দারিদ্র্য-বেকারত্ব-কার্বন নিঃসরণ রোধে ইসলামি অর্থনীতি জরুরি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ১৪:০২:২৬
দারিদ্র্য-বেকারত্ব-কার্বন নিঃসরণ রোধে ইসলামি অর্থনীতি জরুরি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‌‌‌“শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ—এই তিনটি লক্ষ্য অর্জনে আন্তরিক সামাজিক দায়িত্ববোধের অনুশীলন জরুরি।”

শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন (আইএসবিএস) ২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল—‘মুসলিম বিশ্বের তিনটি শূন্য অর্জনে এনজিও নেতৃত্ব’।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরা মূল্যবোধের কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে তা প্রয়োগ করি না—এটাই মূল সংকট। প্রকৃত পরিবর্তন আসে তখনই, যখন নৈতিক আদর্শ বাস্তবে রূপ পায়।” তিনি বলেন, আধুনিক পুঁজিবাদ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক কাঠামোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে, যদি এখনই অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা না হয়।

তিনি বলেন, “ভোগ নয়, প্রয়োজন বুঝে খরচ করতে হবে। যুদ্ধে নয়, মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে হবে।” তিনি মুসলিম বিশ্বের নৈতিক দায়িত্ববোধ ও কার্যকর উদ্যোগের অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ইসলামের মানবিক মূল্যবোধ প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ইসলাম শুধু আদর্শ প্রচার করে না, তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। এই ধর্ম বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে মুনাফাকে নয়, কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়।” তিনি আরও বলেন, “যাকাত ব্যবস্থাই প্রমাণ করে, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ইসলামিক অর্থনীতি কার্যকর একটি মডেল হতে পারে।”

গাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে যখন নিরীহ মানুষ নিহত হয়, তখন মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা আশঙ্কাজনক। ভ্রাতৃত্ববোধ শুধু কথায় নয়, তা সাহসিকতায়ও প্রকাশ পেতে হবে।”

সামাজিক ব্যবসা ও মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঘৃণার বিপরীতে মানবিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করার মধ্যেই মানবতার প্রকৃত পথ রয়েছে।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ