সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ইতিবাচক সাড়া

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১৪:২১:১৫
সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ইতিবাচক সাড়া

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৭ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু করেছে। দিনের শুরু থেকেই বাজারে ছিল চাঙাভাব, যার ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার নতুন সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৯৪০ পয়েন্টে। একই সময়ের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) বেড়েছে ৯.২৪ পয়েন্ট, যা অবস্থান করছে ১,০৭৪ পয়েন্টে। পাশাপাশি ডিএস৩০ সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়ে গেছে ১,৮৪৯ পয়েন্টে।

লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে সকালের এক ঘণ্টায় মোট ১৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট হাতবদল হয়েছে, যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে ২২৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে বর্তমানে মিশ্রধারার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু কোম্পানির মৌলভিত্তিক ইতিবাচক অবস্থান এবং বিনিয়োগ-প্রস্তুতি পুনঃচিন্তার প্রবণতা বাজারে স্বল্পমেয়াদি গতি ফেরাতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, টাকার মান স্থিতিশীলতা এবং নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে আসা নানা আশ্বাসও বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনছে বলে অনেকে মনে করছেন।

একজন বাজার বিশ্লেষক জানান, “সূচকের এই উত্থান স্বল্পমেয়াদে বাজারে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সহায়ক হলেও, দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনতে হলে পুঁজিবাজারে কাঠামোগত সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করতে হবে।”

বিনিয়োগকারীদের একাংশ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে স্থবিরতা বিরাজ করছিল। এমন এক সময়, যখন মুনাফা তুলনামূলক কম ও অনিশ্চয়তা বেশি, তখন দিনের শুরুতেই বাজারের এই চাঙাভাব ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে কিছুটা আশাবাদী হতে সাহায্য করছে।

তবে তারা আরও বলেন, এই ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ইতিবাচক দিকচালনা এবং ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

পুঁজিবাজারে এই ধাপের উত্থান অনেকদিন পর একটি প্রশান্তির বার্তা দিলেও, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সুসংহত নীতি, কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং মৌলভিত্তিক কোম্পানির তালিকা সম্প্রসারণ। আগামী দিনের বাজার পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ