জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন: ছাত্রদল সভাপতি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের একটি মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। জামায়াত নেতার এই বক্তব্যটি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে ফেসবুকে শেয়ার করে ছাত্রদল সভাপতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আবদুল্লাহ তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছিলেন, “অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি, দোয়া করতেছি—এরা যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাব।”
ছাত্রদল সভাপতির পাল্টা অভিযোগ
ডা. তাহেরের এই বক্তব্যের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মীরা “খুনি হাসিনার ভয়ে বিগত সাড়ে পনেরো বছর সারা দেশে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের পতাকাতলে শুধু আশ্রয়ই নেয়নি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।”
রাকিবুল ইসলাম রাকিব আরও অভিযোগ করেন:
যে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পরও আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আঁতাত করে কর্মসূচি পালন করত।
যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রমাণ পর্যন্ত নেই।
যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে বিগত সাড়ে পনেরো বছর বাংলাদেশের কোনো থানায় একটা জিডি পর্যন্ত নেই।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, এই ধরনের বক্তব্য বিগত সাড়ে পনেরো বছরের লড়াই-সংগ্রামের প্রতি ‘নির্মম পরিহাস’।
এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রথম দৃশ্যমান আত্মত্যাগ দেখা গেল ঢাকা-১১ (রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা ও হাতিরঝিল আংশিক) আসনে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জন্য এই আসনটি ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ ও আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আতিকুর রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, সংগঠনের নির্দেশে গত ১০ মাস ২২ দিন ধরে তিনি এই আসনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের পক্ষে জনমত গঠন করতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। জরিপে তাঁর পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন উঠে আসলেও বৃহত্তর জোটের স্বার্থে এবং ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি একটি বড় জবাবদিহিতার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলামের জয়ের পথ সুগম করতে এই আসন সমঝোতা করা হয়েছে। আতিকুর রহমান তাঁর প্রচারণায় যুক্ত নারী কর্মীসহ সকল সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এখন থেকে তাঁর পুরো টিম নাহিদ ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় ঝাপিয়ে পড়বে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের ভোটব্যাংক নাহিদ ইসলামের পক্ষে গেলে এটি বিএনপির প্রার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জামায়াতের এই ছাড় দেওয়ার নীতি জোটের অন্যান্য শরিকদের মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের এই সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে নাহিদ ইসলাম কতটা সফল হতে পারেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য সময়টা যেন মোটেও ভালো যাচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই দলটির ভেতরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন ও বিদ্রোহ। নওগাঁ-৫ আসনের প্রার্থী মনিরা শারমিনের পর এবার খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসন থেকে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মনজিলা ঝুমা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এনসিপি প্রাথমিকভাবে তাঁকে খাগড়াছড়ি থেকে ‘শাপলা কলি’ মার্কা নিয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করেছিল এবং গত ২৪ ডিসেম্বর তাঁর পক্ষে দলের জেলা আহ্বায়ক মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনজিলা বলেন, “আমি প্রায় দুই ঘণ্টা আগে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।”
এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেত্রীর সরে দাঁড়ানোর ফলে খাগড়াছড়িতে দলটির নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। এর আগে জামায়াত-জোটের বিরোধিতা করে দলটির শীর্ষ নেত্রী তাজনূভা জাবীন ও তাসনিম জারা পদত্যাগ করেছেন এবং নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে নিষ্ক্রিয় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি এবং আদর্শিক মিল না থাকাকেই এই বিদ্রোহের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এনসিপি এই জোটে ৩০-৩৫টি আসন পাওয়ার কথা থাকলেও যোগ্য প্রার্থীদের একের পর এক সরে যাওয়া দলটিকে চরম অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে।
সবশেষে মনজিলা ঝুমা এক আশাবাদী বার্তার মাধ্যমে তাঁর পোস্ট শেষ করেন। তিনি লিখেন, “আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।” তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণ নেতৃত্বাধীন এই দলটির ইমেজ এবং ভোটারদের আস্থা কতটুকু বজায় থাকবে, তা নিয়ে খোদ এনসিপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে।
দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নজিরবিহীন মেরুকরণ ঘটেছে। মূলত দুটি শক্তিশালী নির্বাচনি বলয় এখন মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে ২৯টি রাজনৈতিক দলের একটি বিশাল বলয় তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি দলের সঙ্গে সরাসরি আসন সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদ, বিজেপি, নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের মতো দলগুলো রয়েছে। বিশেষ চমক হিসেবে মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ববি হাজ্জাজের মতো নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি এলডিপি ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজেদের দল বিলুপ্ত করে সরাসরি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ১০ দলের এক নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গত কয়েক মাস ধরে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৮টি দলের সঙ্গে গতকাল রোববার যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি ও আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, এটি কেবল নির্বাচনের নয় বরং দেশ গঠনের একটি দীর্ঘমেয়াদী জোট। তবে এই জোটকে কেন্দ্র করে এনসিপির ভেতরে চরম গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার প্রতিবাদে তাজনূভা জাবীন ও মনিরা শারমিনের মতো প্রার্থীরা পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোটে থাকলেও কিছুটা ভিন্ন সুর বজায় রেখেছে। তারা ৩০০ আসনেই মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও আসন সমঝোতার আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতেই সবাই সবার হাতে আসন তুলে দেবেন। তবে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনের মতো এবার ভোট চুরির চেষ্টা হলে জাতি তা বরদাশত করবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এলডিপি ও এনসিপির মতো দলগুলোর জামায়াতমুখী হওয়া বিএনপির জন্য একটি বড় ধাক্কা। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদের মতো নেতার জামায়াত জোটে উপস্থিতি নির্বাচনি সমীকরণকে জটিল করে তুলেছে। অন্যদিকে, বিএনপি তাদের পুরোনো মিত্রদের ধরে রাখতে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি ও সাইফুল হককে গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়ে দিয়ে পাল্টা চাল দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই আসন সমঝোতা কতটা টেকসই হয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দিতে দলগুলো কতটা সফল হয়।
চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশজুড়ে চলমান অস্থিরতা এবং নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। কিছু চক্রান্তকারী পেছন থেকে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা যাতে কোনোভাবেই সফল হতে না পারে।
সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর আগমনে সারা দেশে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। আলেম সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রতিটি বক্তব্যে ইসলাম ও আল্লাহর প্রতি যে গভীর অনুরাগ ফুটে উঠেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আলেম সমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় গেলে ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক সম্মানী নির্ধারণ করা হবে এবং মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই সুবিধাগুলো কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় প্রধানদের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
সভার শেষ পর্যায়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় যখন মির্জা ফখরুল তাঁর রাজনৈতিক অবসরের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “বয়স হয়ে গেছে, এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। পরবর্তীতে আর নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না জানি না।” তাঁর এই মন্তব্যের পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে বিষণ্নতা নেমে আসে। মির্জা ফখরুল আলেমদের কাছে কেবল ভোট নয়, বরং অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্যও দোয়া চান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুলের এই ‘শেষ নির্বাচনের’ ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারণায় এক নতুন আবেগীয় মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে আলেম সমাজের জন্য মাসিক সম্মানীর এই ঘোষণা গ্রামীণ এবং ধর্মীয় ভোটব্যাংককে বিএনপির দিকে টানতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গত কয়েক দিনের সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের ঘোষণা দিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। নাহিদ ইসলাম জানান, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁরা জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে জোটের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কেবল নির্বাচনেই নয়, বরং আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কার ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে জোটবদ্ধভাবে কাজ করব।’ তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, আসন সমঝোতার পর জোটের বাইরে এনসিপির আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না এবং মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে বাকি সবাই জোটের প্রার্থীর জয়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামবে। তবে কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, সেই তালিকাটি আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ১০ দলীয় জোটের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি এলডিপি এবং এনসিপি-কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশ এক কঠিন বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যেই এই জোট গঠিত হয়েছে। এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপির এই যোগদান একদিকে যেমন জোটকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে দলের ভেতরে চলা বিদ্রোহকে আরও উসকে দিতে পারে। ইতোমধ্যে তাজনূভা জাবীন, তাসনিম জারা এবং মনিরা শারমিনের মতো শীর্ষ নেত্রীরা জামায়াত-জোটের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন অথবা স্বতন্ত্র লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। তবুও নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ১৮৪ জন কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থনে গঠিত এই জোট নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে কতটা সফল হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী পরিকল্পনায় বড় ধরণের ধস নেমেছে। জামায়াতে ইসলামীর সাথে ৩০টি আসনের সমঝোতা নিয়ে দলের ভেতরে চলমান বিদ্রোহের অংশ হিসেবে এবার নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক আবেগঘন ও কড়া বার্তার মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। মনিরা স্পষ্ট করেছেন যে, দল তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করায় তিনি আর এই ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নন।
মনিরা শারমিন তাঁর পোস্টে লিখেন, এনসিপি গঠিত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্বতন্ত্র ও মধ্যপন্থী রাজনৈতিক ভরসাস্থল হিসেবে। ৩শ আসনে একক নির্বাচনের কথা বলে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পর্দার আড়ালে জামায়াতের সাথে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি তাঁর কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, “দলের প্রতি আমার কমিটমেন্টের চেয়ে গণঅভ্যুত্থান ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট এখন অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ক্ষমতার লোভে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করতে পারব না।” যদিও তিনি এখনই দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেননি, তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এনসিপির নওগাঁ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ মনিরা শারমিনের এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত ও আদর্শিক কারণে মনিরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে দলের হেভিওয়েট নেত্রী ডা. তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীনও একই কারণে দল ও নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ২১৬ জন সদস্যের মধ্যে একটি বড় অংশ এই জোটের বিরুদ্ধে থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের অনড় অবস্থানে দলের ভবিষ্যৎ এখন খাদের কিনারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণ ও মেধাবীদের নিয়ে গঠিত এই দলটির ভেতরে ‘আদর্শ বনাম কৌশল’ এর এই লড়াই শেষ পর্যন্ত এনসিপিকে বড় ধরণের ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে জামায়াতের মতো একটি ধর্মভিত্তিক দলের সাথে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়াকে সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং দলের তৃণমূল কর্মীরা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছে না। মনিরা শারমিনের এই ঘোষণা নওগাঁর নির্বাচনী মাঠে এনসিপির অস্তিত্বকে সংকটে ফেলে দিল।
লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ
রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক দেখাল বিএনপি। এই আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরপরই এই আসন থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। পার্থ জানিয়েছেন, তারেক রহমানের মতো বড় নেতার প্রতি সম্মান জানাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে নিজের পৈতৃক আসন ভোলা-১ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি এই আসনটি আন্দালিভ রহমান পার্থকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। পার্থ নিজেও বেশ কিছুদিন ধরে এই এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। তবে আজ রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে সব জল্পনার অবসান ঘটে। পার্থ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ঢাকা-১৭ আসনের জন্য তারেক ভাই-ই সেরা প্রার্থী। তাঁর সম্মানে আমি এই আসন থেকে ফরম সংগ্রহ করিনি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের এই আসনে প্রার্থী হওয়া বিএনপির নির্বাচনী কৌশলের একটি বড় অংশ। দলের শীর্ষ নেতা সরাসরি ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচন করলে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। অন্যদিকে, আন্দালিভ রহমান পার্থের এই সরে দাঁড়ানোকে জোটের সংহতির একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ভোলা-১ আসন থেকে লড়াই করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন ঢাকা-১৭ আসনটি পুরোপুরি তারেক রহমানের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল।
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেবল ঢাকা-১৭ নয়, তারেক রহমান আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তবে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রের এই আসনে তাঁর লড়াই জাতীয় রাজনীতিতে একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পৃথক দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এবং জশিতা ইসলামের পৃথক দুটি আদালত এই জামিন আদেশ দেন। এর আগে সকালে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালত পৃথক দুই মামলায় মোট এক হাজার পাঁচশত টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছিল ২০২১ সালে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শাহবাগ এলাকায় আন্দোলন এবং পবিত্র রমজান মাসে দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় তাঁকে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও দাঙ্গার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মোট ৬টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪টি মামলা থেকে তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন এবং আজকের দুই মামলায় জামিন পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বর্তমানে সব মামলায় মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।
আইনজীবীদের দাবি, মূলত রাজনৈতিক কণ্ঠরোধ করার লক্ষ্যেই বিগত সরকার এই কাল্পনিক ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো করেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন রাজনৈতিক আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় এবং বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা ফেরায় তিনি আজ ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আখতার হোসেনের এই জামিন পাওয়ার খবরটি এনসিপি এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে তিনি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোটের নির্বাচনী দরকষাকষি এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আর কোনো আইনি বাধার সম্মুখীন হবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের হুংকার: অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি
রাজধানীর শাহবাগ মোড় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ফের ছাত্র-জনতার দখলে চলে গেছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবিতে এই ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দুপুর ১টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অবরোধ চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লক্ষ্য করে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার মোহ করি না। যদি ক্ষমতার চিন্তা করতাম, তবে শহীদ হাদির জানাজার ময়দান থেকেই চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে দিতাম। সরকার আমাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভাববেন না। আগামীকাল যদি আমরা নতুন কোনো ঘোষণা দিই, তবে আপনাদের আর পেছনে ফেরার পথ থাকবে না।’ জাবের আরও অভিযোগ করেন যে, একটি চক্র আন্দোলনের ভেতরে ঢুকে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সাধারণ ছাত্র-জনতা কেবল ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বের নির্দেশেই রাজপথে অটল থাকবে।
আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়কে ‘শহীদ হাদি চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং পলাতক খুনিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা। অবরোধের ফলে সায়েন্স ল্যাব, ফার্মগেট এবং মৎস্য ভবন অভিমুখী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি রোগী বহনকারী যানবাহনগুলোকে চলাচলের সুযোগ দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শাহবাগ এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে খুনিদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে। ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হবে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হবে, ততক্ষণ তাঁরা শাহবাগ ছাড়বেন না।
পাঠকের মতামত:
- মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে
- বছরের শেষ প্রান্তে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা
- হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে মুক্তি কবে? যা জানাল আবহাওয়া অফিস
- গত ৪৮ ঘণ্টার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল যশোর
- এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
- অপরাধী পালানো রুখতে সীমান্তে লাল সতর্কতা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ
- পারমাণবিক শক্তি হবে সীমাহীন: কিম জং উনের নতুন নির্দেশে কাঁপছে বিশ্ব
- কেন আর সিনেমায় দেখা যাবে না বিজয়কে: বিদায়বেলায় বড় রহস্য ফাঁস
- ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে জেনে নিন আজকের আবহাওয়ার হালচাল
- সোমবারের ঢাকা: যেসব কর্মসূচির কারণে অচল হতে পারে রাজপথ
- রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস
- এক নজরে টিভিতে আজকের খেলা: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
- আজ ২৯ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
- একই দলে রোনালদো ও মেসি: অবিশ্বাস্য খবরের আসল রহস্য ফাঁস
- পৃথিবী থেকে সাহায্য ছাড়াই মঙ্গলে থাকা সম্ভব: বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য দাবি
- শীতে ত্বক উজ্জ্বল করার জাদুকরী ৩ উপায়
- চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল
- কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ
- নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী
- প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ
- ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ
- লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার
- শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের হুংকার: অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি
- নির্বাচনের আগে নয়া মেরুকরণ: জামায়াতের জোটের পরিধি বেড়ে হলো ১০
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- কোরআন ও সুন্নাহই হবে আইনের ভিত্তি: মির্জা ফখরুল
- টাঙ্গাইল-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত, জমা পড়ল মনোনয়ন
- কোন মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি হচ্ছে
- রেকর্ড ডেট শেষে চার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেনের সময়সূচি প্রকাশ
- দুই ব্যাংকের সব শেয়ার বাতিল, কার্যকর রেজোলিউশন আদেশ
- ইউনিয়ন ব্যাংক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডিএসই ডেইলি টার্নওভার: আজকের বাজার চিত্র
- ২৮ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৮ ডিসেম্বরের ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৮ ডিসেম্বরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তাসনিম জারার পর এবার তাজনূভা: এনসিপিতে বিদ্রোহের আগুন থামছেই না
- ভারতে ধরা পড়ল হাদির খুনিদের সহায়তাকারীরা
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট
- কেন শীতেই কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং বাঁচার উপায় কী?
- বৃত্তি পরীক্ষা শুরু আজ: হলে প্রবেশের আগে মানতে হবে ৯ নির্দেশনা
- ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ
- দিল্লির তাবেদারি ও ফ্যাসিবাদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: ডাকসু ভিপি
- জামায়াত নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়: এনসিপি নেত্রী সামান্তা
- আজ থেকেই বিচার বিভাগে নতুন যুগ
- শীতে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখার ৫টি সহজ উপায়
- এক নজরে টিভিতে আজকের খেলা: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১৪৪ ধারা: কেন্দ্রে প্রবেশের নতুন নিয়ম








