ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ২২:১২:৩৩
ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে অনিদ্রা এখন অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। রাতে ঘুম না আসার এই সাধারণ সমস্যার সমাধানে অনেকেই ঘুমের ওষুধের শরণাপন্ন হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকৃতির দিকে ফিরে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ আমাদের ঘরোয়া রান্নাঘরেই এমন কিছু সাধারণ খাবার মজুত আছে, যা নিয়মিত খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে ঘুম হতে পারে গভীর ও প্রশান্তিময়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঘুমের ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য ছয়টি কার্যকর খাবার সম্পর্কে

১. গরম দুধ-হলুদ: দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে ঘুম আনতে সহায়তা করে। এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে আসে, মন শান্ত হয় এবং সহজে ঘুম আসে। প্রাচীনকাল থেকে পরীক্ষিত এই ঘরোয়া উপায় আজও কার্যকর।

২. কলা: কলা শুধু শরীরের পুষ্টিই যোগায় না, এটি ভালো ঘুমেরও কারণ হতে পারে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। রাতে শুতে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে একটি কলা খেলে শরীর দ্রুত ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।

৩. গুড়: গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়ক। হালকা গরম দুধ বা জলের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে মন শান্ত হয় ও ঘুম ভালো হয়। এছাড়াও, গুড় হজমে সাহায্য করায় রাতের ঘুম আরও স্বস্তিদায়ক হয়।

৪. ওটস বা ডালিয়া: ওটস বা ডালিয়ায় জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা মেলাটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। রাতে হালকা গরম দুধ দিয়ে ডালিয়া বা ওটস খেলে তা কেবল পেট ভরায় না; বরং মস্তিষ্ককেও ঘুমের সংকেত দিয়ে দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে।

৫. বাদাম ও কিশমিশ: আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্নায়ুর উত্তেজনা কমিয়ে তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কিশমিশের প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায়। একমুঠো বাদাম ও কিছুটা কিশমিশ ঘুমের আগে খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

৬. ভাত ও ডাল: অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভাত ও ডালের সংমিশ্রণ ঘুমের জন্য উপকারী। এই সহজ খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সমন্বয় শরীরে ট্রিপটোফ্যানের উৎপাদন বাড়ায়, যা ধীরে ধীরে শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রাতে হালকা গরম ভাত ও ডাল খেলে সহজে ঘুম আসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভর না করে এই ছয়টি খাবার নিয়মিতভাবে খাদ্যাভ্যাসে রাখলে শরীর ও মন প্রাকৃতিকভাবেই ঘুমের ছন্দে ফিরে যেতে পারে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


মাত্র ৩ সপ্তাহেই বিদায় জানান সিগারেটকে: জানুন জাদুকরী ৩-৩-৩-৩ নিয়ম 

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১২:২২:৪৮
মাত্র ৩ সপ্তাহেই বিদায় জানান সিগারেটকে: জানুন জাদুকরী ৩-৩-৩-৩ নিয়ম 
ছবি : সংগৃহীত

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া অনেকের কাছেই এক অসাধ্য সাধন বা বিশাল চ্যালেঞ্জ মনে হলেও সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে এই মরণনেশা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জানালার বাইরে তাকালেই কাউকে না কাউকে সিগারেট হাতে দেখা যায় এবং এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাই অবগত থাকার পরেও আসক্তির কারণে এটি ছাড়তে পারেন না তবে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটি সহজ ও কার্যকর ‘৩-৩-৩-৩’ পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন যা ধূমপায়ীদের জন্য আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে। ডা. নারায়ণের মতে ধূমপান ছাড়তে না পারার মূল কারণ হলো মস্তিষ্কে নিকোটিনের গভীর প্রভাব যা শরীরকে নেশার দাসে পরিণত করে এবং একবার দেহে প্রবেশ করার পর নিকোটিন সহজে বের হতে চায় না।

ধূমপান ছাড়ার প্রক্রিয়ায় ‘ক্রেভিং’ বা হঠাৎ করে কোনো জিনিসের প্রতি নিয়ন্ত্রণহীন আকর্ষণ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক এবং সাধারণত সিগারেট ছাড়ার প্রথম দুই-তিন দিন শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই আকাঙ্ক্ষা তীব্র আকার ধারণ করে যার ফলে মন খিটখিটে বা অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডা. নারায়ণ ‘৩-৩-৩-৩’ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে যে ধূমপান ছাড়ার প্রথম তিন সপ্তাহ হলো সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে হাতের কাছে চুইংগাম, চকোলেট বা লজেন্স রাখা এবং নিজের মনের জোর ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি কারণ ক্রেভিং সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় তাই সেই মুহূর্তটিতে নিজেকে অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত রাখলে নেশার আকর্ষণ প্রতিহত করা সম্ভব।

চিকিৎসকের মতে প্রথম তিন সপ্তাহ কষ্ট করে পার করতে পারলে পরবর্তী তিন মাসে ধূমপান ছাড়ার প্রতি নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং যদি কেউ টানা তিন বছর সিগারেট ছাড়া থাকতে পারেন তবে তাকে সম্পূর্ণ নেশামুক্ত বলা যায়। ডা. নারায়ণ আরও পরামর্শ দেন যে প্রয়োজনে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া যেতে পারে এবং ধূমপায়ী বন্ধুদের এড়িয়ে চলা বা নিজেকে ব্যস্ত রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। তিনি সতর্ক করে বলেন যে ধূমপান কেবল একটি সাধারণ নেশা নয় বরং এটি জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় এবং বিশেষ করে ওরাল ক্যান্সার ও ফুসফুসের জটিল সমস্যার প্রধান কারণ তাই সময় থাকতেই এই ৩-৩-৩-৩ নিয়ম অনুসরণ করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা একান্ত জরুরি।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা


মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ০৯:৫৫:২৪
মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
ছবি : সংগৃহীত

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে রক্তে শর্করার মাত্রা বা এইচবিএ১সি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব একটা জটিল বিষয় নয় এবং প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্ডোর মতে দৈনন্দিন মাত্র পাঁচটি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললেই ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকা সম্ভব। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে এই অভ্যাসগুলো সম্মিলিতভাবে শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং খাওয়ার পর রক্তে শর্করার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করার পাশাপাশি শরীরে গ্লুকোজ জমা হওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফার্নান্ডো তার পরামর্শে উল্লেখ করেছেন যে মানুষের শরীরের পেশি হলো সবচেয়ে বড় অঙ্গ যা গ্লুকোজ জমা রাখতে পারে তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক এবং দুই থেকে তিন দিন শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করলে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।

গবেষণায় দেখা গেছে দেহের মোট ওজনের সাত থেকে দশ শতাংশ কমাতে পারলে লিভারের গ্লুকোজ উৎপাদন ক্ষমতা এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অন্যতম চাবিকাঠি। পুষ্টিবিদরা খাওয়ার সময়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে জানিয়েছেন যে দৈনিক খাবার গ্রহণ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা উচিত এবং মধ্যরাতে খাবার এড়িয়ে চললে অগ্ন্যাশয় প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় যা শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন যে কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এবং বেশি পরিমাণে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার যেমন চর্বিহীন প্রোটিন বাদাম ও মাছ খাদ্যতালিকায় রাখলে খাওয়ার পর রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করা যায় এবং ইনসুলিন আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

এছাড়া খাওয়ার পরপরই শুয়ে বসে না থেকে অন্তত ১০ মিনিট হাঁটাচলা করা বা লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করার মতো ছোট ছোট শারীরিক কসরত রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। ফার্নান্ডোর মতে যারা নিয়মিত এই পাঁচটি নিয়ম মেনে চলেন তাদের ক্ষেত্রে জটিল ও ব্যয়বহুল ওষুধের ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যায় এবং তারা দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।


শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জাদুকরী ৫টি টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ২০:৫৯:২১
শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জাদুকরী ৫টি টিপস
ছবি : সংগৃহীত

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় যা কেবল সৌন্দর্যহানিই করে না বরং প্রচণ্ড অস্বস্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত পাতলা এবং এতে কোনো প্রাকৃতিক তেলগ্রন্থি না থাকায় এটি খুব দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় 'কেইলাইটিস' বলা হয়। সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তন বা শুষ্ক বাতাস এর প্রধান কারণ হলেও সূর্যের তীব্র অতিবেগুনি রশ্মি, শরীরে পানির ঘাটতি কিংবা ভিটামিন বি ও আয়রনের অভাবজনিত কারণেও এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাসটি সাময়িক আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ঠোঁটের নাজুক চামড়াকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।

ঠোঁট ফাটার সমস্যাটি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে যেমন অতিরিক্ত রোদে পোড়ার কারণে অ্যাক্টিনিক কেইলাইটিস, ঠোঁটের কোণায় ফাঙ্গাল সংক্রমণের ফলে অ্যাঙ্গুলার কেইলাইটিস কিংবা কোনো প্রসাধনী বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কন্টাক্ট বা ড্রাগ-ইনডিউসড কেইলাইটিস দেখা দিতে পারে। ঠোঁট খসখসে হয়ে যাওয়া, চামড়া উঠে আসা, তীব্র জ্বালাপোড়া এবং খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা অনুভব করা এমনকি রক্তপাত হওয়া এই সমস্যার সাধারণ উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে শরীরকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি নিয়মিত মানসম্মত লিপবাম বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি বিশেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

লিপবাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন কারণ সুগন্ধিযুক্ত, মেন্থল, ইউক্যালিপটাস বা অতিরিক্ত মোমযুক্ত পণ্য ঠোঁটের শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে পেট্রোলিয়াম জেলি, গ্লিসারিন, সিরামাইড বা মিনারেল অয়েল সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং ঘুমানোর আগে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার বা লিপ অয়েন্টমেন্ট লাগালে সারারাত ঠোঁট আর্দ্র থাকে। তবে যদি দীর্ঘসময় ধরে ঘরোয়া যত্ন নেওয়ার পরেও ঠোঁট ফাটা না কমে, তীব্র ব্যথা বা রক্তপাত অব্যাহত থাকে এবং ঠোঁটের চারপাশে র‍্যাশ বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় তবে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ এটি বড় কোনো শারীরিক অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড হসপিটাল ও সামা


শীতে পুরুষদের স্মার্ট লুকের ৮টি দুর্দান্ত আউটফিট

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:২৫:১১
শীতে পুরুষদের স্মার্ট লুকের ৮টি দুর্দান্ত আউটফিট
ছবি : সংগৃহীত

শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং এই সময়ে পোশাকে উষ্ণতার পাশাপাশি স্টাইল বজায় রাখা অনেকের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় অনেকেই একাধিক কাপড়ের আস্তরণে নিজেকে মুড়িয়ে ফেলেন বটে তবে ফ্যাশন সচেতনরা মনে করেন শীতকালই মূলত টেক্সচার ফ্যাব্রিক এবং লেয়ারিং নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। মিটিং হোক বা সপ্তাহান্তের কোনো ট্রিপ সঠিক পোশাক নির্বাচন আপনাকে একইসঙ্গে দেবে আরাম এবং অন্যের চোখে করে তুলবে আকর্ষণীয়। ফ্যাশন বোদ্ধারা বলছেন শীতের স্টাইল মানে কেবল ঠান্ডা থেকে বাঁচা নয় বরং এটি নিজের ব্যক্তিত্বকে পোশাকে ফুটিয়ে তোলার এক দারুণ সুযোগ।

কর্মব্যস্ত পুরুষদের জন্য অফিসের লুকে আভিজাত্য আনতে নিউট্রাল বা গাঢ় রঙের টার্টলনেক সোয়েটারের সঙ্গে উলের ব্লেজারের সমন্বয় এক অনন্য সাধারণ পছন্দ হতে পারে। এর সঙ্গে টেইলরড চিনো প্যান্ট এবং চকচকে লেদার বুট পরলে করপোরেট লুকে একটি পরিপাটি ভাব আসে যা পেশাদারিত্বের ছাপ রাখে। অন্যদিকে যারা একটু ফরমাল থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য নেভি বা ধূসর রঙের স্লিম ফিট স্যুটের ওপর একটি দীর্ঘ ওভারকোট চাপিয়ে নেওয়া হতে পারে শীতের ক্লাসিক উদাহরণ যা অফিস থেকে শুরু করে যেকোনো হাই প্রোফাইল ইভেন্টে মানানসই।

তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্যাজুয়াল লুক বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় হুডির কদর সবসময়ই বেশি এবং এর ওপর একটি বোম্বার জ্যাকেট জড়িয়ে নিলে তা একইসঙ্গে উষ্ণতা ও স্টাইল নিশ্চিত করে। সাধারণ টি শার্টের ওপর ফ্লানেল ওভারশার্ট এবং রিল্যাক্সড ফিট জিন্স পরলে তা দৈনন্দিন চলাফেরায় বেশ আরামদায়ক হয়। যারা একটু সাহসী ও বোল্ড লুক পছন্দ করেন তাদের জন্য ক্লাসিক কালো লেদার জ্যাকেটের নিচে গ্রাফিক টি শার্ট এবং রিপড জিন্স একটি পার্টি রেডি কম্বিনেশন হতে পারে।

রাতের কোনো জাঁকজমকপূর্ণ পার্টিতে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে ভেলভেট ব্লেজারের সঙ্গে ডার্ক চিনো বা ট্রাউজার এবং পকেটে একটি পকেট স্কয়ার যোগ করলে তা অত্যন্ত এলিগ্যান্ট দেখায়। এছাড়া শীতকালীন বিয়ে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী ডার্ক টোনের বন্ধগলা স্যুটের সঙ্গে কাশ্মিরি শালের ব্যবহার এক রাজকীয় ও সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করে। মডার্ন লুকের ক্ষেত্রে ডাবল ব্রেস্টেড ব্লেজারের নিচে টার্টলনেক পরা এখনকার সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন্ড যা স্মার্ট ক্যাজুয়াল হিসেবে দারুণ মানায়।

শীতের ফ্যাশনে সঠিক কাপড় বা ফ্যাব্রিক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ উল বা ক্যাশমিয়ারের মতো উপাদান শরীরকে উষ্ণ রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। পোশাক পরার ক্ষেত্রে লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে কাপড় পরার সঠিক নিয়ম মানলে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না যেমন প্রথমে থার্মাল এরপর শার্ট বা সোয়েটার এবং সবশেষে জ্যাকেট বা কোট পরা উচিত। স্কার্ফ গ্লাভস বা টুপির মতো অ্যাক্সেসরিজগুলো শুধু শীতই আটকায় না বরং এগুলো সাধারণ জিন্স সোয়েটারের লুকেও এক ধরনের স্মার্টনেস যোগ করে। পরিশেষে বলা যায় রঙের সঠিক ব্যবহার এবং টেক্সচারের মিশ্রণ ঘটিয়ে শীতেও আপনি হয়ে উঠতে পারেন ফ্যাশন আইকন।

সূত্র : ব্রাইট সাইড


মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ উপায়, বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে করণীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:৩১:৫৫
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ উপায়, বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে করণীয়
ছবি : সংগৃহীত

মুখে দুর্গন্ধ এমন এক সমস্যা যা অনেক সময় ছোট মনে হলেও দৈনন্দিন জীবনে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কথা বলার সময় বা কারো কাছাকাছি গেলে এই দুর্গন্ধ আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে মানুষকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু সাধারণ অভ্যাস ও সচেতন যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সাধারণত মুখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দাঁত ও মাড়ির রোগ এবং জিহ্বায় জমে থাকা ময়লা দুর্গন্ধের মূল কারণ। এছাড়া মুখ শুকিয়ে যাওয়া ধূমপান এবং অতিরিক্ত কফি বা ঝাল খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক বা সাইনাসের সমস্যা কিংবা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণেও এমনটা ঘটে। তাই এই সমস্যা সমাধানে সবার আগে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দিনে অন্তত দুবার ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা এবং দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করতে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি। জিহ্বায় জমে থাকা জীবাণু দুর্গন্ধের বড় উৎস তাই সবসময় জিহ্বা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি কারণ মুখ শুকিয়ে গেলে দুর্গন্ধের তীব্রতা বাড়ে। পাশাপাশি অ্যালকোহলবিহীন মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পেঁয়াজ রসুন ও কফি এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান পরিহার করাও আবশ্যিক কারণ এটি শুধু দুর্গন্ধই নয় মাড়ির রোগও বাড়ায়। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য লবঙ্গ মৌরি বা এলাচ চিবানো যেতে পারে। তবে নিয়মিত যত্ন নেওয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ না কমে তবে দ্রুত দন্ত চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ এটি শরীরের অন্য কোনো জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে।


আজকের রাশিফল: জেনে নিন সোমবার কার কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:১৬:৪৯
আজকের রাশিফল: জেনে নিন সোমবার কার কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

আজকের দিনে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আজ আপনার ওপর দেবগুরু বৃহস্পতি, গ্রহমাতা চন্দ্র ও বুদ্ধির দেবতা বুধের প্রভাব বিদ্যমান। আজ আপনার ক্যারিয়ার ও ব্যবসায় চমকপ্রদ সাফল্যের যোগ রয়েছে। তবে দাম্পত্য জীবনে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

একনজরে ১২ রাশির পূর্বাভাস

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের সুযোগ আসবে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন, পরিবারে নতুন অতিথির আগমন ঘটতে পারে।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): পিতা-মাতার পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। সব দিক থেকে উন্নতির যোগ রয়েছে। রোগমুক্তি ও বিদেশ ভ্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): রাজকীয় দিন কাটবে। ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে এবং শত্রুরা পিছু হটবে। সফলতার চাবি আপনার হাতেই থাকবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হবে। দূর থেকে অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। দাম্পত্য কলহ এড়াতে সঙ্গীর মতামতকে গুরুত্ব দিন।

সিংহ (২১ জুলাই-২০ আগস্ট): কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি ও ব্যবসায় লাভ হবে। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসবে। তবে দ্রুতগতির বাহন এড়িয়ে চলুন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): খরচে রাশ টানুন, নতুবা ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে। সন্তানদের আচরণে কষ্ট পেতে পারেন। নেশা ও জুয়া থেকে দূরে থাকুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে বিরোধ হতে পারে। আর্থিক সংকট ও দাম্পত্য কলহ সামাজিক কলহে রূপ নিতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে। বিদেশ থেকে লাভ ও ভালো সংবাদ পাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি শুভ।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): অর্থভাগ্য তুঙ্গে। হারানো সম্পদ ফিরে পেতে পারেন এবং ঋণমুক্তির পথ খুলবে। সপরিবারে ভ্রমণের যোগ রয়েছে।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): হাতে থাকা সব কাজ সফল হবে। নতুন বাড়ি বা গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। প্রেম ও রোমান্সে শুভ সময়।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): ঘরে নতুন আসবাবপত্র আসবে এবং বৈদশিক যোগাযোগে লাভবান হবেন। তবে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। বিবাহযোগ্যদের বিয়ের কথা এগোবে এবং পারিবারিক ভ্রমণের যোগ রয়েছে।


শুক্রাণুর মান ধ্বংস করছে অনিদ্রা ,পুরুষের জন্য বড় সতর্কবার্তা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:০৮:৩২
শুক্রাণুর মান ধ্বংস করছে অনিদ্রা ,পুরুষের জন্য বড় সতর্কবার্তা
ছবি : সংগৃহীত

কাজের চাপ মানসিক দুশ্চিন্তা কিংবা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেরই এখন মাঝে মাঝে ঘুম কম হয়। তবে যদি দীর্ঘদিন রাতের পর রাত পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে শরীরের ভেতরে চলতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়াগুলোর ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দীর্ঘদিন ঘুমের অভাব হলে শুধু ক্লান্তি বা অবসাদই নয় পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে যা ভবিষ্যতে বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

মানুষের শরীরে একটি নিজস্ব সময়ব্যবস্থা আছে যাকে জৈবিক ঘড়ি বলা হয়। এই ঘড়ি একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চলে এবং ২৪ ঘণ্টা ধরে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকদের মতে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে থাকা হাজার হাজার নিউরনের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রাকিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস শরীরের কেন্দ্রীয় ঘড়ি হিসেবে কাজ করে। এই কেন্দ্রীয় ঘড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়েই শরীরের হরমোন নিঃসরণ এবং বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। কিন্তু কোনো কারণে যদি এই ছন্দ বিঘ্নিত হয় তাহলে শরীরের ভেতরে উৎপন্ন হরমোন ও প্রোটিনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে।

জৈবিক ঘড়ির নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা টানা ঘুম প্রয়োজন। এই সময়ের মধ্যেই শরীরে নানা গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসৃত হয় এবং তাদের কার্যক্রম চলে। কিন্তু যদি এই ঘুম কমিয়ে ২ থেকে ৪ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হয় তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। হার্ভার্ডের গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত রাত জেগে কাজ করেন এবং ভোরের দিকে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে না। আর এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায় এবং একই সঙ্গে শুক্রাণুর গুণগত মানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফল হিসেবে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

এছাড়াও দেহঘড়ি বিগড়ে গেলে শরীরে কর্টিসল নামের একটি হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় যাকে সাধারণত স্ট্রেস হরমোন বলা হয়। কর্টিসল বেড়ে গেলে টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ আরও কমে যায়। এর ফলে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে যেখানে ঘুমের মধ্যে বারবার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এতে শরীরে প্রদাহ বাড়ে এবং অনিদ্রার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিন দেহঘড়ির স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট থাকলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস স্থূলতা হৃদ্‌রোগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এসব সমস্যার প্রভাবও শুক্রাণুর সংখ্যার ওপর পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাতে টানা ও পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। যদি ঘুম আসতে সমস্যা হয় তাহলে নিয়মিত মেডিটেশন বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। এতে মানসিক চাপ কমে এবং ধীরে ধীরে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসতে পারে।


তারুণ্য ধরে রাখা থেকে রোগ নিরাময়ে মেথি শাকের ৭ জাদুকরী গুণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৯:০৪:১১
তারুণ্য ধরে রাখা থেকে রোগ নিরাময়ে মেথি শাকের ৭ জাদুকরী গুণ
ছবি : সংগৃহীত

চিরতরুণ ও নীরোগ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মেথি শাক যোগ করা একটি দারুণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী এই শাকে রয়েছে বহু ভেষজ গুণ যা শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ চিকিৎসায় মেথি শাক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুষ্টিবিদদের মতে এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং একই সঙ্গে চুল ও ত্বকের যত্নে সাহায্য করে তারুণ্য ধরে রাখতে ভূমিকা রাখে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর

পুষ্টিগুণের দিক থেকেও মেথি শাক বেশ সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম মেথি শাকে রয়েছে প্রায় ৫০ ক্যালরি শক্তি। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট সোডিয়াম পটাশিয়াম কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন সি ভিটামিন বি৬ ক্যালশিয়াম আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমশক্তি

ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় মেথি শাক দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় মেথি শাক বিশেষভাবে উপকারী। গ্যাস অ্যাসিডিটি ডাইরিয়া ও অন্ত্রের নানা সমস্যায় এই শাক খেলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও মেথি শাক অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরের গ্লুকোজ মেটাবলিজম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এছাড়া এই শাক রক্তের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ক্ষতিকর এলডিএল ও উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি শাক কার্যকর।

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষায়ও এর ভূমিকা রয়েছে। এটি রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি মেথি শাক হতাশা কমাতে সহায়ক বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

রূপচর্চায় মেথি শাক

ত্বকের যত্নে মেথি শাকের জুড়ি নেই। নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং বলিরেখা দেরিতে দেখা দেয়। এটি ব্রণ বা কালো দাগ কমাতেও সাহায্য করে। চুলের যত্নেও মেথি শাক বেশ কার্যকর। এতে থাকা আয়রন ও ভিটামিন চুল পড়া কমায় এবং খুশকি দূর করে। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা হ্রাস করতে এবং চুল ঘন ও মসৃণ রাখতে মেথি শাকের পাশাপাশি মেথি তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

সার্বিকভাবে বলা যায় সুস্থ শরীর সুন্দর ত্বক ও ভালো চুলের জন্য মেথি শাক হতে পারে একটি সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান।


মাথায় আঘাত লাগলে কী করবেন, জানুন জরুরি করণীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১০:৪৩:৩৮
মাথায় আঘাত লাগলে কী করবেন, জানুন জরুরি করণীয়
ছবি: সংগৃহীত

মাথায় আঘাত পাওয়া এমন একটি ঘটনা, যা বাইরে থেকে সামান্য মনে হলেও ভেতরে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথার আঘাতে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, স্নায়ুর ক্ষতি কিংবা কনকাশন (Concussion), যার লক্ষণ অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ পায় না। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে অবহেলা করলে পরে পরিস্থিতি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

মাথায় আঘাত লাগার পর প্রথম মুহূর্তে কী করবেন

আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন কি না। যদি শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক না থাকে, দ্রুত জরুরি চিকিৎসা নিতে হবে। একই সঙ্গে মাথার কোনো অংশ থেকে রক্তপাত হলে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে আলতোভাবে চাপ প্রয়োগ করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। তবে হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না।

যদি কেউ আঘাতের পর অচেতন হয়ে পড়েন, চোখ খুলতে না পারেন বা প্রশ্নের জবাব দিতে না পারেন, তাহলে সেটিকে কখনোই হালকা হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। এমন অবস্থায় দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স বা নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ সিদ্ধান্ত।

কোন লক্ষণগুলো দেখলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে যাবেন

চিকিৎসকদের মতে, মাথায় আঘাতের পর কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে জরুরি বিভাগে যেতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় জ্ঞান হারানো, মাথাব্যথা ক্রমশ তীব্র হওয়া, একাধিকবার বমি হওয়া, খিঁচুনি শুরু হওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া বা শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে আসা। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া বা ডাবল দেখা এবং আচরণে হঠাৎ অস্বাভাবিক পরিবর্তনও মারাত্মক আঘাতের ইঙ্গিত হতে পারে।

বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ তাদের মস্তিষ্ক আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম।

হালকা আঘাত হলে করণীয়

যদি আঘাতের পর গুরুতর কোনো উপসর্গ না থাকে, তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে যে মাথায় আঘাতের পর ঘুমানো বিপজ্জনক। চিকিৎসকেরা বলছেন, গুরুতর লক্ষণ না থাকলে ঘুমানো সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে কাউকে পাশে থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।

এই সময় ভারী কাজ, খেলাধুলা, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার এবং মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে হালকা ব্যথানাশক নেওয়া যেতে পারে, তবে নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ গ্রহণ ঝুঁকিপূর্ণ।

কেন মাথার আঘাত পরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে

মাথায় আঘাতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, মস্তিষ্কে ধীরে ধীরে রক্ত জমা হওয়া। শুরুতে রোগী স্বাভাবিক থাকলেও কয়েক ঘণ্টা বা এমনকি কয়েক দিন পর হঠাৎ অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। একে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় “ডিলেইড ইন্ট্রাক্রানিয়াল ব্লিডিং”। তাই আঘাতের পর অন্তত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সতর্ক পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন

যদি মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে আসে, মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয়, ঘন ঘন মাথা ঘোরে বা মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়, তাহলে অবশ্যই নিউরোসার্জন বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে ভেতরের অবস্থা যাচাই করা হয়।

চিকিৎসকেরা বলেন, মাথায় আঘাতের ক্ষেত্রে “ভাল আছি মনে হচ্ছে” এই ধারণার ওপর নির্ভর করা বিপজ্জনক। বরং সন্দেহ হলেই চিকিৎসা নেওয়া জীবন রক্ষার অন্যতম উপায়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া, খেলাধুলা কিংবা মারধরের ঘটনায় মাথায় আঘাত লাগলে সেটিকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত