খুলনায় কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতার অবরোধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১৯:৪১:২২
খুলনায় কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতার অবরোধ

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতা টানা কর্মসূচি পালন করছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে কেএমপি কার্যালয়ের সামনে খানজাহান আলী সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, অথচ পুলিশ দায়সারা ভূমিকা পালন করছে। তারা দাবি করেন, এ অবস্থার জন্য কেএমপি কমিশনার সরাসরি দায়ী। তাঁর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, “খুলনার সাধারণ মানুষ এখন ভয়ে-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি ঘটেছে, তার জন্য কেএমপি কমিশনার দায়ী। আমরা তাঁর অপসারণ চাই। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন দমন করা যাবে না।”

গত ২৪ জুন খুলনার ফুলবাড়ি গেট এলাকায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেন। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ২৫ জুন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। তারা কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ২৬ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তবে গ্রেফতারের পরও আন্দোলন থেমে থাকেনি। বিক্ষোভকারীরা দাবি করে আসছেন, কেবল একজন এসআই গ্রেফতারই যথেষ্ট নয়, পুলিশ কমিশনারকেই অপসারণ করতে হবে।

৩০ জুন কেএমপি কার্যালয়ের সামনে আবারও সড়ক অবরোধ করা হয়। ১ জুলাই রূপসা সেতু অবরোধ করে বিক্ষোভ চালায় ছাত্র-জনতা। এরপর ৩ জুলাই খুলনার বিভিন্ন কলেজের সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

২৮ জুন সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি পুলিশ কমিশনার অপসারণ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করার আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনকারীরা বলেন, আশ্বাসে নয়, পদত্যাগে সন্তুষ্ট হবে ছাত্র-জনতা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ