উপদেষ্টার সামনেই পদত্যাগের হুমকি দিলেন সাদিক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৬:৪৭:১১
উপদেষ্টার সামনেই পদত্যাগের হুমকি দিলেন সাদিক
ছবি : সংগৃহীত

সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ এক নজিরবিহীন উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই সরকারের তিন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তুলে কঠোর আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ক্ষুব্ধ ছাত্রনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সাদিক কায়েম অনতিবিলম্বে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন যদি না তারা পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি দেখাতে ব্যর্থ হন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাদিক কায়েমের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং ছাত্রনেতার মুখে নিজের ও সহকর্মীদের পদত্যাগের হুমকি শুনে তাকে দৃশ্যত বেশ বিব্রত ও অস্বস্তিতে দেখা যাচ্ছিল। সাদিক কায়েম তার বক্তব্যের শুরুতে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ওপর জোর দেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তোলা এবং হামলাকারীদের সমর্থনকারী কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

দ্বিতীয় দাবিতে ছাত্রনেতা সাদিক আগামী দুই দিনের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান পরিচালনার ডাক দিয়েছেন। তিনি সরকারের প্রতি হুঙ্কার দিয়ে বলেন যে নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো প্রকার অবহেলা বা গড়িমসি আর সহ্য করা হবে না। এছাড়া তার তৃতীয় ও চূড়ান্ত দাবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দ্রুত বিচার এবং প্রদত্ত রায় কার্যকর করার বিষয়টি উঠে আসে যা তিনি সরকারের কাছে অত্যন্ত জোরালোভাবে পেশ করেছেন।


১৬ ডিসেম্বর বের হওয়ার আগে যে সতর্কতা জানা জরুরি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৪:০৭:৩৫
১৬ ডিসেম্বর বের হওয়ার আগে যে সতর্কতা জানা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে যান চলাচল ও গণপরিবহনে সাময়িক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডাইভারশন কার্যকর থাকবে এবং একই দিনে মেট্রোরেল চলাচলেও স্বল্প সময়ের বিরতি আসছে।

পুলিশ সদর দফতর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী ও বাইপাইল এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ সময় এসব পয়েন্টে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে। ফলে ওই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প পথ গ্রহণের জন্য সব ধরনের যানবাহনের চালকদের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও জনসমাগম নির্বিঘ্ন রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি তদারক করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত থাকবে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের নিরাপত্তা ও চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, নিরাপত্তাজনিত কারণে একই দিনে রাজধানীর মেট্রোরেল চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব স্টেশনে ট্রেন চলাচল ও যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। নির্ধারিত সময় শেষে মেট্রোরেল পুনরায় স্বাভাবিক সূচি অনুযায়ী চালু হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া এসব সাময়িক ব্যবস্থার ফলে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। সে জন্য আগেভাগেই সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে এবং সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

-রাফসান


১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সতর্কতা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৪:০০:৪৪
১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সতর্কতা
ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির কারণে রাজধানীর মেট্রোরেল চলাচলে সাময়িক বিরতি আসছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেট্রোরেল সেবা স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।

সোমবার ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এই সময়টুকুতে কোনো স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা কিংবা ট্রেন পরিচালনা করা হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় শেষ হলে মেট্রোরেল স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী পুনরায় চালু হবে। যাত্রীদের যাতায়াতে যাতে বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য আগেভাগেই এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

একই সঙ্গে সাময়িক এই বিরতির কারণে যাত্রীসেবায় যে অসুবিধা হতে পারে, সে জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

-রাফসান


হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সিইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১২:০০:২২
হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক সশস্ত্র হামলার ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন যে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কোনো নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন নির্বাচনের ওপর পড়বে না এবং এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই কারণ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও গুলশান লিংক রোড সংলগ্ন আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি দেশবাসীকে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নির্বাচনী প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথিত অবনতি সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন যে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি আসলে কোথায় হলো কারণ মাঝেমধ্যে দুয়েকটি খুনখারাপির ঘটনা ঘটলেও সেগুলোকে সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি বলা যায় না। তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে স্মরণ করিয়ে দেন যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কোনো বিষয় নয় এবং তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন যে আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে এবং হাদির ঘটনাটিও তেমনই একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে তিনি মিডিয়া ও জনমনে বিদ্যমান আশঙ্কা দূর করার চেষ্টা করেন এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কোনো সংশয় নেই বরং তারা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।

সিইসি বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে গত ৫ আগস্ট বা ২০২৪ সালের উত্তাল সময়ের তুলনা করে বলেন যে তখন থানাগুলো অকার্যকর ছিল এবং পুলিশ প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছিল কিন্তু সেই অবস্থার চেয়ে এখনকার পরিস্থিতি অনেক বেশি উন্নত এবং মানুষ এখন শান্তিতে চলাফেরা ও ঘুমাতে পারছে। তিনি জানান যে গতকালই শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বাহিনী প্রধানরা আশ্বস্ত করেছেন যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে তারা পুরোপুরি সক্ষম। তরুণ প্রজন্মের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন যে আমরা আর পেছনে ফিরে যেতে চাই না বরং এখন তরুণদের ওপর ভর করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে এবং বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ দেখে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করছেন।


বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, সময় শেষ আজ বিকেলে 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:৩৩:৩৪
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, সময় শেষ আজ বিকেলে 
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (BPDB) রাজস্ব খাতভুক্ত সহায়ক জনবল নিয়োগে আজ শেষ হচ্ছে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা। ‘সাহায্যকারী’ পদে মোট ১ হাজার ৫৯৬ জনকে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যা আজ ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় বন্ধ হবে।

এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় নির্বাচিত প্রার্থীরা সরকারি চাকরির ১৯তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। পদটির জন্য মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৮ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৫৭০ টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আবেদনকারীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। এছাড়া সরকার অনুমোদিত কোনো কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি সমমানের ট্রেড কোর্স সম্পন্ন করলেও আবেদন করা যাবে। তবে কোনো পরীক্ষাতেই দ্বিতীয় বিভাগ, শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএর নিচে ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না।

প্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। বয়স গণনার ক্ষেত্রে প্রচলিত সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। আবেদন ফি হিসেবে পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকা মিলিয়ে মোট ৫৬ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

নিয়োগ সংক্রান্ত শর্ত অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের পর দুই বছরের মধ্যে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। এসব প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচিতে অর্জিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত বিধি অনুসারে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান করা হবে।

আবেদনকারীদের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূল কপি ও এক সেট সত্যায়িত কপি দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া লিখিত, ব্যবহারিক কিংবা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের কোনো ধরনের যাতায়াত ভাতা বা দৈনিক ভাতা প্রদান করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে।

নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং bpdb.teletalk.com.bd ঠিকানায় পাওয়া যাবে।


সিনেমার স্টাইলে পুলিশকে বোকা বানইয়ে পালালো দুই হামলাকারী

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:১৩:৩৮
সিনেমার স্টাইলে পুলিশকে বোকা বানইয়ে পালালো দুই হামলাকারী
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বুকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজনরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে দেশ ত্যাগ করেছে। মাথার ওপর অর্ধকোটি টাকার পুরস্কার এবং সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও দুই অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও আলমগীর হোসেনের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা যেন কোনো সিনেমার রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে প্রযুক্তির অভিনব অপব্যবহার করে এবং পুলিশকে ডিজিটাল ধোঁকায় ফেলে তারা নিরাপদে মেঘালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আধুনিক ট্র্যাকিং প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিল তখন চতুর অপরাধীরা এক নজিরবিহীন চাতুর্যের আশ্রয় নেয়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সন্দেহভাজনরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসগুলো সচল রেখেছিল ঠিকই কিন্তু সেগুলো তারা নিজেরা বহন করেনি বরং ভিন্ন মাধ্যমে ডিভাইসগুলো শহরের বিভিন্ন স্থানে সচল রেখে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকে। পুলিশ যখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করতে ব্যস্ত ঠিক সেই সুযোগে মূল আসামিরা সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে রাজধানী ছেড়ে পালানোর পথ তৈরি করে নেয়।

পলায়নের রুটম্যাপ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে পল্টনে হাদির ওপর গুলি চালানোর পরপরই আততায়ীরা মোটরসাইকেলে করে শাহবাগ ও ফার্মগেট হয়ে মিরপুরে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে প্রাইভেটকারে আশুলিয়া ও গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহের দিকে যাত্রা করে। ময়মনসিংহে পৌঁছে তারা আবারও বাহন পরিবর্তন করে এবং হালুয়াঘাটের ধারাবাজারে একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়ে থামে যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা তিনজন সহযোগী তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। গভীর রাতে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে তারা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা পৌরসভা এলাকায় পৌঁছায় এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে তারা সেখানেই অবস্থান করছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলেও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে আজ সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হাদির চিকিৎসার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গত দুই দিন ধরে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগের পর অবশেষে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে একটি জরুরি কনফারেন্স কলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি উপদেষ্টারা চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই দ্রুত স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।


কেমন থাকবে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়া জানাল অধিদপ্তর

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:০৯:৩৯
কেমন থাকবে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়া জানাল অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের সব অঞ্চলের জন্য আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য এই পূর্বাভাস কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বিস্তৃত অংশ ভারতের বিহার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় রয়েছে, যার একটি বিস্তার উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে।

এই সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রভাবে রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোরের দিকে বিভিন্ন এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে এবং রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী দিনের আবহাওয়াতেও একই ধরনের চিত্র দেখা যেতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এ সময়ও ভোরে কুয়াশা এবং সারাদেশে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া সময়কালে আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এদিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও আবহাওয়ার ধরনে বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। ভোরে হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

-শরিফুল


১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস: একাত্তরের সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:৩৮:৪৩
১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস: একাত্তরের সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস
ছবি : সংগৃহীত

১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে গাজীপুর মুক্ত হয়েছিল। প্রতি বছরের মতো এবারও দিনটি গাজীপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত স্মরণীয় ও গর্বের দিন হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত জয়দেবপুর বা বর্তমান গাজীপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল স্থানীয় জনতা। সেদিন শহীদ হন নিয়ামত হুরমত ও মনু খলিফা এবং সারাদেশে স্লোগান উঠেছিল জয়দেবপুরের পথ ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর।

মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস গাজীপুরবাসীর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালির ওপর হামলার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাত্র ও শ্রমিকরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বিভিন্ন পয়েন্টে অপারেশন চালান। নভেম্বরে তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং ডিসেম্বরের শুরুতে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গাজীপুর সেনানিবাসে সম্মিলিত আক্রমণ চালান। এতে পাকিস্তানি বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে গাজীপুর ছেড়ে ঢাকার দিকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ময়মনসিংহ শেরপুর জামালপুর ও টাঙ্গাইল থেকে পিছু হটা পাকিস্তানি সেনারা চান্দনা চৌরাস্তায় জড়ো হতে থাকে এবং কড্ডা ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়।

চান্দনা চৌরাস্তায় জড়ো হওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বিশাল একটি কনভয় ঢাকার দিকে রওনা হলে ছয়দানা এলাকায় পৌঁছামাত্র মিত্র ও কাদেরিয়া বাহিনী তাদের ওপর কামান ও মর্টারের শেল নিক্ষেপ শুরু করে। কাশিমপুর থেকে চালানো এই আক্রমণ এবং সড়কের দুই পাশ থেকে প্রবল গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি বাহিনী একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ধ্বংস হয় তাদের ট্যাংক কামান ও অসংখ্য যানবাহন। এটি ছিল ঢাকার উপকন্ঠে পাকিস্তানি বাহিনীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত এই গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে এবং মূলত এদিনই গাজীপুর শত্রুমুক্ত হয়। তবে পরদিন ১৬ ডিসেম্বর খুব ভোরে বিজয়ের বেশে মুক্তিযোদ্ধারা আনুষ্ঠানিকভাবে শহরে প্রবেশ করেন।

সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এসকে জবি উল্লাহ বলেন ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল চরম আনন্দের। পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের একদিন আগেই এই জনপদ মুক্ত হতে পেরেছিল যা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিশাল আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছিল। ছয়দানার সেই শেষ যুদ্ধে তার দলও অংশগ্রহণ করেছিল বলে তিনি গর্বভরে উল্লেখ করেন। প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিনটিতে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।


নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ডিজিটাল ধোঁকায় ভারতে পালালেন হাদির হামলাকারীরা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:২৩:৩৭
নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ডিজিটাল ধোঁকায় ভারতে পালালেন হাদির হামলাকারীরা
শরিফ ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত প্রধান দুই সন্দেহভাজন। ছবি : সংগৃহীত

নিবিড় নজরদারি আর অর্ধকোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত প্রধান দুই সন্দেহভাজন। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা আর পাসপোর্ট ব্লক করার খবরের মধ্যেই মোস্ট ওয়ান্টেড দুই আততায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও আলমগীর হোসেনের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র এ দুজনের পালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি আসেনি।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন হাদির ওপর হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়সাল ও আলমগীরকে শনাক্ত করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। তবে চতুর সন্দেহভাজনরা তাদের মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসগুলো সচল রাখলেও সেগুলো নিজেরা বহন করেনি। এসব ডিভাইস অন্য কোনোভাবে চালু রেখে বারবার সেগুলোর জায়গা পরিবর্তন করানো হচ্ছিল। পুলিশ যখন ডিভাইসের অবস্থান ধরে ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছিল ঠিক তখনই তারা রাজধানী থেকে নিরাপদে বের হয়ে ময়মনসিংহ হয়ে হালুয়াঘাট সীমান্তে পৌঁছায়।

গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে হাদিকে গুলি করার পরই তারা মোটরসাইকেল নিয়ে নয়াপল্টন হয়ে শাহবাগ, বাংলামটোর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে আগারগাঁও এলাকা দিয়ে মিরপুরে পৌঁছায়। সেখান থেকে প্রাইভেট কারে আশুলিয়া ও গাজীপুর হয়ে সড়কপথে ময়মনসিংহ যায়। ময়মনসিংহের ব্রিজের পাড় থেকে বাহন পরিবর্তন করে আরেকটি প্রাইভেট কারে হালুয়াঘাটের ধারাবাজারের একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়ে থামে তারা। সেখান থেকে তিনজন যুবক এসে তাদের দুজনকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়ায় নিয়ে যায়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলার তুরায় পৌঁছায় বলে জানা গেছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। গত দুই দিন ধরে সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর রোববার এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে হাদির চিকিৎসার সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে এবং তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।


নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে চিহ্নিত ১২ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:৪৭:৪৪
নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে চিহ্নিত ১২ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভোটকেন্দ্র অবকাঠামো নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগের তথ্য সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সারাদেশে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নেই। এসব বিদ্যালয়ের একটি বড় অংশে নেই সীমানা প্রাচীর, অনেক ভবনের দরজা ও জানালা ভাঙাচোরা, আবার কোথাও কোথাও শ্রেণিকক্ষের কাঠামোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই বাস্তবতায় জরুরি সংস্কার ও মেরামতের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১২৪ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে অর্থ উপদেষ্টার কাছে ডিও পত্রের মাধ্যমে এই অর্থ চাওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিষয় হওয়ায় বাজেটের বাইরে গিয়ে বিশেষ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও মেরামতের জন্য আলাদা কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি গণমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সব ব্যয় নির্বাহ করা হবে। সেই নীতির আলোকে এই অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ব্যবহৃত হতে পারে, সেগুলোর অবস্থা দ্রুত যাচাই করে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে। এই নির্দেশনার পর সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সংস্কার প্রয়োজন।

অর্থ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার ডিও পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন সরাসরি রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিয়মিত বাজেটের বাইরে গিয়ে বিশেষ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত হলেও পরিস্থিতির কারণে তা জরুরি ছিল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালন ব্যয়ের আওতায় ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ১২৪ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তিনি বিষয়টিকে জনগুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দ্রুত অর্থ ছাড়ের অনুরোধ করেছিলেন।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত ৮৩৭ কোটি টাকা এবং ছোটখাটো মেরামত খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পুরোপুরি ব্যয় হয়ে গেছে। ফলে ওই খাতগুলো থেকে নতুন করে অর্থ সরানোর সুযোগ ছিল না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালন ব্যয়ের আওতায় ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ কোডে মাত্র ৮০ কোটি টাকা থাকলেও তা দিয়ে ১২ হাজারের বেশি বিদ্যালয় সংস্কার করা সম্ভব নয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যদি ওই সীমিত অর্থ দিয়েই সব কাজ চালানো হতো, তাহলে অবশিষ্ট ৫৩ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো সংস্কার কাজ করা যেত না। এতে ভবিষ্যতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতো। সে কারণেই শুধুমাত্র ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত বিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আলাদা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল।

বরাদ্দ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয়ই আশা করছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব বিদ্যালয় ভোটগ্রহণের জন্য নিরাপদ ও উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত