ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১২:৫৪:১০
ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

ওমান সরকার দেশটির প্রশাসনিক সেবায় যুগোপযোগী সংস্কার আনতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) প্রবাসীদের আবাসিক কার্ড (রেসিডেন্স কার্ড) এবং ওমানি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ও ফি কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন ঘোষণা করেছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে একদিকে যেমন নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও নমনীয় হবে, অন্যদিকে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা হবে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।

প্রবাসীদের জন্য নমনীয় আবাসিক কার্ডের মেয়াদ

নতুন বিধান অনুযায়ী, ওমানে বসবাসরত প্রবাসীরা এখন নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী তিন ধরনের আবাসিক কার্ডের মেয়াদ বেছে নিতে পারবেন—

এক বছরের কার্ড: ৫ ওমানি রিয়াল

দুই বছরের কার্ড: ১০ ওমানি রিয়াল

তিন বছরের কার্ড: ১৫ ওমানি রিয়াল

যদি কার্ড হারিয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে প্রতিস্থাপনের জন্য ২০ ওমানি রিয়াল ফি দিতে হবে। এই নতুন কাঠামো প্রবাসীদের জন্য বাড়তি নমনীয়তা এনে দিয়েছে, যাতে তারা তাদের কর্মচুক্তির মেয়াদ, বসবাসের সময়কাল, অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক মেয়াদের কার্ড নিতে পারেন।

ওমানি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন

ওমানি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ করে ১০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে, যা বর্তমানে ওমানি পাসপোর্টের মেয়াদের সমান। এ সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ঘন ঘন কার্ড নবায়নের ঝামেলা কমাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচ সাশ্রয় করবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু, নবায়ন বা প্রতিস্থাপনের ফি অপরিবর্তিত থেকে ১০ ওমানি রিয়ালই বহাল থাকছে। দীর্ঘমেয়াদি বৈধতার ফলে পরিচয়পত্র সংক্রান্ত প্রশাসনিক ব্যস্ততাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

নবায়নের সময়সীমা ও আইনগত শর্ত

আরওপির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তা নবায়ন করতে হবে। সময়সীমা অতিক্রম করলে এটি আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।

সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য

রয়্যাল ওমান পুলিশ জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের প্রধান লক্ষ্য হলো—

প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজীকরণ

জনসেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা

নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য সুবিধাজনক বিকল্প প্রদান

সিভিল স্ট্যাটাস আইনকে আধুনিকায়ন

এই সংস্কার উদ্যোগ ডিজিটাল সেবা, দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে নাগরিক ও প্রবাসীদের জীবনমান উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওমানে প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের চিত্র

২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ওমানে প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী কাজ করছেন, যা দেশটির মোট শ্রমবাজারের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে—

বেসরকারি খাতে: প্রায় ১৪ লাখ

সরকারি খাতে: ৪১ হাজার

গৃহকর্মী: ৩ লাখ ৪৯ হাজার

পারিবারিক খাতে: ৬ হাজার ৮০০ জন

ওমানের অর্থনীতিতে প্রবাসী শ্রমশক্তির অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় নমনীয়তা ও সেবা উন্নয়ন কেবল প্রবাসী কল্যাণই নিশ্চিত করবে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান স্বীকৃতির দাবি

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১০:১৯:৪৪
জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান স্বীকৃতির দাবি
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণআন্দোলনে বিশ্বের নানা প্রান্তে সংগঠিত হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ গড়ে তোলা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন 'গ্লোবাল বাংলাদেশিজ অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস' (জিবিএএইচআর)।

গত বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করা হয় প্রবাসীদের জুলাই অংশগ্রহণ নিয়ে রচিত দুটি প্রামাণ্য গ্রন্থ— ‘জুলাই ৩৬: আন্দোলন দেশে দেশে’ এবং ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সিলেট পর্ব: জুলাই-আগস্ট ২০২৪’। বই দুটি সম্পাদনা করেছেন জিবিএএইচআর মুখপাত্র ও সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন।

প্রকাশিত বই দুটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ, সংগঠন গড়ে তোলা এবং দেশীয় আন্দোলনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবি ও বিবরণে। বক্তারা জানান, দেশে যেমন গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তেমনি বিদেশে থাকা প্রবাসীরাও বিভিন্ন দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, "জুলাই আন্দোলন কেবল বাংলাদেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিদেশেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরব ভূমিকা রেখেছেন। তাই তাঁদের অবদান আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি একান্ত যৌক্তিক।"

অনুষ্ঠানে জিবিএএইচআরের মুখপাত্র শামসুল আলম লিটন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীরাও আত্মত্যাগ করেছেন, মাঠে নেমেছেন। তাঁরা শুধু আশা নয়, বাস্তব অবদান রেখেছেন। এই অবদান রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও এডাস্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, “প্রবাসীদের স্বীকৃতি চাইতে হচ্ছে— এটা দুঃখজনক। সরকারকে দ্রুত ওদের অবদানের মূল্যায়ন করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নির্বাসিত বিচারপতি মোতাহার হোসেন, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ আবদুল্লাহ, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আইনজীবী নাশিত রহমান, ব্যারিস্টার শিবলী সাদিক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেনসহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জাকির হাসান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। শেষ অংশে গান পরিবেশন করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাজেদ ফাতেমী। 'নকশী কাঁথার মাঠ' গানের সুরে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

/আশিক


প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল বিকাশ

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ০৮:২৩:৩৫
প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল বিকাশ

দেশে থাকা প্রিয়জনের আর্থিক স্বচ্ছতা ও পরিকল্পনাকে আরও সহজ করতে জনপ্রিয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ তাদের অ্যাপে চালু করেছে ‘রেমিট্যান্স স্টেটমেন্ট’ সেবা। এখন থেকে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের হিসাব একটি নির্দিষ্ট সময়কাল অনুযায়ী সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে প্রাপ্ত স্টেটমেন্টের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে, যা আর্থিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আয়কর বিবরণীতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানায়, নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহক যেকোনো সময় বিকাশ অ্যাপে গিয়ে রেমিট্যান্স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ফিচারটি বিকাশ অ্যাপের ‘রেমিট্যান্স’ আইকনের মধ্যে তিনটি ট্যাবে বিভক্ত দেশ অনুযায়ী অপারেটর, রেমিট্যান্স স্টেটমেন্ট এবং রিসিট।

স্টেটমেন্ট ট্যাবে প্রবেশ করে গ্রাহক ৩০ দিন, ১৮০ দিন, নির্দিষ্ট কর-বছর বা নিজের ইচ্ছেমতো নির্ধারিত সময়ের জন্য রেমিট্যান্স স্টেটমেন্টের অনুরোধ করতে পারবেন। দিনে সর্বোচ্চ ২ বার এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫ বার এই অনুরোধ পাঠানোর সুযোগ থাকবে। অনুরোধ জমা দেওয়ার সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক স্টেটমেন্ট পেয়ে যাবেন এবং অ্যাপেই একটি নোটিফিকেশন পাবেন, যেখান থেকে ডাউনলোড করে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত স্টেটমেন্টটি সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যাবে।

এই স্টেটমেন্টে উপরের অংশে থাকবে রেমিট্যান্স গ্রহীতার নাম, বিকাশ নম্বর, গ্রহীতার ধরন, নির্ধারিত সময়সীমা ও ইস্যুর তারিখ। আর নিচের অংশে থাকবে মোট রেমিট্যান্সের সংখ্যা ও প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ। আরও নিচে থাকবে প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত অর্থ গ্রহণের তারিখ ও সময়, প্রেরণকারী দেশ, সেটেলমেন্ট ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট মানি ট্রান্সফার অপারেটর এবং প্রেরিত অর্থের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি প্রবাসী বৈধপথে তাদের প্রিয়জনদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া যেমন নিরাপদ, তেমনি তাৎক্ষণিক এবং বিশ্বস্ত। এই উদ্যোগের ফলে শুধুমাত্র প্রবাসী পরিবারের জীবনযাত্রার মানই উন্নত হচ্ছে না, বরং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়ে দেশের অর্থনীতিও গতিশীল হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরের মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে রেমিট্যান্স সেটলমেন্টের পর তা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছাচ্ছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিকাশ নিয়মিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

-রফিক


প্রবাসী ভোটারদের জন্য ইসির বড় পরিকল্পনা

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ০৮:১০:৩৮
প্রবাসী ভোটারদের জন্য ইসির বড় পরিকল্পনা
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ভোট প্রদানের (পোস্টাল ব্যালট) পদ্ধতিতেই আস্থা রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি এবং ডাক বিভাগ যৌথভাবে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, যার আওতায় বিশ্বব্যাপী ১৯২টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও লজিস্টিক প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। এই পদক্ষেপে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ ভোটারকে নিবন্ধন করিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে ইসি। এই অনলাইন নিবন্ধন শেষে ডাকযোগে তাদের মধ্যে ব্যালট পাঠানো হবে। ভোটপ্রদানের এই পুরো প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে ডাক বিভাগকে সর্বোচ্চ ২৮ দিন এবং সর্বনিম্ন ৮ দিনের মধ্যে ব্যালট পাঠানো ও গ্রহণের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দূরত্ব অনুযায়ী এই সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে।

এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন ৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা করেছে, যার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আগে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও কিছু পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তা ফেরত দেওয়া হয়। সংশোধন শেষে পুনরায় তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের চারটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, প্রবাসী ভোটারদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর পোস্টাল ব্যালটিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন। দ্বিতীয়ত, দেশের অভ্যন্তরে উপযুক্ত ভোটারদের জন্য ডাকযোগে ভোটগ্রহণ পদ্ধতির সম্প্রসারণ। তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর সম্ভাবনা মাথায় রেখে এর নিরাপত্তা, ব্যবহারযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য সফটওয়্যার উন্নয়ন। এবং চতুর্থত, ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা।

ডাক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, কিন্তু আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের ১৯২টি দেশের সঙ্গে ডাক বিভাগের যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সময়মতো ব্যালট পাঠানো এবং ফেরত আনা এই জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ২৮ দিন ও সর্বনিম্ন ৮ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

-রাফসান


প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ: আসিফ নজরুল

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ২০:৩৪:৫১
প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ: আসিফ নজরুল
ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণে উদ্যোগ, আন্দোলনকারীদের মুক্তির বিষয়েও অগ্রগতি

প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’-এর অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, “গত বছরের জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছেন। সরকারের ইচ্ছা রয়েছে তাদের জন্য কিছু করে যাওয়ার। এর অংশ হিসেবেই প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছিলেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। ২০ জুলাই সন্ধ্যায় দুবাই, শারজাহ ও আজমানে বিক্ষোভ চলাকালে আমিরাত পুলিশ ৫৭ বাংলাদেশিকে আটক করে। পরে আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং বাকি ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

এ ঘটনার পর আমিরাত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয়। এরপর বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচিত হয়।

গত বছর ১১ আগস্ট পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আমিরাতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পরদিন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মিযানুর রহমান জানান, সরকার ওই ৫৭ প্রবাসীর মুক্তির লক্ষ্যে আইনজীবী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।

পরে সুখবর আসে বাংলাদেশিদের জন্য। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ওই ৫৭ বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান করেছেন। শিগগিরই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের ধারা অনেকটাই ইতিবাচক। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা ৩০ হাজার ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ আয় ছিল ২৩ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার।

এই রেমিটেন্স বৃদ্ধিকে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতি প্রবাসীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে ছিল।

/আশিক


মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০২ ১১:৩০:৪৯
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার মালয় সংবাদমাধ্যম ‘বেরিতা হারিয়ান’-এর বরাতে জানা যায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি টয়োটা আভানজা গাড়ি কুয়ান্তান থেকে কুয়ালালামপুরগামী পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার এক পাশে পড়ে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন গুরুতর আহত হন।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন—মো. সাবের হাসান (৩০), মো. জাহিদ হাসান (২১) ও আবদুল্লাহ (২৪)। আহতদের নাম মো. হাবিব বিশ্বাস (৪৫) ও মণীরাম চন্দ্র বাস (৪০)। আহতদের কুয়ান্তানের তেংকু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুয়ান্তানের ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশপ্রধান মো. আদলি মাত দাউদ জানান, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গাড়ির চালক মো. সাবের হাসানের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া, গাড়িটির রোড ট্যাক্স গত মে মাস থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। ঘটনার তদন্ত সড়ক পরিবহণ আইন ১৯৮৭-এর ৪১(১) ধারায় পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়া, পুলিশ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি নিহত ও আহতদের নিয়োগদাতাদের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

/আশিক


আন্তঃসরকারি আলোচনার সফল পরিণতি: মালয়েশিয়ায় বিশেষ নিয়োগ শুরু

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০১ ১৯:৫৭:৪০
আন্তঃসরকারি আলোচনার সফল পরিণতি: মালয়েশিয়ায় বিশেষ নিয়োগ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় পূর্বে নির্ধারিত কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারা বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আশার আলো দেখিয়েছে একটি বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩১ মে ২০২৪ সালের মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও যারা ফ্লাইটের অভাবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে পারেননি, তাদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার বিশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছে।

এই উদ্যোগের মূল প্রেক্ষাপট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আটকে পড়া শ্রমিকদের পুনর্নিয়োগের অনুরোধ জানান। পরে কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে এক যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয় এবং তারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে।

এ উপলক্ষে মালয়েশিয়া সফর করেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। তারা মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন এবং কর্মীদের পুনর্নিয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জুলাই মাসের মধ্যেই আটকে থাকা কর্মীদের নিয়োগ শুরু হবে। এই প্রক্রিয়াকে সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়া সরকার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) তৈরি করে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠায়, যা পরবর্তীতে প্রবাসী কর্মসংস্থান সংস্থা বোয়েসেল (BOESL) এর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়। বোয়েসেল উক্ত SOP-এর সঙ্গে সম্মতি জানালে হাইকমিশন মালয়েশিয়া সরকারকে তা নিশ্চিত করে।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, এই বিশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা শুধুমাত্র বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী নেবে, যাতে আগের মতো কেউ প্রতারণার শিকার না হন বা অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে না হয়। অনেক কর্মীই অভিযোগ করেছিলেন, আগের নিয়োগে ফ্লাইট না পাওয়ায় তারা পাসপোর্ট, মেডিকেল, ভিসা ও অন্যান্য খরচ করেও কর্মস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। এরই প্রেক্ষিতে তারা মন্ত্রণালয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন।

-শরিফুল


আন্তঃদেশীয় অপরাধ রুখতে এক প্ল্যাটফর্মে দুই পুলিশ বাহিনী

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ০৭:০০:১৩
আন্তঃদেশীয় অপরাধ রুখতে এক প্ল্যাটফর্মে দুই পুলিশ বাহিনী
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পুলিশি সহযোগিতা জোরদারে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচার, অর্থপাচার ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দেশের পুলিশ বাহিনী একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সভায় নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিপিএম। অপরদিকে, রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের প্রধান আজমান বিন আব্দ রাযাকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়া থেকে বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে আইজিপি বাহারুল আলম মালয়েশিয়ান প্রতিনিধিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তঃদেশীয় অপরাধ এখনো একটি বড় হুমকি, যা মোকাবেলায় সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল ও পারস্পরিক সহায়তা অপরিহার্য।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী উভয় পক্ষ সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ রোধে সময়োপযোগী তথ্য ও গোয়েন্দা বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা একমত হন যে, অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধে কেবল নিজ নিজ দেশে সীমাবদ্ধ না থেকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম; স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি মো. গোলাম রসুল; এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম। এছাড়া পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

-রফিক


দেশে যাওয়া-আসায় আর বাধা নেই, মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৫ ২১:৪৩:০৭
দেশে যাওয়া-আসায় আর বাধা নেই, মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য এক সুখবর। দেশটির সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এতে আরও জানানো হয়, এ সংক্রান্ত একটি অফিসিয়াল নির্দেশনা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজের প্রয়োজনে বা পারিবারিক কারণে দেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো ধরনের জটিলতায় পড়বেন না। একাধিকবার যাতায়াতের অনুমতি পাওয়ায় তাদের ভিসা নবায়নের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে না, সময় ও অর্থ—দুয়ের সাশ্রয় হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের একটি দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দেশটির সরকার। এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রবাসী কর্মীদের সুবিধা বাড়াবে না, দুই দেশের শ্রমবাজার সম্পর্কেও আরও স্থিতিশীলতা আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই নানা বাধার কারণে দেশে ফিরতে কিংবা দেশে গিয়ে পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে সমস্যায় পড়েন। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হওয়ায় এই ধরনের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পদ্ধতি প্রবাসীদের জানিয়ে দেওয়া হবে খুব শিগগিরই।


রাখাইনে শান্তি ফেরাতে আসিয়ানের নতুন বার্তা

প্রবাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ০৯:৫২:৫৫
রাখাইনে শান্তি ফেরাতে আসিয়ানের নতুন বার্তা

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ান। একই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর। মালয়েশিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৫৮তম আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভার শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই বার্তা দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আসিয়ান নেতারা বলেন, রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত এবং সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও পুনর্মিলনের জন্য মিয়ানমার সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে জোটের আগের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রসঙ্গে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে আসিয়ান বলেছে, যাচাইকৃত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাতে নেওয়া দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপগুলো আশাব্যঞ্জক এবং এগুলোকে আরও গতিশীল করা জরুরি।

আসিয়ান নেতারা প্রত্যাশা করছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের অব্যাহত সহযোগিতা থাকবে। বিশেষ করে প্রাথমিক প্রয়োজন মূল্যায়ন বা পিএনএ অনুযায়ী প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের পথ সুগম হবে। ভবিষ্যতে একটি সমন্বিত প্রয়োজন মূল্যায়ন বা সিএনএ পরিচালনার জন্য অনুকূল পরিবেশ গঠনের ওপরও জোর দেওয়া হয়।

আসিয়ান মহাসচিবকে এই প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত সম্ভাব্য সহযোগিতা ও সহায়তার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৪ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়েছিল ৮ জুলাই, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “অন্তর্ভুক্তি ও টেকসইতা”। এতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি জোটের বাইরের অংশীদার রাষ্ট্র থেকেও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে, যেখানে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, অভিবাসন, মানবিক সহায়তা এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।

সত্য প্রতিবেদন/আশিক

পাঠকের মতামত: