সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৬:৫৯:০২
সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম
ছবিঃ সংগৃহীত

সুস্থ শরীরকে সুখী জীবনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম শরীরকে সতেজ রাখে, মেদহীন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় জিমে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঘরে বসেই কিছু সহজ ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরকে সহজেই ফিট রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা মন ও শরীর উভয়কেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

জেনে নিন এমন ৫টি সহজ ব্যায়ামের কথা, যা ঘরে বসেই আপনাকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে পারে

সুস্থ থাকার ৫টি কার্যকরী অভ্যাস

১. নিয়মিত হাঁটা: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটলে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। হাঁটার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং বাড়তি ক্যালরি দ্রুত ঝরে যায়। সকালের দিকে বা বিকেলের আলো-আঁধারিতে দ্রুত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।

২. স্কোয়াট: এই ব্যায়ামটি মূলত শরীরের নিচের অংশকে শক্তিশালী করার জন্য দারুণ কার্যকর। নিয়মিত স্কোয়াট করলে উরু এবং কোমরের পেশি শক্ত হয় এবং এই অংশের জমা মেদ দ্রুত কমে যায়। শরীরের নিম্নভাগের গঠন দৃঢ় করার জন্য স্কোয়াট একটি অপরিহার্য ব্যায়াম।

৩. পুশ-আপ: পুশ-আপ হলো শরীরের উপরের অংশ, অর্থাৎ বুক, বাহু এবং কাঁধের পেশিগুলোর গঠনকে দৃঢ় করার জন্য একটি আদর্শ ব্যায়াম। নিয়মিত পুশ-আপ চর্চা করলে পেশিগুলো শক্ত হয় এবং সামগ্রিকভাবে শরীরের স্ট্যামিনা বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. প্ল্যাঙ্ক: পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে এবং শরীরের ভারসাম্য বা কোর স্টেবিলিটি বজায় রাখতে প্ল্যাঙ্ক ব্যায়ামটি দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র ৩০ সেকেন্ড প্ল্যাঙ্ক করার মাধ্যমে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিলে শরীরের কেন্দ্রীয় পেশি বা 'কোর মাসল' মজবুত হয়।

৫. যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম বা ইয়োগা শরীর ও মনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় ঘটায়। এই চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, ঘুম ভালো করে এবং শরীরের নমনীয়তা (ফ্লেক্সিবিলিটি) বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই শরীর ও মন উভয়কে সুস্থ ও শান্ত রাখতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শরীর সুস্থ রাখতে কেবল নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক প্রশান্তিও প্রয়োজন। এই সবকিছুর নিয়মিত চর্চাই শরীর ও মনকে প্রাণবন্ত এবং সতেজ রাখতে পারে।


সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৮:২৯:১৭
সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় হালকা গরম পানি খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। তবে অনেকের জন্য খালি পেটে পানি খেলে বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে কিছু বিকল্প পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১. লেবু মধুর পানি: সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রয়োজনে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এই পানীয় ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।

২. গ্রিন টি: সকালের প্রথম চায়ে গ্রিন টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুল ও ত্বকের জন্য উপকারি। পাশাপাশি এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩. নারকেল বা ডাবের পানি: সকালে অল্প পরিমাণে নারকেল বা ডাবের পানি খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ হয়। তবে অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

৪. সবজির রস, বিশেষ করে বিটের রস: সবজির রস গ্রহণ স্বাস্থ্যকর বিকল্প। নিয়মিত বিটের রস খেলে ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়, শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয় এবং শরীরের ভিতরে জমা দূষিত পদার্থ বের করার মাধ্যমে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।

৫. আদা মিশ্রিত গরম পানি বা ভেষজ চা: আদা কুচি বা আদার রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ দিয়ে তৈরি চা, যেমন দারুচিনি ও গোলমরিচ যুক্ত চা, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে আরাম দেয়।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকালের এই পানীয়গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকবে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং দৈনন্দিন জীবনশৈলীতে সতেজতা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ ডিটক্সিফিকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২১:৪৩:৩৪
নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ
ছবিঃ সংগৃহীত

নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, গভীরভাবে যাচাই এবং সঠিক প্রস্তুতি। কেবল একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা থাকলেই সফলতা আসে না, বরং কীভাবে সেই ধারণাটিকে বাজারে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটিই নির্ধারণ করে একজন উদ্যোক্তার ভাগ্য। তাই ব্যবসা শুরুর পথে প্রথম ধাপেই ভুল এড়াতে চাইলে নতুন উদ্যোগ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক।

উদ্যোক্তা হওয়ার পথে প্রথম ৫ ধাপ

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সফল এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসার ভিত্তি স্থাপনের জন্য এই পাঁচটি ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

১. নিজের শক্তি ও সীমা চিহ্নিত করা: একটি ব্যবসা শুরু করার আগে সবচেয়ে জরুরি কাজটি হলো নিজেকে জানা। আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতা, আগ্রহ এবং অভিজ্ঞতা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার কোন যোগ্যতা বা বিশেষ অভিজ্ঞতাটি প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। নিজের সক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা পরিষ্কারভাবে বোঝার মধ্য দিয়েই একটি দৃঢ় এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসার ভিত্তি গড়ে ওঠে।

২. পণ্যের অনন্য মূল্য বা উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা: আপনার ব্যবসাটি বাজারে কেন আলাদা বা ব্যতিক্রমী? গ্রাহক কেন আপনার পণ্য বা সেবা অন্য কারো কাছ থেকে না কিনে আপনার কাছ থেকে কিনবে? এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তরই আপনার ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আপনার পণ্য বা সেবা কীভাবে মানুষের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করবে বা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সহজতা আনবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। একটি পরিষ্কার এবং অনন্য মূল্য প্রস্তাব বা 'ভ্যালু প্রপোজিশন' আপনার ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বাজারের ভিড়ে আপনাকে একটি আলাদা পরিচয় এনে দিতে সাহায্য করে।

৩. টেকসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা: একটি সফল ব্যবসা কখনোই কেবল একটি চমৎকার আইডিয়ার ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ওপর। আপনার ব্যবসার আয় কীভাবে হবে, কোথায় কোথায় খরচ হবে, এবং কোন অংশীদার বা সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে আপনি কাজ করবেন—এসব বিষয় পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী ও বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক মডেলই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকিয়ে রাখবে এবং স্থিতিশীলতা দেবে।

৪. বাস্তব পরীক্ষায় ধারণা যাচাই করা: আপনার ব্যবসায়িক ধারণাটি যতই ভালো হোক না কেন, সেটি বাস্তবে বাজারে টিকবে কি না, তা পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। এই কারণে, একটি ন্যূনতম কার্যকরী পণ্য বা 'মিনিমাম ভায়াবল প্রোডাক্ট' (MVP) তৈরি করে ছোট পরিসরে বাজারে পরীক্ষা করা উচিত। সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করুন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে আপনার পণ্য বা সেবাটি উন্নত করুন। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন—আপনার ধারণাটি বাজারে সত্যিই কার্যকর ও গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা।

৫. এক অনুপ্রেরণাদায়ী দল গঠন করা: একটি দ্রুত সফল এবং বড় ব্যবসার পেছনে সবসময় থাকে একটি শক্তিশালী ও নিবেদিত দল। তাই এমন মানুষদের বেছে নেওয়া উচিত যারা আপনার ব্যবসার লক্ষ্য ও মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে। দক্ষ, উদ্যমী, এবং সহযোগিতাপূর্ণ একটি দলই আপনার ব্যবসাকে দ্রুত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সফল ব্যবসা কেবল আইডিয়া বা প্রচুর মূলধনের ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ের উপর। তাই উদ্যোগ নেওয়ার আগেই এই পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হলে, আপনার ব্যবসার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।


ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২০:৪৭:৪০
ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যবহার করে ঠোঁট রক্ষা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা দিতে পারে ঠোঁট ফাটা এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠোঁটের যত্ন কেবল ঠান্ডা তীব্র হওয়ার পরই শুরু করলে চলে না, বরং শীতের শুরুতেই এই যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাই পুরো শীতকালজুড়ে ঠোঁট নরম, কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে ৪টি সহজ যত্নের অভ্যাস আজ থেকেই শুরু করা জরুরি।

শীতকালে ঠোঁটের যত্নে ৪টি অত্যাবশ্যকীয় অভ্যাস

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত অনুসরণ করলেই শীতের রুক্ষতা থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা সম্ভব।

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: ঠোঁটের যত্নের ক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরীণ হাইড্রেশন বা জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে ঠোঁটও দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই শীতকালে তাপমাত্রা কমলেও দিনে অন্তত আট গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। এতে ঠোঁট প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।

২. গুণগত মানের লিপ বাম ব্যবহার: শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করলেই ঠোঁটের যত্ন সম্পূর্ণ হয় না। ঠোঁটের জন্য প্রয়োজন ভালো মানের লিপ বাম, যা দীর্ঘ সময় আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। লিপ বামে যেন শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা-র মতো উপাদান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, দিনের বেলায় রোদে বের হলে অবশ্যই এসপিএফ (SPF) যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করবে এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করবে।

৩. নিয়মিত ঠোঁট স্ক্রাব করা: মৃত কোষ জমে থাকার কারণে ঠোঁট দ্রুত রুক্ষ ও ফাটা দেখায়। এই সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে অন্তত একবার ঠোঁট স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এর জন্য এক চামচ চিনি বা কফির সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে হালকা হাতে ঠোঁটে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া ঠোঁটের উপরের মৃত কোষের স্তর দূর করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট থাকে মসৃণ ও নরম।

৪. ঠোঁটে জিভ বোলানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া: ঠোঁট শুকিয়ে গেলে অনেকে অভ্যাসবশত জিভ বোলান। আপাতদৃষ্টিতে এটি আরামদায়ক মনে হলেও, এই অভ্যাস ঠোঁটকে আরও দ্রুত শুকিয়ে দেয়। এর কারণ হলো, মুখের স্যালিভা বা লালারস বাষ্পীভূত হওয়ার সময় ঠোঁটের নিজস্ব আর্দ্রতাকেও শুষে নেয়। তাই ঠোঁট শুকিয়ে গেলে এই ক্ষতিকর অভ্যাসটি বাদ দিয়ে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকাল মানেই ত্বক শুকনো আর ঠোঁট ফাটা—এই ধারণা বদলানো সম্ভব সামান্য সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে। আজ থেকেই এই সহজ অভ্যাসগুলো শুরু করলে পুরো শীতজুড়ে ঠোঁট থাকবে হাসির মতোই সতেজ।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৬:২৩:১১
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ সালের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বল্পমেয়াদী অনলাইন কোর্সের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। এই উদ্যোগের ফলে এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই অক্সফোর্ডের বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য একটি নিবন্ধন লিংক প্রকাশ করেছে।

শিক্ষার্থীরা যেভাবে উপকৃত হবেন

অক্সফোর্ডের এই অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সুবিধা লাভ করবেন, যার প্রধান আকর্ষণ হলো এটি শতভাগ বিনামূল্যে উপলব্ধ। এই কোর্সগুলো মূলত স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে শেখার স্বাধীনতা ও নমনীয় পরিবেশ পাবেন। ফলস্বরূপ, কর্মব্যস্ততা বা অন্যান্য বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা সহজে তাদের জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

এই কোর্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শিক্ষার্থীরা সরাসরি অক্সফোর্ডের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এটি একটি বিরল সুযোগ, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের একাডেমিক অভিজ্ঞতার অংশীদার করে তুলবে। বিনা খরচে এই সুযোগ পাওয়ায় বিশ্বমানের শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার প্রসারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আগ্রহীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। কোর্সে অংশগ্রহণ করতে এখানে ক্লিক করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে: https://bit.ly/47BodV4

তথ্যসূত্র: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University)


ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১২:০৪:৩৩
ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়
ছবি: সংগৃহীত

আসছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধনবিহীন বা অনুমোদনবিহীন মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন থেকে কার্যকর হবে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর) ব্যবস্থা, যা দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।

বিটিআরসি জানায়, প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ব্যবহারকৃত সিমকার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই শনাক্তযোগ্য হবে।

১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন যে কোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। বৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের আলাদা কোনো নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন হবে না।

যদি গ্রাহকের হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে যায়, তবে তারা neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটের সিটিজেন পোর্টাল, এনইআইআর মোবাইল অ্যাপ অথবা মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোনো সময়ে সেটি লক বা আনলক করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ব্যবহারকারীরাও ইউএসএসডি চ্যানেল (*১২১# ডায়াল করে) অথবা নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এনইআইআর কার্যকর হওয়ার ফলে দেশের বাজারে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে, চুরি ও অবৈধ ফোন ব্যবহারের মাত্রা কমবে এবং নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মাণে সহায়ক হবে।

-শরিফুল


জানুন দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব 

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১১:৪৩:৩০
জানুন দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব 
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধের নিয়মিত সেবন আয়ু হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, মধ্যবয়সী ও প্রবীণ ব্যক্তিরা যদি ঘুমের ওষুধ ব্যবহার কমান বা সম্পূর্ণ বন্ধ করেন, তবে তারা সুস্থভাবে বার্ধক্যকাল পার করতে পারেন এবং চিকিৎসা খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হবেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের ওষুধ বন্ধ করলে বিভিন্ন ঝুঁকি প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে, মানসিক অবক্ষয় বা কগনিটিভ দুর্বলতার হার ২ শতাংশ পর্যন্ত ধীর হয়, এবং গড় আয়ু অন্তত এক মাসেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসার খাতে হাজার হাজার ডলারের সাশ্রয় সম্ভব।

এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেফার সেন্টার ফর হেলথ পলিসি অ্যান্ড ইকনমিকসের গবেষক হেনকে হ্যাভেন জনসন। তিনি বলেন, বয়স্কদের মধ্যে ঘুমের ওষুধের ব্যবহার কমানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে দৃঢ় করে। এতে তারা আরও নিরাপদ, সক্রিয় ও স্বাবলম্বী জীবনযাপন করতে পারেন।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সির প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ নিয়মিত ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করেন। যদিও চিকিৎসকরা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে আসছেন, অনিদ্রা ও মানসিক সমস্যা এই বয়সিদের মধ্যে প্রচলিত। বিশেষত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সির মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন, যা বিষণ্নতা, উদ্বেগ, হৃদরোগ ও ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের ফলে স্লিপওয়াকিং বা দুঃস্বপ্নের প্রবণতাও বেড়ে যায়।

ফেডারেল হেলথ অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট স্টাডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বন্ধ করার পর সবচেয়ে বেশি উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। এই বয়সিদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক সতর্কতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং গড় আয়ুও তুলনামূলকভাবে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ঘুমের ওষুধের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ফর ইনসমনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দেন। এই থেরাপি ঘুমের ধরণ, জীবনধারা ও চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনে, যা দীর্ঘমেয়াদে অনিদ্রা কমাতে সাহায্য করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। সিনিয়র গবেষক ড. জেসন ও তার সহকর্মীরা উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা নিয়ন্ত্রণে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা বিপজ্জনক হতে পারে।

তাদের পরামর্শ, প্রবীণদের উচিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নন-ড্রাগ পদ্ধতি গ্রহণ করা, বিশেষত কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ফর ইনসমনিয়ার মতো নিরাপদ পদ্ধতি। গবেষণার ফলাফলের আলোকে দেখা গেছে, লাখো প্রবীণ যদি এই বিকল্প পথে হাঁটেন, তবে তাদের মানসিক সতর্কতা, শারীরিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক জীবনমান সব ক্ষেত্রেই দৃঢ় উন্নতি ঘটবে।


ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২১:২৩:০৩
ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
ছবিঃ সংগৃহীত

দেখতে বয়স কম, কিন্তু আয়নায় তাকালে চোখের নিচে কালি, মুখে ক্লান্ত ভাব—এমন অভিজ্ঞতা আজকাল অনেকেরই। অথচ এর পেছনে মূল কারণ থাকে আমাদেরই অজান্তে গড়ে তোলা কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসে। রাত জাগা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, খাবারে অনিয়ম এবং শরীরচর্চায় অলসতা—এসবই ধীরে ধীরে ত্বককে নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া করে দেয়। ত্বকের যত দামি যত্নই নেওয়া হোক না কেন, এই ছোট ছোট ভুলগুলো না বদলালে তার ফলাফল দেখা দেবে আয়নায়, বয়সের আগেই।

ত্বকের তারুণ্য নষ্টকারী ৬টি অভ্যাস

১. রাত জেগে মোবাইল স্ক্রল করা রাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করা এবং সকালে অ্যালার্মের শব্দে তাড়াহুড়া করে ওঠা—এই রুটিন ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঘুমের ঘাটতিতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না, ফলে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ ও ক্লান্ত।

২. বেশি মিষ্টি ও প্রসেসড খাবার খাওয়া চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও শত্রু। এগুলো ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়, ফলে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি ও বাদামজাতীয় খাবার রাখা জরুরি।

৩. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া দিনভর ব্যস্ততায় অনেকেই পানি খেতে ভুলে যান। পর্যাপ্ত পানি ত্বককে রাখে আর্দ্র, মসৃণ ও টানটান। শরীরে পানির ঘাটতি হলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৪. শরীরচর্চায় অনীহা একটানা বসে কাজ করা বা মোবাইল স্ক্রল করায় রক্তসঞ্চালন কমে যায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতায়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ও ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।

৫. মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগা চাপ ও অবসাদ শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, ফলে ত্বকও ক্লান্ত দেখায়। নিজেকে কিছুটা সময় দিয়ে, গভীরভাবে শ্বাস নিলে মন ভালো থাকে এবং ত্বকও জ্বলে ওঠে।

৬. অতিরিক্ত ত্বকচর্চার সামগ্রী ব্যবহার বাজারের প্রতিটি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার মানেই যে ভালো ফল মিলবে—তা নয়। বরং অতিরিক্ত প্রসাধনী ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুকু দরকার, ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত।

এই ছয়টি বদভ্যাস যদি আপনারও থেকে থাকে, এখনই বদলে ফেলুন। ত্বকের যত্ন মানেই দামি ক্রিম নয়; বরং সঠিক ঘুম, সঠিক খাবার ও সঠিক অভ্যাসই পারে ত্বকে ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৮:৩০:৪৫
স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা অনেকেরই থাকে; কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে সেই ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিতে পারে না। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে; যেখানে কম খরচে ঘুরে আসা সম্ভব। এই দেশগুলোতে ভিসা ফি থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া ও পরিবহন খরচ পর্যন্ত সবই তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।

বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ সহজ ভিসা প্রক্রিয়া; নিরাপদ পরিবেশ এবং স্বল্প ব্যয়ে ঘোরাঘুরির সুযোগের কারণে বাজেট ভ্রমণকারীদের কাছে এখন জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। পর্যটক ভিসার খরচ, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে সহজেই এমন একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করা যেতে পারে; যা আনন্দদায়ক ও অর্থসাশ্রয়ী দুটোই হবে।

চলুন জেনে নিই—কম খরচে ঘুরে আসার মতো এমন কিছু দেশের নাম; যেখানে অল্প বাজেটেই উপভোগ করতে পারবেন স্মরণীয় এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

১. নেপাল: নেপালের ভিসা খরচ অত্যন্ত কম। ১৫ দিনের জন্য খরচ পড়ে প্রায় ৩,৬০০ টাকা; ৩০ দিনের জন্য প্রায় ৬,০০০ টাকা এবং ৯০ দিনের জন্য প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এমন সাশ্রয়ী খরচ এবং সহজে ভিসা বাড়ানোর সুবিধার কারণে নেপাল হিমালয়ের দিকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বাজেটবান্ধব দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।

২. কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাশ্রয়ী ভিসা সুবিধাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি। ৩০ দিনের পর্যটক ভিসার খরচ মাত্র প্রায় ৩,৬০০ টাকা; আর সাধারণ ই-ভিসার খরচ প্রায় ৪,২০০ টাকা। ২০২৫ সালে এই সাশ্রয়ী খরচ ভ্রমণকারীদের আর্কন ওয়াটের প্রাচীন মন্দির, ফ্রোমপেনহের ঐতিহাসিক স্থান এবং কামপট ও কেপের সমুদ্রসৈকত ঘুরতে আকৃষ্ট করছে।

৩. জর্ডান: জর্ডানে ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার খরচ প্রায় ৪০ জর্ডানীয় দিনার, অর্থাৎ প্রায় ৭,০০০ টাকা। এই খরচ অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম। যারা পেত্রা, ডেড সি বা ওয়াদি রুম মরুভূমি দেখতে চান, তাদের জন্য এই খরচ যুক্তিসঙ্গত। জর্ডান পাস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার খরচও মওকুফ করা হয়।

৪. তানজানিয়া: তানজানিয়ার পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬,১০০ টাকা এবং সেখানে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেরেনগেটির সাফারি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জাঞ্জিবারের সৈকত ভ্রমণের জন্য এই খরচ অত্যন্ত কম।

৫. উগান্ডা: উগান্ডার পর্যটক ভিসার খরচও প্রায় ৬,১০০ টাকা এবং এটি ৯০ দিনের জন্য বৈধ। উগান্ডা তার পর্বত গোরিলা, জাতীয় উদ্যান এবং নীলনদের উৎস হিসেবে পরিচিত। পর্বত গোরিলা দেখার জন্য বুইন্দি ইমপেনেট্রেবল জাতীয় উদ্যান সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।

এই দেশগুলো বাজেট সচেতন পর্যটকদের জন্য সহজে ভ্রমণ এবং সাশ্রয়ী ভিসার সুবিধা দেয়; সময়-সুযোগ থাকলে পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন।


দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:৩০:৪৭
দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
ছবি: সংগৃহীত

দাম্পত্য জীবনে স্বাভাবিকভাবে মতের অমিল এবং আচরণগত পার্থক্য দেখা দেয়। তবে এই পার্থক্য যদি তিক্ততা ও বিরূপ মনোভাবের রূপ নেয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক নারী ধৈর্যশীল এবং সহনশীল মনোভাবের অধিকারী হন। তারা মানসিক ও আবেগিক দক্ষতার মাধ্যমে জীবনের নানা সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম হন, বিশেষত স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এমন নারীরা সংসারের গোপনীয়তা রক্ষাকে একটি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন এবং দায়িত্বশীলভাবে তা পালন করেন।

অন্যদিকে, কিছু নারী অস্থির মেজাজের হন। সামান্য কারণে অভিযোগ তুলতে থাকেন, ছোটখাটো বিষয়েও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলে পারিবারিক অশান্তি বৃদ্ধি পায়, যা অনেক সময় বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।

ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী, স্বামীর আয় বা জীবিকা নিয়ে অযথা অভিযোগ করা নিষিদ্ধ। স্ত্রীর উচিত স্বামীর উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকা এবং তার সাধ্য অনুযায়ী দেওয়া জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা। নবী করিম (সা.) হাদিসে সতর্ক করেছেন, অধিকাংশ নারী জাহান্নামে থাকবে কারণ তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ। তাই দাম্পত্য জীবনে কৃতজ্ঞতা এবং ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য।

গোপনীয়তা রক্ষা – সম্পর্কের অটুট বন্ধন

দাম্পত্য জীবনের গোপন তথ্য অন্যের সঙ্গে ভাগ করা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। বন্ধুর বা আত্মীয়ের সঙ্গে স্বামীর বিষয় নিয়ে গসিপ করা কখনোই সমীচীন নয়। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করেছেন, ধার্মিক স্ত্রী স্বামীর অনুপস্থিতিতেও তার মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “সেরা নারী সে, যাকে দেখে স্বামী আনন্দ পায়; আদেশ দিলে মান্য করে; অনুপস্থিতিতে সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ রক্ষা করে।”

স্বামীকে সম্মান ও ইতিবাচক মনোভাব দেখানো

স্ত্রীর উচিত স্বামীর প্রশান্তি ও ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়ে রাখা। তার কর্ম, শিক্ষা বা আয়কে ছোট করে দেখা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্বামীকে কখনো আবেগহীন বা উদাসীন বলে অভিযুক্ত করবেন না। বরং সামান্য কর্মকাণ্ডকেও প্রশংসা করুন এবং তাকে মূল্যায়ন করুন। স্বামীকে টেলিভিশন বা সিনেমার নায়কের সঙ্গে তুলনা করা ক্ষতিকর। বরং তার ধর্মপ্রাণ, যত্নশীল এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ চরিত্রের প্রশংসা করুন।

অযথা তর্ক ও উচ্চস্বরে কথা বলা এড়ানো

যে নারীরা স্বামীর সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন, তাদের সংসারে শান্তি থাকে না। মতবিরোধ হলে শান্তভাবে আলাপ করুন। সবার সামনে বা সন্তানদের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। একান্তে নরম স্বরে বোঝালে স্বামী সহজেই বোঝবেন। পুরুষদের প্রকৃতিতে অহংকার ও আবেগ থাকে; তাই কোমলভাবে আচরণ করাই উত্তম।

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানো

উদাহরণস্বরূপ, স্বামী যদি দেরিতে বাড়ি ফেরেন, চিৎকার না করে বোঝান আপনি তাকে মিস করেছেন বা একা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। এতে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ছোটখাটো মিথ্যা ধরার চেষ্টা করবেন না, বিশেষ করে যদি তা সম্পর্ক ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে বলা হয়।

দাম্পত্য অধিকারে সচেতন থাকা

স্বামী যখন ঘনিষ্ঠতার আহ্বান জানায়, অযথা অজুহাত দেখানো গুরুতর অপরাধ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে স্ত্রী স্বামীর আহ্বান অগ্রাহ্য করে তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে দেয়, ফেরেশতারা তাকে অভিশাপ দেয়।

ঈর্ষা ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকা

অতিরিক্ত হিংসা ও সন্দেহ দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য বিষক্রিয়ার মত কাজ করে। স্বামীর ফোন, মেসেজ বা ব্যক্তিগত জিনিস দেখার চেষ্টা, অকারণ ঈর্ষা সবই সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

বিচ্ছেদ থেকে বিরত থাকা

কোনো কারণ ছাড়া তালাক চাওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে নারী বিনা কারণে তালাক চায়, তার জন্য জান্নাত হারাম।” তাই ‘তালাক’ শব্দটি কখনো ব্যবহার করবেন না। এটি শুধুমাত্র সন্তানের জীবনে অস্থিরতা এবং মানসিক প্রভাব তৈরি করে।

সফল দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে হলে কৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, ইতিবাচক মনোভাব, সততা, গোপনীয়তা রক্ষা এবং শান্তভাবে মতবিরোধ সমাধান করা অপরিহার্য। নারীর আচরণ যদি এই নৈতিক ও ধর্মীয় নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক সুগভীর ও স্থায়ী হয়।

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত