সারজিস আলমের নারীর ক্ষমতায়ন প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক!

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৫ ১৭:৫১:০৩
সারজিস আলমের নারীর ক্ষমতায়ন প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক!

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও প্রতিনিধিত্ব নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা যদিও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চেষ্টা করছে, তবুও এটি যথেষ্ট নয় এবং প্রকৃত অর্থে নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারছে না। এজন্য তিনি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নারীর সংখ্যা অন্তত ১০০ জন হওয়া প্রয়োজন বলে প্রস্তাব দেন। এতে সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করার প্রস্তাবও তিনি দেন।

রোববার (১৫ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে সারজিস আলম বিস্তারিত লিখেছেন, সংসদে সংরক্ষিত নারীর আসনগুলো অধিকাংশ সময় রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতি, সুবিধাবাদ ও প্রাইজ পোস্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নারীদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, “সংরক্ষিত আসনের একজন সংসদ সদস্য মাঠ থেকে সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মতো জনসাধারণের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে না, তাদের কাছে দায়বদ্ধতা সীমাবদ্ধ থাকে এবং জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডেও সরাসরি অংশগ্রহণ সীমিত।”

সারজিস আলম আরও যুক্তি দিয়েছেন, প্রকৃত ক্ষমতায়ন অর্থ হলো নারীরা যেন নিজেরাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রবেশ করে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত ও জনসেবা অর্জন করে। তিনি বলেন, “সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলে নারীরা নিজ স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যা সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে সম্ভব নয়।”

এই প্রেক্ষাপটে তিনি সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি নতুন মডেল প্রস্তাব করেন, যেখানে বর্তমানে ৩০০ আসনের সংসদকে ৪০০ আসনে উন্নীত করে অতিরিক্ত ১০০ আসন নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। এতে নারীরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং তাদের ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়বে। তিনি মনে করেন, এই ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নকে যুগান্তকারী পরিবর্তনের পথ দেখাবে।

সারজিস আলমের এই প্রস্তাব বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপের সূচনা করেছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে এই প্রস্তাবের ওপর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে এবং এটি নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে একটি বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

এছাড়া, সারজিস আলমের মতানুযায়ী, নারীদের প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শুধু আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং তাদের স্বাধীন রাজনৈতিক ভূমিকা, নেতৃত্বের সুযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও সমান জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা ও কর্মসূচি আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, যাতে নারীশক্তির যথাযথ মূল্যায়ন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

সারজিস আলমের এই উদ্যোগ নারীদের ক্ষমতায়ন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রণয়ন করেছে, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আরো সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক


তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ২১:৪৩:১০
তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : কালবেলা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।স্বৈরাচার হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলেছিল, যাতে দেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এর সুযোগে দেশের অর্থ বিদেশে চলে গেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের হাসপাতালগুলো এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা সংস্কার কমিটিও গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে এবং মানুষ আরও কষ্ট পাবে।

বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে চায় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে এবং সেখান থেকে দেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে, যেগুলো মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।

তারেক রহমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে সাজাতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ।

ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘেও যেতে হবে। পাশাপাশি দেশের খালগুলোকে পানিতে ভরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পানির সংকট এলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই দেশের পুনর্গঠনের যোগ্য দল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে শহীদ জিয়ার আমলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশ খাদ্য রপ্তানিতে সফল হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন এবং দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

/আশিক


জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন ঘোষণা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ২০:০৭:০৮
জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন ঘোষণা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে আনুপাতিক ভোটাধিকার (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু নিয়ে আমরা একমত, তবে দাবি উভয় কক্ষে একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত। ৫৪ বছরের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব হয়নি। এজন্য আমরা আন্দোলনে নামছি।’

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন বণ্টন করা হয়। তাহের আশা প্রকাশ করেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জামায়াত সবসময় নির্বাচনের পক্ষে এবং ভোট ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছি।’

তিনি গত তিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘অতীতের নির্বাচনে জনগণের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে অবিশ্বাস ছিল। এজন্য সরকারের কাছে বিভিন্ন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে সমান সুযোগের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং কমিশনারও আন্তরিক থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

তাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি অন্যায়ভাবে ভোট দখল করা হয়, তাহলে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে।’ তিনি জনগণ আর পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন মেনে নেবে না বলে জানান।

/আশিক


এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:৩৮:২১
এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
রাজশাহীতে এনসিপি নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের রেখে যাওয়া কাফনের কাপড় ও চিরকুট। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খালিদ হাসান মিলুকে কাপড় ও চিরকুট পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই রাতে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালানো হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ধুরইল গ্রামে। রোববার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খালিদ হাসান মিলু জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে একজন অপরিচিত কণ্ঠে ডাকে। বারান্দায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাড়ির টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রোলের গন্ধ। তিনি প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকেন, পরে ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরী ঘটনাস্থলে আসেন।

পরে বাড়ির সামনে একটি পলিথিনে মোড়ানো সাদা কাপড় (কাফনের কাপড়) ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল— “প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।” বৃষ্টির কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি এবং দ্রুত নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এনসিপি রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এমন সাহস তারা দেখাতে পারত না। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করব।”

ওসি আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/আশিক


২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাবি ছাত্রদলের ১৩ নেতার প্রতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:১৯:৪৬
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাবি ছাত্রদলের ১৩ নেতার প্রতি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মো. হোসাইন আল রাসেদ বাদল, মমিনুর রহমান লাজু, আলাউদ্দিন দেওয়ান, রাজুয়ার হোসাইন, মো. জোবায়ের হোসাইন, মাহবুবুর রহমান মুরাদ এবং সদস্য জাকিরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, মির্জা আবু বকর সিদ্দিক সোহাগ, মাসুদ রানা পাইলট মিন্টু ও আবেশ আল মুবিন নাফি।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এজন্য তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ব্যাখ্যা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

/আশিক


 ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ এবং রাজনীতি নিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতির মতামত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৬:২৯:৩৮
 ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ এবং রাজনীতি নিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতির মতামত
ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, তাদের সংগঠনের কার্যক্রম মূলত ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ হিসেবে পরিচালিত হয়। তিনি আরও জানান, কেউ যদি এই প্রজেক্টকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, তাহলে সেটাই তাদের রাজনীতি। রোববার (১০ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমের মাত্র ৫-১০ শতাংশ প্রচলিত রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাকি ৯০ শতাংশ কাজ ব্যক্তিগত গঠনমূলক। তিনি জানান, তাদের নীতি অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি হার্ড স্কিল, সফট স্কিল এবং নৈতিক মান অর্জনে সহায়তা করা হয়।

শিবির সভাপতির বক্তব্যে উঠে আসে, ছাত্রশিবির শুধু ভালো ছাত্র তৈরি করে না, বরং তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু ও সমাজের মধ্যে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘মানুষ তৈরির এই প্রজেক্টকে যদি কেউ রাজনৈতিক সংজ্ঞায়ন করে, তবে হ্যাঁ, এটাই আমাদের রাজনীতি।’

/আশিক


অতীত ভুলে দেশ ও দলের জন্য একজোট হই: শাহজাহান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ০৯:৪২:০৭
অতীত ভুলে দেশ ও দলের জন্য একজোট হই: শাহজাহান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, অতীতের ভুলগুলোকে ভুলে গিয়ে দলের স্থপতি তারেক রহমানকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে, যা দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। তাই এই পরিস্থিতিতে ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ডিগ্রি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “জাতির পিতা জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ শব্দ সংযুক্ত করেছিলেন এবং তিনি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আল্লাহ যাকে সম্মান করেন, তাকে কেউ হেয় করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত মানবসেবার মাধ্যমে জীবন যাপন করা, যা আল্লাহর সম্মান লাভের পথ।”

শাহজাহান আরও বলেন, “আমরা গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছি। নির্বাচন আসছে, কেউ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসবে, কেউ দাঁড়িপাল্লা নিয়ে, তবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে। আমাদের ঐক্যের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমার কাছে এমপি কিংবা মন্ত্রী হওয়ার অবস্থান বড় নয়, বড় হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করে। আমি দলের কঠিন সময়েও পাশে ছিলাম এবং আজও আছি।” তিনি দলের সদস্যদের প্রতি আবেদন জানান, “সবাই যেন ভুলের পথ থেকে সরে এসে দলের সম্মান রক্ষায় কাজ করে। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা অধিকার হারিয়েছেন তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।”

সমাবেশে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, বিএনপি নেতা সলিমুল্লাহ বাহার হিরন, আবু নাসের, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক হারুন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজগর উদ্দীন দুখুসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

-রফিক


ফেনীতে সাংবাদিক হত্যা পরিকল্পনায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ০৮:৩৯:১৪
ফেনীতে সাংবাদিক হত্যা পরিকল্পনায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে কর্মরত পাঁচ সাংবাদিককে ‘গাজীপুর স্টাইলে’ নৃশংসভাবে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এই তথ্য আসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আগেই জানতে পেরেছে এবং সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শনিবার রাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ফেনী সংবাদদাতা ও দৈনিক ফেনীর সময় এর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ফেনী মডেল থানায় এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তের আওতায় রয়েছে।

পুলিশ ও জিডির তথ্যে জানা যায়, ‘একতাই শক্তি’ নামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফেনীর পাঁচ সাংবাদিককে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আরিফুর রহমান (যমুনা টিভি), আরিফ আজম (দৈনিক ফেনীর সময়), সোলায়মান হাজারী ডালিম (টিভি প্রতিনিধি) ও জাহিদুল আলম রাজন (এনটিভি অনলাইন)।

গ্রুপের সদস্য সাইফ উদ্দিন মানিক লেখেন, ‘আমাদের উচিত গাজীপুরের মতো মিডিয়ার ট্রায়ালটার চান্স নেওয়া... এই চান্সে শাহাদাত, আরিফ আজম, আরিফ, রাজন— এদের কেউ যাতে শাস্তি পায়।’ অন্য একজন সাহেদ আকবর অভি বলছেন, ‘১০ বছর পরেও ছাড় নেই, মাটির নিচেও থাকলেও তুলে আনব।’

এই গ্রুপে নিষিদ্ধ ঘোষিত পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহেদ আকবর অভি, সাইফ উদ্দিন মানিক, আবুল হাসনাত তুষার, সরোয়ার রনি, তোফায়েল আহাম্মদ অপু, নূর করিম জাবেদ, রায়হান হাবিব শাকিলসহ প্রায় ২০-২৫ জন সক্রিয় ছিলেন। গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহাম্মদ তপু, সাধারণ সম্পাদক নূর করিম জাবেদ, সহ-সভাপতি সাহেদ আকবর অভি ও অন্যান্য নেতারা। তাদের কথোপকথনে ‘গাজীপুর স্টাইলে’ আকস্মিক হামলা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বা সাংবাদিকদের বাড়িতে রাতের আঁধারে আগুন লাগানোর ভয়াবহ পরিকল্পনা উঠে এসেছে।

ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক একেএম আবদুর রহীম বলেন, এই ধরনের পরিকল্পনা সাংবাদিক সমাজের জন্য গুরুতর হুমকি এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনী জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন বলেন, ফেনীর গণহত্যার পলাতকরা এখনও নাশকতার পরিকল্পনা করছে, সাংবাদিকদের ওপর এমন ভয়ঙ্কর হুমকি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, তাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীর পরিচয় যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশের পক্ষ থেকে ওসি সামছুজ্জামান জানান, গোয়েন্দা তৎপরতায় বিষয়টি আগেই জানা গেছে এবং সাইবার সেলের মাধ্যমে তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। গ্রুপের অনেকেই হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি। হত্যাসহ নাশকতা পরিকল্পনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

-শরিফুল


শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২০:৩৬:২৬
শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা: মির্জা আব্বাস
জাসাস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। তার ভাষায়, "আগে শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, আর এই সরকার চব্বিশটা বাজিয়ে দিয়েছে।"

শনিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাসাসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, তার কাছে দেশের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। “বলার মতো অনেক কিছু আছে, কিন্তু আমার বর্তমান অবস্থান থেকে এখনই বলতে চাই না। দেশের কতভাবে ক্ষতি হয়েছে, কে কোথায় আত্মসাৎ করেছে, কত টাকা লুট হয়েছে—সবকিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে,” বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে নানা অরাজকতার সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। “যেখানেই খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজি—সেখানেই বিএনপির নাম বলছে একটি মহল। জনগণের কাছে বিএনপিকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে,” মন্তব্য করেন তিনি।

নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনারা যেমন ক্ষমতায় যেতে চান, আমরাও চাই। জনগণ ভোট দিলে আমরা ক্ষমতায় যাব, না দিলে মেনে নেব। কিন্তু আমরা ভোট চাই। এই ভোট ও গণতন্ত্রের জন্যই বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, কিছু রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে নির্বাচনের কথা বললেও অন্তরে তা চায় না, কারণ তাদের ধারণা—নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এসব দল নানা অজুহাত খুঁজে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তার ভাষায়, “বিএনপি কখনো দেশ শাসন করেনি, করবে না; তবে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেছে, এবং তা অব্যাহত রাখবে।”

জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহত মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়াসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে জাসাসের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

/আশিক


ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:২৬:৩৮
ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
ছবি: সংগৃহীত

রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মইন খান বলেন, ২০২৪ সালে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, সেটি কোনোভাবেই লুটেরা শ্রেণির দখলে গিয়ে দেশ লুটে ফেলার উদ্দেশ্যে হয়নি। যারা এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের রক্তের প্রতি কখনোই অবজ্ঞা বা বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। তাই দেশের সব নাগরিককে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ড. মইন খান আরও বলেন, “যদি আমরা অন্যায়, দুর্নীতি বা চাঁদাবাজিতে জড়িত হই, তাহলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই আমাদের দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও মর্যাদাকে সর্বোচ্চ সম্মানে রাখা আমাদের কর্তব্য।”

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষকদলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারা একমত হন যে, ২০২৪ সালের গণআন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথে এক গৌরবময় অধ্যায়, যা লুটেরা শ্রেণির দখলে যাওয়া যাবে না।

সব বক্তাই জোর দিয়ে বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে এবং শহীদদের রক্ত যেন কোনোভাবেই অপব্যবহার বা অবমূল্যায়ন না হয়। এ প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে সতর্ক ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়।

স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আইনজীবী আমিরুল ইসলাম ইমন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

-রফিক

পাঠকের মতামত: