ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকে অব্যাহতি, নেপথ্যে যা থাকছে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১৯:২৬:৩৫
ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকে অব্যাহতি, নেপথ্যে যা থাকছে

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার ১২ জন নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা, নিষ্ক্রিয়তা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১২ নেতাকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন– সহ-সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার শহীদুল আলম মামুন, সদস্য জুনায়েদ আলম বাগদাদ, আকিউজ্জামান কোয়েল, আলম বাদশা, মো. জোবায়ের আলম চৌধুরী, ফাহিম আহমেদ, সালেহ মাহমুদ, মো. নাজমুল ইসলাম, রায়হান হোসেন, সিফাত উল ইসলাম, আব্দুল্লাহ রায়হান এবং মাশফিক আলম ভূঁইয়া।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছে, সংগঠন বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। সরকারের দমননীতি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সময় দায়িত্বশীলতা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও কার্যকর মাঠ-সক্রিয়তার প্রয়োজনীয়তা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় নেতৃত্বের অদক্ষতা, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি এবং সংগঠনবিরোধী নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই অব্যাহতি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দল পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনে ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোকে কার্যকরভাবে প্রস্তুত করতেই ছাত্রদল নেতৃত্বে এই ধরপাকড় নীতি নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ঐতিহাসিকভাবে সংগঠনের একটি মুখ্য ইউনিট, যা কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতিতে প্রভাব রাখে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এই সিদ্ধান্ত ঢাবির সাংগঠনিক ইউনিটে নতুন নেতৃত্ব তৈরির পথ সুগম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছাত্রদলের ভেতরে সংগঠনকে গতিশীল করার প্রয়াসে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন ও শৃঙ্খলা রক্ষার পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠছে, এই অব্যাহতি সাংগঠনিক চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বাস্তব প্রয়াস, না কি অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে কৌশলগত চাপ সেটি সময়ই বলে দেবে।

অব্যাহতির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ছাত্রদল একটি বার্তা দিতে চেয়েছে সংগ্রামের পথে নিষ্ক্রিয়তার জন্য কারো প্রতি অনুকম্পা দেখানো হবে না। সংগঠনের লক্ষ্য পূরণে যারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন না, তাদের জন্য জায়গা সংগঠনে সীমিত।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ