ইবিএলের বন্ডে কুপন হার নির্ধারণ হবে নতুন যে নিয়মে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:৩৬:৫৯
ইবিএলের বন্ডে কুপন হার নির্ধারণ হবে নতুন যে নিয়মে
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের অন্যতম ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) তাদের টিয়ার–টু মূলধন জোরদারে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ব্যাংকটির অনিরাপদ ও নন-কনভার্টিবল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংক্রান্ত অনুমোদনপত্র ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ইবিএলকে প্রদান করা হয়।

ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই অনুমোদনের মাধ্যমে ইবিএল বেসেল–৩ নীতিমালার আওতায় ৮০০ কোটি টাকা টিয়ার–টু মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। বন্ডটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ইউনিট ১০ লাখ টাকা, যা সমমূল্যে (at par) ইস্যু করা হবে। বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর, এবং এটি সম্পূর্ণ রিডিমেবল ও নন-কনভার্টিবল হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই মূলধন সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে, যেখানে অনিরাপদ, ভাসমান সুদহারযুক্ত ও কুপন-বহনকারী সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করা হবে। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বন্ড কোনো সম্পদ দ্বারা জামানতযুক্ত নয় এবং মেয়াদ শেষে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য হবে।

বন্ডটির কুপন বা সুদহার নির্ধারণ করা হবে ভাসমান ভিত্তিতে। সুদহার হিসাবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রকাশিত এক মাসের তথ্য অনুযায়ী ৬ মাস মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটের সর্বোচ্চ সুদহার (প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হার বিবেচনায়) গ্রহণ করা হবে। এই হিসাবের আওতায় শুধুমাত্র বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে; ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক এবং চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের ব্যাংকগুলো এই গণনার বাইরে থাকবে। নির্ধারিত এই গড় সুদহারের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ মার্জিন যোগ করে বার্ষিক কুপন হার নির্ধারণ করা হবে। কুপন পরিশোধ করা হবে অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে।

-রফিক


Q1 আর্থিক তথ্যে INTRACO–র চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:২৬:০৩
Q1 আর্থিক তথ্যে INTRACO–র চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত Intraco Refueling Station Limited। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত আয় ও নগদ প্রবাহে কিছুটা চাপ দেখা গেলেও নিট সম্পদমূল্যে (এনএভি) ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২১ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ০.২৬ টাকা থেকে কম। এতে স্পষ্ট হয় যে এক বছরে কোম্পানির মুনাফায় সামান্য হ্রাস ঘটেছে।

নগদ প্রবাহের চিত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ০.১৩ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এই সূচক ছিল ০.৩৬ টাকা। এর মাধ্যমে কার্যক্রম থেকে নগদ আহরণে উল্লেখযোগ্য কমতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

তবে মুনাফা ও নগদ প্রবাহে চাপ থাকলেও কোম্পানির আর্থিক অবস্থানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ইতিবাচক ধারা দেখিয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩.৪৫ টাকা, যা এক বছর আগে একই তারিখে ছিল ১২.৫২ টাকা। এনএভি বৃদ্ধির এই ধারা কোম্পানির সামগ্রিক সম্পদভিত্তি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্পমেয়াদে আয় ও নগদ প্রবাহে চাপ থাকলেও এনএভির উন্নতি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তারা বলছেন, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির পরবর্তী প্রান্তিকের আর্থিক পারফরম্যান্স এবং নগদ প্রবাহ পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

-রফিক


কোন ফান্ডের এনএভি সবচেয়ে বেশি, দেখে নিন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:২২:১৪
কোন ফান্ডের এনএভি সবচেয়ে বেশি, দেখে নিন
ছবি: সংগৃহীত

২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড তাদের দৈনিক নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ–এ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, অধিকাংশ ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে অবস্থান করছে, যদিও কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে প্রায় সব ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই বৈপরীত্য বাজারের বর্তমান মূল্যায়ন ও ফান্ডগুলোর অন্তর্নিহিত সম্পদমূল্যের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তুলে ধরছে।

বাজারদরের ভিত্তিতে এনএভি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি মূল্য ৬ থেকে ৯ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যে কিছু ফান্ড তুলনামূলক শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশেষ করে গ্রামীণস টু (GRAMEENS2) ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ১৫ টাকার বেশি, যা অন্যান্য ফান্ডের তুলনায় ব্যতিক্রমী। পাশাপাশি রিলায়েন্স ওয়ান (RELIANCE1), ক্যাপিটেক জিবিএফ (CAPITECGBF), এসইএমএল এলইসি এমএফ (SEMLLECMF) ও এসইএমএল আইবিবিএলএসএফ (SEMLIBBLSF)–এর মতো কয়েকটি ফান্ডের এনএভি অভিহিত মূল্যের কাছাকাছি বা তার ওপরে রয়েছে। অন্যদিকে, জানাতা, ইবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক ও পপুলার ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট কিছু ফান্ডের বাজারদরের এনএভি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।

তবে কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে হিসাব করলে চিত্রটি ভিন্নভাবে ধরা পড়ে। প্রায় সব মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি কস্টভিত্তিক এনএভি ১০ টাকার অনেক ওপরে রয়েছে, যা ফান্ডগুলোর প্রকৃত সম্পদমূল্যের শক্ত অবস্থান নির্দেশ করে। কিছু ফান্ডের ক্ষেত্রে এই কস্ট এনএভি ১২ থেকে ১৬ টাকারও বেশি, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাইম ফার্স্ট, আইসিবি–সংশ্লিষ্ট একাধিক ফান্ড এবং কিছু ব্যাংক–স্পন্সরড ফান্ড কস্ট প্রাইসে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

মোট নিট সম্পদের দিক থেকেও ফান্ডগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকটি বড় ফান্ডের নিট সম্পদের পরিমাণ কয়েক শ কোটি থেকে হাজার কোটিরও বেশি, যা বাজারে তাদের প্রভাব ও বিনিয়োগ বিস্তৃতির ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, বাজারদরে এনএভি কম থাকলেও কস্ট প্রাইসে শক্ত অবস্থান থাকা ফান্ডগুলো দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাব্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, শুধু এনএভি নয়, ফান্ডের পোর্টফোলিও গঠন, ডিভিডেন্ড ইতিহাস, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।

-শরিফুল


যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন কোম্পানির এমডি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:১৮:০৬
যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন কোম্পানির এমডি
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত Salvo Chemical Industry Limited–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কেনার এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাম ওবায়দুল করিম বাজারদরে মোট ৬ লাখ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পাবলিক মার্কেট অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে এই শেয়ার সংগ্রহ করবেন।

ডিএসইতে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই শেয়ার কেনার কার্যক্রম সম্পন্ন করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশনস, ২০১৫–এর রেগুলেশন ৩৪(১) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ বিধিমালা, ২০১৮–এর রুল ৪ অনুসরণ করেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, কোনো কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী যখন নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন, তখন তা সাধারণত কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আস্থার বার্তা হিসেবে দেখা হয়। এতে স্বল্পমেয়াদে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

ঘোষণাটি ডিএসইর ওয়েবসাইটে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশ করা হয়।

-রাফসান


সূচকের বড় উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:১৪:৪৫
সূচকের বড় উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে শক্তিশালী ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সূচকের বড় উত্থান, লেনদেনের গতি এবং অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ১২ মিনিট পর্যন্ত বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৮৬৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সময়ের তুলনায় এই সূচক বেড়েছে ৯৪ দশমিক ২২ পয়েন্ট, যা শতাংশের হিসাবে প্রায় শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।

একই সময়ে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ৩৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। এই সূচকে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা শরিয়াহভিত্তিক শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অন্যদিকে, শীর্ষ ৩০ কোম্পানিকে নিয়ে গঠিত সূচক ডিএস-৩০ (DS30) ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এই সূচকে উত্থানের হার শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশের বেশি।

লেনদেনের চিত্রেও দেখা যাচ্ছে সক্রিয়তা। দুপুর পর্যন্ত মোট লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ইউনিটে। আর্থিক হিসাবে মোট লেনদেনের মূল্য প্রায় ১৯৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বেশি।

বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বড় অংশের শেয়ারের দর বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ৩২০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ২০৪টির দর কমেছে এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই চিত্র সামগ্রিকভাবে বাজারে ক্রয়চাপের আধিক্য নির্দেশ করছে।

-রফিক


২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৫:৩৬:১৫
২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে এক প্রবল প্রতিযোগিতামূলক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনশেষে বাজারের সার্বিক সূচক ও শেয়ার দরের ওঠানামা বিশ্লেষণ করলে একটি মিশ্র চিত্র ফুটে ওঠে।

আজকের অধিবেশনে মোট ৩৮৮টি স্ক্রিপ্ট লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের দরপতন ঘটেছে। বাকি ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য অপরিবর্তিত ছিল, যা বাজারের একটি স্থিতিশীল কিন্তু সতর্ক অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৩টি কোম্পানির মধ্যে ৯৪টির দরপতন হলেও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো ছিল অত্যন্ত চাঙ্গা; যেখানে ৭৯টির মধ্যে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে।

বাজারের আর্থিক সক্ষমতা ও লেনদেনের গভীরতা আজ বেশ সন্তোষজনক ছিল। দিনভর মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬৬৮টি সফল ট্রেডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫টি শেয়ার হাতবদল করেছেন। এর ফলে দিনশেষে মোট লেনদেনের আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ২,৯৩২.০৭ মিলিয়ন টাকা বা প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা।

বাজার মূলধনের দিকে তাকালে দেখা যায়, মোট ইক্যুইটির পরিমাণ ৩.১৮ ট্রিলিয়ন টাকা এবং ডেট সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৩.৫৭ ট্রিলিয়ন টাকা ছাড়িয়েছে, যা সামগ্রিক বাজার মূলধনকে ৬.৭৮ ট্রিলিয়ন টাকার একটি শক্তিশালী অবস্থানে ধরে রেখেছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে আজ কিছুটা মন্দা লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ১৫টিই দর হারিয়েছে।

আজকের বাজারের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্লক ট্রানজেকশন বা বড় অংকের শেয়ার লেনদেন। ব্লক মার্কেটে মোট ২০টি কোম্পানির ৪১টি ট্রেডের মাধ্যমে ১৮৯.২৬ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই বিশেষ বাজারে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে ব্র্যাক ব্যাংক (BRACBANK), যেখানে ১.২ মিলিয়ন শেয়ারের একটি বড় লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৭৬.৬৮ মিলিয়ন টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও তৌফিকা ফুডস (LOVELLO) ৩৩.৬৩ মিলিয়ন এবং ওষুধ খাতের রেনাটা (RENATA) ১৯.৮৮ মিলিয়ন টাকার বড় লেনদেন করে বিনিয়োগকারীদের নজরে ছিল। অন্যদিকে, এশিয়াটিক ল্যাবস এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারেও ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ দেখা গেছে।

-রফিক


২১ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় দরপতনের ১০টি শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৫:০৪:২৩
২১ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় দরপতনের ১০টি শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মিশ্র প্রবণতা থাকলেও বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দরে বড় ধরনের পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা ৫৬ মিনিটের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপের মুখে দর হারানোর তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে স্বল্প মূলধনী ও দুর্বল মৌলভিত্তির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ করে টেক্সটাইল ও আর্থিক খাতের কয়েকটি শেয়ারে আজ নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি মূল্য হারিয়েছে ফ্যামিলি টেক্সটাইল (FAMILYTEX), যার শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৮.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে মাত্র ১.১ টাকায় নেমে এসেছে।

পতনের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেট্রো স্পিনিং (METROSPIN), যার শেয়ার প্রতি মূল্য প্রায় ৭ শতাংশ কমে ৮ টাকায় স্থির হয়েছে। একইভাবে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বে লিজিং (BAYLEASING) ৬.৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে ২.৭ টাকায় অবস্থান করছে।

মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও আজ উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গেছে; যেখানে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড (CAPMBDBLMF) ৬.১৯ শতাংশ এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (EBL1STMF) ৫.৫৫ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। এছাড়াও বিআইএফসি (BIFC) এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডও (ICBAMCL2ND) ৫.৫৫ শতাংশ দর পতনের শিকার হয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যান্য খাতের মধ্যে আজিজ পাইপস (AZIZPIPES) আজ ৫.৪২ শতাংশ দর হারিয়ে ৪১.৯ টাকায় লেনদেন শেষ করেছে। প্যাসিফিক ডেনিমস (PDL) ৪.৪৪ শতাংশ এবং সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল (CNATEX) ৪.৩৪ শতাংশ দর হারিয়ে দিনশেষে টপ লুজার বা দর হারানোর তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বা নির্দিষ্ট সীমার আশেপাশে থাকা পেনিস্টকগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থাই এই ধসের প্রধান কারণ। মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা এবং দীর্ঘমেয়াদী অনিশ্চয়তার কারণে ছোট শেয়ারগুলোতে আজ ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

-রাফসান


২১ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৫:০০:৩৫
২১ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। রবিবার দুপুর ২টা ৫৬ মিনিটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দিনের লেনদেনে দরবৃদ্ধির তালিকায় একক আধিপত্য বিস্তার করেছে বস্ত্র ও খাদ্য খাতের কোম্পানিগুলো।

ক্লোজিং প্রাইস এবং আগের দিনের সমাপনী মূল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজারে আজ ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মুনাফা উপহার দিয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে রহীম টেক্সটাইল (RAHIMTEXT), যার শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২১২.৩ টাকায় পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার আজ সর্বনিম্ন ১৯১.৩ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২১২.৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

বস্ত্র খাতের পাশাপাশি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের রহীম আফুড (RAHIMAFOOD) বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল। দিনশেষে এই কোম্পানির শেয়ার দর ৭.৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৯.৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশ গার্মেন্টস (DSHGARME) ৫.৮১ শতাংশ দর বৃদ্ধির মাধ্যমে ১১৪.৭ টাকায় লেনদেন শেষ করে তাদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে।

অটোমোবাইল খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস (RUNNERAUTO) ৫.৩২ শতাংশ মুনাফা নিশ্চিত করে ৩৫.৬ টাকায় স্থির হয়েছে। এছাড়া বিপি পিএল (BPPL) ৪.৯৬ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ খাতের ডরিন পাওয়ার (DOREENPWR) ৪.৮১ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে গেইনার তালিকার ওপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্যান্য খাতের মধ্যে জিএইচএআইএল (GHAIL) এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স (TILIL) উভয়ই প্রায় ৪.৮০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (DBH1STMF) ৪.৪১ শতাংশ মুনাফা অর্জন করে চমক দেখিয়েছে। তালিকার দশম স্থানে থাকা কেটিএল (KTL) ৪.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দিন শেষ করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এই আগ্রহ বাজারের গভীরতা বাড়াচ্ছে। বছরের শেষভাগে এসে মূল্যের এই উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আগামী দিনগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

-রাফসান


লেনদেনের মাঝপথে ডিএসইতে মিশ্র সূচক প্রবণতা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:১৮:৫১
লেনদেনের মাঝপথে ডিএসইতে মিশ্র সূচক প্রবণতা
ছবি: সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর ২টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন চলাকালে সূচকগুলোতে মিশ্র ও অস্থির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থান ও নির্বাচনী প্রেক্ষাপটের অনিশ্চয়তার প্রভাব বাজারে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) আজ লেনদেনের এ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৩৮.৮০ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৬৯.৩৯ পয়েন্ট বা প্রায় ১.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। সূচকের এই উত্থান মূলত কয়েকটি বড় মূলধনী শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে হয়েছে।

অপরদিকে, শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) অবস্থান করছে ১,০০১.৫৭ পয়েন্টে, যা আগের অবস্থান থেকে ০.৭৫ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি নির্দেশ করে। শরিয়াহ শেয়ারে সীমিত আগ্রহ থাকলেও সূচকটি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

তবে ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস৩০ (DS30) আজ কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে। সূচকটি ১,৮৫৫.৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা ৪.১৫ পয়েন্ট বা ০.২২ শতাংশ কমেছে। বড় কোম্পানির শেয়ারে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতাই এই পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

লেনদেন ও বাজার চিত্র

আজ দুপুর পর্যন্ত ডিএসইতে মোট ১,০৩,১২৯টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এসব লেনদেনে মোট ভলিউম দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৪ কোটি ৪৫ লাখ শেয়ার, যার বিপরীতে মোট লেনদেনের আর্থিক মূল্য ৮,২৬৩.৫৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, সূচকে ওঠানামা থাকলেও বাজারে লেনদেনের গতি এখনও তুলনামূলকভাবে সক্রিয়।

বাজারের প্রস্থ (Market Breadth) বিশ্লেষণে দেখা যায়,

২১৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে,

৩১০টির দর কমেছে,

এবং ৪৭টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে স্পষ্ট, আজকের বাজারে বিক্রির চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি।

সূচকের গতিপ্রকৃতি

ডিএসইএক্স সূচকের গত ৩০ দিনের গ্রাফ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বাজার এখনো একটি সংকুচিত রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সূচক ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হলেও বিকেল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় সূচকের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতামত

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীরা এখনো পুরোপুরি আস্থা ফিরে পাননি। ফলে বড় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে অনেকেই স্বল্পমেয়াদি কৌশলে অবস্থান নিচ্ছেন। তবে সূচকের বর্তমান অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বাজার ধীরে ধীরে একটি ভারসাম্যের দিকে এগোচ্ছে।

-রফিক


শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ১৩:৩৩:৩৮
শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্পষ্ট বিক্রির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫–এ প্রকাশিত ডিএসই উইকলি মার্কেট পালস অনুযায়ী, প্রধান সূচকসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সূচকেই উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে, যার ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা আরও গভীর হয়েছে।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স (DSEX) সূচক দাঁড়িয়েছে ৪,৮৩১.৪১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩২.৪২ পয়েন্ট বা ২.৬৭ শতাংশ কম। বছরের শুরু থেকে এই সূচকের মোট পতন এখন ৭.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সময়ে ডিএস৩০ সূচক ২.২৮ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ১,৮৫৯.৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক (DSES) হারিয়েছে ৩.২৫ শতাংশ।

লেনদেন ও বাজার মূলধনে সংকোচন

সপ্তাহজুড়ে বাজারে গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩,৮৭৩ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭.২৪ শতাংশ কম। একই হারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ ও শেয়ারের হাতবদল। চার কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৫,৪৯৫ কোটি টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ২০,৮৮০ কোটি টাকা।

বাজার মূলধনও কমতির দিকে। সপ্তাহ শেষে মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭.৫৯ লাখ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.৫৩ শতাংশ কম।

বাজারের প্রস্থ ও বিনিয়োগকারীদের মনোভাব

সপ্তাহজুড়ে বাজারে দরপতন ছিল ব্যাপক। মোট লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩৩৫টির দর কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৩২টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি। অ্যাডভান্স-ডিক্লাইন রেশিও (ADR) নেমে এসেছে মাত্র ০.১–এ, যা বাজারে চরম দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

খাতভিত্তিক চিত্র: কোন খাতে কতটা চাপ

খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় সব প্রধান খাতেই লেনদেন ও দরে পতন হয়েছে।

  • ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে ৬ শতাংশের বেশি
  • সিমেন্ট খাতে দরপতন ৪৫ শতাংশেরও বেশি
  • ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার, লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা ও কেমিক্যালস খাতেও উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে

তুলনামূলকভাবে টেক্সটাইল খাতে লেনদেনের অংশ বাড়লেও দরপতনের প্রভাব পুরোপুরি কাটেনি

সপ্তাহ শেষে বাজারের সামগ্রিক রিটার্ন দাঁড়িয়েছে –২.৬৭ শতাংশ, আর বাজারের গড় পিই রেশিও নেমে এসেছে ৮.৫৫–এ, যা তুলনামূলকভাবে কম মূল্যায়নের ইঙ্গিত দিলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাই বেশি প্রতিফলিত করছে।

শীর্ষ লেনদেন, গেইনার ও লুজার

সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষে ছিল ফাইন ফুডস, ডমিনেজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ও লাভেলো। ব্লক মার্কেটেও ফাইন ফুডস ও বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক উল্লেখযোগ্য লেনদেন করেছে।

অন্যদিকে, দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং অ্যাসোসিয়েটস, রিলায়েন্স ওয়ান, ও ক্যাপিটাল আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। বিপরীতে বড় দরপতনের শিকার হয়েছে শ্যামপুর সুগার, জিল বাংলা, এএফসি অ্যাগ্রো, এবং কেবিপিপি ডব্লিউবিআইএল।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তা, তারল্য সংকট এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি মিলিয়ে বাজারে এই দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে বাজারে বড় ধরনের পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত না মিললেও, নীতিগত স্থিতিশীলতা এলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তারা।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত