অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে: ময়মনসিংহে এনসিপির ৪ নেতার পদত্যাগ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চার নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শের অভাবকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সোমবার (২৫ আগস্ট) তারা লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন— এনসিপির নান্দাইল উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য কাওছার আহম্মেদ জিসান, আশেক আলী মণ্ডল, শেখ সাদি এবং মোহাম্মদ উল্লাহ।
এনসিপির নান্দাইল উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য কাওছার আহম্মেদ জিসান জাগো নিউজকে বলেন, 'সংগঠনের নীতি, নৈতিকতা এবং আদর্শ ঠিক না থাকার কারণে আমরা পদত্যাগ করেছি।' তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা পর্যায়ের এনসিপির কিছু নেতা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী ফাইজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এনসিপির ময়মনসিংহ জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জাবেদ রাসিন জানান, তিনি এখনো পদত্যাগের বিষয়টি জানেন না এবং এর কারণ জানতে চেষ্টা করছেন।
/আশিক
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে এসব দাবিতে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তারা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন।
অবরোধ ও দাবিসমূহ
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীর ছেলেমেয়েরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েন না, তাই তাদের কোনো চিন্তাও নেই। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এবার দাবি আদায় করেই শিক্ষকরা ঘরে ফিরবেন।
কর্মসূচি: লং মার্চ এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
দাবির কারণ: এর আগে রবিবার প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় তারা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং আটক আন্দোলনকারীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এমনকি এই কারণে স্কুলগুলোয় টাইফয়েডের টিকা দেওয়া কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক সংহতি
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও ইনকিলাব মঞ্চ। দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সোমবার বিকেলে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।
জামায়াতের মন্তব্য: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেন, “আন্দোলন ঘিরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
ডাকসুর সংহতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারাও শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তারা ইতিবাচক এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন। উৎসব ভাতার হার মূল বেতনের ৫০ শতাংশ।
ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনায় এর প্রতিবাদে সারা দেশের সরকারি কলেজে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সংগঠনের সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
হামলার বিবরণ ও কর্মসূচি
সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব সরকারি কলেজে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো এবং শিক্ষক সমাজের মর্যাদা রক্ষা করা।
ঘটনার বিবরণ:
সোমবার সকাল ৯টায় ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে কিছু ছাত্র তাকে হুমকি দেয়। এই পরিস্থিতিতে কলেজের শৃঙ্খলা ব্যাহত হতে পারে—এই আশঙ্কায় শিক্ষকরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুর রহমান শিক্ষা ভবনের দিকে লংমার্চ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে অগ্রসর হন। এ সময়:
শিক্ষক লাঞ্ছনা: আকস্মিকভাবে কিছু ছাত্র তাকে উদ্দেশ করে অশ্রাব্য কটুবাক্য বলে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
হামলা ও ভাঙচুর: এরপর তারা উচ্চমাধ্যমিকের কিছু ছাত্রকেও আক্রমণ করে এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। এ সময় কলেজে বিপুল সংখ্যক বহিরাগতও আক্রমণে অংশগ্রহণ করে।
উদ্ধার: শিক্ষকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুষ্কৃতকারীরা পিছু হটে। পরে তারা সংগঠিত হয়ে শিক্ষক লাউঞ্জে আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ এসে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে।
৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পুনর্বাসন এবং ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে গেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত বীর জুলাই যোদ্ধারা। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই দাবিগুলো অবিলম্বে কার্যকর করার।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ৩৬ দিনব্যাপী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার পতিত হলেও শহীদ ও আহতদের এখনো পূর্ণ মর্যাদা, চিকিৎসা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই নাগরিকরা অবিলম্বে এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
স্মারকলিপির ৪ দফা দাবি
শহীদ পরিবার ও আহতদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১. জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি:
* জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর সন্তানকে জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর) হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।* আন্দোলনে আহত, নির্যাতিত ও সংগ্রামী নাগরিকদের জুলাই যোদ্ধা (বীর) হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
২. রাষ্ট্রের অঙ্গীকার ও দায়িত্ব:
* শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসন ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।* এই পরিবারগুলোর প্রতি অবহেলা, বৈষম্য বা অধিকার হরণ ঘটলে তা রাষ্ট্রদ্রোহী বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।* আহত ও শহীদ পরিবারদের জন্য বিশেষ আইনি সহায়তা কেন্দ্র ও কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করতে হবে।
৩. ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা:
* জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত দমন-পীড়ন, গুলি, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।* একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশনের প্রতিবেদন জাতির ইতিহাসের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উন্মুক্ত থাকবে।
৪. স্মৃতি সংরক্ষণ ও ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা:
* জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতি বছর জুলাই গণতন্ত্র দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।* ঢাকা ও অন্যান্য শহরে জুলাই স্মৃতি সৌধ ও জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে এবং শিক্ষা পাঠ্যক্রমে "জুলাই গণঅভ্যুত্থান" অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন, শহীদদের প্রতি চিরস্থায়ী শ্রদ্ধা ও আহতদের ন্যায্য স্বীকৃতি নিশ্চিত করা জাতির সম্মিলিত দায়িত্ব।
শহিদুল আলমসহ আটক কর্মীদের কঠোর কারাগারে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলা থেকে আটক হওয়া বাংলাদেশি লেখক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ অন্যান্য অধিকারকর্মীদের ইসরায়েলের কঠোর নিরাপত্তা-বেষ্টিত ‘কেটজিওট’ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এই তথ্য জানিয়েছে।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গতকাল বুধবার ইসরায়েলি নৌবাহিনী এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ
দৃকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ‘কনশেনস’ নামের নৌযান থেকে শহিদুল আলমকে অবৈধভাবে অপহরণ করেছে ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। এই নৌযানে শহিদুল আলমসহ ৯১ জন গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসাকর্মীসহ মোট ১৫০ জন মানবতাবাদী কর্মী ছিলেন।
বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আহ্বান: দিল্লিভিত্তিক লেখিকা অরুন্ধতী রায়, নিউইয়র্কভিত্তিক স্কলার গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, কাঠমান্ডুভিত্তিক সাংবাদিক কনক মণি দীক্ষিতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অবিলম্বে শহিদুল আলমসহ আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
হামলার উদ্দেশ্য: ‘কনশেনস’ নৌযানটি ১৮ বছর ধরে চলমান ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে যাত্রা করেছিল। আয়োজকদের দাবি, গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিয়ে ইসরায়েল ভয়াবহ ‘মিডিয়া ব্ল্যাকআউট’ তৈরি করেছে।
ফ্লোটিলার দাবি ও ইসরায়েলের দায়মুক্তি
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্লোটিলার অংশ হিসেবে কাজ করা সংগঠন ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ জানিয়েছে, শত শত ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যার পাশাপাশি অনেকে এখনো বন্দি ও নিখোঁজ রয়েছেন।
‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতি জরুরিভাবে যেসব দাবি জানানো হয়েছে:
১. গাজার ওপর ইসরায়েলের অবৈধ ও প্রাণঘাতী অবরোধ বন্ধ করতে হবে।
২. চলমান গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৩. অপহরণ করা সব স্বেচ্ছাসেবীকে মুক্তি দিতে হবে।
৪. ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা সরাসরি পৌঁছাতে দিতে হবে।
৫. ফ্লোটিলা নৌযানের ওপর চালানো সামরিক হামলার পূর্ণ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
‘কানাডা বোট টু গাজা’র সদস্য ডেভিড হীপ বলেন, “ইসরায়েলের কোনো আইনগত অধিকার নেই আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করার। জাহাজ জব্দ করাও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনকি ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সেই আদেশও অমান্য করেছে, যেখানে বলা হয়েছে গাজায় মানবিক সহায়তায় বাধা না দিতে।”
আটক স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে অনেকের ওপর সহিংসতা চালানো হয়েছে এবং তাদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বিবৃতিদাতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে দেশটি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।
খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে মো. সবুজ খান নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরানি স্কুলের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পারিবারিক শত্রুতার জের
জানা গেছে, সকালে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন সবুজ খান। পথে পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত একযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সবুজের ছেলে বলেন, স্থানীয় কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডল চাপাতি দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে। তিনি বলেন, “টাকার জন্য একজনকে মারতে গেছিল, আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইকে তাড়া করছিল, মারতে পারেনি। আজকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার বদলে মৃত্যুদণ্ড চাই।”
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, “নাজমা আমার ছোট বোন। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা। নাজমার তিন ছেলে সোহেল, সুজন, সাগরসহ আরও অনেকে মিলে আজ আমার স্বামীরে মেরে ফেলেছে।”
পুলিশের পদক্ষেপ
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজের জন্য শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা ও সাভারের বেশ কিছু এলাকায় টানা ১৬ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সেকশন-৩ এর পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ (শুক্রবার) সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১৬ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে:
আশুলিয়া টিবিএস হতে বাইপাইল পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের এলাকা।
ঢাকা ইপিজেড, মালঞ্চ পাওয়ার প্ল্যান্ট, কাশিমপুর, সারদাগঞ্জ, হাজী মার্কেট, শ্রীপুর, চন্দ্রা ও নবীনগর।
সাভার ক্যান্টনমেন্ট, কাঠগড়া, জিরাবো, গাজীরচট, নয়াপাড়া, দেওয়ান ইদ্রিস সড়কের উভয় পাশের এলাকা, নয়ারহাট, বলিভদ্রপুর, পল্লীবিদ্যুৎ, ডেন্ডারবর, ভাদাইল ও লতিফপুর।
এছাড়া, এর আশেপাশের এলাকায়ও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে উপদেষ্টা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যানজটে আটকা পড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় আটকা পড়েন তিনি। পরে গাড়ি থেকে নেমে তিনি হাঁটা শুরু করেন এবং বাহাদুরপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন।
১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে যাওয়ার কথা ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার। তবে আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার বাড়িউরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টার দিকে তিনি সরাইল বিশ্বরোডে পৌঁছান। উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন তার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দীন।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, যানজটের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের চালক নুর ইসলাম বলেন, সারারাত যানজটে পড়তে হয়েছে এবং বুধবার সকাল ১১টায়ও আশুগঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি।
প্রশাসনের তৎপরতা
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল থেকে মহাসড়কে তীব্র যানজট। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।”
উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক সহ সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাই মাসে হবিগঞ্জে সরকারি সফরে যাওয়ার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারও প্রায় ৩ ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েছিলেন।
নিবন্ধন ছাড়াই ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেবে সরকার
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিবন্ধন ছাড়াও যেকোনো শিশু এই টিকা পাবে।
শিশুমৃত্যু অগ্রহণযোগ্য: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫’-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এসব কথা বলেন। তিনি মন্তব্য করেন, টাইফয়েডে শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, “ডায়রিয়া, রাতকানাসহ অনেক রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিন্তু টাইফয়েডে এখনো শিশু মারা যাচ্ছে, অঙ্গহানি হচ্ছে। এটি কাম্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ্য শতভাগ শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা।”
নিবন্ধন ছাড়াই টিকা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় দুই কোটি শিশুর নিবন্ধন হয়েছে। তিনি জানান, জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, টিকাদানে একটি শিশুকেও বাদ দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, “আমার ঘরে নাতি-নাতনি আছে। গৃহকর্মীরও শিশুসন্তান আছে। কেউ এ টিকার কথা বলেনি। এর অর্থ, আমরা এখনও সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইপিআই কর্মসূচির সফলতার মতো টাইফয়েডেও সফল হওয়া সম্ভব।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে দেশের সফল উদ্যোগ হলো টিকাদান কর্মসূচি এবং টাইফয়েড টিকাদানও নিয়মিত ইপিআইয়ে যুক্ত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে: শেখ হাসিনার আইনজীবী
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে। আমির হোসেনের এই বক্তব্য যে, ২০২৪ সালে কোনো যুদ্ধ হয়নি, তাকে অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার ৫৪তম সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়। বুধবারও (৮ অক্টোবর) এই জেরা চলবে।
তদন্ত কর্মকর্তার দৃঢ় অবস্থান
আমির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নেপথ্যে থেকে অন্যায়ভাবে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। জবাবে এ কথা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আলমগীর।
আইনজীবী আমির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, জুলাই-আগস্টে দেশে কোনো যুদ্ধ হয়নি এবং এই সময়ে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনাও ঘটেনি। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর তার বক্তব্যকে ‘সত্য নয়’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
আমির হোসেন আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা এই বক্তব্যকেও ‘অসত্য’ বলে দাবি করেন। এছাড়া, মনগড়া তথ্য দিয়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার বিষয়ে তদন্ত না করার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
আমির হোসেন পুলিশ হত্যার বিষয়ে তদন্ত করেছেন কি না জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এটি তার তদন্তের বিষয় নয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের আইনজীবীকে পুলিশ হত্যার বিষয়ে মামলা করার নির্দেশ দেন।
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনা
এদিকে, অন্য একটি মামলায় কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-২-এ দেওয়া সাক্ষ্যে রাশেদুল জানান, ৫ আগস্ট, ঘটনার দিন তিনি গুলির শব্দ শুনে থানার নিচে নেমে আসেন।
তিনি বলেন, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি সায়েদ স্যার তাকে লাশগুলো ঢেকে দিতে বললে তিনি নীল রঙের ব্যানার দিয়ে লাশগুলো ঢেকে দেন। তিনি পরে শুনতে পান, আশুলিয়া থানার ভ্যানভর্তি লাশগুলো পুলিশের গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ওসির সঙ্গে পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান ও পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাসসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
- ‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
- একনজরে দেখে নিন টিভিতে আজকের খেলার সূচি
- ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
- শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি
- সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ
- দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
- ফ্যাসিস্টের দোসর সালাহউদ্দিন পেলেন দেশ ছাড়ার অনুমতি
- খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
- ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস
- পূর্বের আটলান্টিস: চীনের সেই ডুবো শহর যেখানে সময় থেমে আছে!
- রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
- ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
- অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- হংকং ম্যাচের আগে ভোগান্তি বাংলাদেশের: বাফুফের ‘অদূরদর্শিতায়’ বাড়তি চাপ
- অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
- মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
- ৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
- সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
- দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প