‘পুলিশ এখনও কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না’– শ্রম ও নৌ উপদেষ্টার অভিযোগ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৬:৪২:০৪
‘পুলিশ এখনও কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না’– শ্রম ও নৌ উপদেষ্টার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম ও নৌ পরিবহন খাতের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনও কাঠামোগত সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে সরকারের সফলতা আনা কঠিন হয়ে যায়। রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগের সরকার পুরো স্ট্রাকচার ভেঙে ফেলেছিল—আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিভিল প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে ফ্যাসিবাদের ছড়াছড়ি ছিল। দেশের কোথাও ফাঁকা জায়গা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে মাত্র এক বছরে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তিনি জানান, বর্তমান সরকার নতুন একটি কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, যাতে ভবিষ্যৎ সরকার সঠিকভাবে কাজ এগিয়ে নিতে পারে। বর্তমানে নানা জটিলতায় ‘একটা চিঠি দিয়ে পেছনে লোক পাঠানো’ ছাড়া উপায় নেই।

উল্লেখ্য, শ্রম খাতের বিভিন্ন সমস্যার কথাও তিনি তুলে ধরেন। এম সাখাওয়াত বলেন, “বিজিএমইএর (বাংলাদেশ গার্মেন্ট মিলস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতিকে এমপি হতে হবে—এমন অবস্থা থাকায় তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তে গিয়ে কথা বলতে পারেন না।” তিনি শ্রম খাতে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ব্যর্থ মালিকদের কয়েকটি কারখানা বর্তমানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সেগুলো বিক্রির চেষ্টা চলছে। কারণ শ্রম কল্যাণ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার পর মালিকরা বিদেশে চলে গেছেন।

শ্রমিক অধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, একসময় ৪২ জন শ্রমিক নেতা কারাগারে ছিলেন, এখন সংখ্যাটি মাত্র একজন। নারী শ্রমিকদের বেতন, ভাতা ও অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণ খাতের বড় বড় কোম্পানি শ্রম কল্যাণ তহবিলে নিবন্ধিত নয়। এ কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে, যারা নিবন্ধন করবে না তাদের সরকারি কাজের সুযোগ দেওয়া হবে না।

/আশিক


আগামী নির্বাচনে অরাজকতার আশঙ্কা নেই: নিরাপত্তায় বাড়তি প্রস্তুতি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৫:৪৫:১০
আগামী নির্বাচনে অরাজকতার আশঙ্কা নেই: নিরাপত্তায় বাড়তি প্রস্তুতি
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে তিনি প্রস্তুত এমন অকপট মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন এবং নির্বাচনের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

প্রথমেই তিনি স্পষ্ট করেন, নির্বাচনে সহিংসতা বা অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য পুলিশ ভীত নয়, তবে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ কমে গেছে। তার মতে, জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গেলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি মোবাইল ফোর্সের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তারা পূর্বে যেসব দুর্গম এলাকায় দ্রুত পৌঁছাতে পারত না, এখন সেসব এলাকায়ও সময়মতো পৌঁছাতে পারে।

নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে জেলা পর্যায় থেকে সরাসরি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে প্রমাণ হিসেবে ফুটেজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একক দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং সর্বোপরি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। নির্বাচন সফল হলে সবাই প্রশংসা করবে, কিন্তু ব্যর্থ হলে তিনি নিজেও সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত।

ভোট গ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য এবার অভূতপূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রিসাইডিং অফিসারের নিরাপত্তায় এবার একজন সশস্ত্র আনসার সদস্য সরাসরি গার্ড হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন, যাতে তাকে আক্রমণ বা ভয় দেখানোর কোনো সুযোগ না থাকে। পূর্বে যেখানে দুইজন সশস্ত্র আনসার সদস্য থাকতেন, এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে তিনজন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন নারী আনসার ও ছয়জন পুরুষ আনসার মোতায়েন করা হবে, যদিও তাদের হাতে অস্ত্র থাকবে না।

শুধু আনসার নয়, পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীও নিজ নিজ বাহিনী থেকে জনবল সরবরাহ করবে। এই সমন্বিত বাহিনীর উপস্থিতি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা, অনিয়ম ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

-রফিক


হারানো অস্ত্রের তথ্য দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৪:৫১:৫৬
হারানো অস্ত্রের তথ্য দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

হারানো অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তা করলে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য নগদ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পুরস্কারের পরিমাণ শিগগিরই গণমাধ্যমে জানানো হবে। তিনি বলেন, “যে কেউ হারানো অস্ত্রের অবস্থান বা তথ্য দিতে পারলে পুরস্কৃত হবে।”

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমরা জাতি হিসেবে ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি। আগে সমাজে অপরাধ ঘটলে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে তা প্রতিহত করত। এখন অনেকেই অপরাধ থামানোর বদলে কেবল ভিডিও করে। এটি দুঃখজনক ও সামাজিক অবক্ষয়ের লক্ষণ।”

তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারে না। তাই সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে। গাজীপুরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, যা কল্পনাতীত। এ ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগই গ্রেপ্তার হয়েছে, তবে হারানো জীবন ফেরানো যাবে না। ধৈর্য ও সচেতনতা থাকলে এমন ঘটনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।”

শেরপুরের আরেকটি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “ভিডিও করতে ব্যস্ত থেকে অপরাধ প্রতিহত না করা সামাজিক অবক্ষয়ের বড় প্রমাণ। ইউটিউব বা সামাজিক মাধ্যমে আয় করার জন্য অনেকে এ ধরনের ভিডিও করে, যা অনৈতিক।”

দেশে অস্ত্র উদ্ধারের সাম্প্রতিক অভিযান প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত ১,১০০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র তৈরির সঙ্গে জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, “যারা অস্ত্র বানায়, তারা জানে এগুলো কারা ব্যবহার করছে। তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”

/আশিক


চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৪:৪৩:১০
চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা পুরোনো স্ক্র্যাপ লোহাভর্তি একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারটির খালাস ইতোমধ্যে স্থগিত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে’ স্ক্যানিংয়ের সময় তেজস্ক্রিয়তার সংকেত ধরা পড়ে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, কনটেইনারটিতে তিন ধরনের রেডিওনিউক্লাইড আইসোটোপ শনাক্ত হয়েছে—থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২।

আমদানি নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড তাদের কারখানার জন্য ব্রাজিল থেকে ১৩৫ টন স্ক্র্যাপ লোহা আমদানি করে। পাঁচটি কনটেইনারে এসব স্ক্র্যাপ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

গত ৩ আগস্ট ‘এমভি মাউন্ট ক্যামেরন’ জাহাজে কনটেইনারগুলো বন্দরে পৌঁছায় এবং একই দিনে জিসিবি ৯ নম্বর জেটিতে খালাস করা হয়। বুধবার বন্দর থেকে কনটেইনারটি খালাসের সময় রেডিয়েশন শনাক্তকারী যন্ত্রে তেজস্ক্রিয়তার সংকেত মেলে, ফলে খালাস প্রক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় কনটেইনারে এক মাইক্রোসিয়েভার্টস মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। এটি খুব বেশি নয় এবং সঠিক পরিমাপও নাও হতে পারে, কারণ কনটেইনার ও লোহার স্তর ভেদ করে সংকেত ধরা পড়েছে। প্রাথমিক সতর্কতার অংশ হিসেবে কনটেইনারটি আলাদা করে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান বলেন, মেগাপোর্টের যন্ত্রে সংকেত পাওয়ার পর কনটেইনারটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। এখন এটি পৃথক স্থানে রাখা আছে। বিষয়টি নিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানানো হয়েছে এবং তাদের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

/আশিক


সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, যুক্ত ৪৫ লাখ নতুন ভোটার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৪:০৩:২৪
সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, যুক্ত ৪৫ লাখ নতুন ভোটার
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

খসড়া তালিকা অনুযায়ী, নতুন করে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং মৃত বা অযোগ্য হিসেবে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন। এতে করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

আখতার আহমেদ জানান, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি গ্রহণ করা হবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে যোগ্য নতুন ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুজনিত বা অযোগ্য ভোটারের নাম কর্তন, ভোটার স্থানান্তর এবং তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যাবে নির্ধারিত ফরম (ফরম-২, ফরম-১২, ফরম-১৩ ও ফরম-১৪) ব্যবহার করে। এসব আবেদন ২৪ আগস্টের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩১ আগস্ট।

তিনি আরও জানান, এ বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত মূল ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। পরবর্তী হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, যেসব নাগরিক আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারাও চলতি বছরের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন—নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে নবীন ভোটারদের এক বছর অপেক্ষা করতে না হয়।

সিনিয়র সচিব বলেন, চলতি বছর ইসি মোট তিন দফায় ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। ২ মার্চ প্রকাশের পর দ্বিতীয় তালিকা আসবে ৩১ আগস্ট এবং তৃতীয় তালিকা প্রকাশিত হবে ৩১ অক্টোবর।

রোববার সকালে সারাদেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে খসড়া তালিকা সাঁটানো হয়েছে। এতে ভুল তথ্য থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে ১২ দিন। আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

/আশিক


প্রবাসীদের জন্য ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ সফর মালয়েশিয়াতে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১০:৩২:৪৭
প্রবাসীদের জন্য ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ সফর মালয়েশিয়াতে
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) মালয়েশিয়া সফরে যাত্রা করবেন। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার মালয়েশিয়া পুনরায় চালু করার আশায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান, ভিসা জটিলতা ও বৈধতা সমস্যার সমাধানে এই সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা মনে করছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকা শ্রমবাজার আবার খোলার ফলে সাধারণ শ্রমিক ও শিক্ষিত উভয় শ্রেণির মানুষের জন্য মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যান্য অনেক সমস্যা সমাধান হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা ভালো থাকুক এবং নতুন আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি পাবে।”

অন্যদিকে প্রবাসী মকবুল হোসেন আশা ব্যক্ত করেন, “ড. ইউনূস মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অবৈধ অবস্থায় থাকা বাংলাদেশিদের বৈধকরণ এবং ভিসার জটিলতা দ্রুত সমাধান করবেন। শ্রমিক ভিসার সমস্যার সমাধান হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, “বৈঠকে তিনি ভিসা জটিলতা ও অবৈধদের বৈধকরণের বিষয়গুলো জোরালোভাবে তুলে ধরবেন বলে আমরা আশাবাদী।”

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে ড. ইউনূস কুয়ালালামপুরে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। এসব বৈঠকে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, হালাল খাদ্য, উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা সংকট, কৃষি, সমুদ্র অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয় আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈঠকের পর পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট বিনিময় হতে পারে, যা বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষত, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বিজনেস কাউন্সিল গঠনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার নতুন পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এই সফরকে “উচ্চ পর্যায়ের একটি সফর” হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, “দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে ইতোমধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক বাধা দূর করতে পারব।”

সফরের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজিত ব্যবসায়িক সেমিনারে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময়, সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও মালয়েশিয়ার মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী তুন ডা. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সম্ভাব্য সাক্ষাৎ।

ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা। ১৩ আগস্ট তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

-রাফসান


রান্নাঘরের আড়ালে অস্ত্রের গুদাম, নিউমার্কেটে সেনাবাহিনীর বড় অভিযান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ০৮:২৯:২৬
রান্নাঘরের আড়ালে অস্ত্রের গুদাম, নিউমার্কেটে সেনাবাহিনীর বড় অভিযান
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেটে সেনাবাহিনীর পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার এবং ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে বাজারের নিচতলার তিনটি দোকান থেকে অন্তত ১,১০০টি সামুরাই, চাপাতি ও অন্যান্য দেশি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়। সেনাবাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র, যা রাজধানীতে চলমান ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র শোডাউনে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

সেনা কর্মকর্তারা জানান, অভিযানের সূত্র মেলে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত সহিংসতায় একই ধরনের ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছিল। এরপর নিউমার্কেটে কিছু দোকানকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব দোকানে রান্নাঘরের সরঞ্জামের আড়ালে গোপনে ধারালো অস্ত্র বিক্রি ও মজুদ রাখা হতো। শুধু দোকান থেকেই নয়, ক্রেতাদের কাছে এসব অস্ত্র হোম ডেলিভারি এবং ভাড়ার মাধ্যমেও সরবরাহ করা হতো। অভিযানে একাধিক দোকান থেকে গুদামজাত অবস্থায় বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সংখ্যা ১,১০০ হলেও আরও কিছু অস্ত্র গণনা চলছে, যা শেষ হলে সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ৯ জন স্বীকার করেছে যে তারা এই অস্ত্রগুলো মূলত অপরাধী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের কাছে বিক্রি করত। তবে তারা নিজেরা সরাসরি কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এসব অস্ত্র গত তিন থেকে চার মাস ধরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল এবং নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছিল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং শিগগিরই আদালতে পাঠানো হবে। তদন্তে অস্ত্রগুলোর উৎস—বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা নাকি দেশীয়ভাবে তৈরি তা খতিয়ে দেখা হবে। সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, অস্ত্র সরবরাহ চক্রের মূল হোতাদের ধরতে এবং রাজধানীর অপরাধী নেটওয়ার্ক ভাঙতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

-রাফসান


ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সিইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২০:১৯:০৬
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সিইসি
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দিনের শুরুতে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে, যা ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়েছে, এমনকি অনেকেই ভোটের দিনকে কেবল ছুটি উপভোগের দিন হিসেবে দেখে। তাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এখন সবচেয়ে বড় কাজ।

নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এবং নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে, যেখানে ভোটাররা নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারকেও বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন সিইসি। তার ভাষায়, বর্তমানে এআই অস্ত্রের চেয়েও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। মানুষের ছবি ও কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ভুয়া বক্তব্য তৈরি করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারছে না। এসব তথ্য যাচাই না করেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হচ্ছে। এ বিষয়ে সমাধান খুঁজতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে জানান তিনি।

প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে সিইসি বলেন, শুধুমাত্র শিক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশীয় লোকবল দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে এবং অতীতের মতোই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। জনগণ যদি বিশ্বাস করে যে নির্বাচন কমিশন সৎভাবে কাজ করছে, তবে তারা ভোটদানে আগ্রহী হবে।

নিজের দায়িত্বকে ‘ইমানি দায়িত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করে নাসির উদ্দীন বলেন, তিনি ও তার সহকর্মীরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার সিদ্ধান্ত কারও পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে, তবে তা আইন ও বিধি অনুসারে হবে, ব্যক্তিগত কারণে নয়। তিনি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওই অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

/আশিক


নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৮:৩৯:৩৩
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় ৬২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০টি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ১১টিতে কোনো ভিন্নমত ছিল না, আর বাকি ৯টিতে নোট অব ডিসেন্টসহ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কমিশন এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। প্রাথমিক আলোচনায় যে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার মধ্যে স্থানীয় সরকারে সংসদ সদস্যদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের গুরুত্বও বিবেচনায় রাখতে হবে।

কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বললেও আলী রীয়াজ পুনরায় স্পষ্ট করেন, কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

/আশিক


চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৬:৫০:৫৬
চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবে আহত হয়ে হাত-পা হারানো অসংখ্য মানুষের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে চীনের দেওয়া উন্নতমানের রোবোটিক অঙ্গ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, এই প্রযুক্তি শুধু শারীরিক সক্ষমতা ফেরাতেই সাহায্য করছে না, বরং আহতদের আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভরতা ফিরিয়ে দিচ্ছে। তার ভাষায়, চীন বাংলাদেশের শুধু উন্নয়ন অংশীদার নয়, সংকটমুহূর্তে নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় অনুষ্ঠিত ‘নি হাও! চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। প্রদর্শনীটির আয়োজন করে বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার।

নূরজাহান বেগম জানান, চীনের সহায়তায় রংপুরে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, দক্ষ নার্স ও অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের সেবা থাকবে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনেও চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে এবং স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের উন্নয়ন ঘটবে।

অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও উন্নত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় চীনের সুনাম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে চীন একটি টেকসই ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গড়ে তুলতে চায়। মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণ করে তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই চীনা চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসে সেবা প্রদান করেছে এবং ভবিষ্যতেও চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

প্রদর্শনীতে অংশ নেয় চীনের ১০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল, যারা অন-সাইট ও অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, চিকিৎসা ভিসার আমন্ত্রণপত্র, দ্রুত প্রসেসিং, অনুবাদক সহায়তা এবং বিমানবন্দর থেকে রোগী পিকআপের মতো সেবা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধি, চিকিৎসক, রোগী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যা চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা জাগিয়েছে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: