উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যে পথে রয়েছে, তা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা। তিনি অভিযোগ করেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তার মতে, বাংলাদেশ এখনও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
বুধবার (১৩ আগস্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভার বিষয় ছিল, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।”
ফরিদা আখতার বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক এবং জিএসপি সুবিধার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে কম দামে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় খামারিদের, বিশেষ করে গ্রামের গরিব নারীদের, বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর চেষ্টা করছে, কারণ এর মাধ্যমে জুনোটিক রোগ দেশে প্রবেশের ঝুঁকি থাকে। তিনি সামুদ্রিক শৈবাল (সি-উইড) এবং কুচিয়া (এক ধরনের বাইন মাছ) রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আমদানি কমাতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সানিয়া রেইড স্মিথসহ অন্যান্য বিশিষ্টজন।
উজবেকিস্তানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে একমত হয়েছে। বিশেষ করে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ থেকে অর্ধদক্ষ ও দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখতিয়র সাইদভের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের অন্যতম বড় অর্জন হলো দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত চুক্তি স্বাক্ষর। কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উচ্চশিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উজবেকিস্তানের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বাংলাদেশি কর্মীদের ভূমিকার সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উজবেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় দেশ তাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক শুধু রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদ সহযোগিতার ক্ষেত্রেও দুই দেশের নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
-নাজমুল হোসেন
দোহা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিলেন তৌহিদ হোসেন
বিশ্বজুড়ে চলমান বহুমুখী সংকটের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে দোহা কর্মসূচির (Doha Programme of Action-DPOA) দ্রুত ও কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (UNGA) ৮০তম অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সপ্তাহের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এলডিসি দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আজকের বিশ্বে এলডিসিগুলো একাধিক সংকটের চাপ একসঙ্গে মোকাবিলা করছে। অর্থনৈতিক আঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অস্থিতিশীল ঋণের বোঝা—সব মিলিয়ে সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে দোহা কর্মসূচির সময়োপযোগী ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, এটি কেবল সংকট মোকাবিলার হাতিয়ার নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের পথপ্রদর্শক।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, এলডিসিগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার ত্বরান্বিত করতে, জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে এবং এমন কাঠামো গড়ে তুলতে যা তাদের স্থায়ীভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পথ সহজ করবে।
তৌহিদ হোসেন পুনর্ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ দোহা কর্মসূচির লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্যান্য এলডিসি দেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু উচ্চাকাঙ্ক্ষী ঘোষণাপত্র নয়; আমরা চাই এই কর্মসূচি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুক।”
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে দোহা কর্মসূচি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
-নাজমুল হাসান
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন: প্রবাসীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, "আজ আমাদের একটিই সংকল্প হওয়া উচিত—বাংলাদেশ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।"
শনিবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিখ্যাত ম্যারিয়ট মার্কুইস হোটেলে (১৫৩৫ ব্রডওয়ে) অনুষ্ঠিত “এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি নোবেলজয়ী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমাদের মনের ভেতরে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং সেটিকে বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যেতে হবে।"
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতের শাসনব্যবস্থা মানুষের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করেছে এবং দেশের উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে। "যে কাজগুলো বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আসবে, বিএনপি সেটিতেই ভূমিকা রাখবে," বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব তরুণ প্রজন্মের মুক্তচিন্তা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, "আমরা সেই আধুনিক চিন্তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা রাখি।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের নারীসমাজ আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর সায়েদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এন সি পি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনও বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
-নাজমুল হাসান
খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: সেনা পাহারায় সাজেক থেকে ফিরলেন পর্যটকরা
খাগড়াছড়ির সাজেক উপত্যকায় হঠাৎ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আটকে পড়া প্রায় দুই হাজার পর্যটককে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনা পাহারায় নিরাপদে খাগড়াছড়ি শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রথমে পর্যটকদের দীঘিনালা সেনানিবাসে নিয়ে যান এবং পরে শহরের শাপলা স্কোয়ারে পৌঁছে দেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, শনিবার দুপুরে পর্যটকদের সাজেক থেকে ফেরার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে খাগড়াছড়ি জেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় তারা আটকে পড়েন। ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’ নামে একটি সংগঠন এক মারমা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন এলাকায় এবং গুইমারা উপজেলায় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুপুরেই ১৪৪ ধারা জারি করে এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে। ৩২ ব্যাটালিয়নের বিজিবি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কামরান কবির উদ্দিন জানান, সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামানো হয় এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান চালানো হয়। বিকেল চারটার দিকে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ, দুইজন বিস্ফোরকদগ্ধ এবং বাকিরা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল আঘাতে জখম হন।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক মারমা স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন। পরিবারের সদস্যরা তাকে অচেতন অবস্থায় একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনজন অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে পুলিশ ১৯ বছর বয়সী শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে এবং তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পাহাড়ি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংসতা সংঘটিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
-নাজমুল হাসান
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করলেন ড. ইউনূস
দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে’ অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসীদের বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা নিজ নিজ সামর্থ্যে অবদান রেখে জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
দেশ পুনর্গঠন ও অংশগ্রহণের তাগিদ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এখন দেশের পুনর্গঠনের কাজ চলছে।” তিনি প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “দর্শক সারি থেকে কথা বলা খুব সহজ, কিন্তু আমরা চাই আপনারা মাঠে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং একসঙ্গে খেলুন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সর্বদা আপনাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করছি। আপনাদের দেখে আমরা নতুন সংকল্প নিয়ে দেশে ফেরার আত্মবিশ্বাস পাই।” তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক নেতারা এই সফরে তার সঙ্গে যোগ দেওয়ায় তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা রেমিট্যান্স প্রবাহে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের পদক্ষেপও তুলে ধরেন।
নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন
প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সেবা, দিকনির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাসহ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।
‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনো ধরনের বেআইনি বা অন্যায় নির্দেশনা দেবেন না। একইসঙ্গে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ না করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
‘অর্ধেক ভরা পানি দেখি’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আমি পরিবারের প্রধানের জায়গায় থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করি।” তিনি বাংলাদেশের মতো জায়গায় কাজ করার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, “আমরা অনেক দেখা, অদেখা বহু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। আমি পজিশন মানুষ। গ্লাসে আমি সব সময় অর্ধেক ভরা পানি দেখি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন ঐতিহাসিক নির্বাচন করব। আমরা অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, আইন মেনে কাজ করব। আমরা অন্যায় নির্দেশনা দেব না। বেআইনি নির্দেশনা, কারো পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেব না। সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করার নির্দেশনা দেব।”
নিরপেক্ষতার শপথ
সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা কারো পক্ষে কাজ করবেন না। কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। বিশেষভাবে, বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কাজ করতে হবে।” তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদের হাত তুলে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে শপথ করার আহ্বান জানান। কর্মকর্তারা সিইসির নির্দেশনা অনুসারে হাত তুলে শপথ গ্রহণ করেন।
চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশে আরও একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৫, আর উৎপত্তিস্থল ছিল যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। বেলা ২টা ২৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হলো।
চলতি মাসের ভূমিকম্পের চিত্র
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সাত দিনের মাথায় ২১ সেপ্টেম্বর আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জের ছাতক। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, “আজ ৩.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এটি নিম্ন মাত্রার ভূমিকম্প।”
আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ‘পচা নির্বাচন’ এবং ‘নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া’কে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “পক্ষপাতমূলক দুষ্ট নির্বাচনের জন্য ইসি আপনাদের (কর্মকর্তাদের) চাপ দেবে না, নির্বাচনের নামে প্রহসনই জুলাই আন্দোলনের প্রধান কারণ।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আর কখনো পচা নির্বাচন করব না’
ইসি সানাউল্লাহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সময়ের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার ভেঙে পড়া এবং পচা নির্বাচনই জুলাই অভ্যুত্থানের মূলে রয়েছে। চোখ বন্ধ করে দেখুন, জুলাই আন্দোলন কেন হলো, তার প্রধান কারণ পচা নির্বাচন বা নির্বাচনের নামে প্রহসন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আর কখনো পচা নির্বাচন করব না। পক্ষপাতমূলক দুষ্ট নির্বাচনের জন্য ইসি আপনাদের চাপ দেবে না, ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলবে না।” তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে যদি কেউ অনিয়ম করে, তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে, ইসি কোনো দায়িত্ব নেবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিনা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
“আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
বিশ্বের নানা দেশের প্রভাবশালী নেতারা শুক্রবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূসের হোটেল স্যুইটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশের বর্তমান রূপান্তরের সময়ে সহযোগিতা, দক্ষতা ও পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের (এনজিআইসি) সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবার্গা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ ও পেতার স্টোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমলাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চার সাবেক সভাপতি, বেশ কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এনজিআইসি সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি।
নেতারা অধ্যাপক ইউনূসের আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এক নেতা বলেন, “আমরা আপনাকে ও বাংলাদেশের মানুষকে সমর্থন করতে এখানে এসেছি। আমরা পুরোপুরি আপনার পাশে আছি।”
তাঁরা উল্লেখ করেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পরিবর্তনের পথে এগিয়েছে। তবে গত ১৬ বছরের দুর্নীতি, শাসনব্যর্থতা ও অপশাসনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। “যা কিছু করার প্রয়োজন, আমাদের বলুন। আমরা প্রস্তুত,” বলেন আরেকজন নেতা।
কেরি কেনেডি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা মানবাধিকার নিয়ে অসাধারণ অগ্রগতি করেছেন।” জর্জটাউন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার ঘোষণা দেন যে প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানাবে। এনজিআইসি সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, “আপনার প্রয়োজন হলে আমরা আছি।”
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বনেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আপনাদের এভাবে একত্রিত হয়ে সমর্থন দেওয়া আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত।” তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে দীর্ঘ এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “দেশটি যেন ১৫ বছর ধরে একটানা ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।”
তিনি স্বীকার করেন, জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি: “মানুষ রাতারাতি পরিবর্তন দেখতে চায়। কিন্তু সীমিত সম্পদ নিয়েও আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতে হবে। তারা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।”
অধ্যাপক ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমাদের আপনার পরামর্শ ও নৈতিক সমর্থন প্রয়োজন। আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত মূল্যবান হবে।” বৈঠকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
-সুত্রঃ ডেইলি সান
পাঠকের মতামত:
- উজবেকিস্তানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ
- মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল আতলেতিকো, নায়ক আলভারেজ
- সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা, লেনদেন ১০০ কোটি টাকা
- দোহা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিলেন তৌহিদ হোসেন
- এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত
- বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
- ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
- নাটোর: মাদ্রাসার টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার তিন খাদেম
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
- জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন: প্রবাসীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
- ফাইনালের আগেই উত্তাপ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল বিতর্কে
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: সেনা পাহারায় সাজেক থেকে ফিরলেন পর্যটকরা
- জামায়াত সুসংগঠিত, কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল
- ছোট কম্পন কি বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?
- প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করলেন ড. ইউনূস
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
- বিসিবি নির্বাচন: তামিম-বুলবুল সমঝোতায় জটিলতা, আলোচনায় ফাটল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল: টাইব্রেকারে থামল বাংলাদেশের স্বপ্ন
- আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
- ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
- গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান
- সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে পারলেই পর্যটন টিকে থাকবে: রিজওয়ানা হাসান
- ফ্যাসিবাদী দালাল মিডিয়ার প্রয়োজন নেই: রিজভী
- ‘৬-০’ কটাক্ষের জেরে হারিস রউফকে জরিমানা করল আইসিসি
- গোপনে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন সেলেনা গোমেজ ও বেনি ব্লাঙ্কো
- গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে স্পেন
- পটুয়াখালীতে বিরল কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ায় বাজারে ভিড়
- অসহায় বৃদ্ধের চুল-দাড়ি জোর করে কেটে দেওয়ায় মামলা
- পর্যটন দিবসে কক্সবাজার: উৎসবে আমেজ, সেন্টমার্টিন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
- ‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
- চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
- অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
- রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
- খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
- বিসিবি নির্বাচনে লড়ছেন আসিফ আকবর
- অস্কারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে লিসা গাজীর ‘বাড়ির নাম শাহানা’
- আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
- “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
- “আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
- রেকর্ড গড়ে বায়ার্নের শততম গোল করলেন হ্যারি কেন
- শিরোপা ধরে রাখতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ তরুণরা
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- গান ছাড়লেন তাহসান, ফাটল কি মিথিলা-সৃজিতের সংসারেও?
- ‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’