শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ

৭ জুলাই ২০২৫: শেয়ারবাজারে শীর্ষ গেইনার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ০৮:৪৪:০১
৭ জুলাই ২০২৫: শেয়ারবাজারে শীর্ষ গেইনার

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শেষভাগে বাজারে গতি লক্ষ করা গেছে। বেশ কিছু শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির দিক থেকে উল্লিখিত সীমা স্পর্শ করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুনরায় আস্থা ফিরে আসার ইঙ্গিত মিলেছে। এই প্রতিবেদনে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শেয়ার মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ১০টি কোম্পানির বিশ্লেষণ করা হয়েছে যার একটি হল ‘ক্লোজিং মূল্য বনাম গতকালের ক্লোজিং মূল্য (YCP)’ এবং অপরটি ‘ওপেনিং মূল্য বনাম লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস (LTP)’ ভিত্তিক।

প্রথমত, ক্লোজিং মূল্য ও YCP ভিত্তিক গেইনার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে রূপালী ব্যাংক (RUPALIBANK), যার শেয়ারের মূল্য ২১ টাকা থেকে বেড়ে ২৩.১০ টাকায় পৌঁছেছে, অর্থাৎ শতকরা ১০ শতাংশের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। একই হারে বেড়েছে তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ (TOSRIFA)–এর শেয়ারের দামও, যা ১৯ টাকা থেকে বেড়ে ২০.৯০ টাকা হয়েছে। এই দুটি শেয়ার সার্কিট ব্রেকার হিট করায় বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা এবং সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ ইতিবাচক খবরের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইল (RAHIMTEXT) ৯.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৩.৩০ টাকায় ক্লোজ করেছে, যা প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বুলিশ ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ গেইনার AB ব্যাংক (ABBANK) এবং EXIM ব্যাংক (EXIMBANK) যথাক্রমে ৯.৩৮ ও ৮.৯৩ শতাংশের প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির প্রতিফলন। এর বাইরে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট (HEIDELBCEM) ৮.৭৪ শতাংশ এবং DESCO, MIDLANDBNK, FIRSTSBANK ইত্যাদি কোম্পানির শেয়ারের দামেও গুরুত্বপূর্ণ বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা শক্তিশালী লেনদেন এবং টেকসই আগ্রহের প্রতিফলন।

দ্বিতীয় তালিকায়, ওপেনিং প্রাইস বনাম এলটিপি (LTP)–এর ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে আবারো রহিম টেক্সটাইল (RAHIMTEXT)–এর শেয়ারে, যার দাম দিন শুরুতে ছিল ১১৩ টাকা এবং শেষ পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ১২৩.৩০ টাকায়, অর্থাৎ প্রায় ৯.১২ শতাংশ বৃদ্ধি। এটি প্রমাণ করে দিনজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ক্রয়চাপ ছিল এবং কোনো বিরাট সেল-অফ হয়নি। EXIMBANK (৮.৯৩%), TOSRIFA (৮.৮৫%) এবং DESCO (৭.৭৬%)–এর শেয়ারের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম প্রবণতা দেখা গেছে, যা স্টকগুলোর ইন্ট্রা-ডে বায়িং স্ট্রেংথের ইঙ্গিত দেয়।

এছাড়া MEGHNACEM, MIDLANDBNK, VAMLRBBF, EBL1STMF, এবং BXPHARMA এর মতো কোম্পানিগুলোর শেয়ারেও ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, যা প্রমাণ করে বাজারে নানা খাতের মধ্যে একটি সুসম বায়িং ইন্টারেস্ট বিরাজ করছে বিশেষত সিমেন্ট, ব্যাংকিং, ফার্মা এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে।

এইসব তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, বাজারে একটি পুনরুজ্জীবন ঘটছে এবং বিনিয়োগকারীরা আবারো স্বল্পমেয়াদি লাভের উদ্দেশ্যে সক্রিয় হচ্ছেন। তবে এই প্রবণতা কতটা স্থায়ী হবে তা নির্ভর করছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজার-বান্ধব নীতিমালার ওপর।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে গেইনার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মৌলিক বিশ্লেষণ (Fundamental Analysis) করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। শুধুমাত্র প্রাইস অ্যাকশনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাজারে গতি ফেরার এই সূচনা পর্যায়ে সজাগ ও হিসেবি পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হতে পারে।


২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৫:৫১:২৯
২১ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

এই সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে বাজারে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সূচকের দিক থেকে দেখা যায়, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (DSEX) ২৪.৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৩৭৪.৯৬-এ, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ০.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সূচকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.০৪ শতাংশ। একইভাবে ডিএস৩০ সূচক ১৫.৬২ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০৮৯.৪৪-এ, আর ডিএস শারিয়া সূচক (DSES) বেড়েছে ১৭.১৭ পয়েন্ট বা ১.৪৮ শতাংশ। তবে ডিএসই এসএমই সূচক (DSMEX) এ পতন ঘটেছে ১৩.৬৭ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ, যা বছরের শুরু থেকে প্রায় ১২.৭২ শতাংশ নিম্নমুখী।

লেনদেনের দিক থেকে বাজার বেশ সক্রিয় ছিল। সপ্তাহজুড়ে গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯,০৭১.৩৮ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৬,৮৯১.৮৯ কোটি টাকার তুলনায় ৩১.৬২ শতাংশ বেশি। গড় ভলিউম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৬.০৩ মিলিয়ন, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। তবে বাজার মূলধন সামান্য কমেছে; গত সপ্তাহের তুলনায় ০.৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭০.৮১ লাখ কোটি টাকায়।

সপ্তাহের সার্বিক লেনদেনে মোট ৪৫,৩৫৬.৯০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সময়ে ১৩.৮০ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের ১০.৫২ কোটি শেয়ারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বাজারে ৫ দিন লেনদেন চলাকালে মোট ১২.৮১ লাখ লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।

বাজারের প্রস্থ (Market Breadth) অনুযায়ী, সপ্তাহে ২৪১ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ১২৯টির দর কমেছে এবং ২৪টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে অগ্রসর ও পতনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১.৮৭।

খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাত ৩১ কোম্পানির দরপতনের কারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য ও মিশ্র শিল্প খাতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ১৯৯ শতাংশ লেনদেন প্রবৃদ্ধি এবং সাধারণ বীমা খাতে ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাজারে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এছাড়া সিরামিক, কাগজ ও প্রিন্টিং, রিয়েল এস্টেট এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ট্যানারি, টেলিযোগাযোগ এবং ভ্রমণ ও বিনোদন খাত দুর্বল অবস্থায় ছিল।

সপ্তাহের শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (BSC), বেক্সিমকো ফার্মা (BXPHARMA), ওরিয়ন ইনফিউশন (ORIONINFU), সিটি ব্যাংক (CITYBANK) এবং বিচ হ্যাচারি (BEACHHATCH)। ব্লক মার্কেটে শীর্ষস্থান দখল করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ফাইন ফুডস, পাবালি ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং সিপার্ল হোটেলস।

শীর্ষ গেইনার তালিকায় রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ (ISNLTD) ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি, মেঘনা সিমেন্ট (MEGHNACEM) ২৮.৩৩ শতাংশ, বিডি অটোকার (BDAUTOCA) ২৬.৪৩ শতাংশ, জিকিউ বলপেন (GQBALLPEN) ২৬.১৫ শতাংশ এবং শ্যামপুর সুগার (SHYAMPSUG) ২৪.৫৩ শতাংশ বৃদ্ধিসহ। অন্যদিকে শীর্ষ লুজার তালিকায় রয়েছে এক্সিম ব্যাংক (EXIMBANK) ১৭.৮৬ শতাংশ পতন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক (FIRSTSBANK) ১৩.১৬ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL) ১১.৫৯ শতাংশ এবং আরও বেশ কিছু কোম্পানি যাদের শেয়ারের দাম ৭ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

সার্বিকভাবে বলা যায়, সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে টার্নওভার ও লেনদেনের গতি ইতিবাচক থাকলেও বাজার মূলধন কিছুটা কমেছে এবং এসএমই খাতের ধারাবাহিক দুর্বলতা বাজারকে চাপে রেখেছে। বিনিয়োগকারীরা মূলত ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বীমা খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহী থাকলেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে আস্থা কমেছে। এর ফলে বাজারে মিশ্র প্রবণতা সৃষ্টি হলেও লেনদেন প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।

-রফিক


২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৫:৪২:৫৩
২১ আগস্ট ২০২৫ আজকের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে বাজারে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। দিনশেষে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, ২০৮টির দর কমেছে এবং ৭২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাজারে পতনশীল ইস্যুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ওপর একটি সতর্ক সংকেত প্রতিফলিত হয়েছে।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ ক্যাটাগরির মধ্যে ২১৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯টির দর বেড়েছে, ১১৮টির কমেছে এবং ৪২টি অপরিবর্তিত ছিল। বি ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে ৩১টি বেড়েছে, ৪২টি কমেছে এবং ১০টি অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল। জেড ক্যাটাগরির ৯৫টির মধ্যে ২৭টি বেড়েছে, ৪৮টি কমেছে এবং ২০টি অপরিবর্তিত ছিল। তবে এন ক্যাটাগরিতে কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।

মিউচুয়াল ফান্ড সেগমেন্টে ৩৬টি ফান্ডের লেনদেন হয়, যার মধ্যে মাত্র ৩টির দর বেড়েছে, ১০টির কমেছে এবং ২৩টি অপরিবর্তিত ছিল। করপোরেট বন্ডের মধ্যে ২টির দর কমেছে, কোনো অগ্রগতি হয়নি। সরকারি সিকিউরিটিজে (জি-সেক) মোট ৩টি ইস্যু লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে ১টি বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে।

লেনদেনের সার্বিক চিত্রে দেখা যায়, আজ মোট লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৭ বার, শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৪টি এবং টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭৬৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। বাজার মূলধনের হিসাবে, ইক্যুইটির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫.৬৯ লাখ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ড ০.২৬ লাখ কোটি টাকা এবং ঋণপত্র ৩৪.৮৫ লাখ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০.৮১ লাখ কোটি টাকা।

ব্লক মার্কেটেও লেনদেন ছিল সক্রিয়। আজ ৩২টি সিকিউরিটিজে ৬১টি লেনদেনের মাধ্যমে ৫৭ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট আর্থিক মূল্য প্রায় ১২৬.৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্লক লেনদেন হয়েছে সিপার্ল হোটেলস (SEAPEARL) ৩৫.৮৯ কোটি টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক (STANDBANKL) ২৩.২৩ কোটি টাকার, মনো ফ্যাব্রিকস (MONNOFABR) ৫.০১ কোটি টাকার, এমজেএল বাংলাদেশ (MJLBD) ৫.৫০ কোটি টাকার এবং আল-হাজ টেক্সটাইল (AL-HAJTEX) ৫.৭৫ কোটি টাকার।

সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাজারে অগ্রসর ইস্যুর সংখ্যা থাকলেও পতনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা নড়বড়ে হয়েছে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির বড় কোম্পানিগুলোর দরে পতন বাজারকে চাপে ফেলেছে। তবে ব্লক মার্কেটে সক্রিয় লেনদেন এবং কিছু নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাজারে স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। বাজার মূলধনও উচ্চ অবস্থানে থাকায় দীর্ঘমেয়াদে আস্থার জায়গা অটুট রয়েছে।

-রফিক


২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৫:৩৭:১৯
২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) দুপুর আড়াইটা ৫২ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন চলাকালীন সময়ে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বাজারে কিছু শেয়ারের দামে উল্লেখযোগ্য পতন লক্ষ্য করা গেছে। শীর্ষ দশ লুজারের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে দুটি সূচকে—প্রথমটি ক্লোজিং প্রাইস ও গতকালের ক্লোজিং প্রাইস (YCP) তুলনা করে এবং দ্বিতীয়টি ওপেনিং প্রাইস ও লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস (LTP) এর বিচ্যুতি অনুযায়ী।

ক্লোজিং প্রাইস ও YCP ভিত্তিতে শীর্ষ লুজারের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক (FIRSTSBANK), যার শেয়ারের দাম ৫.৭১ শতাংশ কমে ৩.৫ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৩.৩ টাকায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভামল আরবিবিএফ (VAMLRBBF), যার পতন হয়েছে ৫.১৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স (CENTRALINS) ৫.০১ শতাংশ হ্রাস নিয়ে। এছাড়া প্রাইম ফাইন্যান্স (PRIMEFIN) ৫ শতাংশ, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স (PROVATIINS) ৪.৩৪ শতাংশ এবং পুরাবি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (PURABIGEN) ৪.৩৪ শতাংশ পতনের সম্মুখীন হয়েছে। তালিকার বাকি চার কোম্পানি হলো এক্সিম ব্যাংক (EXIMBANK) ৪.১৬ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্স (FASFIN) ৪ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিং (PREMIERLEA) ৩.৮৪ শতাংশ এবং টুঙ্গ হাই টেক্সটাইল (TUNGHAI) ৩.৮৪ শতাংশ পতন নিয়ে। এ চিত্র থেকে বোঝা যায়, ব্যাংক, ফাইন্যান্স এবং ইন্স্যুরেন্স খাত আজকের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাবের মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে ওপেনিং প্রাইস ও LTP এর বিচ্যুতির ভিত্তিতে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স (NORTHRNINS) এর ক্ষেত্রে। শেয়ারটির ওপেনিং প্রাইস ছিল ৩২.৫ টাকা এবং শেষ লেনদেন হয়েছে ২৯.৯ টাকায়—যা ৮ শতাংশ পতন নির্দেশ করে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স (CENTRALINS), যার পতন ৭.৪৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টুঙ্গ হাই টেক্সটাইল (TUNGHAI) ৭.৪০ শতাংশ হ্রাস নিয়ে। এর পরপরই রয়েছে এক্সিম ব্যাংক (EXIMBANK) ৬.১২ শতাংশ এবং মারকারি ইন্স্যুরেন্স (MERCINS) ৬.০৩ শতাংশ পতনসহ। তালিকার বাকি কোম্পানিগুলো হলো সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স (SUNLIFEINS) ৫.৬৪ শতাংশ, পুরাবি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (PURABIGEN) ৫.৩৭ শতাংশ, ডেল্টা জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (DGIC) ৫ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স (PRAGATIINS) ৪.৯৯ শতাংশ এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স (FEDERALINS) ৪.৯৭ শতাংশ পতন নিয়ে।

উভয় সূচকের তালিকা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষত সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স উভয় সূচকেই শীর্ষ পাঁচে রয়েছে, যা এ কোম্পানির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করছে। একইভাবে পুরাবি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এক্সিম ব্যাংক এবং টুঙ্গ হাই টেক্সটাইল দুই তালিকাতেই পতনের শিকার হয়েছে।

-রাফসান


২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৫:১৮:০৬
২১ আগস্ট শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) দুপুর আড়াইটা ৫২ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন চলাকালীন সময়ে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। দিনের শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে দুইভাবে একটি ক্লোজিং প্রাইস (Closing Price) ও গতকালের ক্লোজিং প্রাইস (YCP) ভিত্তিক এবং অপরটি ওপেনিং প্রাইস ও লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস (LTP) ভিত্তিক।

ক্লোজিং প্রাইস ও YCP এর তুলনায় দেখা যায়, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ISNLTD) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছে। ৬৬ টাকা থেকে বেড়ে শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৭২.৬ টাকায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সামতা লেদার (SAMATALETH), যার শেয়ারমূল্য প্রায় ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। তৃতীয় স্থানে সালভো কেমিক্যাল (SALVOCHEM) ৯.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে লেগেসি ফুটওয়্যার (LEGACYFOOT) ৯.২৭ শতাংশ বৃদ্ধিসহ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কে অ্যান্ড কিউ (KAY&QUE) ৮.৭৪ শতাংশ বৃদ্ধিসহ। এছাড়া সোনালী পেপার (SONALIPAPR), বিডি অটোকার (BDAUTOCA), জিকিউ বলপেন (GQBALLPEN), রহিম টেক্সটাইল (RAHIMTEXT) এবং রহিমা ফুড (RAHIMAFOOD) তালিকার বাকি পাঁচটি স্থানে অবস্থান করেছে। এ থেকে স্পষ্ট যে বিনিয়োগকারীরা শিল্প, কাগজ, রাসায়নিক ও খাদ্য খাতের শেয়ারের প্রতি নতুন করে আস্থা প্রদর্শন করছেন।

অন্যদিকে ওপেনিং প্রাইস ও LTP এর বিচ্যুতির ভিত্তিতে আবারও শীর্ষে রয়েছে সামতা লেদার (SAMATALETH)। শেয়ারের ওপেনিং প্রাইস ছিল ৯৪ টাকা এবং লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১০৪.২ টাকা—যা ১০.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সালভো কেমিক্যাল (SALVOCHEM) ৯.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি সহ, তৃতীয় স্থানে বিডি অটোকার (BDAUTOCA) ৮.৩২ শতাংশ বৃদ্ধিসহ, চতুর্থ স্থানে জিকিউ বলপেন (GQBALLPEN) ৮.৩০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার (SONALIPAPR) ৭.৯০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ। এ তালিকার বাকি কোম্পানিগুলো হলো লেগেসি ফুটওয়্যার (LEGACYFOOT), কে অ্যান্ড কিউ (KAY&QUE), মগুরা প্লেক্স (MAGURAPLEX), আল-হাজ টেক্সটাইল (AL-HAJTEX) এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স (PRAGATILIF)।

উভয় তালিকায় একাধিক কোম্পানির পুনরাবৃত্তি বাজারের ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরছে। বিশেষ করে সামতা লেদার (SAMATALETH) এবং সালভো কেমিক্যাল (SALVOCHEM) দুই সূচকেই শীর্ষে উঠে এসেছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। একইভাবে লেগেসি ফুটওয়্যার, কে অ্যান্ড কিউ, সোনালী পেপার, বিডি অটোকার ও জিকিউ বলপেন ধারাবাহিকভাবে উভয় সূচকে স্থান পেয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে শিল্প, অটোমোবাইল, কলম উৎপাদন এবং টেক্সটাইল খাত এখন বিনিয়োগকারীদের মূল আকর্ষণ।

-রাফসান


শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৩:০৪:৪০
শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবারের লেনদেনে দুই বহুল আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর শেয়ারের দর পরিবর্তন লক্ষণীয় ছিল। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, উভয় কোম্পানির শেয়ার দর ও লেনদেন কার্যক্রম বিনিয়োগকারীদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বহন করছে।

বেক্সিমকো লিমিটেড

বেক্সিমকোর প্রতিটি শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১১০ টাকা ১০ পয়সা। সর্বোচ্চ দরও একইভাবে ১১০ টাকা ১০ পয়সা, যা ইঙ্গিত করছে যে শেয়ারটির লেনদেন একটি স্থিতিশীল সীমায় আবদ্ধ ছিল। অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দরও ছিল ১১০ টাকা ১০ পয়সা। পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বেক্সিমকোর শেয়ার দর পরিবর্তন তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকলেও, বাজারের আস্থা ও স্থিতিশীল বিনিয়োগ প্রবণতার প্রতিফলন এতে স্পষ্ট।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি অস্থিরতা। শেয়ারটির সমাপনী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা ০০ পয়সা। দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ২৯ টাকা ৩০ পয়সা। এর আগে শেয়ারটির রেফারেন্স দর ছিল ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা, আর সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দামে উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেক্সিমকো শেয়ারের দর স্থিতিশীল থাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা, যা কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতার ওপর আস্থাকে প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দামে যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বিধা ও বাজারে চাপের ইঙ্গিত বহন করে। তবে একই সঙ্গে এটি স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফা করার সুযোগও তৈরি করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, ডিএসই-তে বৃহস্পতিবারের লেনদেন বিনিয়োগকারীদের জন্য উভয় প্রতিষ্ঠানের ভিন্নতর প্রবণতা ও সম্ভাবনার চিত্র উপস্থাপন করেছে।


রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:৫২:৫৬
রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
ছবিঃ সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুডস লিমিটেড এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে। কোম্পানির সাবেক পরিচালক মরহুম ফজলুর রহমান-এর নামে থাকা মোট ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২টি শেয়ার তার আইনানুগ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফজলুর রহমান ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শেয়ার বণ্টনের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে আদালতের প্রদত্ত উত্তরাধিকার সনদ (Succession Certificate) অনুসারে। অর্থাৎ, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত উত্তরাধিকারীরা আইনগতভাবে এই শেয়ারের মালিকানা গ্রহণ করবেন। এ প্রক্রিয়া শেয়ারবাজারে প্রচলিত নিয়মের অংশ, যা প্রয়াত পরিচালকের অংশীদারিত্বকে স্বচ্ছভাবে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে হস্তান্তরের নিশ্চয়তা দেয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের শেয়ার ট্রান্সমিশন সাধারণত কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে সরাসরি কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে মালিকানার কাঠামোয় উত্তরাধিকার নিশ্চিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা। এতে শেয়ার বাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসনের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়।

রহিমা ফুডস জানিয়েছে, এ বিষয়টি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে অবহিত করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যাতে সঠিক তথ্য পেতে পারেন এবং মালিকানার পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন, সে জন্যই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

-রফিক


শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:৪৩:১৫
শেয়ারবাজারে আলোচনায় এনসিসি ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনসিসি ব্যাংক পিএলসি-এর একজন স্পনসর শেয়ার ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যাংকের স্পনসর মিসেস সোহেলা হোসেন জানিয়েছেন, তিনি বাজারে বিদ্যমান দরে মোট ২০ লাখ (২০,০০,০০০) শেয়ার ক্রয় করতে আগ্রহী। শেয়ারগুলো তিনি ক্রয় করবেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (DSE)-র পাবলিক মার্কেট এবং/অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে। এই শেয়ার ক্রয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে।

রেগুলেটরি দৃষ্টিকোণ থেকে স্পনসরের এই ধরনের ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। স্পনসর পর্যায়ের শেয়ার ক্রয় সাধারণত বাজারে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হয়। এতে বোঝা যায়, কোম্পানির ভেতরের শক্তিশালী অংশীদাররা নিজেদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা রাখছেন। এর ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে এবং শেয়ার লেনদেনে চাঙাভাব আসতে পারে।

অন্যদিকে, বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০ লাখ শেয়ারের ক্রয়াদেশ এনসিসি ব্যাংকের মোট ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে প্রভাবিত করবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা যে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে স্থিতিশীল এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রাখে।

শেয়ারবাজারে ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সাধারণত বড় পরিমাণ শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তাই এনসিসি ব্যাংকের এ ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে যে, বড় আকারের লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদিত হতে পারে, যা ব্যাংকের শেয়ার মূল্যের ওপরও প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে।

উল্লেখ্য, এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে একটি সুপরিচিত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকটির বিভিন্ন কর্পোরেট এবং খুচরা গ্রাহক সেবা, ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধির কৌশল সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে তাদের উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। ফলে স্পনসরের এ ধরনের বিনিয়োগ ঘোষণাকে অনেকেই ব্যাংকের প্রতি আস্থার পুনর্ব্যক্তি হিসেবে দেখছেন।

-রাফসান


রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:৩৩:৫৫
রূপালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (NCR)। সংস্থাটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি ক্রেডিট রেটিং “BBB+” এবং স্বল্পমেয়াদি ক্রেডিট রেটিং “ST-3” নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকটির জন্য Developing Outlook উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

রেটিং সংস্থা এনসিআর জানিয়েছে, নিরীক্ষিত আর্থিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ব্যাংকটির বর্তমান আর্থিক অবস্থান, সম্পদ গুণগত মান, মূলধনের যথাযথতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এই রেটিং নির্ধারণ করা হয়েছে। “BBB+” রেটিং ইঙ্গিত করে যে ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ সক্ষমতা সন্তোষজনক হলেও এটি তুলনামূলক মাঝারি ঝুঁকির পর্যায়ে অবস্থান করছে। অন্যদিকে স্বল্পমেয়াদে “ST-3” রেটিং প্রমাণ করে যে তারল্য ব্যবস্থাপনা ও স্বল্পমেয়াদি দায় পরিশোধের সক্ষমতা গ্রহণযোগ্য হলেও বাজারের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি ব্যাংকটির জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

“Developing Outlook” নির্দেশ করে যে রূপালী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ আর্থিক অবস্থান নির্ভর করবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিবেশ, ব্যাংক খাতের প্রতিযোগিতা, এবং ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ কৌশলগত উদ্যোগের ওপর। অর্থনীতির ইতিবাচক গতি এবং সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ব্যাংকটির রেটিং উন্নতির সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রেটিং নেমে যাওয়ার ঝুঁকিও বিদ্যমান।

-রাফসান


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ১৫:২৯:৫৬
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) লেনদেন কিছুটা কমে এসেছে। বাজারে সূচকে চাপ দেখা দিলেও ব্লক মার্কেটে তুলনামূলক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে।

দিন শেষে সব ক্যাটাগরির মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ২২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক অবস্থা

‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২১৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি।‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টির মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি।‘জেড’ ক্যাটাগরির ৯৬টির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি।অন্যদিকে, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোনো কোম্পানির শেয়ার এদিন লেনদেন হয়নি।

মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড

৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে ২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।করপোরেট বন্ডে ২টি লেনদেনের মধ্যে একটির দর বেড়েছে, একটি অপরিবর্তিত ছিল।সরকারি সিকিউরিটিজে ৩টির মধ্যে সবকটির দর কমেছে।

লেনদেনের পরিসংখ্যান

ডিএসইতে বুধবার মোট লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৮টি।মোট শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৮.৮২ কোটি।লেনদেনের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার কিছু বেশি।

বাজার মূলধন

দিন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় প্রায় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে—

ইকুইটি: প্রায় ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯২ কোটি টাকা

মিউচুয়াল ফান্ড: প্রায় ২৭ হাজার ১১২ কোটি টাকা

ঋণ সিকিউরিটিজ: প্রায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা

ব্লক মার্কেট

ব্লক মার্কেটে ২৯টি কোম্পানির মোট ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৩২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ।সবচেয়ে বড় লেনদেন হয়েছে Asiatic Lab-এর শেয়ারে, যার মাধ্যমে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়।এছাড়া City Bank, Fine Foods, Uttara Bank ও EBL-এর শেয়ার ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: