপরতা চালাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে; অন্যদিকে দেশের কোনো কোনো রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আনার অথবা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এটা করার চেষ্টা করবে জনগণ তাদের বিরুদ্ধেই দাঁড়াবে। তাদের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে নাই হয়ে যাবে।”
তিনি বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছিল। সেই রায়টি ছিল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং মুজিববাদীদের কোনো রাজনীতি থাকবে না। তারা যে অপকর্ম করেছে বাংলাদেশে সেজন্য তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
ঐক্যের আহ্বান
সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক পক্ষকে এই আওয়ামী লীগ প্রশ্নে, মুজিব প্রশ্নে আমরা সবাই যেন এক থাকি। বিচারের মাধ্যমে আমরা যাতে তাদের রাজনৈতিক ফয়সালা করতে পারি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করা, দেশকে অস্থিতিশীল করার সব ষড়যন্ত্র আমরা যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে পারি।”
আখতারের ওপর হামলা নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের কড়া হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের সফরসঙ্গী করে তাদেরকে অনিরাপদ অবস্থায় রেখে সরকার প্রধানের এয়ারপোর্ট প্রস্থান লজ্জাজনক।”
‘আওয়ামী লীগ যেখানে, সেখানেই মাইর’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান আখতার হোসেন। সেখানে পৌঁছানোর পর তার ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিম। হামিম সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ছিলেন। নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে হামিম বলেন, “যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই মাইর আজ থেকে...no mercy।”
‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে’: তাজনুভা জাবীন
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, “রাজনীতিতে আসার পর থেকে আমরা নারীরা হেন কোনো গালি নাই শুনি নাই। হেন কোনো সাইবার বুলিং নাই যার মধ্য দিয়ে যায় নাই। ম বর্গীয়, খ বর্গীয়সহ সব ধরনের গালাগালি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কিন্তু আজকে নিউইয়র্কে জারাকে যে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হলো, আখতারের ওপর হামলা করা হলো, তাও বাংলাদেশ সরকারের সফরসঙ্গী হিসেবে এর চেয়ে নিন্দনীয় কিছু হতে পারে না।”
তিনি লেখেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। কেন এরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। কেন তারা একমাত্র নারী রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। শেইম! অন্তর্বর্তী সরকারের এদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। জারার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখে নারী নারী করে ফেনা তুলে ফেলে, অথচ সাথে করে নিয়ে তাকে আক্রমণের মুখে ফেলে রেখে চলে গেছে।”
এ হামলার দায় সরকারকে নিতে হবে জানিয়ে এনসিপির এই নেত্রী আরও লেখেন, “আখতার শুধু এনসিপির নেতা না, আখতার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জীবন্ত প্রতীক। ইতিহাস সাক্ষী, আখতার রাজপথে থেকে, জেল জুলুম সহ্য করে হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে দেখেই আজকে আপনারা একেকজন উপদেষ্টা। যার অবদানে সরকার হইছেন তাকেই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ! ধিক্কার জানাই। এনসিপি এর জবাব নিয়ে ছাড়বে। নিজেদের দলের সাংগঠনিক সফরে গিয়ে এই হামলার শিকার হলে এক কথা, সরকারের সাথে গিয়ে এই অবস্থা? বাংলাদেশ সরকারকে এর দায় অবশ্যই নিতে হবে। বাকিটা এনসিপি রাজপথে বুঝে নিবে।”
পাঠকের মতামত:
- ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস
- মোস্তাফিজের রেকর্ডের সামনে: ভারতের কোচ কেন এত প্রশংসা করলেন?
- ৮০ শতাংশ ব্যবহারকারী বঞ্চিত, জেনে নিন ফেসবুক মনিটাইজেশন পাওয়ার উপায়
- বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়
- সাইফের এক ইনিংসই কি ভারতের হিসাব পাল্টে দেবে?
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ: আইএইএ’র প্রতিবেদন কী বলছে?
- গাজামুখী ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার অভিযোগ, আতঙ্কে মানবাধিকারকর্মীরা
- ট্রাম্পের কারণে রাস্তায় আটকে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ
- সাও পাওলো গভর্নর থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী? আলোচনায় তার্সিসিও
- ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
- “উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা
- দেয়ারওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি: বৈশ্বিক উন্নয়নে ইউনূসের অবদানের প্রশংসা
- সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ান লণ্ডভণ্ড
- জামায়াতের প্রার্থী বাছাই শেষ, ভোটের ময়দানে নতুন চমক?
- ফাইনালের পথে এগোতে আজ ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ
- আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর জামিন পেলেন
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাগরের ভূরাজনীতিতে নতুন অক্ষ
- কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত!
- তারেক রহমানের নির্দেশে: পূজামণ্ডপ পাহারা দেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা
- ডাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ আনলেন তিন ভিপি প্রার্থী
- ঐক্য ধরে রাখতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: বিএনপি নেতার ‘খিচুড়ি কূটনীতি’
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
- গাজা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ: জাতিসংঘের মঞ্চে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য
- নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’
- বিসিবি নির্বাচনে চমক: খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে চলছে নানা জল্পনা!
- ‘এই সময়’-এর সংবাদে ভুল? মির্জা ফখরুলের নতুন বক্তব্যে দানা বাঁধছে কৌতূহল
- ‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি
- ‘দাওয়াত পেলেও যেতাম না’: প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে রনির কড়া মন্তব্য
- দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি
- গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
- কারাগারে মহিলা লীগ নেত্রী লিমাসহ ১০
- ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান! অবশেষে কিং খানের ঘরে সেই কাঙ্ক্ষিত সম্মান
- শাহবাগে এনসিপি’র বিক্ষোভ: নিউইয়র্কে নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ
- মানবদেহে নতুন অঙ্গের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা: ক্যানসার চিকিৎসায় আশার আলো
- মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: ভারতের পত্রিকা সাক্ষাৎকার বিকৃত করেছে
- যুক্তরাষ্ট্রে আখতার ও জারাকে লাঞ্ছিত: নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- প্রতীক ‘শাপলা’ না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবো: সারজিস
- চাকসু ও রাকসু নির্বাচনে নতুন সময়সূচি
- কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিদেশে ১৩ বছরের কিশোর
- সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আর নেই
- আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে রাজনীতি নাই হয়ে যাবে: নাহিদ ইসলাম
- ডিএসইতে আজকের শেয়ারবাজারের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিসিবির কোষাগারে ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে দায়িত্ব ছাড়ছে বিদায়ী পর্ষদ
- পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ
- শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি
- টানা বৃষ্টি ও নতুন লঘুচাপ: তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা
- আখতারের ওপর হামলা নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের কড়া হুঁশিয়ারি
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন