ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ২২:১২:৩৩
ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে অনিদ্রা এখন অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। রাতে ঘুম না আসার এই সাধারণ সমস্যার সমাধানে অনেকেই ঘুমের ওষুধের শরণাপন্ন হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকৃতির দিকে ফিরে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ আমাদের ঘরোয়া রান্নাঘরেই এমন কিছু সাধারণ খাবার মজুত আছে, যা নিয়মিত খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে ঘুম হতে পারে গভীর ও প্রশান্তিময়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঘুমের ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য ছয়টি কার্যকর খাবার সম্পর্কে

১. গরম দুধ-হলুদ: দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে ঘুম আনতে সহায়তা করে। এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে আসে, মন শান্ত হয় এবং সহজে ঘুম আসে। প্রাচীনকাল থেকে পরীক্ষিত এই ঘরোয়া উপায় আজও কার্যকর।

২. কলা: কলা শুধু শরীরের পুষ্টিই যোগায় না, এটি ভালো ঘুমেরও কারণ হতে পারে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। রাতে শুতে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে একটি কলা খেলে শরীর দ্রুত ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।

৩. গুড়: গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়ক। হালকা গরম দুধ বা জলের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে মন শান্ত হয় ও ঘুম ভালো হয়। এছাড়াও, গুড় হজমে সাহায্য করায় রাতের ঘুম আরও স্বস্তিদায়ক হয়।

৪. ওটস বা ডালিয়া: ওটস বা ডালিয়ায় জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা মেলাটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। রাতে হালকা গরম দুধ দিয়ে ডালিয়া বা ওটস খেলে তা কেবল পেট ভরায় না; বরং মস্তিষ্ককেও ঘুমের সংকেত দিয়ে দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে।

৫. বাদাম ও কিশমিশ: আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্নায়ুর উত্তেজনা কমিয়ে তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কিশমিশের প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায়। একমুঠো বাদাম ও কিছুটা কিশমিশ ঘুমের আগে খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

৬. ভাত ও ডাল: অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভাত ও ডালের সংমিশ্রণ ঘুমের জন্য উপকারী। এই সহজ খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সমন্বয় শরীরে ট্রিপটোফ্যানের উৎপাদন বাড়ায়, যা ধীরে ধীরে শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রাতে হালকা গরম ভাত ও ডাল খেলে সহজে ঘুম আসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভর না করে এই ছয়টি খাবার নিয়মিতভাবে খাদ্যাভ্যাসে রাখলে শরীর ও মন প্রাকৃতিকভাবেই ঘুমের ছন্দে ফিরে যেতে পারে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:১৫:১৯
ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গল-ডোর রেফ্রিজারেটরে ঘন ঘন বরফের পুরু স্তর জমে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা, যা প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই ভোগায়। অনেকেই বার বার ফ্রিজ পরিষ্কার করেও স্থায়ী সমাধান পান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ সাধারণত হয় দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ অথবা কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি। সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গল-ডোর ফ্রিজে দ্রুত বরফ জমা রোধের কার্যকর উপায়গুলো

১. দরজার রবার সিলের যত্ন: ফ্রিজে বরফ জমার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দরজার সিল (গ্যাসকেট) ঠিকভাবে কাজ না করা। অনেক সময় দরজা ঠিকমতো বন্ধ না হলে বা রবার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্রিজের ভেতর থেকে ঠান্ডা বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায় এবং বাইরের উষ্ণ বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে। এই উষ্ণ বাতাসই দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়। তাই যদি দেখেন দরজার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা লিক করছে, তবে অবিলম্বে সেটি বদলে নতুন সিল লাগানো উচিত। এটিই বরফ জমা রোধের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।

২. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখা: ফ্রিজের পেছনের দিকে থাকা কনডেন্সার কয়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কয়েলে ধুলো-ময়লা জমে গেলে ফ্রিজের ভেতরের আর্দ্রতা কার্যকরভাবে বাইরে বের হতে পারে না, যার ফলস্বরূপ ভেতরে বরফ জমতে শুরু করে। মাসে অন্তত একবার কয়েলটি ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায় এবং ফ্রিজের কর্মক্ষমতাও বজায় থাকে।

৩. নিয়মিত ওয়াটার ফিল্টার পরিবর্তন: যদি ফ্রিজে দীর্ঘদিনের পুরনো বা বন্ধ হয়ে যাওয়া জলের ফিল্টার থাকে, তবে তা ফ্রিজের ভেতরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা তৈরি করতে পারে, যা জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে জলের ফিল্টার বদলে নিলে ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে, যার ফলে খাবারও দীর্ঘদিন তাজা থাকে।

দীর্ঘমেয়াদি যত্নের গুরুত্ব

রেফ্রিজারেটর দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত যত্ন নেওয়াই মূল চাবিকাঠি। সপ্তাহে অন্তত একবার দরজার সিল, ভেতরের তাক এবং ফ্রিজার অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এছাড়াও, ফ্রিজের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার জন্য বছরে অন্তত একবার একজন টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। এই নিয়মিত যত্ন আপনার ফ্রিজের কর্মক্ষমতা বজায় রাখবে এবং বরফের পুরু স্তর জমার মতো ঝামেলা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।


ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:১৫:১৯
ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গল-ডোর রেফ্রিজারেটরে ঘন ঘন বরফের পুরু স্তর জমে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা, যা প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই ভোগায়। অনেকেই বার বার ফ্রিজ পরিষ্কার করেও স্থায়ী সমাধান পান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ সাধারণত হয় দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ অথবা কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি। সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গল-ডোর ফ্রিজে দ্রুত বরফ জমা রোধের কার্যকর উপায়গুলো

১. দরজার রবার সিলের যত্ন: ফ্রিজে বরফ জমার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দরজার সিল (গ্যাসকেট) ঠিকভাবে কাজ না করা। অনেক সময় দরজা ঠিকমতো বন্ধ না হলে বা রবার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্রিজের ভেতর থেকে ঠান্ডা বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায় এবং বাইরের উষ্ণ বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে। এই উষ্ণ বাতাসই দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়। তাই যদি দেখেন দরজার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা লিক করছে, তবে অবিলম্বে সেটি বদলে নতুন সিল লাগানো উচিত। এটিই বরফ জমা রোধের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।

২. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখা: ফ্রিজের পেছনের দিকে থাকা কনডেন্সার কয়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কয়েলে ধুলো-ময়লা জমে গেলে ফ্রিজের ভেতরের আর্দ্রতা কার্যকরভাবে বাইরে বের হতে পারে না, যার ফলস্বরূপ ভেতরে বরফ জমতে শুরু করে। মাসে অন্তত একবার কয়েলটি ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায় এবং ফ্রিজের কর্মক্ষমতাও বজায় থাকে।

৩. নিয়মিত ওয়াটার ফিল্টার পরিবর্তন: যদি ফ্রিজে দীর্ঘদিনের পুরনো বা বন্ধ হয়ে যাওয়া জলের ফিল্টার থাকে, তবে তা ফ্রিজের ভেতরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা তৈরি করতে পারে, যা জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে জলের ফিল্টার বদলে নিলে ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে, যার ফলে খাবারও দীর্ঘদিন তাজা থাকে।

দীর্ঘমেয়াদি যত্নের গুরুত্ব

রেফ্রিজারেটর দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত যত্ন নেওয়াই মূল চাবিকাঠি। সপ্তাহে অন্তত একবার দরজার সিল, ভেতরের তাক এবং ফ্রিজার অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এছাড়াও, ফ্রিজের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার জন্য বছরে অন্তত একবার একজন টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। এই নিয়মিত যত্ন আপনার ফ্রিজের কর্মক্ষমতা বজায় রাখবে এবং বরফের পুরু স্তর জমার মতো ঝামেলা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।


ছাত্রজীবনেই আত্মনির্ভরশীলতা: আয় করার ৭টি সহজ ও পরীক্ষিত উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১০:২৩:৫১
ছাত্রজীবনেই আত্মনির্ভরশীলতা: আয় করার ৭টি সহজ ও পরীক্ষিত উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষা জীবনের এই সময়টিকে প্রায়শই কেবল পড়ালেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই আজকাল এই সময়টিকে দক্ষতা অর্জন ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। একদিকে যেমন দিন দিন বাড়ছে পড়ালেখার খরচ, টিউশন ফি এবং আবাসন ব্যয়, অন্যদিকে তেমনি ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে, ছাত্রজীবনে আয় করা কেবল একটি প্রয়োজন নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের ভিত গড়ার অন্যতম অংশ।

ছাত্রজীবনে যেহেতু ক্লাসের চাপ থাকে এবং সময় সীমিত, তাই উপার্জনের জন্য এমন কিছু পথ বেছে নেওয়া উচিত যা সহজ, বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে এমন কিছু পরীক্ষিত উপায় তুলে ধরা হলো, যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি খুব সহজে বেছে নিতে পারেন:

১. টিউশনি ও খণ্ডকালীন শিক্ষকতা: ছাত্রজীবন থেকে আয় করার সবচেয়ে পরিচিত এবং নিরাপদ মাধ্যম হলো টিউশনি। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষ হন, তবে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে মাসে ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজের পড়ালেখার খরচ মেটানো যায়, তেমনি নিজের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও আরও গভীর জ্ঞান তৈরি হয়।

এ ছাড়া, নিজের সাবজেক্টে ভালো দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেও ভালো আয় করা সম্ভব। অনেকের শিক্ষকতা ক্যারিয়ারের শুরু হয় এই পথ ধরেই।

২. পার্টটাইম চাকরি: পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের কাছাকাছি কোনো দোকান, কফিশপ বা লাইব্রেরিতে দিনে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ করে মাসে ৪,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। এই ধরনের পার্টটাইম কাজ কেবল অর্থ উপার্জনেই সাহায্য করে না, বরং একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সময় ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তব কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং: যাদের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা আছে, তাদের জন্য ঘরে বসে স্বাধীনভাবে উপার্জনের অন্যতম দুর্দান্ত মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। Fiverr বা Upwork-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি, কিংবা কনটেন্ট লেখার মতো কাজ শিখে মাসে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। Canva, Photoshop বা Illustrator-এর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে লোগো বা ফ্লায়ার ডিজাইন করেও অনলাইনে ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। একটি নিজস্ব ডিজাইন পোর্টফোলিও থাকলে ক্লায়েন্ট পেতে সুবিধা হয়।

৪. কনটেন্ট রাইটিং ও লেখালেখি: যদি আপনার লেখালেখির প্রতি ঝোঁক থাকে, তবে ব্লগ, নিউজ পোর্টাল বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করা সম্ভব। প্রতি লেখা বাবদ ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বা তারও বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।

৫. হস্তশিল্প ও হোমমেড পণ্য বিক্রি: নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়েও ছাত্রজীবনেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যেতে পারে। চকলেট, কেক, পিঠা, হ্যান্ডক্র্যাফট বা পুঁতির গহনার মতো ঘরোয়া পণ্য তৈরি করে বন্ধুবান্ধব কিংবা স্থানীয় দোকানে বিক্রি করে সহজে আয় করা যায়।

৬. ফটোগ্রাফি ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: ভালো ক্যামেরা বা উন্নতমানের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ইভেন্টে ছবি তুলে কিংবা Lightroom বা Canva দিয়ে সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেন্টগুলোতে রেজিস্ট্রেশন, স্টেজ ডেকোরেশন ও অতিথি সেবার মতো কাজগুলোতে অংশ নিয়ে পারিশ্রমিকসহ মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব।

৭. জরিপ ও গবেষণাভিত্তিক কাজ: এনজিও কিংবা সরকারি গবেষণা প্রকল্পগুলিতে ডেটা সংগ্রহ, প্রশ্নপত্র বিতরণ বা ডেটা এন্ট্রির মতো প্রজেক্টভিত্তিক কাজগুলোতে অংশ নিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার সুযোগ থাকে।

আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই উপায়গুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক বেছে নিলে ছাত্রজীবন যেমন হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনের জন্য তৈরি হওয়াও সহজ হবে।


ফ্রিজে রাখা ভাত কি স্বাস্থ্যকর? শর্করা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ২১:৫০:১৩
ফ্রিজে রাখা ভাত কি স্বাস্থ্যকর? শর্করা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভাত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্যতালিকার অপরিহার্য অংশ। কিন্তু যারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য ভাত সবসময়ই চিন্তার বিষয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ফুড হ্যাক—যেখানে বলা হচ্ছে, ভাত রান্নার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরে গরম করলে তা আরও স্বাস্থ্যকর হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ, যা ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

ঠান্ডা ভাতে কী পরিবর্তন হয়?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্না করা ভাত ঠান্ডা বা ফ্রিজে রাখলে তার মধ্যে থাকা কিছু ডাইজেস্টেবল স্টার্চ রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চে রূপান্তরিত হয়।

ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান রাশি চাহাল জানান, রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ এক ধরনের আঁশের মতো কাজ করে। এটি শরীরে পুরোপুরি হজম হয় না, ফলে খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে।গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা করে পুনরায় গরম করা ভাত খেলে খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম হতে পারে। ডা. মনোজ আগারওয়াল বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ভাতের মোট স্টার্চ কমে না, তবে এর ধরন বদলে যায়।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও সতর্কতা

রাশি চাহাল বলেন, রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা পাওয়া যায়।

ডা. আগারওয়াল পরামর্শ দেন, রান্না করা ভাত সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রাখতে হবে এবং খাওয়ার আগে ভালোভাবে গরম করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে, কারণ ভাত ঠিকভাবে না রাখলে ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামের ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যা ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে।

এই পদ্ধতি রক্তে শর্করার প্রভাব কমায় এবং হজমে সহায়তা করে। তবে এটি কোনো অলৌকিক সমাধান নয়, বরং এক ধরনের স্মার্ট কিচেন হ্যাবিট। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা এই পদ্ধতিটি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তবে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


ত্বক উজ্জ্বল রাখতে: বার সাবান নয়, বেছে নিন সঠিক ফেসিয়াল ক্লিনজার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৮:৪৮:৫৬
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে: বার সাবান নয়, বেছে নিন সঠিক ফেসিয়াল ক্লিনজার
ছবিঃ সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে ধুলো, দূষণ ও ঘামসহ বিভিন্ন পণ্যের অবশিষ্টাংশ দিনের শেষে এসে জমে মুখে। যদি সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করা হয়, এই ময়লা ত্বকে জমে লালচে ভাব, ব্রণ ও অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে। অনেকে মুখ ধোয়ার জন্য সাধারণ বার সাবান ব্যবহার করলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সব সাবান মুখে ব্যবহারযোগ্য নয় এবং বেশিরভাগ বার সাবান মুখের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ করে দিতে পারে।

মুখে সাধারণ সাবানের ৪টি ক্ষতিকর দিক

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ বার সাবান মুখের জন্য তৈরি না হওয়ায় তা মুখের ত্বকে ক্ষতি করতে পারে:

১. জ্বালা ও লালচেভাব: বেশিরভাগ বার সাবানে রঙ ও সুগন্ধি থাকে, যা সংবেদনশীল মুখের ত্বকে জ্বালাভাব বা লালচেভাব তৈরি করতে পারে।

২. ক্ষতিকর ঘর্ষণ: সরাসরি সাবান মুখে ঘষলে তা ত্বকে ক্ষতিকর ঘর্ষণ তৈরি করে।

৩. প্রাকৃতিক তেল নষ্ট: বেশিরভাগ সাবানের pH মান অনেক বেশি, যা শরীরের জন্য ভালো হলেও মুখের কোমল ত্বকের জন্য অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত হয়ে পড়ে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়।

৪. অসমান পরিষ্কার: সাবানের আকৃতি ও আকারের কারণে মুখের সব জায়গা সমানভাবে পরিষ্কার হয় না।

বিকল্প ও সঠিক পরিচর্যা

বার সাবানের বদলে মুখের জন্য তৈরি বিশেষ ক্লিনজার ব্যবহার করাই উত্তম। এসব ক্লিনজার বাছাইয়ের সময় সিরামাইডস, গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও নিয়াসিনামাইড-যুক্ত পণ্য বেছে নিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন।

মুখ ধোয়ার সঠিক ধাপ:

১. ভিজিয়ে নেওয়া: কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন।

২. ক্লিনজার প্রয়োগ: হাত দিয়ে ক্লিনজার লাগিয়ে আঙুলের ডগায় হালকা বৃত্তাকারে ঘষে পরিষ্কার করুন।

৩. ধুয়ে ফেলা: আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।

৪. ময়েশ্চারাইজার: সবশেষে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, কখনোই মুখে জোরে ঘষবেন না বা রুক্ষ কাপড় ব্যবহার করবেন না। মুখ পরিষ্কারের জন্য সবসময় ফেসিয়াল ব্যবহারের জন্য তৈরি ক্লিনজার বেছে নেওয়া উচিত।

সূত্র : হেল্থ লাইন


সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জি: শীত আসার আগেই যে ৬টি অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৪:৫৫:৫২
সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জি: শীত আসার আগেই যে ৬টি অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখবে
ছবিঃ সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এর মধ্যেই অনেকের গরম-শীত মিলিয়ে সর্দিকাশি শুরু হয়েছে। মৌসুম বদলের এই সময়টাতে শুকনো কাশি, জ্বর এবং অ্যালার্জির সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। এ সময়ে আবহাওয়ায় দ্রুত বদল ঘটে এবং নানা রকম ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। কেউ ভোগেন সর্দিজ্বরে, আবার কারও অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ অ্যান্টিহিস্টামিন-এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এবং মূত্রত্যাগের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বিপদ বাড়তে পারে।

অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৬টি সহজ টোটকা

ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালা ভাব এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া—এগুলো শীতকালীন অ্যালার্জির প্রধান লক্ষণ। এই সমস্যা সমাধানে নিচের টোটকাগুলো মেনে চলুন:

১. গরম পানির যত্ন: যাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে, তারা এই মৌসুমে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। সামান্য গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। অল্প সর্দিকাশি হলেও আগে থেকেই লবণপানি দিয়ে গার্গল করবেন এবং প্রতিদিন গরম পানির ভাপ নিন।

২. বায়ু পরিশুদ্ধকরণ: বায়ুতে আর্দ্রতা ও ধুলাবালির তারতম্য অ্যালার্জির বড় কারণ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ঘরে বায়ু পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র বসাতে পারেন।

৩. ঘর খোলামেলা রাখা: বাড়ির ভেতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ প্রবেশ করতে দিন, কারণ রোদ না ঢুকলে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন অ্যালার্জির রোগীরা। ঘরবাড়ি ও পোশাক সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

৪. মশলাযুক্ত চা পান: নিয়মিত আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা পান করুন। এই উপাদানগুলো অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে মধু খেলেও অ্যালার্জির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৫. টিকা ও চিকিৎসা: অ্যালার্জির সমস্যা খুব বেশি থাকলে, শীত আসার আগেই ফ্লু বা নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন—টকজাতীয় ফল ও আমলকী, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তারা বাইরে গেলেই মাস্ক ব্যবহার করুন।


জাপানের কৌশল ‘কাকেবো’: ৪টি প্রশ্নেই বদলে যাবে আপনার আর্থিক অভ্যাস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৪:৩৭:৫৭
জাপানের কৌশল ‘কাকেবো’: ৪টি প্রশ্নেই বদলে যাবে আপনার আর্থিক অভ্যাস
ছবিঃ সংগৃহীত

সঞ্চয় মানে হলো আজকের আয়ের একটি অংশ ভবিষ্যতের প্রয়োজনের জন্য সংরক্ষণ করা। এটি শুধু টাকার হিসাব নয়, বরং জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। অনেকেই মাসের শুরুতে টাকা জমানোর প্রতিজ্ঞা করলেও মাস শেষে পকেট খালি দেখেন। এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে একটি ঐতিহ্যবাহী জাপানি সঞ্চয় পদ্ধতি, যার নাম ‘কাকেবো’ (Kakebo)।

কাকেবো পদ্ধতি ১৯০৪ সালে জাপানের প্রথম নারী সাংবাদিক হানি মটোকো (Hani Motoko) জনপ্রিয় করেন। এর মূল ধারণা হলো—খরচের প্রতিটি দিক লিখে রাখা, সচেতনভাবে ব্যয় করা এবং প্রতি মাসে নিজের অভ্যাস বিশ্লেষণ করা।

কাকেবোর মূল ধারণা

কাকেবো ধারণার মূল কথা হলো সঞ্চয়কে খরচের পরের বিষয় নয়, খরচের অংশ হিসেবে দেখা। আমরা সাধারণত সব খরচ মিটিয়ে শেষে যা থাকে, সেটাকেই সঞ্চয় ভাবি। কিন্তু কাকেবো পদ্ধতি বলে, এই ভাবনাটাকেই উল্টে দিন—আগে সঞ্চয় করুন, তারপর যা থাকে, সেটাতেই জীবন চালান।

যে ৪টি প্রশ্ন নিজেকে করবেন

প্রতি মাসে কাকেবো পদ্ধতি মেনে চলার জন্য নিজেকে চারটি মূল প্রশ্ন করতে হয়:

১. এই মাসে আমি কত টাকা আয় করছি?

২. আমি কত টাকা সঞ্চয় করতে চাই?

৩. আমার স্থায়ী খরচ কী কী (ভাড়া, বিল ইত্যাদি)?

৪. বাকি টাকা দিয়ে কীভাবে জীবনযাপন ও আনন্দ করব?

কাকেবো পদ্ধতির ধাপ

১. লক্ষ্য নির্ধারণ: মাসের শুরুতে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (যেমন: ৫,০০০ টাকা সঞ্চয় করব)।

২. নোট: প্রতিদিনের খরচগুলো নোটবুকে লিখে ফেলুন।

৩. বিশ্লেষণ: মাসের শেষে খাতা দেখে বিশ্লেষণ করুন—কোথায় বেশি খরচ হলো, কোথায় কমানো সম্ভব।

৪. বিভাজন: খরচকে ৪টি ভাগে ভাগ করুন—আবশ্যিক, ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, সাংস্কৃতিক, অতিরিক্ত।

৫. পরবর্তী লক্ষ্য: পরের মাসে সেই অনুযায়ী নতুন লক্ষ্য ঠিক করুন।


কাঁচা অ্যালোভেরা জেল মাখছেন? জেনে নিন আগে অ্যালোইন সরানোর সঠিক পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ২১:৩৮:৩৩
কাঁচা অ্যালোভেরা জেল মাখছেন? জেনে নিন আগে অ্যালোইন সরানোর সঠিক পদ্ধতি
ছবিঃ সংগৃহীত

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। আজও নামিদামি প্রসাধনীতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার হয়। তবে অনেকেই বাড়িতে থাকা অ্যালোভেরার পাতা কেটে এর নির্যাস সরাসরি মুখে মেখে নেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস ত্বকের জন্য ভালো নয়। ত্বকের সমস্যা কমার পরিবর্তে তা বেড়ে যেতে পারে।

অ্যালোভেরা জেলের গুণাগুণ

অ্যালোভেরা জেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই-এর মতো উপাদান রয়েছে। ত্বক ভালো রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। সানবার্ন, ব্রণ, বলিরেখা, দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল।

সরাসরি পাতায় মাখলে বিপদ কেন?

অ্যালোভেরার পাতা সরাসরি ত্বকে লাগালে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কারণ:

অ্যালোইন যৌগ: অ্যালোভেরার পাতায় ‘অ্যালোইন’ নামের একটি যৌগ রয়েছে। পাতা কাটলে যে হলুদ রঙের পদার্থ নির্গত হয়, সেটিই হলো অ্যালোইন।

সমস্যার কারণ: এই পদার্থ ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকে র‍্যাশ বের হতে পারে। তখন ত্বকের সমস্যা কমার পরিবর্তে জ্বালাভাব, চুলকানি ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

গাছ থেকে পাতা কেটে অ্যালোভেরা ত্বকে মাখা গেলেও, এর জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে:

১. অ্যালোইন বের করা: একটি পরিষ্কার অ্যালোভেরার পাতা বেছে নিন। পাতা কাটার পরে সেটি পানিভর্তি গ্লাসে পনেরো মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে অ্যালোইন বা হলুদ রঙের পদার্থ বের হয়ে যাবে।

২. নির্যাস প্রস্তুত: এরপর অ্যালোভেরার পাতার খোসা ছাড়িয়ে নির্যাস বের করে নিন। এই নির্যাস ভালো করে পানিতে ধুয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। প্রয়োজনে এতে ভিটামিন ই অয়েলও মেশাতে পারেন।

৩. সংরক্ষণ: এই অ্যালোভেরা জেল দিয়ে আইস কিউব বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ফ্রিজে রেখে ২-৩ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এই জেল ত্বক ও চুল—উভয়ের জন্যই উপকারী।

সূত্র : এই সময়


ত্বকের উজ্জ্বলতা থেকে খুশকি দূর: চালের পানির ৫টি সহজ ব্যবহার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ২০:৫১:২৮
ত্বকের উজ্জ্বলতা থেকে খুশকি দূর: চালের পানির ৫টি সহজ ব্যবহার
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বক ও চুলের যত্নে চালের পানি খুবই উপকারী। চাল ধোয়া পানিতে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থসহ অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমায়, ময়লা পরিষ্কার করে এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সক্ষম।

ত্বক ও চুলের যত্নে চালের পানির ব্যবহার

ত্বকের যত্নে:

টোনার হিসেবে: ফেস টোনার হিসেবে নিয়মিত চালের পানি মুখে লাগান এবং আলতো করে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

ফেসপ্যাক হিসেবে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চালের পানি অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও বাড়াবে।

চুলের যত্নে:

চুল মজবুত করতে: শ্যাম্পু করার পর চালের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এভাবে চালের পানি ব্যবহার করলে চুল মজবুত হবে।

কন্ডিশনার হিসেবে: চালের পানি চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং চুলের শক্তিও বাড়বে।

খুশকি দূর করতে: খুশকি কমাতে এবং স্ক্যাল্প ভালো রাখতে চালের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

চালের পানি তৈরির পদ্ধতি

চালের পানি দুটি উপায়ে তৈরি করা যেতে পারে:

১. ফুটানো পদ্ধতি: এক কাপ চাল ভালোভাবে ধুয়ে দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে ঠান্ডা করে পানি ছেঁকে নিন।

২. ভেজানোর পদ্ধতি: ধুয়ে রাখা চাল পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে সেই পানি ব্যবহার করুন।

উভয় পদ্ধতিতেই চালের পানি ত্বক ও চুলের জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত

উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন

উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন

অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন যে, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কারণেই যেকোনো সময় স্ট্রোক... বিস্তারিত