এক নজরে আজকের  বাংলাদেশ- সিঙ্গাপুর  ম্যাচ

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১০ ২২:০১:০৫
এক নজরে আজকের  বাংলাদেশ- সিঙ্গাপুর  ম্যাচ

দশ বছর পর ঢাকায় ফিরে আবারও সিঙ্গাপুরের কাছে একই ফলাফলের সম্মুখীন হলো বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে পরাজয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটলো এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বেও। মঙ্গলবার (১০ জুন) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সিঙ্গাপুর ২-১ গোলে জয়ী হয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করেছে, যা বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে ধাক্কা দিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রথমার্ধে রক্ষণভিত্তিক কৌশলে পিছিয়ে পড়ে। ম্যাচের শেষ দিকে সিঙ্গাপুরের সংইয়ং ৪৫তম মিনিটে গোল করেন এবং দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮তম মিনিটে ইকশান ফান্দি ব্যবধান বাড়ান। যদিও ৬৮ মিনিটে রাকিব হোসেন একটি গড়ানো শটে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সাফল্য এনে দিতে পারেননি।

বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক চেষ্টা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ সুযোগগুলো কাজে লাগানো হয়নি। রাকিব ও বদলি ইমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমার অসাধারণ সেভ দলের বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, তবে শেষ পর্যন্ত তারাও হার থেকে রক্ষা পায়নি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে শাহরিয়ার ইমনের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসার কারণে ভাগ্যও বাংলাদেশের পক্ষে হয়নি।

কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার পরিকল্পনায় প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়ালেও, সিঙ্গাপুরের আধিপত্য ভাঙতে পারেনি। এই হারের ফলে সিঙ্গাপুর গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে, বিশেষ করে ভারতের হংকংয়ের কাছে পরাজয়ের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান কঠিন হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম একাদশে ছিলেন মিতুল মারমা, তপু বর্মন, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ তপু, হামজা চৌধুরী, শামিত সোম, কাজেম শাহ, মো. রিদয়, ফাহামিদুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন।

শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুরের শক্তিশালী ফুটবলের কাছে পরাজিত হলো। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভালো ফলাফল না এলে এশিয়ান কাপের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। এখন দরকার নতুন পরিকল্পনা ও শক্তিশালী দল গঠন, যাতে ভবিষ্যতে এমন হতাশাজনক ফল এড়ানো যায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত