আদালতে পলক-মনিরুল, জুলাই আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়

২০২৫ আগস্ট ০৬ ১২:৪৮:০৪
আদালতে পলক-মনিরুল, জুলাই আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের আলোচিত জুলাই গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত দুইটি নৃশংস ঘটনার তদন্তে নতুন গতি এসেছে। ফরিদ আহমেদ হত্যা এবং আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা দুই পৃথক মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, ঢাকার সাবেক পুলিশ উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকেও একই আদেশের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এই আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ পক্ষ থেকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে পৃথক দুটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। শুনানিকালে আদালতের চারপাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে কড়া প্রহরায় আদালতে আনা হয় পলকসহ অন্যান্য আসামিদের। উপস্থিত আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে পলক কুশল বিনিময় করেন এবং আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন। অন্যদিকে, মনিরুল ও বাকি আসামিরা ছিলেন নীরব ও অনুচ্চকণ্ঠ।

ফরিদ আহমেদ হত্যা মামলা:

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর ‘জুলাই গণআন্দোলন’-এর একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ফরিদ আহমেদ। মামলার এজাহার অনুসারে, মিছিল চলাকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি এবং পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। প্রায় আট মাস পর, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়।

আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টা মামলা:

একই দিনে, ৫ আগস্ট, আব্দুর রাজ্জাক নামের অপর এক ব্যক্তি যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে, ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ তিনি নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে একটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার ও আইনি প্রক্রিয়া:

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জুনাইদ আহমেদ পলককে গত বছরের ১৫ আগস্ট, এবং কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে ২১ এপ্রিল গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া, পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার শহিদুল্লাহকে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রমনা এলাকা থেকে আটক করা হয়। আর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয় ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ