২১ আগস্ট মামলায় খালাস! আজ বড় সিদ্ধান্তের মুখে তারেক-বাবর

২০২৫ জুলাই ২৪ ১০:৪৮:৩৯
২১ আগস্ট মামলায় খালাস! আজ বড় সিদ্ধান্তের মুখে তারেক-বাবর
তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর/ছবি: সংগৃহীত

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য এ আপিল তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর আগে ১৭ জুলাই থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয় এবং আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ, যিনি আদালতে পেপারবুক থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ পাঠ করেন। অন্যদিকে বিএনপিপন্থী আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।

এই মামলায় আপিল বিভাগের শুনানির জন্য প্রথমে ১৫ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়। এর আগেই, ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে দেওয়া যাবৎজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল হয়ে যায়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ করার অনুমতি চায় এবং তা গত ১ জুন মঞ্জুর হয়। এরপর ১৫ মে শুরু হওয়া শুনানি ২৮ মে পর্যন্ত চলে এবং আদালত আপিলের অনুমতি প্রদান করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে, যেখানে গ্রেনেড হামলা মামলার সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক দুটি লিভ টু আপিল দায়ের করে, যা ১৩ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয় এবং পরে তা নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরক মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ